নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টুকরো কথা

হিসলা সিবা

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।

হিসলা সিবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

"হে জালেমরা, দুশমনের সামনে অস্ত্র সমর্পণকারীরা। তোমরা হজরত মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কিভাবে মুখ দেখাবে"-আল বদর এক বিস্ময় !!! পর্বঃ ১

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

আমার সব সময়ের আগ্রহ পাকিস্তানের চোখে মুক্তিযুদ্ধকে দেখা, তাদের নিরলজ্জ মিথ্যাচার থেকেও মাঝে মাঝে উঠে আসে

চমকপ্রদ নানান তথ্য, এই যেমন

ভুট্টোর নাতনী ফাতেমা ভুট্টোর লেখা "Songs of Blood and Sword"

মেজর সিদ্দিক সালেকের "Witness to surrender"

খাদিম হোসেন রাজার “A Stranger in My Own Country"র পর

হাতে পেলাম পাকিস্তানী এক আলবদরের লেখা "Al Bodor"

আলবদররা ইসলামকে মনে করত তাদের নিজস্ব সম্পত্তি। তাদের বদ্ধমূল ধারণা

ছিল তারাই দ্বীন ইসলামের একমাত্র রক্ষাকারী,



আলবদর এখনও আছে, এখনও পাকিস্তানে চলছে তাদের কার্যক্রম।পাকিস্তানি লেখক সেলিম মনসুর খালেদের

"আলবদর" বইতে উঠে এসছে তাদের কার্যক্রমের বিবরণ। পাকিস্তানী "তালাবা" প্রকাশনা থেকে ২০০৩ সালে প্রকাশিত হয় বইটি

এই বই লেখার আগে মনসুর বাংলাদেশে এসেছিলেন ২০০২ সালে। তার মতে ৯৬ হাজার সক্রিয় এবং প্রশিক্ষিত আলবদর কর্মী ছিল

একাত্তরে। ঘুরেঘুরে আলবদরদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, তার বইতে একজন আলবদর আফসোস করে বলেছেন

"জাতি এসব আত্মত্যাগিদের স্বীকার পর্যন্ত করে না। মুসলিম উম্মাহ এদের মর্যাদা বোঝেনি। আমরা বংলাদেশে আগুন্তুক আর পাকিস্তানে

ভিনদেশী"



মনসুর ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধ থেকে আলবদরদের ঘটনা গুলো উল্ল্যেখ করতে চান জাতে নতুন কর্মীরা একনিষ্ঠ ভাবে জামাত করতে উদ্বুদ্ধ হয়।

আফসোস করে তিনি লিখেছেন,

"১৯৭১ সালে এসব শহীদের ও গাজীদের নাম পাকিস্তানে আলোচনা করা কেউ পছন্দ করে না। এরা তো আমাদেরই

ছিলেন যারা পূর্ব পাকিস্তানের সবুজ বনানী ও নদ-নদীতে বুকের তাজা রক্ত উপহার দিয়েছেন। সেই তরুণেরা তো আমাদের জাতীয় সত্ত্বারই অংশ"



১৬ই ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের এক আলবদর সালিম উল্লাহ্‌র কথা শুনুন এবার, আত্মসমর্পণের হুকুম শুনে সে গর্জে ওঠে

"ওহে ইয়াহিয়ার হুকুম মান্যকারীরা, তোমাদের কি কায়েদে আজমের এই হুকুম মনে নেই যে, কখনো যদি পাকিস্তানের হেফাজতের জন্য লড়াই

করতে হয় তবে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়বে, কোন অবস্থাতেই শত্রুর সামনে আত্মসমর্পণ করবে না"



আবেগে অশ্রুসিক্ত হয়ে তার সঙ্গী আলবদরদের সে বলে

"হে জালেমরা, দুশমনের সামনে অস্ত্র সমর্পণকারীরা। তোমরা হজরত মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কিভাবে মুখ দেখাবে"



এই বইটাতে এমনই সব চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে, উঠে এসেছে আলবদর কমান্ডার নিজামি আর মুজাহিদের নানা জবানবন্দী সাক্ষাৎকার ভাষণ

১৬ই ডিসেম্বর আলবদরদের শেষ সমাবেশে তাদের কান্নাকাটির হাস্যকর বিবিরণ

যার অনেক গুলোই আগে প্রকাশিত হয় নি, ধীরে ধীরে আরো লিখব এদের নিয়ে



আমার লেখার হাত ভালো না তবুও এতটুকু করা নিজের দায়িত্ববোধ থেকে

জয় বাংলা



"অতীত খুঁড়ি খুজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ করোটি"

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৬

কোবির বলেছেন: ভাই মন্তব্য করাটা নিষ্প্রয়োজন মনে করি কিন্তু বাংলাদেশ যেহেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে, তাই আর না লিখে পারলাম না।

পাকিস্তানিরা তো নিজেদের পক্ষে সাফাই গাইবে। কিন্তু কষ্ট লাগে যখন আমাদের দেশেরই কিছু লোক এদেশে টাকার পাহাড় তুলে, তাদের পুরোনো প্রভুদের ভুলতে পারে না, যদিও তাদের পুরোনো প্রভুরা তাদেরকে দাস ছাড়া আর কিছু ভাবতো না। আর কষ্ট লাগে যখন দেখি ঐসব দালালগুলোকে বাচানো জন্য কিছু যুবক নিজের প্রাণ পর্ষন্ত দিয়ে দেয়। যুবকগুলো যদি কোন ভালো কাজের জন্য কিংবা কোন ভালো মানুষের জন্য প্রাণ দিতো তাহলে একটা স্বান্তনা পেতাম কিন্ত ঐসব খুনি, ধর্ষক, লুটেরা.....কিছু বলার নেই আর।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

হিসলা সিবা বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

মামুণ বলেছেন: ভালো পোষ্ট লিখে যান ।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

হিসলা সিবা বলেছেন: ধইন্যা

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৩১

মাগুর বলেছেন: আল বদর, রাজাকার, আল শামস, শান্তি কমিটি সম্পর্কে জানার জন্য দীর্ঘদন ধরে চেষ্টা করছি। আশা করি আপনার পরবর্তী পোস্ট গুলোতে অনেক কিছু জানতে পারবো। অপেক্ষায় থাকলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.