নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
বেশী দিন আগের কথা নয়, যখন কারো CV বা Biodata ‘তে ভ্রমণ লেখা থাকতো শখের তালিকায়। ভ্রমণ বা ট্যুরিজম কারো পেশা হতে পারে এই কল্পনা আমাদের দেশে এক যুগ আগেও কেউ চিন্তা করতো না। কিন্তু সারা বিশ্ব অর্থনীতি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, বিগত কয়েক দশক ধরেই ট্যুরিজম একটি বিকাশমান ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে। আমাদের দেশে যদিও ট্যুরিজম এর প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এখনো আমাদের দেশের ভ্রমণকারীর কাছে ভ্রমণ মানে বাইরে বেড়াতে যাওয়া আর যারা নিয়মিত ভ্রমণকারী তাদের কাছে ভ্রমণ হল একটি এডভেঞ্চার এক্টিভিটিস অথবা এক্সট্রিম ইন্টারটেইনমেন্ট; যার অনেকাংশই আটকে আছে কম খরচে দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর কার্যক্রমের মাঝেই। এই বোকা মানুষেরও বেশ কিছু লেখা আছে এই ব্লগেই “কম খরচে ভারত ভ্রমণ” শীর্ষক। কিন্তু কথা হচ্ছে ভ্রমণ যে ক্রমবিকাশমান একটি ইন্ডাস্ট্রি, তা কি আমরা অনুধাবন করতে পারছি? আর পারলে এই ইন্ডাস্ট্রি দেশের জিডিপি’তে কতটুকু ভুমিকা রাখতে পারে, রাখতে পারে কর্মসংস্থান পূরণে তা কি আমরা সাধারণ জনগণ তো পরের কথা, নীতিনির্ধারকবৃন্দ কি সেই গভীরতায় ভেবে দেখেছেন?
আচ্ছা ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়ার কারণটুকু ব্যাখ্যা করা যাক আগে। গত তিন দিন আগে, আমার ইমেইলে ব্রাক ব্যাংক এর ক্রেডিট কার্ড ডিপার্ট্মেন্ট থেকে একটি মেইল আসে (আমি তাদের বহুদিনের পুরানো ক্রেডিট কার্ড ব্যাবহারকারী বলেই হয়ত। তো সেই মেইল পেয়ে আমি কিছুটা অবাক। কারন বাংলাদেশ ব্যাংক মার্কেটিং করছে ইন্ডিয়ান অনলাইন ট্রাভেল এজেন্ট MakeMyTrip এর! তাদের মেসেজ ছিল এরকমঃ "Exciting Discounts at MakeMyTrip"...!!! যেখানে মূল অফারটি ছিল বিডি ভিসা ডট কম হতে। মোদ্দাকথা, আপনি বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ব্রাক ব্যাংক এর কার্ড দিয়ে MMT হতে Flight, Hotel বা Package ক্রয় করলে নানান অংকে এবং পার্সেন্টেজে ডিসকাউন্ট পাবেন। কিন্তু কথা হল, এর মাধ্যমে আমাদের ট্যুরিজম সেক্টর কি কোন লাভবান হচ্ছে? যতদূর জানা যায়, MakeMyTrip অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করছে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম বিস্তার করতে। ইতোমধ্যে ভারতীয় প্রাইভেট বিমান সংস্থা IndiGo এবং SpiceJet বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে প্রায় বছর দুয়েক হতে চলল। আর এইসবের পেছনে কারনটি অনেক বড়। আপনি হয়ত জেনে অবাক হবেন ভারতে ২০১৮ সালের মোট জিডিপি’র ৯.২% এসেছিল ট্যুরিজম খাত থেকে টাকার অংকে যা ২৪০ বিলিয়ন ইউএসডলার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ২,০৩,০৫,২৫,০৪,০০,০০০ ( বিশ লক্ষ ত্রিশ হাজার পাঁচশত পঁচিশ কোটি) টাকা। কি অবাক হচ্ছেন? জানেন তো ২০১৮-২০১৯ সালে আমাদের বাংলাদেশের মোট বাজেট ছিল ৫৫.৩৩ বিলিয়ন ইউএসডলার! ট্যুরিজম সেক্টর ভারতে প্রায় সোয়া চারকোটি লোকের কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করেছে যা মোট কর্মসংস্থান এর ৮.১০%। কিন্তু এত কিছুর পরেও কিন্তু ভারত ট্যুরিজম খাত এর আয়ের দিক থেকে থাইল্যান্ড, তুরস্ক প্রভৃতি দেশ থেকে অনেক পেছনেই আছে। ও ভাল কথা, ভারতের এই ট্যুরিজম খাত থেকে আয়ের প্রায় এক পঞ্চমাংশের বেশী কিন্তু বাংলাদেশী ভ্রমণকারীদের কাছ থেকে এসেছে।
তথ্যসূত্রঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Tourism_in_India
এখন আসি আমাদের বাংলাদেশের অবস্থানের কথায়। “Travel & Tourism Competitiveness Index 2019” পর্যালোচনা করলে দেখা যায় বিশ্ব পর্যটন এ আমাদের অবস্থান ১২০ তম। কিন্তু এই অবস্থানেরও আরো নীচের দিকেই আমাদের থাকার কথা ছিল। কিন্তু প্রকৃতি প্রদত্ত সুবিধার কল্যাণে আমরা কিছুটা এগিয়েছি। “Total Number of Known Species” এ আমাদের অবস্থান ৪৯তম এবং “Oral & Intangible Cultural Heritage” এ রয়েছি ৪৩তম তে। এছাড়া কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে “Safety & Security” তে যেখানে ১২৩ তম থেকে ১০৫ এ উন্নিত হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে আমি নিজে কিছুটা সন্দিহান। কেননা ভ্রমণে গিয়ে এখনো আগের চাইতে ভাল একটা নিরাপদ বোধ করিনা অভ্যন্তরীণ ট্যুরগুলোতে। যাই হোক, এছাড়াও Govt. commitment to the T&T Inustry, Country Brand Strategy Rating, Prioritization of T&T, ICT Readiness, Overall infrastructure প্রভৃতি খাতে দু’চার ধাপ করে এগিয়েছে আমাদের দেশ ট্যুরিজম এর আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে। কিন্তু পিছিয়েছি আসল কিছু জায়গাতেঃ International Openness, Visa Requirements, Tourist Service Infrastructure, Construction Permits এর মত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে।
তথ্যসূত্রঃ World Economic Forum
-
শেষ করতে চাই, কিছু আশা নিয়ে। আমাদের দেশে তরুন সমাজের মাঝে ট্যুরিজম যে ক্রেজ নিয়ে এসেছে, তা যদি নীতি নির্ধারকেরা পজেটিভলি কাজে লাগাতে পারে; তাহলে আমাদের ট্যুরিজম গ্রোথগ্রাফ উপরিমূখী থাকবে এটাই আশা করা যায়। আমাদের দেশের প্রয়োজন আমাদের যে ন্যাচারাল রিসোর্স আছে তা নান্দনিকভাবে উপস্থাপন এর পাশাপাশি হসপিটালিটি’তে আরও বেশী পিপিপি ইনভেস্টমেন্ট, আরও বেশী প্ল্যানিং এন্ড প্রোকিউরমেন্ট এবং সোশ্যাল সেফটি ও সিকিউরিটি নিশ্চিত করন। এর সাথে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট এ কন্টিনিউয়িটি মাস্ট থাকতে হবে। ২০১৬-২০১৮ সরকার ঘোষিত “পর্যটন বর্ষ” হতে আমাদের প্রাপ্তি কি? সেই রিপোর্ট আজও জানা হল না। হয়ত কোথাও কিছু পাবলিশড হয়েছিল; আমার নজরে পড়েনি; আমি কিন্তু অনলাইন এন্ড অফলাইনে খুঁজেছি প্রচুর। কেউ কোন রেফারেন্স পেয়ে থাকলে আমাকে মন্তব্যে লিংক দিলে উপকৃত হব। পর্যটন বর্ষ নিয়ে সেই সময়ে আমার দুটি লেখা ছিল, দেখতে পারেনঃ
শুভ পর্যটন বর্ষ ২০১৬। - কিছু বাস্তবতা এবং ভাবনা-প্রস্তাবনা।
এই বিষয়ক আরেকটি লেখা, প্রায় উপরের লেখার দুই বছরে আগে লেখাঃ
বাংলাদেশের পর্যটন আর বোকা মানুষের টেনশন!!!
অনেকেই যারা ট্যুরিজম নিয়ে কাজ করছেন, অনলাইনে কিংবা অফলাইনে, সবাইকে বলবো পেশাদারিত্ব’র সাথে বৃহৎ শিল্প অঙ্গনের ধারনা নিয়ে এই সেক্টরে কাজ করলে সুফল আসবে। সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারী উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে। দেশের বড় বড় গ্রুপ অব কোম্পানিজদের এগিয়ে আসতে হবে। দেশে সরকারী-বেসরকারী অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি হতে গ্রাজুয়েট বের হচ্ছে, ডিপ্লোমা কোর্স চালু আছে স্বয়ং পর্যটন কর্পোরেশন এর উদ্যোগে। এই জনবল এবং তারুণ্যের আগ্রহকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে ট্যুরিজম নিয়ে যে শৌখিনতার ক্রেজ রয়েছে তাকে শখের মোড়ক থেকে বের করে প্রফেশনাল রূপ দিতে সরকার এবং প্রাইভেট সেক্টর উভয়কে আরও বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে হবে। বিলিয়ন ডলারের এই মার্কেটে নিজেদের স্থান পোক্ত করতে হলে দরকার প্রফেশনাল প্ল্যানিং। তাই শুধু ট্রাভেল রিলেটেড পার্সোনেল দিয়ে এই সেক্টর নিয়ে ভাবলে হবে না; অন্তর্ভুক্ত করতে হবে নানান শ্রেনীর পেশাদারী এক্সপার্টদের। আশা করি তবেই আমাদের দেশের জিডিপি’তে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে ট্যুরিজম সেক্টর।
সবশেষে বলবো, Happy & Sustainable T&T with professionalism as profession to contribute in growth of country's GDP।
বহুদিন পর সামুতে লিখলাম। মাঝেমধ্যে অফলাইনে ঢুঁ মারলেও লগইন করে অনেক অনেক দিন পরে ফেরা হল। সবার জন্য একরাশ শুভকামনা এবং শুভেচ্ছা ডজন দিবসের পুরনো বর্ষ ২০২০ এর জন্য।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কা_ভা। আপনার করা প্রশ্নের উত্তরগুলো খুব শীঘ্রই পোস্ট আকারে পেয়ে যাবেন আমার এই ব্লগেই। আমাদের দেশে ট্যুরিজম যে একটা কোটি ডলারের সার্ভিস ইন্ডাষ্ট্রি, ট্যুরিজম সার্ভিসে সার্ভিস প্রোভাইডার এবং সার্ভিস রিসিভার কেউই জানেনা তাদের প্রাপ্য এবং প্রদেয় সম্পর্কে। ট্যুরিজম নিয়ে যারা কাজ করছে, তাদের দালাল এবং পার্সেন্টেজ কমিশনখোর মনে করে এদেশের বেশীরভাগ মানুষ। অথচ সার্ভিস ওরিয়েন্টেড ইন্ডাষ্ট্রিতে "Tourism Merchandising" কন্সেপ্টটা অনেক বড় ভূমিকা রাখে।
যদি প্রশ্ন করেন, আমাদের দেশের মানসিকতা, সামাজিক সংস্কৃতি'র পর্যটন এর বিকাশে ভূমিকা বা প্রতিবন্ধকতা নিয়ে, তাহলে বিশদ আলোচনা দাবী রাখে। ট্যুরিজম ইন্ডাষ্ট্রি কিন্তু সব সময়ই যে কোন দেশের মানুষ, সামাজিক রীতিনীতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ এগুলোকে মাথায় রেখেই বিকশিত হয়। তাই এগুলো খুব বেশী নেতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি না। মনে রাখবেন, যে গরু দুধ দেয়, তার লাথিও ভাল লাগে। যখন আমাদের দেশের জনগণ ট্যুরিজম সেক্টরের আর্থসামাজিক উন্নয়নে শক্তিশালী ভূমিকা রাখা শুরু করবে, তখন মানুষের মানসিকতা এবং সমাজ সংস্কৃতি সম্পর্কিত যে সকল আপাত প্রতিবন্ধকতা প্রতীয়মান হয়; সেগুলো অনেকাংশেই লোপ পাবে। আশা করি খুব শীঘ্রই আপনার দেয়া এই টপিকে লেখা পাবেন।
ভালোবাসা রইল, আশা করি একদিন দেখা হবে, কথা হবে...
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা লেখা। কিন্তু শেষ বিচারে এটি অরণ্যে রোদনই হবে বলে মনে হয়।
কা_ভা ভাইয়ের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আমার মনে হয় শুধু সরকার বা কর্তৃপক্ষ নয়, আমাদের সমাজ সংস্কৃতিও পর্যটনের বিকাশ না হওয়ার জন্য দায়ী। এ দেশের মানুষের মধ্যে দ্রুততম সময়ে ধনী হওয়ার একটা মানসিকতা আছে। এ কারণে প্রাকৃতিক রিসোর্স ধ্বংস করে হলেও, ব্যবসায়ের সুনাম ধ্বংস করে হলেও সবাই দ্রুত ধনী হতে চায়। যেটা দিন শেষে সামগ্রিক পরিবেশটাকেই নষ্ট করে।
পাশাপাশি আমাদের দেশীয় ট্যুরিস্টদের মানসিকতা সম্পর্কে জানতে আমার প্রিয় একজন ব্লগার (ইবনে বতুতা) শরাফত রাজের এই লেখাটা পড়লেই খুব ভালো জানা যাবে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভাল থাকুন সবসময়।
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হায়!
ট্যুরিজমের উপর লক্ষ কোটি টাকা বেতনা ভাতা ভোগী কত্তাদের মগজে যদি ঢুকতো!!!
তারা যদি ব্লগার হইতো!
দেশের বড়ই উপগার হইতো!
কত অমিত সম্ভবনাকে পায়ে ঠেলে পড়ে আছে স্ব-দেশ প্রদীপের নীচে অন্ধকারে!!
পোষ্টে ++++
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অমিত সম্ভবনাকে পায়ে ঠেলে পড়ে আছে স্ব-দেশ প্রদীপের নীচে অন্ধকারে!! চমৎকার বলেছেন ভ্রাতা। +++
ভালবাসা রইল। ভালো থাকবেন সবসময়।
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: সরকার আন্তরিক হলে পর্যটন শিল্প থেকে অনেক টাকা আয় করা সম্ভব।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কথা সত্য। তবে, আন্তরিকতার সাথে সুদূরপ্রসারী এবং বাস্তবমুখী পরিকল্পনা নিয়ে আগাতে হবে।
ভালো থাকুন সবসময়।
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৭
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
এতদিন কোথায় ছিলেন আপনি? বেশ বড়সড় ডুব দিয়েছিলেন। অনেক, অনেকদিন পরে আপনার পোস্ট পড়তে আসলাম। আশা করি ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। ব্লগ ডে প্রোগ্রামে আসলেন না কেন? দেশে ছিলেন না? এবার বেশ বড়সড় অনুষ্ঠান হয়েছে।
বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প নিয়ে অনেক কিছু লেখা হয়েছে। সরকার অনেক কথা বলেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যা হবার তাই। দেশে অনেক জায়গা আছে পর্যটনের জন্য কিন্তু সব জায়গায় ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি হয় নি। ইচ্ছে করলেও সব জায়গায় দেশের মানুষ জনও যেয়ে থাকতে পারে না। হোটেল বা মোটেল যাই বলি না কেন ভালোভাবে তৈরি হয় নি। প্রথমে সেইগুলি ডেভেলপ করতে হবে।
ভাষাও একটা বড় বাধা। বিদেশিরা দেশে এসে সবার সাথে পুরোপুরি কমুনিকেশন করতে পারে না। ইংরেজি সবাই ভালো ভাবে বুঝে না যেটা ভারতে সমস্যা নয়।
ট্যুরিজম ইন্ডাষ্ট্রি কিন্তু সব সময়ই যে কোন দেশের মানুষ, সামাজিক রীতিনীতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ এগুলোকে মাথায় রেখেই বিকশিত করতে হবে। এই দেশে ইচ্ছে করলেই থ্যাইল্যান্ড বা এইরকম সে** ইন্ড্রাস্টিজ ডেভেলপ করবে না। এটাও মাথায় রাখতে হবে।
লেখা ভালো লেগেছে। আশা করছি এখন থেকে আবার নিয়মিত ব্লগে আসা শুরু করবেন।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামন রইলো।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় নীল আকাশ। আসলে সবকিছুর সাথে ভারসম্যপূর্ণ একটি জায়গায় আমাদের পৌঁছতে হবে পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করতে হলে। সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো। ভাল থাকুন সবসময়।
৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওয়ান্ডারফুল!
খুবই ভাল একটা পোস্ট লিখেছেন। সেই সাথে যেসব প্রাসঙ্গিক লেখা/তথ্যের লিঙ্ক দিয়েছেন, সেগুলো এখনো পর্যন্ত না পড়লেও আশা করতেই পারি, সেগুলোও মূল পোস্টের যথার্থ পরিপূরক হিসেবে গণ্য হবে। সেগুলোও একসময় পড়ে দেখবো।
শুধু ভাল লিখেনই নাই, প্রথম ও শেষ (৫ নং) মন্তব্যের উত্তরও দিয়েছেন চমৎকার! সব মিলিয়ে, এটি একটি উচ্চ মানের পোস্ট, যদিও মন্তব্যের সংখ্যাটি পাঠক মনের অতিশয় দারিদ্র্যের পরিচায়ক, লেখকের এতে কোন দৈন্য নেই।
তথ্যবহুল এ পোস্টে ৬ষ্ঠ প্লাস + রেখে গেলাম।
১৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া উৎসাহব্যঞ্জক চমৎকার মন্তব্যের জন্য। ভালোবাসা এবং শুভকামনা রইল। ভালো থাকুন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই চমৎকার পোষ্ট। আপনার দেয়া তথ্যগুলো রীতিমত পিলে চমকানো। তবে এই দিকে যে কেউ নজর দিবে সেই আশা করা বৃথা। সাম্প্রতিক সময়ে দুঃখজনক হলেও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে নিজের দেশের চাইতে অন্য কেউ সুবিধা পাচ্ছে। আমি জানি না এই দিন কিভাবে শেষ হবে! আদৌ কোন মুক্তি হবে কি না।
যাইহোক, একটি প্রশ্ন আপনার আছে। বাংলাদেশে পর্যটন ব্যবসা বৃদ্ধি না পাওয়ার কারন হিসেবে আমরা সরকারকে প্রায় দায় করি। এপার্ট ফ্রম দ্যাট! আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, আমাদের দেশের মানুষের মানসিকতা, সামাজিক সংস্কৃতি পর্যটন বিকাশে কেমন বাঁধার সৃষ্টি করছে বা এটা কি বড় একটি বাঁধা কি না?
তাছাড়া আমাদের দেশে কত পার্সেন্ট মানুষ পর্যটক বলে আপনি মনে করেন?