![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বন্ধু তোমাকে – -হিদায়াতুল্লাহ বিপদের সময় বন্ধুকে তুমি- কর পরীক্ষা ! সুখের সময় দরদী সাজিলে- পাবেনা সমীক্ষা । জনৈক যদি গায়ে পড়ে- করে উপকার , অপার মহিমায় হয়ে যায়- বন্ধুত্তের কারবার । প্রতারণা কর যদি তুমি- কর আমার সাথে, বিনিময় অশ্রুআঁখি ও বন্ধুত্ত- পাবে আমার কাছে । সুখের পায়রা হয়না বন্ধু- শত্রু সে যে ভাই, মানিক জোড়ের মর্মার্থ বন্ধু- তুমি বুঝ নাই । কবিতা মাধ্যম তাইতো আমি- তোমাকে বলিতে চাই; যোগ্য মনে করিলে আমাকে- রাখিও কথাটি ভাই, কোমল হৃদয়ে দিওনা আঘাত- করিওনা শঠতা । হৃদয়ের ভাষা হৃদয়াঙ্গম কর, পাবে মমতা ।
মনে পড়ে না, এই বিভাগে এই বিষয়ে ইতিপূর্বে লেখা হয়েছিল কি না। হিসনে হাসীনের বিষয়বস্তু হচ্ছে ওই দুআগুলো হাওয়ালাসহ একত্র করা, যা কুরআন-সুন্নাহ্য় উল্লেখিত হয়েছে। প্রথম চার অধ্যায়ে বিভিন্ন সময় ও পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন আমল ও ইবাদতের দুআ সন্নিবেশিত হয়েছে। পঞ্চম অধ্যায়ে সাধারণ দুআসমূহ রয়েছে, যা বিশেষ কোনো সময় বা পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত নয়। এই অধ্যায়ের দুআগুলো অযীফা আকারে পড়া যায়। তবে প্রথম চার অধ্যায়ের দুআ সেসব সময় ও পরিস্থিতিতেই পড়া উচিৎ যে সময় বা পরিসি'তিতে তা পড়ার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ সময়ের দুআগুলো দিন রাতের সব সময় অযীফা আকারে পাঠ করা যুক্তিযুক্ত নয়। যেমন ধরুন, কেউ যদি সকাল বেলা পাঠ করেন, (আরবী) (এই সন্ধ্যায় আমরা ও গোটা বিশ্ব জগত আল্লাহর, প্রশংসা আল্লাহর ...)। তদ্রূপ কেউ যদি সন্ধ্যায় পাঠ করেন, (আরবী) (এই ভোরে আমরা ও গোটা বিশ্বজগত আল্লাহর, সকল প্রশংসা আল্লাহর ...)। তাহলে বিষয়টি কেমন হবে? তদ্রূপ সর্বদা অযীফা আকারে কি এই দুআ পাঠ করা যাবে- আরবী ===== (সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদেরকে আহার দিলেন, পানীয় দিলেন এবং যিনি আমাদেরকে মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।) তদ্রূপ আরবী ========== অথচ এখন তার নিদ্রার সময় নয়। কিংবা আরবী ====== অথচ এখন সে ইস্তিঞ্জা থেকে আসেনি। মোটকথা, ‘হিসনে হাসীন’ কিতাবকে বিভিন্ন মঞ্জিলে ভাগ করে অযীফার কিতাব বানানো যুক্তিযুক্ত নয়। ‘মুনাজাতে মাকবূল’ কিতাবের অধিকাংশ দুআ হচ্ছে ব্যাপক অর্থবোধক দুআ, যা বিশেষ সময় বা পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত নয়। এই দুআগুলো মিনতি ও মনোযোগের সঙ্গে যেকোনো সময় পাঠ করা যায়। সহজতার উদ্দেশ্যে ‘আলহিযবুল আ’যম’-এর মতো এই দুআগুলিকেও সাত মঞ্জিলে ভাগ করা হয়েছে। যেন প্রতিদিন এক মনযিল করে পাঠ করা যায় এবং কিতাব ও সুন্নাহ্য় শেখানো অধিকাংশ জামে দুআ প্রার্থনায় এসে যায়। সাত মনযিলে বিভক্ত করার বিষয়টি মাসআলাগতভাবে মোটেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি পাঠ সহজ হওয়ার জন্য একটি বিন্যাসমাত্র। যে মনযিলে যে বারের নাম দেওয়া আছে সেদিনই তা পড়তে হবে তা-ও অপরিহার্য নয়। তদ্রূপ এটাও জরুরি নয় যে, একদিনে এক মনযিল পরিমাণই পড়তে হবে। সাত মনযিলে ভাগ করা এবং সপ্তাহের এক এক দিন এক এক মনযিল পাঠ করার কথা উল্লেখিত হওয়া এজন্য নয় যে, হাদীস শরীফে এই দুআগুলি এভাবে পাঠ করতে বলা হয়েছে। অতএব এই ধারণা করা যে, এই নিয়মের ব্যতিক্রম করার দ্বারা শরীয়তের কোনো হুকুম লঙ্ঘন হবে বা এই দুআগুলির বরকত ও ফযীলত হৃাস পাবে, ঠিক নয়। তবে একে নিছক একটি বিন্যাস মনে করে নিজের সুবিধার জন্য তা অনুসরণ করলে দোষের কিছু নেই। এই বিষয়টি পরিষ্কার করে দেওয়ার প্রয়োজন এজন্য হয়েছে যে, কারো কারো প্রশ্ন থেকে অনুমিত হয়, তারা এই বিন্যাসের অনুসরণকেও সম্ভবত একটি শরয়ী হুকুম মনে করেন এবং মাসআলার দিক থেকেও এর অন্যথা অনুচিত বলে মনে করেন। অথচ প্রকৃত বিষয় তা-ই যা উপরে লেখা হয়েছে।
আপনাদের সুবিধারথে মুনাজাতে মকবুলের পিডিএফ ফাইলের লিঙ্ক দেওয়া হলো।
শনি বারঃ- Click This Link
রবী বারঃ- Click This Link
সোম বারঃ- Click This Link
মঙ্গল বারঃ- Click This Link
বুধ বারঃ- Click This Link
ব্রিহস্পতি বারঃ- Click This Link
শুক্র বারঃ- Click This Link
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
হিদায়াতুল্লাহ্ বলেছেন: যার যেখানে বুঝতে সমস্যা হবে; তার সেখানে প্রশ্ন করে জেনে নেওয়ার অধিকার তো ছে ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখা ভালো লাগে নাই। আপনার লেখা পড়ে মনে হলো, এই বিষয়টা আপনি এমন ভাবে লিখেছেন, যেন বিষয়টি সম্পর্কে সবাই জানে বা এখানে সবাই মাদ্রাসার ছাত্র!
হিসনে হাসীন ও মুনাজাতে মকবুলের এর কথা সাধারন মুসলিম হিসেবে শতকরা কত পারসেন্ট মানুষ বুঝবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
তাছাড়া ধর্ম বিষয়ে অ্যাডভান্স লেভেলের কোন লেখা লিখতে হইলে তা যেন সাধারন মানুষের বুঝার ক্ষমতার মধ্যে আসে সেই ভাবেই লিখতে হবে। অন্যথায় এই সব পোষ্ট দেয়া অর্থহীন ও সময়ের অপচয়।