নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন কিন্তু একটাই

জীবন কিন্তু একটাই

হাতপা

কিছু বলার নাই

হাতপা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্পঃ‬ রাগ

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

তৌহিদের স্ত্রী নায়লা ওর পাশে শুয়ে আছে।

দুইজন দুইদিকে মুখ দিয়ে।তৌহিদ এর রাগ বেশি না।নায়লার বেশি।সকাল হলেই তৌহিদের রাগ পড়ে যাবে,কিন্তু নায়লা মুখ শক্ত করেই তৌহিদ কে নাস্তা দেবে,এটা ওটা এগিয়ে দেবে।বিদায় দেয়ার সময় বিদায়ও দেবে কিন্তু সবই উপর উপর; মন থেকে নয়।

এই ব্যাপারগুলো সয়ে গেছে তৌহিদের। সয়ে গেছেই বলে এখন আর আগের মত খারাপ লাগে না।ও এখন এরকম হলে একজনের কথা ভাবে।একটি মুখের কথা ভাবে। সেই মুখ অনেকদিন আগের হলেও তার কাছে নিত্য নতুন। যেন এইমাত্র দেখেছে সে মুখটি।মুখটি সুপর্ণার।

নায়লা ঘুমায় নি।টের পাচ্ছে তৌহিদ।নায়লার ভেতরের রাগ গুলো যেন বাস্পীভূত হয়ে উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে তৌহিদের চারপাশে।আচ্ছা,এই রাগ,দুঃখ,অভিমানের কি কোন ফিজিক্যাল এক্সিস্ট্যান্স আছে?এগুলো কি কেবল মনের ব্যাপার? না হলে,নায়লা যে মনে মনে এখন তৌহিদকে কে শাপ-শাপান্ত করছে সেটা তৌহিদ কিভাবে টের পাচ্ছে?একটা জোরালো শ্বাস পড়ল নায়লার।

সুপর্ণার পুরো নাম অনেক পরে জেনেছিল তৌহিদ।আগে শুধু জানত সুপর্ণা।

তৌহিদ যেদিন দেখল একটা মেয়ে,ওদের ক্লাসেরই ;তাকিয়ে আছে ওদের দিকে।ওদের দিকে মানে তৌহিদ আর তার বন্ধুদের দিকে।তৌহিদ ভেবেছিল মেয়েটি নিশ্চয়ই কামালের দিকে তাকিয়ে আছে,কারণ কামাল দেখতে শুনতে ওদের মধ্যে ভাল।

আরেকদিন তৌহিদ ক্লাস শেষে বের হয়ে চলে যাচ্ছিল।মেয়েটি ওর বান্ধবীদের সাথে দাঁড়িয়ে ,কিন্তু ওর দৃষ্টি তৌহিদের দিকে।তৌহিদ এদিক সেদিক দেখল,ওর বন্ধুরা আগেই বের হয়ে গেছে।

কে এই মেয়ে?অমন করে কি দেখে?কী আছে তাকে দেখবার মত।খুব খারাপ দেখতে না হলেও এভাবে চেয়ে চেয়ে দেখার মত না মোটেই।

তৌহিদের মনে আছে,সেদিন ফিজিক্স প্রাক্টিক্যাল ক্লাসে সরল দোলকের প্র্যাকটিস করছিল,সামনে ফাইনাল এক্সাম।কমন প্রাক্টিক্যাল গুলো জয়নাল স্যার সবাইকে আরেকবার দেখিয়ে দিচ্ছে।হঠাৎ খেয়াল হল,দুটো চোখ তাকে দেখছে।এতদিনে তৌহিদ জানে,মেয়েটি ওকেই দেখে।
তৌহিদ নিজের হালকা দাঁড়িতে হাত বোলায়।মেয়েটি চোখ নামায় না।খুব ভাল লাগে ওর।

তৌহিদ জানতে পেরেছিল আগেই,মেয়েটি অন্য ধর্মের।জেনেশুনেই সতর্ক হয়ে গিয়েছিল।এতটা প্রথাবিরোধী হবার মত ইচ্ছে বা সাহস ওর ছিল না।তাই আগ বাড়িয়ে ও আর কিছু করেনি।উপভোগ করে গেছে সুপর্ণার ঐ চৌকোণো মুখের মাঝে বড় বড় চোখের পাপড়ি মেলে তাকানো দৃষ্টি।সেই দৃষ্টি আজো ওর কাছে অনেক মধুর।

‘লাইট টা নিভিয়ে দাও’

তৌহিদ বাস্তবে ফিরে আসল।

গলা শুনেই বোঝা যায় নায়লা রাগ করে আছে।তৌহিদের রাগ কবেই পড়ে গেছে।
(সমাপ্ত)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুন্দর অনুগল্প

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.