নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন কিন্তু একটাই

জীবন কিন্তু একটাই

হাতপা

কিছু বলার নাই

হাতপা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্যালেন্টাইনস'ডে: (রোমান্টিক-সাইফাই)

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫

ভ্যালেন্টাইনস'ডে



আজ থেকে অনেক বছর পরের কথা।

মুন এর মন খারাপ,১৪ ফেব্রুয়ারি সামনে।এখনো তার প্রেমিক ঠিক করা হয়নি।বাবাকে বলল,বাবা প্রেমিক চাই আমার।

'তা কেমন প্রেমিক লাগবে তোর মা?'

'হারকিউলিসের মত শক্তিশালী,কবিগুরুর মত কাব্যিক,আর ...আর,ও টম ক্রুজের মত চাহনি'



মুনের বাবা অর্ডার দিলেন লাভটুডে কোম্পানি তে ওরা ডে-র ভোর নাগাদ ডেলিভারি দিয়ে যাবে। একদিনের জন্য।চার্জ একটু বেশি,এত কম্বিনেশান একসাথে তাই।



১৪ ফেব্রুয়ারি খুব ভোরে ঘুম ভাঙল মুনের।

ঘুম থেকে উঠেই চিৎকার দিয়ে উঠল।

'আমি চিনি গো চিনি তোমারে' বলতে বলতে আগন্তুক এক হাতে কোলে নিল মুন কে। ওর চোখ দুটো খুব সুন্দর,টম ক্রুজের মত।

আবেগ উত্তেজনায় চকাশ করে একটা চুমু খেয়ে ফেলল মুন।

'স্যরি'

যে সাবস্টেন্সে ওর প্রেমিক নির্মিত হয়েছে তা কিছু কিছু পদার্থে সংবেদনশীল,যার কারণে ঐজায়গাটা ফুলে গেল।



ওর নাম ঠিক করতে হবে-কি নাম দেয়া যায়-কি নাম দেয়া যায়,হুম-সান,মানে সূর্য,আমি মুন,ও সান।

ও সান,চলো না,আমরা ডেটিঙ্এ যাই

'তথাস্ত' বলে সান রাজি হল।



রাস্তায় জ্যামের বের হয়ে আফসোস করল মুন।

'কি হইল,প্রিয়ে?'

'ধুর,এত্ত জ্যাম।আব্বুকে হারকিউলিসের জায়গায় সুপারম্যান বলতে পারতাম উড়িয়ে নিয়ে যেত'

'তাহার আর আবশ্যক কী?'বলে সান এক কাজ করলে মুনের নিতম্বে একখানা কিক মারল।হারকিউলিসের পাওয়ার বলে কথা।রুফটপ রেস্টুরেন্টের রিজার্ভ করা সীটে গিয়েই পড়ল মুন।

তার কিছুক্ষণ পরেই টম ক্রুজের মত ক্ষিপ্র গতিতে বিল্ডিং টু বিল্ডিং ডাইভ করে অকুস্থলে পৌঁছে গেল সান।



দুই মিনিট সাতচল্লিশ সেকেন্ড দেরিতে এসেছে।

'মোর অপরাধ মার্জনা কর প্রিয়ে,নিজেই নিজের নিতম্বে আঘাত করিয়া উড়িয়া আসিবার চেষ্টা করিয়াছিলাম।পারিলাম না।'

'কিচ্ছু হবে না' বলে ব্যাথায় কাতরালো মুন।

সান দেখল মুন মন খারাপ করে বসে আছে।

'গান শুনিবে?'

'না"

'কবিতা?'

'না'

'তাহলে কি নৃত্য দেখাইব?'

'বুঝো না কেন?আজকের দিনে একটা গোলাপ তুমি দিলে না'



সান খেয়াল করল সবার হাতে হাতে গোলাপ।লজ্জা পেল।

ক্ষিপ্র গতিতে সান উঠে কোথায় যেন যাচ্ছিল আবার বসে পড়ে বলল-'আমি যে কপর্দকহীন প্রিয়ে'

তারপর একটা বড়নোট ওর দিকে অবহেলায় ছুড়ে দিল মুন,কম্বিনেশান ভুল।নেক্সট ইয়ারে অনেক ভেবে চিন্তে দিতে হবে।



তারপর,ওরা সারাদিন অনেক ঘুরল।ছবিটবি তুলল।সেগুলো দেখে হাসাহাসিও করল।সান ওকে স্বরচিত গান,কবিতা শোনাল।নেচেও দেখাল।



দিনটা খারাপ কাটেনি,ফিরে যাবার পালা।



সান,বাড়ি ফেরার সময় হয়েছে।

দেখল সান কেমন যেন করছে-'আমার সময় সীমা শেষ হইয়া আসিতেছে প্রিয়ে,যাইবার আগে তোমাকে পৌঁছাইয়া দিই'-বলে সান তার শেষশক্তি দিয়েই আবার একটা লাথি কষাল।



এবার আর রক্ষা হল না মুনের।বাড়ির গেইটের সামনে এসে পৌঁছল ঠিকই।কিন্তু,অবস্থা নাজুক।

'কেমন কাটালি রে মা'

নিজের কোমরের ব্যথায় ককিয়ে উঠে জবাব দিল মুন-'অসাম বাবা'

(সমাপ্ত)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২২

আহলান বলেছেন: এমন কইস্যা লাত্থি কুলুজ আপ কাছে আসার গল্পেও মাইরেন ভাই .... পোলাপানগুলারে পাকার আগেই পচিয়ে ফেলছে এই ই্হুদিদের বাচ্চারা

২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হা হা| এটাতো শেষ করলেন| বাকিগুলো কি অসমাপ্তই থাকবে

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

হাতপা বলেছেন: বাকিগুলা কোনটা? :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.