নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বিপ্লবী ধারায় লিখতে পছন্দ করি।

গিলগামেশের দরবার

সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র গবেষক (দক্ষিণ চীন সাগর)

গিলগামেশের দরবার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাভানা কনসপিরেসি

২৩ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৪

২৩ঃ৫১ ঘন্টা, মেরিন রিসার্চ ফ্যাসিলিটি, কায়ো ক্রজ ডেল পাড্রে, কিউবা

ডঃ রদ্রিগেজ গত দুই দিন ধরে খাওয়া, ঘুম, গোসল এবং বাড়ি যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ডঃ রদ্রিগেজ এই রিসার্চ ফ্যাসিলিটির পোস্ট ডক রিসার্চার। অ্যালজির (শৈবাল) এক বিশাল সংগ্রহশালা তাকে বিশ্বজুড়ে খ্যাতি এনে দিয়েছে। পৃথিবীর সকল মেরিন রিসার্চ ল্যাব গুলা তার সাথে যৌথভাবে কাজ করার জন্য পাগল হয়ে থাকে। বলা মাত্র উইপোকার মত করে আগুনে ঝাপিয়ে মরে যাওয়ার সিচুয়েশন। এটা তার কাভার স্টোরি। আসলে বিহাইন্ড দ্যা স্টেজ, সে হলো কিউবার বায়োলজিক্যাল উইপন রিসার্চ সেন্টারের ডিরেক্টর।

রদ্রিগেজঃ বুঝলে লরি, আগামী দিনের যুদ্ধে আর গুলি ছোড়া লাগবে না। আমি পুরো পৃথিবীর যুদ্ধের চেহারাই পালটে দেবো। বায়োলজিক্যাল উইপন ডিটেক্ট করার জন্য এখন আধুনিক টেকনোলজি সব গর্ভমেন্টের কাছেই আছে। ধরো "অ্যান্থ্রাক্স"। আমেরিকার কাছে এটার রেমেডিও আছে। কিন্তু আমার উইপন ট্রেস করতে করতে গোটা মানব জাতির অস্থিত্ব বিলিন হয়ে যাবে। হা হা হা ।
লরিতাঃ কিভাবে ডঃ রদ্রি?
রদ্রিগেজঃ ঐ যে দেখতেছো, নীল কাচের অ্যাকুরিয়াম। ওখানেই বড় হচ্ছে আমার স্বপ্ন। আমার বাচ্চা, টক্সিক অ্যালজি (শৈবাল)। আমার সারাজীবনের রিসার্চের ফসল। পৃথিবী আমার উপর সারা জীবন ঋনী হয়ে থাকবে।
লরিতাঃ সত্যি ডঃ? তাইলে আমাদের ল্যাব আরো বেশি ফান্ড পাবে।
রদ্রিগেজঃ ইয়েস সুইট হার্ট। (হ্যা ময়না) (মনে মনেঃ গাধা মেয়ে)।

কিউবান রেভুল্যুশুনারি আর্মড ফোর্সেস হেডকোয়ার্টার, হাভানা, কিউবা

প্রেসিডেন্টঃ আমেরিকাকে একটা শিক্ষা দেয়া দরকার। প্রফেসর চাণক্যকে চেনো, রুড? ইন্ডিয়ান প্রফেসর। তাক্ষিলা ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ছিলেন। অনেক বছর আগেকার কথা। তিনি বলতেন, "শত্রু এবং রোগ একেবারে নিশ্চিহ্ন করতে হয়।"
রুড (ফার্স্ট সেক্রেটারি)ঃ ইয়েস মিঃ প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্টঃ আমেরিকাকে এবার ভুগতে হবেই। আমার এক পুরানো বন্ধু আসতেছে। সে আসলে, বসতে বলবে না। সরাসরি আমার রুমে পাঠাবা।
রুড (ফার্স্ট সেক্রেটারি)ঃ ইয়েস মিঃ প্রেসিডেন্ট।

০৮ঃ১০ ঘন্টা, কিউবান প্রেসিডেন্টের অফিস, হাভানা, কিউবা

প্রেসিডেন্টঃ কেমন আছো ওল্ড ফ্রেন্ড?
ডঃ রদ্রিঃ আছি কোন মতে। তোমাকে একটা বিষয় জানাতে আসলাম প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্টঃ নির্দিধায় বলো।
ডঃ রদ্রিঃ আমার ল্যাবে যে বায়োলজিক্যাল উইপন ডেভেলপড করেছি সেটা শুধু আমেরিকাকে শেষ করবে না।
প্রেসিডেন্টঃ তাইলে, আমাদের অন্যান্য শত্রু সবাই তোমার এক অস্ত্রেই ঘায়েল হবে?
ডঃ রদ্রিঃ না প্রেসিডেন্ট। আমি সবার কথা বলতেছি। এটা মুটামুটি ৩০ দিনের ভিতর পৃথিবীর সকল ইকোসিস্টেমকে (বাস্তুতন্ত্র) অ্যাফেক্ট করবে। কিউবা যদি এই অস্ত্র আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করে তবে পৃথিবীর আয়ু আছে আর ৩০ দিন। সমুদ্রের সকল প্লাংকটন মারা গেলে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে। পৃথিবীর বুকে এত খাদ্যশষ্য নাই যে এই দুর্ভিক্ষকে ৩০ দিনের বেশি ট্যাকল করতে পারবে।
প্রেসিডেন্টঃ সো হোয়াট (তো) ?? সমাজতন্ত্রের চিরশত্রু আমেরিকাকে ধবংস করতে গিয়ে যদি পৃথিবী ধবংস করা লাগে। করো। প্রসিড মাই ফ্রেন্ড।
ডঃ রদ্রিঃ কিন্তু!!!
প্রেসিডেন্টঃ কোন কিন্তু নাই বন্ধু। প্রসিড।

২০ মিনিট পর, রোসা মেরিনা হাইওয়ে
ডঃ রদ্রির গাড়ি কিউবান সিক্রেট সার্ভিসের পেতে রাখা গাড়ি বোমায় উড়ে যাবার আগে শুধু বলতে পেরেছিল, "গড সেভ দ্যা প্লানেট"।

সামহোয়্যার ইন গালফ অফ মেক্সিকো

দুই বড় পিপে ভর্তি বায়োলজিক্যাল লিকুইড নিয়ে রিসার্চ ভেসেল কুইন অফ টাইনো ডুবিয়ে দেয়ার ক্লিয়ার অর্ডার আছে প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে। ইমানুয়েল (নেভির টর্পেডো স্পেশিয়ালিস্ট) কিছুতেই বুঝতে পারতেছে না, কিউবার একমাত্র রিসার্চ ভেসেল ডুবিয়ে দিলে মেরিন রিসার্চ কেমনে হবে?

টর্পেডোর ছোড়ার ড্যাম বাটনে চাপার আগে উচ্চারন করল, "গড সেভ মাই কিউবা"।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৭:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: শুভ সকাল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.