নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু ইউসুফ হেজাযি

আবু ইউসুফ হেজাযি › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি বিশেষ কসাইখানা

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩২


এক সময় আমরা কসাইখানা বলতে বুঝতাম মানুষের জন্য প্রাণী জবাই করার জায়গা। বর্তমানে বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার যুগে বহু রকমের কসাইখানার উদ্ববভ হয়েছে। সব গুলোর কথা এই মুহুর্থে বলতে পারব না। তবে আজকে একটি বিশেষ কসাইখানার কথা বলতে পারি। তার নাম সিজার করে ডেলিভারী। ডাক্তার সাহেব বা সাহেবা পরম মমতায় একজন নারীকে তার পেট খেটে বাচ্ছা বের করে নিয়ে এসে রোগী আর রোগীর আপনজনদের কোলে তুলে দেয়। আর ভাব দেখায় এমন যে আমি তোমাদের জন্য মহানুভবতার বিশাল কাজ করে দিয়েছি। কিন্ত আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি শতকরা নব্বই ভাগ সিজার করা হয় স্রেফ টাকা কামাইয়ের উদ্দেশ্যে। নারীর পেট কাট আর নিজের পকেট ভর। গত ৭ই ফেব্রুয়ারী আমার এক ভাতিজির সন্তান ডেলিভারী হয়। তার গর্ভের তিনটি কন্ডিশন ছিল যা সন্তান ডেলিভারীর সময় পেট কাটা নিশ্চিত ছিল। যা এখানে বর্ণনা করা অপ্রয়োজন করছি। তবে কোন পরিস্থিতিতে তার স্বাভাবিক ডেলিভারী হয় সেটাই বলব। তার ডেলিভারীর যে আনুমানিক ডেট ঘোষনা করা হয়েছিল তার পূর্বেই তার পিতা তাকে এটা বুঝাতে সক্ষম হয় যে কষ্ট হলেও স্বাভাবিক ডেলিভারী নারীর জন্য উত্তম। তাই তিনটি কন্ডিশন ভাল না থাকা সত্বেও আমার ভাতিজি কষ্ট চেপে রেখে ধৈর্য্য ধরার চেষ্টা করে। নিদৃষ্ট তারিখের পরে যখন ক্লিনিকে ভর্তি হয় তখন তার ভাগ্য এতই ভাল যে তার ডাক্তার সেই সময় ঢাকায় অবস্থান করছিল। এদিকে প্রসব বেদনা শুরু হওয়ার জন্য নাকি সেলাইন দিতে হয় যা তার ডাক্তার ডিউটি ডাক্তারকে এডভাইস করেনি তা দেওয়ার জন্য। এই অবস্থায় মেয়ের যন্ত্রনা দেখে অপারেশন থিয়েটারের অন্য ডাক্তারকে তার বাবা বিশেষ অনুরোধ করে একটু দেখার জন্য। তখন রাত ১টা । এখানে নাকি নিয়ম এক ডাক্তারের রুগি অন্য ডাক্তার দেখতে পারে না। এই অবস্থায় উনি ঢাকায় তার সহকর্মী ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে অনুমতি নেন। অনুমতি নিয়ে তিনি রোগী দেখেন এবং ডিউটি ডাক্তারকে এডভাইস করেন সেলাইন দেওয়ার জন্য। সেলাইন দেওয়ার পর আস্তে আস্তে প্রচন্ড কষ্ট হলেও পরিনতির দিকে এগুতে থাকে। সকাল ছয়টার কিছু পরে অবস্থা বেশী খারাফ হলে তার মা একজন নার্সকে ডেকে এনে মেয়েকে দেখায়। সে সাথে সাথে বলে যে ওর তো ডেলিভারী হয়ে যাচ্ছে। ও কি একটা পজিশনে নিয়ে গেল কয়েক মিনিটের ভিতর সুস্থ সন্তান প্রবব করল। সবাই আনন্দে আত্মহারা। ও দিকে ডিউটি ডাক্তার ঘুম থেকে উঠে মুল ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে। ডাক্তার ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে এসে পৌছেচেন এবং বাসায় ফ্রেস হতে গিয়ে বড় অংকের টাকা থেকে বঞ্চিত হয়ে গেলেন। তুবুও শর্ত দিল আমি এসে সিলাই করব। কি একটা নাকি সেলাই করতে হয়। নার্সরা বলল আমরা করে ফেলতে পারব কিন্ত ডাক্তার আপা যেহেতু নিষেধ করেছেন সেহেতু আমরা কিছু করতে পারব না। দির্ঘ দেড় ঘন্টা পর উনি আসলেন সেলাই করলেন। সাত হাজার টাকা দিতে বললেন, দিয়ে দিলাম। অতএব এদেশ কাংখিত কল্যান রাষ্ট্র হতে আদৌ হতে পারবে না কারন যতদিন এদেশের জনগন নারীর হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে রাখবে ততদিন রাষ্ট্রের গুনগত কোন পরিবর্তন আসবে না। সাধারণ মানুষকে শোষন করার যত পথ আর পদ্ধতি আছে সব গুলোর মুখ বড় থেকে বড় হতে থাকবে। যা রসুল {সা} এর বদ দোয়ার পরিনতি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: ভাল বলেছেন।
++

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৪

সুমন কর বলেছেন: দুঃখজনক ঘটনা। যদিও এগুলো প্রতিনিয়তই হচ্ছে !!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.