![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।
শহীদ রুমী স্কোয়াডের প্রেস রিলিজ
শহীদ রুমী স্কোয়াড এর জামাত-শিবির নিষিদ্ধের দাবীতে আমরণ অনশনের ১৫ ঘন্টা
জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবীতে ২৬ মার্চ রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে জাতীয় জাদুঘরের সামনে শহীদ রুমী স্কোয়াডের ডাকে শুরু হওয়া আমরণ অনশন কর্মসূচি পার করলো এর ১৫ তম ঘন্টা। গণজাগরণ মঞ্চের ২১ ফেব্রুয়ারির মহাসমাবেশ থেকে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামাত-শিবিরের নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ২৬ মার্চ পর্যন্ত যে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিলো, সরকার সেটি না মানায়, এবং এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায়, শহীদ রুমী স্কোয়াডের সাত তরুণ এই অনশন কর্মসূচীর সূচনা করেন। ২৭ মার্চ সকালে স্বতপ্রণোদিত হয়ে এই অনশনে যোগ দেন আরো দুজন; অনড় এই দাবীতে অনশনে যোগদানকারীর সংখ্যা এখন মোট নয় জন।
সকাল দশটায় অনশনরত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাত তরুণের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ আলিফ প্রধান এবং সাফি নামের একজন ব্লগার। ২৬ মার্চ রাতে এই কর্মসূচির সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে সংহতি প্রকাশ করেন শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্কোয়াড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা অধিকার মঞ্চ এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন বোধন। এছাড়াও সকাল থেকে বিভিন্ন পেশার মানুষ সশরিরে এসে জানিয়েছেন তাদের সমর্থনের কথা। শহীদ রুমী স্কোয়াডের পক্ষ থেকে বিকেল পাঁচটায় সবাইকে সংহতির আহ্বান জানানো হচ্ছে; এই কর্মসূচির সঙ্গে যে যেভাবে তাদের সমর্থন জানাতে চান, তাদের জন্য উন্মুক্ত এই আহ্বান। এছাড়াও শাহবাগের আন্দোলনকারীদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে সাড়ে ছয়টায় মশাল মিছিলে যোগ দেওয়ারও অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
আমরণ অনশনের ঘোষণা দেওয়ার সময় থেকেই শহীদ রুমী স্কোয়াড বিষ্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছে, অনেকেই এই কর্মসূচিকে গণজাগরণ মঞ্চের বিপক্ষে দাঁড় করাতে চাইছেন। তাদের সবার প্রতি স্কোয়াডের বক্তব্য হলো, ৫ ফেব্রুয়ারি, শাহবাগে গণজাগরণ আন্দোলন শুরুর সময় থেকেই অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে মূলমঞ্চের প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তরুণ-তরুণীদের এই দলটি। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনকে বেগবান করার স্বার্থে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচির সঙ্গে সম্পূরক হিসেবে নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয় দলটি; যার মধ্যে প্রজন্ম চত্বরে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের প্রতিকৃতি স্থাপন ছিলো অন্যতম। গণজাগরণ আন্দোলনকে সেসময় বেগবান করার পেছনে প্রতিকৃতিটির অবদান যে অনেকখানি, এ ব্যাপারে এখন সন্দেহের অবকাশ নেই কারো। শহীদ রুমী স্কোয়াডের উদ্যোগ এবং দেশ-বিদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের সবধরণের সহযোগীতার ফলেই প্রতিকৃতিটি স্থাপন সম্ভব হয়েছিলো, এবং এটিকে চত্বরে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগও এরই মধ্যে নিয়েছে এই দলটি।
স্কোয়াডের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে, আল্টিমেটাম না মানায় পরবর্তী সময়ের জন্য গণজাগরণ মঞ্চের তরফ থেকে যে সকল কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা এবং সমর্থন দলটির আছে। বরাবরের মতোই প্রতিটি কর্মসূচিতে স্কোয়াডের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ থাকবে সক্রিয়ভাবেই।
আর তাই, আমরণ অনশনের যে কর্মসূচি দলটির পক্ষ থেকে পালন করা হচ্ছে, সেটি যে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচিগুলোর সম্পূরক, সেটিও জানানো হচ্ছে স্পষ্টভাবে। কোনভাবেই তাই এই কমূসূচি বা এই সংগঠনটিকে গণজাগরণমঞ্চের থেকে আলাদা কোন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে না দেখার জন্যও অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
যুদ্ধাপরাধী সংগঠন এবং তাদের সহযোগী হিসেবে জামাত-শিবিরের রাজনীতি স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। আমরা জানি, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে সেটি যে কোন মুহুর্তে, যে কোন উপায়েই সম্ভব। আর তাই আমাদের এই প্রাণের দাবীর পক্ষে আমসাদের অবস্থান অনড়, এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে অহিংস উপায়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কঠোর প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে আমরা বেছে নিয়েছি আমরণ অনশনকেই। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এটি আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং আমাদের আশা এতে সবার সমর্থন আমরা পাবোই।
আন্দোলনের এই পর্যায়ে এসে তাই আমরা আজ বলতে চাই, বিজয়, নাহলে মৃত্যু- একমাত্র এই এই পথেই চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব। আর তাই অহিংস উপায়েই দাবী আদায়ের সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থান নিয়ে আজ আমরা রাজপথে; আশা আছে বিজয়ের, তবে মৃত্যুর ভয়ে এখন আর ভীত নই আমরা কেউ।
সেঁজুতি শোণিমা নদী
মুখপাত্র, শহীদ রুমী স্কোয়াড
তারিখ: ২৭ মার্চ, ২০১৩
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫০
মুহম্মদ ফজলুল করিম বলেছেন: শ্রদ্ধাবনত সালাম এই বীর সেনানীদের!
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: বিষন্ন পথিক বলেছেন: নিজে ঘরে থেকে ভালো মন্দ খেয়ে কম্পিউটারে শুভকামনা জানানো আর ওদের চেষ্টাকে অপমান করা এক। সবাই পারেনা এভাবে পড়ে থাকতে, সবাই পারেনা এভাবে দেশকে ভালোবাসতে।
শ্রদ্ধাবনত সালাম এই বীর সেনানীদের!
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪০
অমৃত সুধা বলেছেন: যোদ্ধাদের একটা ছবি পাঠাতে পারবেন?
[email protected]
৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: অনেক দুরে আছি তবুও সাথেই আছি ।
৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:১৩
মুশে হক বলেছেন: জয় হোক সত্যের। জয় বাঙলা।
৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৩৬
রাফা বলেছেন: যুদ্ধাপরাধের বিচারের পক্ষে দাড়ানো বীরদের জানাই সশ্রদ্ধ সালাম।
বিভাজন নয় একতাই শক্তি ,এই মুল মন্ত্র ঠিক রাখতে হবে।আমাদের যুদ্ধ চলবে শেষ যুদ্ধাপরাধীর বিচার না হওয়া পর্যন্ত।
জয় বাংলা।
৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮
সবুজ-ভাই বলেছেন: জানতাম এমন একটা নোটিশ আসবে নাহলে যে ইমরান সরকার আর সরকারে ঘুম হারাম হবার যোগাড় হয়েছিল।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩০
বিষন্ন পথিক বলেছেন: নিজে ঘরে থেকে ভালো মন্দ খেয়ে কম্পিউটারে শুভকামনা জানানো আর ওদের চেষ্টাকে অপমান করা এক। সবাই পারেনা এভাবে পড়ে থাকতে, সবাই পারেনা এভাবে দেশকে ভালোবাসতে।
শ্রদ্ধাবনত সালাম এই বীর সেনানীদের!