নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টুকরো কথা

হিসলা সিবা

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।

হিসলা সিবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক জন জামাল নজরুলঃ কেমব্রিজে তখন তার বেতন সোয়া লাখ আর চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন হাজার !! একেই বুঝি দেশপ্রেম বলে !!

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪০

আমার ডাইরিতে জামাল নজরুল ইসলাম স্যারের একটা অটোগ্রাফ আছে . . .

লেখা "ভালো কাজ কর, ভালো মানুষ হও"



নিভৃতচারী এই বিজ্ঞানী কেমব্রিজের অধ্যাপনা ছেড়ে এসেছিলেন চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে,

শোনা যায় জাফর ইকবাল স্যারকে ও তিনিই দেশে ফিরে আসতে উদবুদ্ধ করেন।



স্টিফেন হকিং, আব্দুস সামাদ কিংবা অমর্ত্য সেনের মত লোকেরা ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু

তার লেখা বই কেম্বব্রিজ,অক্সফোর্ড,ক্যালিফরনিয়ার পাঠ্য



প্রচার বিমুখ এই অধ্যাপক ছিলেন "রবিন্দ্রনাথের" প্রচণ্ড ভক্ত

রবিন্দ্রনাথের বিরাট বিরাট অপ্রচলিত কবিতা মুখস্ত রাখতে পারতেন

আশ্চর্যজনক ভাবে।



ভার্সিটিতে প্রচলিত আছে দরিদ্র ছাত্ররা তার বাসার দরজার ফাঁক দিয়ে চিঠি রেখে যেত

এর পর তিনি নিজে সেই ছাত্রের খরচের ব্যাবস্থা করতেন।

তার অনুরোধে বিশ্বের নামকরা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা ভর্তি হয়েছে অসংখ্য।



সক্রিয় ছিলেন শিক্ষা বাণিজ্য নিয়ে যেকোন চক্রান্তের

"বিশ্বব্যাংক" আর "ইউ জি সি"র বিশ বছর মেয়াদী কৌশল পত্রের নামে

সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর বেসরকারি করণের চক্রান্তের মুখোশ খুলে দিয়েছিলেন তিনি

সমাজতান্ত্রিক দল গুলোর সাথে রাজপথেও নেমেছেন বহুবার।



শেষ করি এই গুণীর মুখে শোনা রবীন্দ্রকাব্য "দুই বিঘা জমি" দুটো লাইন দিয়ে





"পরে মাস দেড়ে ভিটে মাটি ছেড়ে বাহির হইনু পথে--

করিল ডিক্রি, সকলই বিক্রি মিথ্যা দেনার খতে।

এ জগতে, হায়, সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি--

রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি।

মনে ভাবিলাম মোরে ভগবান রাখিবে না মোহগর্তে,

তাই লিখি দিল বিশ্বনিখিল দু বিঘার পরিবর্তে।"



আনু মোহাম্মদ স্যার এই গুণীকে নিয়ে বলেছেন

বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে সেভাবে জানেন না, কিন্তু তিনি বাংলাদেশকে ধারণ করতেন প্রবলভাবে। বিশ্ব সমাদৃত বিজ্ঞানী, কিন্তু দেশেই শিক্ষকতা ও গবেষণায় নিজেকে নিবেদন করেছিলেন। লিখতেন দাসত্বমুখি তত্ত্ব ও প্রচারণার বিরুদ্ধে। মাথাবেচা কনসালট্যান্টদের ভীড়ে স্ব‍াধীন বিজ্ঞানী ও মানুষমুখি চিন্তাবিদ ড. জামাল নজরুল ইসলামের মতো মানুষ সমাজের চোখে পড়ে না। এই ব্যতিক্রম ধারাকে মূলধারায় পরিণত করা ছাড়া আমাদের মুক্তি নেই। তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৩

পেন্সিল স্কেচ বলেছেন: তাকে স্যালুট

২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

তাসজিদ বলেছেন: এখন আলোর পথজাত্রি রা আছে। তাই তো এখন সকাল হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.