নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার এক হাতে এক টুকরো মেঘ,অন্য হাতে এক মুঠো নীল,আর দু চোখে এক পশলা বৃষ্টি

একটি নীলখাম এবং উড়োচিঠি

অামি বিশাল আকাশের বুকে খুঁজে বেড়াই সাদা সুখ কিন্তু জড়িয়ে যাই নীলে আর মেঘ হয়ে বৃষ্টির মত ঝরে পড়ি মাটিতে.....

একটি নীলখাম এবং উড়োচিঠি › বিস্তারিত পোস্টঃ

নীল ফ্রেমের গল্প...

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৮

....."নীল ফ্রেমের গল্প".....

মেয়েটির পরনে নীল রঙের শাড়ি।চোখে নীল ফ্রেমের একটি চশমা।কিছুটা অস্তিরতায় মেয়েটি বারবার ঘড়ি দেখছে।এমন অস্তিরতা শুধু অপেক্ষায় রত মানুষের মাঝেই দেখা যায়।গোধুলির লাল রঙের আভায় রাস্তার পাশে দাঁড়ানো মেয়েটিকে নীলপরীর মতো লাগছে।
রাস্তার ঠিক বিপরীত দঁাড়ানো ম্যাজেন্টা রঙের শার্ট গায়ে ছেলেটি।হাত দুটি পিছনে বেঁধে রেখেছে। হয়তো হাতে কিছু একটা রেখেছে।
ছেলেটি মেয়েটিকে দেখেই চিনেছে। কারন মেয়েটির আজকে নীল শাড়ি পরে আসার কথা, চশমা ওকে এমনিতেই পরতে হয়। বেশ মানিয়েছে ওকে।
ও সায়ন্তি। যার সাথে এতদিন ফেসবুকে চ্যাট করেছে। ফেসবুকে ফেস না দেখেই অনেক গল্প করেছে। গল্পের গভীরতায় ডুবে জেনেছে দুজন দুজনাকে।
হ্যঁা, আজকে ওদের ফার্স্ট ডেট।
দুজনের কাছে ফোন নাম্বার থাকা সত্বেও কেউ কথা বলেনি।

মেয়েটি বেশ অসস্তিতে সময় কাটাচ্ছে।
এমন সময় ছেলেটি ফোন করল।।
-হ্যালো...আমি কি সায়ন্তির সাথে কথা বলছি?
-হ্যাঁ বলছেন। আপনি কে?
-আমি হিমেল।
-হিমেল! কোথায় তুমি?
তোমার না এখানে আসার কথা।
-আমি তো আসছি।ঠিক তোমার সামনে। ম্যাজেন্টা রঙের শার্ট গায়ে।
-তোমার না ব্লাক শার্ট পরে আসার কথা।
(ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি পড়তে লাগল। চলমান গাড়িগুলো ক্ষিপ্র গতিতে আসছে যাচ্ছে।)
-ছিল। but আমার কালো শার্ট নেই।ভেবেছিলাম একটা কিনব কিন্তু কেনা হয়নি। sorry...
-ok. তুমি ঔপাশে কেন। এখানে আসো।
-আমার তো আসতে ভয় করছে।
-কেন? আমি কি বাঘ?
-তা নয়। আসলে তোমার পাশে আমাকে মানাবে না।
-না মানাক। তুমি আসবে কিনা বল?
-বৃষ্টি পড়ছে। তুমি ভিজে যাচ্ছ। তোমার ঠান্ডা লাগবে। পাশের যাত্রী ছাউনিতে যাও।
-আমার ঠান্ডা লাগে লাগুক।
-মেয়েদের ভেজা কাপুড়ে খারাপ লাগে। please যাও।
-আমার খারাপ লাগলে তোমার কি?
তুমি না আসলে আমি এখানেই দাঁড়িয়ে থাকব।
-আচ্ছা আমি আসছি।
ফোনটা পকেটে রেখে দৌড়ে রাস্তা পার হচ্ছিল এমন সময় দ্রুত বেগে আসা একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দিল।










.........
জ্ঞান ফেরার পর ছেলেটি দেখলো সায়ন্তি তার হাতটি শক্ত করে ধরে আছে।
সায়ন্তি বলল-তুমি একটা পাগল।
এই নাও তোমার ভেজা চ্যাপ্টা গোলাপ। এটা তুমি আমাকে দেওয়ার জন্য এনেছিলে?
-হ্যাঁ।
-তাহলে দাও।
-দেব।
-কেন ভয় করছে।
-সায়ন্তি this is for u....
-তোমার হাত কাঁপছে কেন?
-জানি না তো।
-হা হা...
এমন সময় ডাক্তার এসে বলল,
কেমন আছো young man?
হিমেল বলল, জী ভালো আছি।
ডাক্তার -মাথার পিছনে সামান্য আঘাত লাগার কারনে তোমার দুরে দেখতে সমস্যা হবে। এজন্য তোমাকে চশমা নিতে হবে। বলে ডাক্তার চলে গেল।
হিমেল বলল, আমার চশমা লাগবে না।
সায়ন্তি-কেন?
-তুমি তো এখন আমার অনেক কাছে। তোমাকে দুর থেকে দেখতে হচ্ছে না।
-আমি বলছি তুমি চশমা নিবে।
-আচ্ছা ঠিক আছে তোমার মতো নীল ফ্রেমের একটা চশমা নিব।
তারপর দুজনে চশমা পরে একটা ছবি তুলে বড় করে নীল ফ্রেমে বেঁধে আমাদের ঘরে টাঙিয়ে রাখব।
মেয়েটির চোখ বেয়ে জল পড়তে লাগল।
মেয়েরা দুঃখ আর অনেক ভালবাসা পেলেই কঁাদে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৪

***মহারাজ*** বলেছেন: ওহ আমি ছেলে তবু আমার চোখেও জল পড়ছে |-)
গল্প ভালো হয়েছে ভাই ।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

মোঃ হৃদয় শেখ বলেছেন: মেয়েরা দুঃখ আর অনেক ভালবাসা পেলেই কাঁদে ।


সুন্দর কথা বলেছেন

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৪

একটি নীলখাম এবং উড়োচিঠি বলেছেন: ধন্যবাদ@মহারাজ।

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

একটি নীলখাম এবং উড়োচিঠি বলেছেন: ধন্যবাদ@হ্ৃদয়।

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

খোলা মনের কথা বলেছেন: চোখে জল ধরে রাখতে পারলাম না আর |-) |-) |-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.