![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।
আর একবার কি আমরা জেগে উঠতে পারি না ৫ ফেব্রুয়ারি র মত ? আমরা যদি আজকে চুপ করে থাকি তাহলে রাজাকারের গাড়িতে আবার বাংলার ৩০ লাখ শহিদ আর ২ লাখ মা-বোনের রক্তে ভেজা পতাকা দেখতে হবে । কাদের কসাই এর হাতে হয়ত আবার বিজয় চিহ্ন দেখতে হবে । বাংলার মাটিতে শহীদের রক্তের দাগ আজ অ শুকায় নি । আমার বাংলা মা কে কলঙ্কমুক্ত করার যে শপথ নিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আমরা সবাই এক হয়েছিলাম , আর একবার কি আমরা সেভাবে এক হতে পারি না ? রাজাকার রা যখন পতাকা উড়িয়ে ঘুরবে তখন সে লজ্জার ভাগীদার হতে হবে আপনাকে , আমাকে সবাই কে । ভাইয়েরা ,ঘরে বসে স্ট্যাটাস দিয়ে এখন আর কাজ হবে না।আসুন না আর একবার শাহবাগে সমবেত হই আমরা সবাই। সব ভেদাভেদ ভুলে আর একবার বাংলার আকাশ- বাতাস কম্পিত করে তুলি জয় বাংলা ধ্বনিতে । আজকে আমরা যদি চুপ থাকি তাহলে ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের রক্তের ঋণ আমরা কোনদিনও শোধ করতে পারব না ।আজ আমরা ভালোবেসে খুনি হতে চাই । উথকৃষ্ট সময় কে আর বয়ে যেতে দেয়া যাবে না ।
" এখন যৌবন যার মিছিলে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময় ,
এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময় ।"
আর একবার জেগে উঠুক আমাদের অনলাইন কম্যুনিটি। শাহবাগে আবার আমরা এক হই ।বাংলার আকাশ- বাতাস কাপিয়ে শহিদজননী কে সামনে রেখে আর একবার শ্লোগান তুলি আসুন- "আর কোন দাবি নাই , রাজাকারের ফাঁসি চাই । জয় বাংলা। "
২| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: মাগনা ফকির্নীর বিরানী না খায়া হুগায়া গেছ? ইন্ডিয়া যাও।
৩| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
আমিনুর রহমান বলেছেন:
দেখা হবে ...
৪| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
ভালোরনি বলেছেন: রামপাল আর টিকফা নিয়া কি চিন্তা করলেন?
৫| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৬
হিসলা সিবা বলেছেন: রামপাল নিয়ে আন্দোলন চলছে,
রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প কাদের স্বার্থে ? সুন্দরবন কাদের হাতে তুলে দিচ্ছি ?? লাইন বাই লাইন রেফারেন্স এভিডেন্স সহ.........
৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১৬ |
শেয়ারঃ
11 0
এক ঝলকে রামপালঃ
**দেশী সংস্থা থেকে আমরা ৩ টাকা ৮০ পয়সা ইউনিটে পাচ্ছি, রামপালে আমাদের কিনতে হবে
প্রতি ইউনিট ৮ টাকা ৮৫ পয়সা করে, ডাবলেরও বেশী......**
** দেশের বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ সাত হাজার ৩০০ মেগাওয়াট আর বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো পুরদমে উৎপাদন করলে
৭ হাজার ৮২৬ মেগাওয়াট উৎপাদন করতে পারে, তাহলে কেন রামপাল ?**
**এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০১৬ সালে চালু হবার আগেই সুন্দরবন বলে কিছুর অস্তিত্ব থাকবে না**
**১৮৩৪ একরধানী জমি অধিগ্রহণের ফলে ৮০০০ পরিবার উচ্ছেদ হয়ে যাবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্ম সংস্থান হতে পারে সর্বোচ্চ চার-পাঁচশ জনের,
ফলে উদ্বাস্তু এবং কর্মহীন হয়ে যাবে প্রায় ৭৫০০ পরিবার। **
**কর দিতে হবে না, লস করলে বন্ধ হয়ে যাবে, ৫০% শতাংশ মালিকানা ভারতীয় কোম্পানির, দেশের মাত্র ১৫% **
রামপাল নিয়ে কথা বলার আগে আমরা একটু দেখি দেশের বিদ্যুতের বর্তমান পরিস্থিতি কি আর রামপাল কতটা ভূমিকা রাখবে।
এ প্রসঙ্গে একটু বলে নেই রেফারেন্স গুলো শেষে একসাথে দিয়ে দিলাম, অনেকে লেখার পাশাপাশি রেফারেন্স দেখে বিরক্ত হয়ে থাকেন,
কোন জিজ্ঞাসা থাকলে ইনবক্স করবেন।
এবার জেনে নিন বিদ্যুতের চাহিদা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার বিভিন্ন হিসাব থাকলেও যেখানে পিডিবি বলেছে,
দেশের বিদ্যুতের চাহিদা ছয় হাজার ২০০ মেগাওয়াট, অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দেশের বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে
প্রায় সাত হাজার ৫০০ মেগাওয়াট।
অন্য হিসাবে দেখা যায়, বিপণন সংস্থা ডিপিডিসি, ডেসকো, পিডিবি, ওজোপাডিকো ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের
মোট চাহিদা হচ্ছে সাত হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। এই হিসাবে উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে ঘাটতি রয়েছে প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট।
এ হিসাব জানুয়ারির......।
তো দেশে যখন বিদ্যুতেরর ঘাটতি আছে উৎপাদন তো করা লাগবেই,
প্রথমে আপনাদের দেখাই রামপালের চুক্তিটা
রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হবে দুই দেশের সমান অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুই দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি নামে একটি কোম্পানিও গঠন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অর্থায়ন করবে ১৫% পি ডি বি,
১৫% ভারতীয় পক্ষ আর ৭০% ঋণ নেয়া হবে। যে নীট লাভ হবে সেটা ভাগ করা হবে ৫০% হারে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনবে পি ডি বি।
বিদ্যুতের দাম নির্ধারিত হবে একটা ফর্মুলা অনুসারে। যদি কয়লার দাম প্রতি টন ১০৫ ডলার হয় তবে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ এর দাম হবে
৫ টাকা ৯০ পয়সা এবং প্রতি টন ১৪৫ ডলার হলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৮ টাকা ৮৫ পয়সা।
অথচ দেশীয় ওরিয়ন গ্রুপের সাথে মাওয়া, খুলনার লবন চড়া এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারা তে যে তিনটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের যে চুক্তি হয়েছে
পি ডি বির সাথে সেখানে সরকার মাওয়া থেকে ৪ টাকায় প্রতি ইউনিট এবং আনোয়ারা ও লবন চড়া থেকে ৩টাকা ৮০ পয়সা দরে বিদ্যুৎ কিনবে।
সরকার এর মধ্যেই ১৪৫ ডলার করে রামপালের জন্য কয়লা আমদানির প্রস্তাব চূড়ান্ত করে ফেলেছে।
তার মানে ৮ টাকা ৮৫ পয়সা দিয়ে পি ডি বি এখান থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনবো সেটা নিশ্চিত।
অর্থাৎ দেশী সংস্থা থেকে যেখানে আমরা ৩ টাকা ৮০ পয়সা ইউনিটে বিদ্যুত পাচ্ছি সেখানে রামপালে আমাদের কিনতে হবে
প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৮ টাকা ৮৫ পয়সা করে, ডাবলেরও বেশী......।
void(1);
আচ্ছা একটা কথা বলতে ভুলে গেছি রামপালের উৎপাদন ক্ষমতা কত জানেন ??
রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবার কথা, না না এখানেই শেষ না
কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ৬৬০ মেগাওয়াটের দুইটিবিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট থাকবে। প্রথম ইউনিটটি নির্মাণ করতে সাড়ে চার বছর সময় লাগবে।
অর্থাৎ আজকে কাজ শুরু হলে ২০১৬ সালে আমরা পাবো ৬৬০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ,
এই ফাঁকে একটা মজার খবর দিয়ে দেই
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্র মতে, গত বছর ৩ জুন ৫ হাজার ২৭৪ মেগাওয়াট ছিল বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন।
এ সময় ৭ হাজার ৫৫১ মেগাওয়াট ছিল দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা। যখন দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ৭ হাজার ৮২৬ মেগাওয়াট তখন
গত বছরের ২২ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ৪ হাজার ৫৪২ মেগাওয়াট।
মানে বুঝতে পারছেন আপনারা দেশের বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ সাত হাজার ৩০০ মেগাওয়াট আর বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো পুরদমে উৎপাদন করলে
৭ হাজার ৮২৬ মেগাওয়াট উৎপাদন করতে পারে, শুধু সংস্কারের অভাবে সম্ভব হচ্ছে না।
আচ্ছা শুধুই সংস্কার... নাকি অন্য কোন ব্যাপার আছে ??
আসুন দেখি
এটাকি শুধুই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নাকি সুন্দরবন ধংসের পায়তারা .........
কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটায় বলে সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংরক্ষিত বনভূমি ও বসতির ১৫ থেকে ২০ কিমি
এর মধ্যে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়না।
রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পটি সুন্দর বন থেকে মাত্র ৯ কিমি দূরে।
অথচ যে ভারতীয় এনটিপিসি বাংলাদেশে সুন্দরবনের পাশে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করতে যাচ্ছে সেই ভারতেরই ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশান অ্যাক্ট ১৯৭২ অনুযায়ী,
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৫ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে কোন সংরক্ষিত বনাঞ্চল থাকা চলবে না।
অর্থাৎ ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসিকে বাংলাদেশে সুন্দরবনের যত কাছে পরিবেশ ধ্বংস কারী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে দেয়া হচ্ছে,
তার নিজ দেশ ভারতে হলে সেটা করতে পারতো না!
খোদ ইআইএ রিপোর্টের এক জায়গায় বলা হয়েছে প্রকল্পের স্থানটি একসময় একেবারে সুন্দরবনেরই অংশ ছিল,
“The area is about 14 km northeastwards from the Nalian Range of Sundarbans. Once it was a part of Sundarbans but had been evacuated by the settlers.”(ইআইএ, পৃষ্ঠা ২০৮)
আমি সুন্দরবনের ব্যাপারে আর গভীরে যাব না, আপনারা চাইলে রেফারেন্স থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন,
শুধু জানুন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০১৬ সালে চালু হবার আগেই সুন্দরবন বলে কিছুই থাকবে না।
এবার একটু আলো ফেলা যাক জনবসতির দিকে,
রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৮৩৪ একর কৃষি, মৎস চাষ ও আবাসিক এলাকার জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে , এবং সেগুলো উর্বর জমি,
খেয়াল করুণ বন্ধুরা উর্বর জমি
যদিও ভারতে একই আকারের একটি প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৭৯২ একর যার বেশির ভাগটাই এক ফসলি কিংবা অনুর্বর পতিত জমি।(রায়গড় ইআইএ, এক্সিকিউটিভ সামারি, পৃষ্ঠা ১)।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইআইএ রিপোর্ট অনুসারে প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার(১৮৩৪ একর) ৯৫ শতাংশই কৃষি জমি
ও চারপাশের ১০ কিমি ব্যাসার্ধের এলাকার(স্টাডি এলাকা) ৭৫ শতাংশ কৃষি জমি যেখানে নিম্নোক্ত হারে চিংড়ি অথবা ধান সহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করা হয়
ক) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ৬২,৩৫৩ টন এবং প্রকল্প এলাকায় ১২৮৫ টন ধান উৎপাদিত হয়;
খ) ধান ছাড়াও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ১,৪০,৪৬১ টন অন্যান্য শস্য উৎপাদিত হয়;
গ) প্রতি বাড়িতে গড়ে ৩/৪টি গরু, ২/৩টি মহিষ, ৪টি ছাগল, ১টি ভেড়া, ৫টি হাস, ৬/৭টি করে মুরগী পালন করা হয়;
ঘ) ম্যানগ্রোভ বনের সাথে এলাকার নদী ও খালের সংযোগ থাকায় এলাকাটি স্বাদু ও লোনা পানির মাছের সমৃদ্ধ ভান্ডার। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা খাল ও নদীর নেটওয়ার্ক জৈব বৈচিত্র ও ভারসাম্য রক্ষা করে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ৫২১৮.৬৬ মেট্রিক টন এবং প্রকল্প এলাকায় (১৮৩৪ একর) ৫৬৯.৪১ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়।
এসব হিসাব আমার উর্বর মাথা থেকে বের হয় নাই ভাই, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইআইএ রিপোর্ট বলছে এসব কথা।
১৮৩৪ একরধানী জমি অধিগ্রহণের ফলে ৮০০০ পরিবার উচ্ছেদ হয়ে যাবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্ম সংস্থান হতে পারে সর্বোচ্চ চার-পাঁচশ জনের,
ফলে উদ্বাস্তু এবং কর্মহীন হয়ে যাবে প্রায় ৭৫০০ পরিবার।
শুধু তাই নয় আমরা প্রতি বছর হারাবো কয়েক কোটি টাকার কৃষিজ উৎপাদন।
বন্ধুরা আমি আমার লেখা আর বড় করব না, এমনিতেই যথেষ্ট বড় হয়েছে।
কয়লা ভিত্তিক এই বিদ্যুত কেন্দ্র স্রেফ সুন্দরবন ধংস করে দেবে, পরিবেশ বিপর্যয় সম্পর্কে জানতে লিংক গুলো দেখুন ......
প্রকল্পে ১৫% বিনিয়োগে ভারতীয় মালিকানা ৫০%।বিদ্যুতের দাম পড়ছে দ্বিগুণেরও বেশী। উচ্ছেদ হচ্ছে ৭৫০০ পরিবার।
কৃষিজ সম্পদ হারাচ্ছে দেশ
৬| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৯
হিসলা সিবা বলেছেন: রামপাল নিয়ে আন্দোলন চলছে,
রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প কাদের স্বার্থে ? সুন্দরবন কাদের হাতে তুলে দিচ্ছি ?? লাইন বাই লাইন রেফারেন্স এভিডেন্স সহ.........
৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১৬ |
শেয়ারঃ
11 0
এক ঝলকে রামপালঃ
**দেশী সংস্থা থেকে আমরা ৩ টাকা ৮০ পয়সা ইউনিটে পাচ্ছি, রামপালে আমাদের কিনতে হবে
প্রতি ইউনিট ৮ টাকা ৮৫ পয়সা করে, ডাবলেরও বেশী......**
** দেশের বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ সাত হাজার ৩০০ মেগাওয়াট আর বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো পুরদমে উৎপাদন করলে
৭ হাজার ৮২৬ মেগাওয়াট উৎপাদন করতে পারে, তাহলে কেন রামপাল ?**
**এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০১৬ সালে চালু হবার আগেই সুন্দরবন বলে কিছুর অস্তিত্ব থাকবে না**
**১৮৩৪ একরধানী জমি অধিগ্রহণের ফলে ৮০০০ পরিবার উচ্ছেদ হয়ে যাবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্ম সংস্থান হতে পারে সর্বোচ্চ চার-পাঁচশ জনের,
ফলে উদ্বাস্তু এবং কর্মহীন হয়ে যাবে প্রায় ৭৫০০ পরিবার। **
**কর দিতে হবে না, লস করলে বন্ধ হয়ে যাবে, ৫০% শতাংশ মালিকানা ভারতীয় কোম্পানির, দেশের মাত্র ১৫% **
রামপাল নিয়ে কথা বলার আগে আমরা একটু দেখি দেশের বিদ্যুতের বর্তমান পরিস্থিতি কি আর রামপাল কতটা ভূমিকা রাখবে।
এ প্রসঙ্গে একটু বলে নেই রেফারেন্স গুলো শেষে একসাথে দিয়ে দিলাম, অনেকে লেখার পাশাপাশি রেফারেন্স দেখে বিরক্ত হয়ে থাকেন,
কোন জিজ্ঞাসা থাকলে ইনবক্স করবেন।
এবার জেনে নিন বিদ্যুতের চাহিদা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার বিভিন্ন হিসাব থাকলেও যেখানে পিডিবি বলেছে,
দেশের বিদ্যুতের চাহিদা ছয় হাজার ২০০ মেগাওয়াট, অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দেশের বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে
প্রায় সাত হাজার ৫০০ মেগাওয়াট।
অন্য হিসাবে দেখা যায়, বিপণন সংস্থা ডিপিডিসি, ডেসকো, পিডিবি, ওজোপাডিকো ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের
মোট চাহিদা হচ্ছে সাত হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। এই হিসাবে উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে ঘাটতি রয়েছে প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট।
এ হিসাব জানুয়ারির......।
তো দেশে যখন বিদ্যুতেরর ঘাটতি আছে উৎপাদন তো করা লাগবেই,
প্রথমে আপনাদের দেখাই রামপালের চুক্তিটা
রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি হবে দুই দেশের সমান অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুই দেশের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি নামে একটি কোম্পানিও গঠন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অর্থায়ন করবে ১৫% পি ডি বি,
১৫% ভারতীয় পক্ষ আর ৭০% ঋণ নেয়া হবে। যে নীট লাভ হবে সেটা ভাগ করা হবে ৫০% হারে। উৎপাদিত বিদ্যুৎ কিনবে পি ডি বি।
বিদ্যুতের দাম নির্ধারিত হবে একটা ফর্মুলা অনুসারে। যদি কয়লার দাম প্রতি টন ১০৫ ডলার হয় তবে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ এর দাম হবে
৫ টাকা ৯০ পয়সা এবং প্রতি টন ১৪৫ ডলার হলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৮ টাকা ৮৫ পয়সা।
অথচ দেশীয় ওরিয়ন গ্রুপের সাথে মাওয়া, খুলনার লবন চড়া এবং চট্টগ্রামের আনোয়ারা তে যে তিনটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের যে চুক্তি হয়েছে
পি ডি বির সাথে সেখানে সরকার মাওয়া থেকে ৪ টাকায় প্রতি ইউনিট এবং আনোয়ারা ও লবন চড়া থেকে ৩টাকা ৮০ পয়সা দরে বিদ্যুৎ কিনবে।
সরকার এর মধ্যেই ১৪৫ ডলার করে রামপালের জন্য কয়লা আমদানির প্রস্তাব চূড়ান্ত করে ফেলেছে।
তার মানে ৮ টাকা ৮৫ পয়সা দিয়ে পি ডি বি এখান থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনবো সেটা নিশ্চিত।
অর্থাৎ দেশী সংস্থা থেকে যেখানে আমরা ৩ টাকা ৮০ পয়সা ইউনিটে বিদ্যুত পাচ্ছি সেখানে রামপালে আমাদের কিনতে হবে
প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৮ টাকা ৮৫ পয়সা করে, ডাবলেরও বেশী......।
void(1);
আচ্ছা একটা কথা বলতে ভুলে গেছি রামপালের উৎপাদন ক্ষমতা কত জানেন ??
রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবার কথা, না না এখানেই শেষ না
কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ৬৬০ মেগাওয়াটের দুইটিবিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট থাকবে। প্রথম ইউনিটটি নির্মাণ করতে সাড়ে চার বছর সময় লাগবে।
অর্থাৎ আজকে কাজ শুরু হলে ২০১৬ সালে আমরা পাবো ৬৬০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ,
এই ফাঁকে একটা মজার খবর দিয়ে দেই
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্র মতে, গত বছর ৩ জুন ৫ হাজার ২৭৪ মেগাওয়াট ছিল বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন।
এ সময় ৭ হাজার ৫৫১ মেগাওয়াট ছিল দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা। যখন দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ৭ হাজার ৮২৬ মেগাওয়াট তখন
গত বছরের ২২ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছে ৪ হাজার ৫৪২ মেগাওয়াট।
মানে বুঝতে পারছেন আপনারা দেশের বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ সাত হাজার ৩০০ মেগাওয়াট আর বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলো পুরদমে উৎপাদন করলে
৭ হাজার ৮২৬ মেগাওয়াট উৎপাদন করতে পারে, শুধু সংস্কারের অভাবে সম্ভব হচ্ছে না।
আচ্ছা শুধুই সংস্কার... নাকি অন্য কোন ব্যাপার আছে ??
আসুন দেখি
এটাকি শুধুই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নাকি সুন্দরবন ধংসের পায়তারা .........
কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটায় বলে সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংরক্ষিত বনভূমি ও বসতির ১৫ থেকে ২০ কিমি
এর মধ্যে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়না।
রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পটি সুন্দর বন থেকে মাত্র ৯ কিমি দূরে।
অথচ যে ভারতীয় এনটিপিসি বাংলাদেশে সুন্দরবনের পাশে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করতে যাচ্ছে সেই ভারতেরই ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশান অ্যাক্ট ১৯৭২ অনুযায়ী,
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৫ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে কোন সংরক্ষিত বনাঞ্চল থাকা চলবে না।
অর্থাৎ ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসিকে বাংলাদেশে সুন্দরবনের যত কাছে পরিবেশ ধ্বংস কারী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে দেয়া হচ্ছে,
তার নিজ দেশ ভারতে হলে সেটা করতে পারতো না!
খোদ ইআইএ রিপোর্টের এক জায়গায় বলা হয়েছে প্রকল্পের স্থানটি একসময় একেবারে সুন্দরবনেরই অংশ ছিল,
“The area is about 14 km northeastwards from the Nalian Range of Sundarbans. Once it was a part of Sundarbans but had been evacuated by the settlers.”(ইআইএ, পৃষ্ঠা ২০৮)
আমি সুন্দরবনের ব্যাপারে আর গভীরে যাব না, আপনারা চাইলে রেফারেন্স থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন,
শুধু জানুন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০১৬ সালে চালু হবার আগেই সুন্দরবন বলে কিছুই থাকবে না।
এবার একটু আলো ফেলা যাক জনবসতির দিকে,
রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৮৩৪ একর কৃষি, মৎস চাষ ও আবাসিক এলাকার জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে , এবং সেগুলো উর্বর জমি,
খেয়াল করুণ বন্ধুরা উর্বর জমি
যদিও ভারতে একই আকারের একটি প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৭৯২ একর যার বেশির ভাগটাই এক ফসলি কিংবা অনুর্বর পতিত জমি।(রায়গড় ইআইএ, এক্সিকিউটিভ সামারি, পৃষ্ঠা ১)।
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইআইএ রিপোর্ট অনুসারে প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার(১৮৩৪ একর) ৯৫ শতাংশই কৃষি জমি
ও চারপাশের ১০ কিমি ব্যাসার্ধের এলাকার(স্টাডি এলাকা) ৭৫ শতাংশ কৃষি জমি যেখানে নিম্নোক্ত হারে চিংড়ি অথবা ধান সহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করা হয়
ক) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ৬২,৩৫৩ টন এবং প্রকল্প এলাকায় ১২৮৫ টন ধান উৎপাদিত হয়;
খ) ধান ছাড়াও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ১,৪০,৪৬১ টন অন্যান্য শস্য উৎপাদিত হয়;
গ) প্রতি বাড়িতে গড়ে ৩/৪টি গরু, ২/৩টি মহিষ, ৪টি ছাগল, ১টি ভেড়া, ৫টি হাস, ৬/৭টি করে মুরগী পালন করা হয়;
ঘ) ম্যানগ্রোভ বনের সাথে এলাকার নদী ও খালের সংযোগ থাকায় এলাকাটি স্বাদু ও লোনা পানির মাছের সমৃদ্ধ ভান্ডার। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা খাল ও নদীর নেটওয়ার্ক জৈব বৈচিত্র ও ভারসাম্য রক্ষা করে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ৫২১৮.৬৬ মেট্রিক টন এবং প্রকল্প এলাকায় (১৮৩৪ একর) ৫৬৯.৪১ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়।
এসব হিসাব আমার উর্বর মাথা থেকে বের হয় নাই ভাই, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইআইএ রিপোর্ট বলছে এসব কথা।
১৮৩৪ একরধানী জমি অধিগ্রহণের ফলে ৮০০০ পরিবার উচ্ছেদ হয়ে যাবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্ম সংস্থান হতে পারে সর্বোচ্চ চার-পাঁচশ জনের,
ফলে উদ্বাস্তু এবং কর্মহীন হয়ে যাবে প্রায় ৭৫০০ পরিবার।
শুধু তাই নয় আমরা প্রতি বছর হারাবো কয়েক কোটি টাকার কৃষিজ উৎপাদন।
বন্ধুরা আমি আমার লেখা আর বড় করব না, এমনিতেই যথেষ্ট বড় হয়েছে।
কয়লা ভিত্তিক এই বিদ্যুত কেন্দ্র স্রেফ সুন্দরবন ধংস করে দেবে, পরিবেশ বিপর্যয় সম্পর্কে জানতে লিংক গুলো দেখুন ......
প্রকল্পে ১৫% বিনিয়োগে ভারতীয় মালিকানা ৫০%।বিদ্যুতের দাম পড়ছে দ্বিগুণেরও বেশী। উচ্ছেদ হচ্ছে ৭৫০০ পরিবার।
কৃষিজ সম্পদ হারাচ্ছে দেশ
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৮
সুইট টর্চার বলেছেন: আবার কি হইলো? দেশের সব মানুষদেরকে কি হাম্বা মনে করো? দিন কাল ভালনা এখনো সময় আছে ভারত চলে যাও। না হলে সেই সময়টা নাও পাইতে পারো হাম্বা কোথাকার