নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বোকা মানব, সবাই বলে আমার মাথায় কোন ঘিলু নাই। আমি কিছু বলতে নিলেই সবাই থামিয়ে দিয়ে বলে, এই গাধা চুপ কর! তাই আমি ব্লগের সাহায্যে কিছু বলতে চাই। সামু পরিবারে আমার রোল নাম্বারঃ ১৩৩৩৮১
টলটলে পুকুরের জলে স্বচ্ছ নীল আকাশের প্রতিচ্ছবি আয়নার মত দেখাচ্ছিলো উপর থেকে, ঠিক তার পেছনে সবুজ লতাগুল্মের ঝোপ এর উপরে দুচারটি গাছ দাঁড়িয়ে, তার পাদদেশ ঘেঁষে দৃষ্টি এগিয়ে দিলে হলদে সর্ষে ক্ষেতের বিস্তীর্ন জমিন যার শেষপ্রান্তের দিগন্ত রেখায় আবার সবুজ গাছের সারি। এমন প্রকৃতির রূপ দেখলে যে কেউই দৌড় দিবে সেই দিকে। তাই তো আমার ভ্রমণসাথী এক বন্ধুর ছয় বছরের ছেলেটি বাঁধনমুক্ত থাকায় এক দৌড়ে পুকুরের সিঁড়ি বেয়ে সোজা নীচে নেমে গেল একেবারে। আমাদের সমস্বর চিৎকারে বেচারা উল্টো ভয় পেয়ে গেল, সে তো পানিতে নামতো না, বরং আমাদের চিৎকারে ভয়েই পানিতে পড়ে যেতে পারতো। হ্যাঁ, কথা হচ্ছিলো সদাসদী জমিদার বাড়ীতে প্রবেশ এর মুখে থাকা একটা পুকুর এর। গত জানুয়ারী মাসের শেষ শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ভ্রমণের সময় প্রায় পাঁচ বছর পর কোন জমিদার বাড়ী ভ্রমণ করার সুযোগ পেলাম। এমনিতেও প্রায় তিন বছর ঘোরাঘুরি একেবারে বন্ধ ছিলো। বহুদিন পর জমিদার বাড়ীর খোঁজে বের হয়ে সেদিন বেশ ঘোরাঘুরি হয়েছিলো। তো আজ কথা বলছি সদাসদী জমিদার বাড়ীর, যা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভায় অবস্থিত।
প্রায় দেড়শত বছর আগে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বর্তমান গোপালদী পৌরসভা এলাকায় ৩টি জমিদার পরিবারের ইতিহাস জানা যায়, তারা ছিলো সরদার পরিবার, তেলি পরিবার এবং ভুঁইয়া পরিবার। এদেরে মধ্যে সম্পদ এবং ক্ষমতার মাপকাঠিতে এগিয়ে ছিলো সরদার পরিবার। সরদার পরিবারের তিন সন্তান শ্রী প্রসন্ন কুমার, মরিন্দ্র কুমার আর গোপাল চন্দ্র। সেই গোপালচন্দ্রের নামানুসারেই বর্তমান গোপালদী নামটি রাখা হয়। এর সাথেই এখানে রয়েছে ভুঁইয়া বাড়ি যার জমিদার ছিলেন হরিচন্দ্র ভুঁইয়া এবং কানাইচন্দ্র ভুঁইয়া নামক দুই ভাই। অপরদিকে তেলি পরিবার নিয়ে বিশদ কোন তথ্য জোগার করতে পারি নাই।
পুকুরঘাট ধরে এগিয়ে ভেতরের দিকে গিয়ে বামে তাকালেই চোখে পড়বে সরদার বাড়ী, কারুকার্যখচিত দ্বিতল জমিদার বাড়িটি ১০১ কক্ষবিশিষ্ট। বাড়ির সম্মুখপানে প্রসস্থ একটি উঠোন যার ৩ দিকে রয়েছে আরও তিনটি বাড়ি। এই বাড়ীর নির্মাণশৈলীতে মোগল আমলের ছাপ দেখতে পাওয়া যায়। অযত্ন আর অবহেলায় ভেঙে পড়েছে রন্ধনশালা। লতাগুল্ম গজিয়ে ঢেকে গেছে পূজা-অর্চনার ঘর ও শৌচাগার। এই বাড়ীর নিচতলায় চলত দাপ্তরিক কর্মকান্ড আর দ্বিতীয় তলায় ছিল শয়ন কক্ষ, জলসাঘর ও পূজা-অর্চনার ঘর। কারুকার্য খচিত দরজা-জানালাগুলো এরই মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। এরই মধ্যে খসে পড়েছে মূল স্থাপনার পলেস্তারাসহ নানা অংশ। চুরি হয়ে গেছে অনেক মূল্যবান পাথরসহ আসবাবপত্র। আর শুরুতেই তো বলেছি সেই পুকুরের গল্প, যেখানে রয়েছে দুটি শানবাঁধানো ঘাট। অনেক আগে এই দুই ঘাটের মাঝে একটি দেয়াল ছিল, যা দিয়ে দুটি ঘাটের মাঝে একটা পর্দা তৈরী করা হয়েছিলো। এই ঘাটগুলোর একটিতে পুরুষ, অন্যটিতে মেয়েরা গোসল করত। পুরো জমিদার বাড়ীর স্থাপনার সর্বত্র আর দশটা জমিদার বাড়ীর মতই অযত্ন আর ক্ষয়ে যাওয়ার ভগ্নদশা পরিলক্ষিত হয়েছে।
আমরা সময় নিয়ে জমিদার বাড়ীটির চারিধার ঘুরে ঘুরে দেখলাম, ছবি তোলা হল অনেকগুলো। এরপর এখান হতে দলের কাছ থেকে আমি বিদায় নিয়ে আলাদ হয়ে যাই। সবাই ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে চলে যাবে, আর আমি রওনা দিলাম আরও তিনটি জমিদার বাড়ীর খোঁজে। সেই গল্পগুলো এই সিরিজের পরবর্তী পর্বগুলোতে থাকবে। আর হ্যাঁ, জমিদার বাড়ি নিয়ে ধারাবাহিক লেখা শুরু করার পর এই বিষয় নিয়ে অল্পবিস্তর ঘাঁটাঘাঁটি করে দুঃখ হয়, কিভাবে অবহেলায় এসব নিদর্শন হারিয়ে যাচ্ছে। উন্নতবিশ্বে যে সকল স্থাপনা হেরিটেজ হিসেবে সংরক্ষিত হয়, আমাদের দেশে সেইসকল স্থাপনা পড়ে থাকে অবহেলায়, ক্ষয়ে যায় অস্থি-মজ্জা সকল, ঘুণে ধরে বিচূর্ণ হয় ইতিহাসের পাতা। অপূর্ব সকল স্থাপনা আর নির্মাণশৈলী নিয়ে আমাদের বাংলাদেশের আনাচে কানাচেতে পড়ে আছে অসংখ্য জমিদার বাড়ি, রাজবাড়ীসহ আরও কত স্থাপনা। আর এই সব স্থাপনার কিছু কথা এই বোকা মানুষটার ছেঁড়া খাতায় লিখে রাখার প্রয়াস হল এই “বাংলার জমিদার বাড়ী” সিরিজ।
"বাংলার জমিদার বাড়ী" সিরিজের আগের পোস্টগুলোঃ
বালিয়াটি জমিদার বাড়ি - (বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ০১)
পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি -বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ০২)
মহেড়া জমিদার বাড়ি - (বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ০৩)
লাখুটিয়া জমিদার বাড়ি - (বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ০৪)
দুবলহাটি জমিদার বাড়ি - (বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ০৫)
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর রাজবাড়ি - (বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ০৬ )
তেওতা জমিদার বাড়ী - (বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ০৭)
দালাল বাজার জমিদার বাড়ী - (বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ০৮ )
দত্তপাড়া জমিদার বাড়ীর খোঁজে - (বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ০৯ )
ভৌতিক সন্ধ্যায় কামানখোলা জমিদার বাড়ী প্রাঙ্গনে - (বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ১০ )
কালের সাক্ষী - শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ী (বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ১১)
খুঁজে পেলাম 'ইসহাক জমিদার বাড়ী' - (বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ১২)
বলিয়াদি জমিদার বাড়ী - চারশত বছরের ইতিহাস (বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ১৩)
ভুলে যাওয়ার পথে কাশিমপুর জমিদার বাড়ী - (বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ১৪)
করটিয়া জমিদার বাড়ী (টাঙ্গাইল) (বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ১৫)
কোকিলপেয়ারী জমিদার বাড়ির খোঁজে (বাংলার জমিদার বাড়ি - পর্ব ১৬)
মুরাপাড়া জমিদার বাড়ীর আঙ্গিনায় (বাংলার জমিদার বাড়ি - পর্ব ১৭)
"ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ী" যেখানে যেতে যেতে রাত হয়ে যায় (বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ১৮)
হাবড়া জমিদার বাড়ী - (বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ১৯)
ঘুঘুডাঙ্গা জমিদার বাড়ী - (বাংলার জমিদার বাড়ী - পর্ব ২০)
০১ লা মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:১৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার অবস্থা আরও করুণ, আমি এই সিরিজ শুরু করেছিলাম ২০১৩ এর দিকে, প্ল্যান ছিলো ১০০ জমিদার বাড়ী ভ্রমণ করে ছবি এবং যতটুকু সম্ভব তথ্য সহ এই সিরিজ কন্টিনিউ করার। কিন্তু, ২০১৫ থেকে ভারত ভ্রমণে বেশী সময় দেয়া হয়েছে আর ২০১৯ থেকে ভ্রমণই ছিলো একেবারে বন্ধ। ফলাফল সবেমাত্র কুড়ি! আপনার পোস্টগুলো পরবর্তী জমিদার বাড়ী যেগুলো এখনো ভ্রমণ সম্পন্ন করি নাই, সেগুলোতে ভ্রমণের সময় কাজে লাগবে।
ধন্যবাদ আপনাকে। পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবনে।
২| ০১ লা মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:১৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: একবার চোখ বন্ধ করে চিন্তা করে দেখেন, কত প্রতাপ, কত শক্তি নিয়ে চলতো এই বাড়ির মানুষেরা। তাদের ভয়ে হয়ত কেউ কথাও বলতে পারতো না। অথবা তারা ছিলো খুব দয়ালু, মানুষ তাদের দিকে তাকিয়ে থাকতো ভালো কিছুর আশায়।
যেমনই হোক না কেন, তারা কেউ আজ নেই। হয়ত খুঁজলে হাড়ও পাওয়া যাবে না।
আমাদের জীবন কত ক্ষণস্থায়ী আর কত অগুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা অন্যের ঘাড়ে পা রেখে কিভাবে উপরে ওঠা যায় তার প্রতিযোগীতায় ব্যস্ত!
০২ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১২:২৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অত্যন্ত সত্য কথা। দুদিনের মরিচীকা'র জীবন, তাই নিয়ে আমাদের এতো শত আয়োজন।
অনেক ধন্যবাদ এবং ভাললাগা চমৎকার মন্তব্যটিতে। ++++
পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৩| ০১ লা মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:২২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই জমিদার বাড়িতে যাওয়ার মুখেরই বড় রাস্তার ধারে Nur Mansion নামে আরেকটি সুন্দর বাড়ি আছে। সেটি দেখেছেন?
আমার দেখা জমিদার বাড়ি (পুরনো বাড়ি) আছে শতের উপরে, কিন্তু আলসেমীর কারণে......
০১ লা মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৩৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হ্যাঁ দেখেছি।
আমি একটা ছোটখাটো ঘুরিয়ে, তাই আমার ভ্রমণও সীমিত।
আর আমার জমিদার বাড়ী সিরিজে শুধু জমিদার বাড়ী নিয়ে লেখা থাকছে। নাটোর গণভবন, দিনাজপুর বা মুক্তাগাছা রাজবাড়ি, রবীন্দ্রনাথ এর কুঠিবাড়ী, আহসান মঞ্জিল, রুপলাল হাউজ, বিরুলিয়া, পানাম এসব এই সিরিজের অন্তর্ভুক্ত নয়। এই সিরিজ শুধুমাত্র যেগুলো জমিদারদের বাড়ী ছিলো সেগুলোই স্থান পেয়েছে, এবং ভবিষ্যতেও সেগুলোই এই সিরিজে যুক্ত হবে।
৪| ০১ লা মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৩৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী সুন্দর করে আপনার সাথে আমাদের ও নিলেন ঘুরাঘুরি তে। কতকাছে অথচ দেখা হয় না। আমাকে এইসব খুব টানে , এইসব ক্ষয়ে যাওয়া ইট পাথরে হাত রেখে আমি সেই সময় কে অনুভব করতে ভালবাসি।
ধন্যবাদ ভাই ।
০২ রা মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: এতো সুন্দর মন ভালো করা মন্তব্যের জন্য আপনাকে এত্তগুলান ভালোলাগা, ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
৫| ০১ লা মার্চ, ২০২২ রাত ৯:২৩
গরল বলেছেন: এগুলোকে ঐতিহ্য হিসেবে রক্ষা করা উচিৎ ছিল, এগুলো হতে পারত পর্যটনের বড় আকর্ষণ।
০২ রা মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৪১
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সেটাই বড় দুঃখ, আর সেই সূত্র ধরেই এই "বাংলার জমিদার বাড়ী" সিরিজের সৃষ্টি হয়েছিলো, ২০১৩ সালের দিকে...
৬| ০১ লা মার্চ, ২০২২ রাত ১১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই সিরিজটা উপভোগ্য।
জমিদার বাড়ি গুলোর ভয়ানক করুণ অবস্থা। সেই তুলনায় নব্য ধনীদের বাড়ি গুলো দূর্দান্ত।
০২ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৩০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর, পাঠ এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবনে।
৭| ০২ রা মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: গুড পোস্ট।
০৩ রা মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ০২ রা মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:০৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর ছবি ব্লগ।
০৩ রা মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:০৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা মাইদুল।
৯| ১২ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১
ভ্রমণ বাংলাদেশ বলেছেন: এই জমিদারবাড়ি গুলো সংষ্কার করা উচিৎ।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সংস্কার করলেই তো খোলনলচে পালটে ফেলা হবে। তাই সংস্কার এর চাইতে সংরক্ষণ বেশী জরুরী।
পাঠ এবং মন্তব্যে ধন্যবাদ রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:১১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার পোস্ট +
আমার দেখা জমিদার বাড়ি নিয়ে আমি একটি সমগ্র সিরিজ চালু করেছিলাম।
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০১
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০২
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৩
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৪
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৫
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৬
আরো কতো পরিকল্পনা ছিলো! আরো অনেক বাকি রয়ে গেছে। আলসেমিতে লেখা হয়ে উঠে না। আবার শুরু করতে হবে।
এটি দেখেছি আমি, কয়েক বছর আগে গিয়েছিলাম। বেশ কয়েকটি পুরনো বাড়ি আছে এখানে।