![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুব ভালো ব্যাকরণ আমি জানি না। তবুও বেশ কিছুদিন আগে বাংলা চর্চা করার প্রবল ইচ্ছে সহ একটা ছোট্ট বিষয় জানার আশায় ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে জানতে পারি, যদিও জানায় কিছু ভুলছিল। পরে এর সঠিক ব্যখ্যা পেলাম কবির আহমেদ (৪৫) ভাইয়ার কাছে। সেই একই বিষয় নিয়ে আজ আবার প্রশ্নের সম্মুখিন হলাম।
বিষয় হচ্ছে “বাংলাদেশের নদ নদী”
নদ’ আর ‘নদী’ পার্থক্য কী? এর জবাবে অনেকেই ভুল উত্তর দেয়। যার উত্তর অনেকটা এই রকম যে, নদ আর নদীর মধ্যে পার্থক্য হল- “নদীর শাখা আছে, নদের শাখা থাকে না” কিন্তু এর ব্যাকরণগত ভিত্তি কেউই জানে না, জার চেষ্টাও করে না। সবাই ধরে নেয় ওটাই ঠিক।
যদি তাই হবে তাহলে ব্রহ্মপুত্রের কী শাখা নেই? শীতলক্ষ্যা, যমুনা এইগুলো তাহলে কোন নদীর শাখা? শীতলক্ষ্যা, যমুনা যদি ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী হয় তাহলে সংজ্ঞানুসারে ‘ব্রহ্মপুত্র’ তো নদী হবার কথা, একে আমরা নদ কেন বলি? আসলে নদ ও নদীর সাথে শাখা থাকা না থাকার কোন সম্পর্ক নেই। এর মাঝে যা পার্থক্য আছে তা হল ব্যাকরণগত।
বিভিন্ন ভাষার ক্ষেত্রে, পুরুষবাচক শব্দ সাধারণত অ-কারান্ত এবং নারীবাচক শব্দ আ-কারান্ত বা ই,ঈ-কারান্ত হয়। যেমনঃ
রহিম (অ-কারান্ত) -রহিমা (আ-কারান্ত, নামের শেষে আ আছে ) , রজক (অ-কারান্ত) – রজকী ( ঈ-কারান্ত, নামের শেষে ঈ আছে )
তেমনিভাবেঃ ফুল-ফুলি, কুমার-কুমারী, নদ-নদী ইত্যাদি।
তাই যে সকল ‘নদীর’ নাম পুরুষবাচক অর্থাৎ অ-কারান্ত সেগুলো নদ আর যে সকল ‘নদীর’ নাম নারী বাচক অর্থাৎ আ-কারান্ত বা ঈ,ই-কারান্ত সেগুলো নদী।
©somewhere in net ltd.