নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকা মানুষের কথায় কিই বা আসে যায়

বোকা মানুষ বলতে চায়

আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১

বোকা মানুষ বলতে চায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাত্রা হল শুরু; রক্ষে করো গুরু (দার্জিলিং এ বর্ষাযাপন - পর্ব ০২)

১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৩



আগের পর্বঃ উদ্ভট যাত্রার আগের গল্প (দার্জিলিং এ বর্ষাযাপন - পর্ব ০১)

যথারীতি ঈদের পরদিন রাত নয়টার নাগাদ আমরা ছয়জনের দল পৌঁছে গেলাম বাস কাউন্টারে এবং নির্ধারিত সময়েই বাস ছেড়ে দিলো। ফাঁকা রাস্তায় দ্রুত ছুটে চলছে গাড়ী, সারাদিনের ক্লান্তিতে কানে হেডফোন গুঁজে দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম। ঘন্টাখানেকের আগেই ধামরাই পেড়িয়ে প্রায় মানিকগঞ্জের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে গাড়ী; আর ১০/১২ কিলোমিটার পরই ক্রস করবো মানিকগঞ্জ; এমন সময় বাস থেমে গেল। থেমে যাওয়া বলতে একেবারে ইঞ্জিন বন্ধ; চোখ মেলে দেখি সামনে সারি সারি গাড়ী স্থবির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

প্রথম আধঘন্টায় বুঝতে পারলাম না ঘটনা কি; এরপর গাড়ীর সুপারভাইজার খবর নিয়ে আসলো “গোল্ডেন লাইন পরিবহণ” এর একটি বাস এর সাথে একটি মাল বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে; ঘটনাস্থলেই মারা গেছে নাকি আটজনের মতো। হায় খোদা! কি সর্বনাশের কথা। যদিও পরে জানতে পেরেছিলাম ২ জন মারা গিয়েছিল। ঘন্টাখানেক পরে বিপরীত দিক থেকে ফায়ার সার্ভিস, র‍্যাব ও পুলিশ এর গাড়ী মানিকগঞ্জের দিকে যেতে দেখলাম। প্রায় তিনঘন্টা স্থবির থাকার পর রাত তিনটা নাগাদ গাড়ী চলতে আরম্ভ করলো। এদিকে এত লম্বা সময় এপাশ থেকে গাড়ী না যাওয়া সত্ত্বেও পাটুরিয়া ফেরীঘাটে গিয়ে দেখি বিশাল লম্বা লাইন; ফেরী পারাপারের জন্য। মেজাজ গত দুই দিন ধরে এমনিতেই খুব খারাপ ছিল; এখন আর ভালো লাগছিলো না। খোদা জানে কতক্ষণে ফেরীতে উঠতে পারবো।

এসময় দেখলাম ড্রাইভার আর সুপারভাইজার নিজেদের মধ্যে কথা বলছে। আমাদের কলকাতায় নামিয়ে দিয়ে সন্ধ্যায় তাদের ট্রিপ ধরতে হবে বেনাপোল থেকে; রিজার্ভ করা আছে বোধহয়। নিজেদের মধ্যে কি সব আলোচনা করে সুপারভাইজার গাড়ী হতে নেমে গেল। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে মোবাইল ফোনে একে ওকে ফোন দিতে লাগলো একটা ইমার্জেন্সি পাস বের করার জন্য। এসময় তার ত্রানকর্তা হিসেবেই যেন বাসেরই এক যাত্রী এগিয়ে এলো। সরকারী উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা; উনারও দ্রুত বেনাপোল পৌঁছানো দরকার। এই শেষ রাতে বিআইডব্লিউটিএ’র কোন এক উচ্চপদস্থ কাউকে ফোন করে ঘটনা জানালেন। কিছুক্ষণ পর ভদ্রলোকের ফোন বেজে উঠলো; উনি কথা বলে সুপারভাইজারকে দিলেন। সুপারভাইজার বোধহয় কোন ইন্সট্রাকশন নিয়ে কথা শেষ করে বাস হতে নেমে মিনিট পাঁচেক পরে গাড়ীতে এসে ড্রাইভারকে গাড়ী ঘুরিয়ে অন্য কোন ঘাটে নিতে বলল। এই সকল ঘটনা আধঘন্টায় ঘটে আমাদের বাস উঠে পড়লো ফেরীতে। ফেরি যখন অপর পারে ভিড়ছে, ততক্ষণে পূব আকাশে সুর্য'র আভা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরী পারাপারের পর রাস্তা ফাঁকাই ছিলো; গাড়ীদ্রুত চলতে লাগলে একটু ঘুমিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলাম। কারণ, এই যাত্রা শেষ হতে হতে আগামীকাল বিকেল হবে। প্রায় পঁয়তাল্লিশ ঘন্টার যাত্রা; তাই একপ্রকার জোর করেই ঘুমানোর চেষ্টা করতে লাগলাম। এক ফাঁকে ঘুমিয়েও গেলাম। বেলা নয়টা নাগাদ আমাদের বাস এসে পৌঁছলো বেনাপোল। কাউন্টারের পাশেই কোনমত ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলাম লোকাল একটা খাবার হোটেলে। আগের যাত্রা অভিজ্ঞতা থেকে নেয়া শিক্ষায় ঢাকা থেকে ট্রাভেল ট্যাক্স দিয়ে আসি নাই; কারণ, দেখা যায় আমরা ট্রাভেল ট্যাক্স এর ঝামেলা ঢাকা থেকে সেরে আসলেও লাভ হয় না; কারণ সকল যাত্রী তো আর ঢাকা থেকে সেই কম্ম সেরে আসে না।

আমরা নাস্তা করে বাস কাউন্টারের লোক দিয়ে দ্রুত ট্রাভেল ট্যাক্স এবং বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন সিল কমপ্লিট করে সীমান্ত গেটে গিয়ে দেখি নো-ম্যান্স ল্যান্ডে হাজার দুয়েক লোকের দীর্ঘ লাইন! সেই লাইন অনেকক্ষণ পরপর এক পা দু পা করে আগায়। অতটুকু জায়গায় কয়েক হাজার মানুষের লাইন করতে সাপের ন্যায় আঁকাবাঁকা করে লাইন তৈরী করতে হয়েছে। তার উপর কড়া রোদ এর তাপে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মুশকিল। মনে হচ্ছিলো চিৎকার করে কান্না করতে, কেন যে এলাম বাই রোডে! সেবারের শিক্ষা নিয়ে আমি এরপরের যাত্রাগুলো চেষ্টা করেছি ঢাকা-কলকাতা বিমান পথে যাত্রা করতে। বৃদ্ধ-শিশু-রোগী-মহিলা এদের যে কি হাল হয়েছিল তা না দেখলে বুঝানো যাবে না। প্রায় তিনঘন্টা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে যখন ভারতীয় ইমিগ্রেশন শেষ করলাম, তখন দুপুর দেড়টা। । ওপাশে গিয়ে দুপুরের খাবার এর চিন্তা বাদ দিয়ে বাসের কাউন্টারে গেলাম কিভাবে দ্রুত কলকাতা পৌঁছানো যায় সেই খবর নিতে।

সেবার আমাদের ট্রেন ছিল রাত দশটার দার্জিলিং মেইল; তাই রক্ষে। আমার পরিচিত বেশ কয়েকটা গ্রুপ সেবার কলকাতা হতে দিল্লীগামী রাজধানী এক্সপ্রেস মিস করে বহু টাকা পয়সা গচ্চা দিয়েছিল; পুরো ট্যুর ক্যান্সেল করতে হয়েছিলো অথবা ট্যুর প্ল্যান চেঞ্জ করে নির্ধারিত গন্তব্যস্থল বাদ দিয়ে অন্যত্র ভ্রমণ করে দেশে ফিরতে হয়েছিল। আমরা কলকাতা পৌঁছতে পৌঁছতে প্রায় সন্ধ্যে হয়ে এল। যেহেতু আমাদের ট্রেন ছাড়বে শিয়ালদহ ষ্টেশন থেকে; তাই আমরা শিয়ালদহ এর কাছাকাছি বাস পৌঁছলে পরে বাস হতে নেমে গেলাম। এখানে ঘটলো আরেক বিপত্তি। সদ্য বাহির হতে আনানো আমার নতুন ব্যাগপ্যাক বাসের হেল্পার রেখেছিলো সবার নীচে, তার উপর কয়েকটা ব্যাগ রাখাছিল। সেই অবস্থায় সেই আমার ব্যাগের পিঠে নেয়ার স্ট্রাইপ ধরে হ্যাঁচকা টান দিয়ে ব্যাগ বাহির করতে গিয়ে সেটা ছিড়ে ফেললো। কি এক প্যারা নিয়ে সেই ব্যাগ আমাকে পরবর্তী সাতদিন ক্যারি করতে হয়েছিলো সেই গল্প আর নাই বা শোনাই। তবে এতো সব প্যারা থাকা সত্ত্বেও আজ যখন সেই কথাগুলো মেমরীতে রিকল করে এই লেখা লিখছি; মিস করছি সেইসব ভ্রমণ এর দিনগুলোকে।

শিয়ালদহ পৌঁছে খুঁজে বের করলাম ক্লকরুম; সেখানে ব্যাগপত্তর লকারে রেখে সবাই মিলে চলে এলাম প্রিন্সেপঘাট; কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দূর্গের পাশে হুগলি নদীর তীরের এই ঘাটটিতে সান্ধ্যকালীন সময়টুকু কাটাতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। এখানে অনেকটা সময় কাটিয়ে চলে এলাম মারকুইস স্ট্রীট এ, উদ্দেশ্য ‘কস্তুরী’ রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খাওয়া। যদিও এখন আর ‘কস্তুরী’র খাবারের সেই মান ও স্বাদ নেই; তবে তখনও ছিলো। রাতের খাবার খেয়ে নয়টার দিকে আমরা কলকাতা নিউমার্কেট হতে রওনা দিলাম শিয়ালদহ এর উদ্দেশ্যে। নির্ধারিতে সময়ে সেখানে পৌঁছে আমাদের “দার্জিলিং এক্সপ্রেস” খুঁজে পেতে তেমন বেগ পেতে হলো না। সবাই ট্রেনে উঠলে পরে আমি কিছু স্ন্যাক্স আর সফট ড্রিংস কিনে নিলাম ষ্টেশন এর লাগোয়া দোকানগুলো থেকে। এরপর নির্ধারিত সময়েই রাত দশটায় ছেড়ে গেল আমাদের “দার্জিলিং মেইল”।

ভ্রমণকালঃ জুলাই ২০১৬

এই ভ্রমণ সিরিজের আগের পর্বগুলোঃ
উদ্ভট যাত্রার আগের গল্প (দার্জিলিং এ বর্ষাযাপন - পর্ব ০১)

এক পোস্টে ভারত ভ্রমণের সকল পোস্টঃ বোকা মানুষের ভারত ভ্রমণ এর গল্পকথা

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নোম্যান্সল্যান্ডে বিড়ম্বনা এবং শিয়ালদাতে ব্যাগ ধরে হেচকা টান দিয়ে ফিতে কেটে যাওয়ার ঘটনাদুটো বাদ দিলে মোটের উপর যাত্রা সুখকর বলা যায়।রাত দশটার সময় ট্রেন তার আগে সন্ধ্যায় প্রিন্সেপ ঘাট ও রাত নটায় মারকুইস স্ট্রিট ঘুরে বেড়ানো বা খাওয়া তারপর দশটায় শিয়ালদায় এসে দার্জিলিং মেল ধারাটা রীতিমতো দুঃসাহসী বলেই মনে হলো। আমরা হাওড়া থেকে ৩০ কিমি দূরে থেকেও জ্যামের কারণে সচরাচর চার ঘন্টা আগে বের হই। আপনাদেরকে এই কারণে একদিন হাতে সময় রেখে কলকাতায় কাটানো দরকার ছিল।এতে একদিন ট্যুর বাড়লেও শারীরিক ভাবে বিশ্রামের অভাব মিটতো।

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হয়তো রাত ছিলো বলেই রাস্তায় জ্যাম ছিলো না। আর খাওয়া দাওয়া শেষ করেছিলাম রাত সাড়ে আটটার পরপর। নয়টার মধ্যে রওনা দিয়েছিলাম শিয়ালদাহ, পৌঁছে গিয়েছিলাম হয়ত নয়টা চল্লিশ নাগাদ। আসলে রাতের ট্রেন ছিলো বলেই একরাত কলকাতায় থাকা হয় নাই। এরপরের ট্রিপগুলোতে আমি শিডিউল ম্যাচ না করলে একরাত থেকেই পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছি। সেসব গল্পও সামনে হবে আশা করি। আর সাধারণত ঈদ ছাড়া অফিস থেকে সবাই লম্বা ছুটি ম্যানেজ করতে পারে না, সেই ছুটির পরিপূর্ণ ব্যবহার করতে গিয়েই কলকাতায় অতিরিক্ত এক রাত থাকার বিলাসিতা করার সুযোগ হয় না সবার।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন। :)

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ‌এবার আসবে গল্পের মূল পর্ব, অপেক্ষায় রইলাম।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:২১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ দস্যু ভাই, সাথেই থাকুন। :)

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:১২

সোহানী বলেছেন: আমি এ নিয়ে প্রায় বার তিনেক ভারত ভ্রমণের ভিসা নিয়েছিলাম কিন্তু কোনবারেই সফল হইনি। কোন না কোন ঝামেলা বাঁধছিল।

তবে যাবো একসময় নিশ্চয়। আমার খুব কাছের বান্ধবী আছে্ কলকাতায়। অপরজন ইউএসএ। আমরা তিনজন প্লান করছি ঘুরে বেড়ানোর। করোনার ঝামেলা গেলেই প্লান করবো।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৪১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ওয়াও! এক্কেবারে 'জিন্দেগী না মিলেগি দুবারা'র ফিমেল ভার্সন হবে ট্যুরটা। পত্রিকা মারফত জানা গেছে যে, ফারহান ও জয়া আখতার মিলে ফিমেল ভার্সন মুভি বানাচ্ছে, নাম Jee Le Zaraa।

আমারো ২০১১ সালে প্ল্যান ছিলো এরকম; দুই বন্ধু আসবে অস্ট্রেলিয়া আর ইউকে থেকে; তিনজনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বেড়াতে যাবো... কিছুই হয় নাই, শেষে অস্ট্রেলিয়া জনার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ গিয়েছিলাম তিনজনে :((

করোনা'র গল্প আর করো না... কত স্বপ্ন ছিল দেশ আর ভারতের বাইরে গিয়েও ঘোরাঘুরি করার, ২০২০ এর শুরুতে প্ল্যান ছিল। সব গেল জলে। :(

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: এ বছর যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:২৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ইচ্ছেগুলো সব পূরণ হোক ভ্রাতা।

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ভালো লাগছে ভাই। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০১

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ বীথি আপা। কেমন আছেন? ভাইয়া কেমন আছেন? আশা করি সুস্থ এবং ভালো। পরের পর্ব তো আগেই পোস্ট করা হয়েছে, এই পোস্ট ছিলো সিরিজের দ্বিতীয় পোস্ট, এরপর আরো দুটি পর্ব পোস্ট করা হয়েছেঃ
দার্জিলিং এ বর্ষাযাপন (মিরিকের জলে কায়ার ছায়া)
দার্জিলিং এ বর্ষাযাপন (দার্জিলিং মেইল এর যাত্রা শেষে মিরিকের পথে)

আশা করি আজকে সিরিজের পঞ্চম পর্ব পোস্ট করতে পারবো।

অনেক অনেক ভালো থাকুন, প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.