![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।
টিকফা সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশী শুনেছি, বিষয়টি জটিল দেখে সহজে এটা নিয়ে লেখার চেষ্টা করলাম।
লিখতে গিয়ে দেখি অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। তাই ৫-৬ পর্বের সিরিজ হিসেবে প্রকাশ করব, সবগুলো রেফারেন্স শেষ পর্বে একসাথে দেয়া হবে।
টিকফা চুক্তি সম্পর্কে বলার আগে আপনাদের একটু সেবা খাত আর উৎপাদনশীল খাত সম্পর্কে ধারণা দেই,
আমাদের দেশে যদি কোন বিদেশী কোম্পানি বিনিয়োগে আগ্রহী হয় আমরা কিন্তু খুশিই হই। বিনিয়োগ বাড়লে উৎপাদন হবে কর্মসংস্থান হবে,বিদেশী কোম্পানিরও লাভ আমাদের জনগণেরও লাভ। কিন্তু বিনিয়োগের খাতটা যখন উৎপাদনশীল না হয়ে হয় সেবা খাত তখন আমাদের পাওয়ার খাতায় সুভঙ্করের ফাঁকি।
একটু বুঝিয়ে বলি,
ধরুন আপনি কেবল ব্যাবসা করবেন, এক্ষেত্রে বিনিয়োগ কিন্তু এককালীন। আপনি একটি ডিশ এন্টিনা বসাবেন, হাজার হাজার লাইন ভাড়া দেবেন,নামকাওয়াস্তে চার্জ দিয়ে বাকি পুরটাই লাভ। এটাই সেবা খাত, একই ভাবে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন মৌলিক সেবা যেমন শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, জ্বালানি (যেমনঃ বিদ্যুৎ, গ্যাস) সেবা খাতের অন্তর্গত।
শিক্ষা খাতের দিকে একটু নজর দেই, আমাদের দেশে আমরা প্রাথমিক শিক্ষা বিনামূল্যে পাই। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সরকারী হলে নামমাত্র মূল্যে আমরা শিক্ষা পাই। এই শিক্ষা যদি আমাদের টাকা দিয়ে কিনতে হতো তাহলে কি অবস্থা হবে তা দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায়।
আর উৎপাদনশীল খাতের কথা বললে আমরা বলতে পারি দেশের টেক্সটাইল শিল্পের কথা, ৯০ লক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে এই খাতে। টেক্সটাইলেও পুজিবাদিরা প্রচুর লাভ করে কিন্তু সাথে সাথে কর্মসংস্থানও হয়,
ঝামেলাটা সেখানেই।
টিকফা কি ?
টিকফা শব্দটি নতুন। আগে এর নাম ছিল টিফা।‘টিফা’ চুক্তি হলো Trade and Investment FrAবা সংক্ষেপে TIFA, যেটিকে বাংলায় অনুবাদ করলে হয় — ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত কাঠামোগত সমঝোতা’ চুক্তি। ‘টিফা’ চুক্তি নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে দশক কালেরও আগে থেকে। এই চুক্তির খসড়া প্রণয়নের কাজ শুরু হয় ২০০১ সালে। ১৩টি ধারা ও ৯টি প্রস্তাবনা সম্বলিত চুক্তিটির প্রথম খসড়া রচিত হয় ২০০২ সালে। পরে ২০০৪ সালে এবং তারও পরে আবার ২০০৫ সালে খসড়াটিকে সংশোধিত রূপ দেয়া হয়। দেশের বামপন্থি শক্তিসহ অন্যান্য নানা মহলের তীব্র প্রতিবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত চুক্তিটি স্বাক্ষর করা এখনো
সম্ভব হয়নি। চুক্তির খসড়া প্রণয়নের পর সে সম্পর্কে নানা মহল থেকে উত্থাপিত সমালোচনাগুলো সামাল দেয়ার প্রয়াসের অংশ হিসেবে এর নামকরণের সাথে Co-operation বা সহযোগিতা শব্দটি যোগ করে এটিকে এখন ‘টিকফা’ তথা TICFA বা Trade and Investment Co-operamework Agreement (‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা সংক্রান্ত কাঠামোগত সমঝোতা’ চুক্তি) হিসাবে আখ্যায়িত করার হচ্ছে।
চুক্তিটি কার জন্য?
চুক্তিটি আমেরিকার সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের। এই চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্র করেছে অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গেও। চুক্তিটির ধারা উপধারা ও আমেরিকার তৈরি। আমেরিকা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে নাছোড়বান্দা এবং তারা হাল ছেড়ে না দিয়ে বছরের পর বছর ধরে এজন্য সে বাংলাদেশের ওপর ক্রমাগত চাপ দিয়ে চলেছে। এর মাঝে এদেশে ও আমেরিকায় কয়েক দফা সরকার বদল হয়েছে। কিন্তু ‘টিফা’ চুক্তির বিষয়টি সব আমলেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হয়ে থেকেছে। তারা এমনও বলেছে যে, ‘টিফা’ চুক্তি স্বাক্ষর না করলে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পরবে। যেহেতু বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রাধান্য ও আধিপত্য প্রশ্নাতীত এবং এই অসামঞ্জস্য পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাই ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগের’ স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে করা চুক্তিটির দ্বারা প্রধানত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণের একতরফা সুবিধা প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা হবে এই সমালোচনা নিরসনের জন্য ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ’-এর সাথে ‘সহযোগিতা’ শব্দ যুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু চুক্তিতে যে সব প্রস্তাবনা ও ধারা রয়েছে সেগুলোর জন্য চুক্তিটি অসম ও মার্কিন স্বার্থবাহী।
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:৪৩
স্বাধীন শোয়েব বলেছেন: পুকুরপাড় বলেছেন: আমরা না বুঝে জিএসপি নিয়ে হায়হুতাশ করতেছি কিন্তু টিকফা দিয়ে যে গোলামীতে আবদ্ধ হচ্ছি তা কেউ ফিকির করেনা ।
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:২১
আমিনুর রহমান বলেছেন:
টিকফা বা রামপাল নিয়ে বিরোধী দলের মুখে কোন কথা নাই কেন বুঝি না !!! আজ পর্যন্ত কত হরতাল দিলো কিন্তু এইসব নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা না। আওয়ামী লীগ বলেন আর বিএনপি কেউ সাধারণ মানুষেরে নিয়ে ভাবে না, কেমনে আমেরিকা, ভারতদের পা চেটে ক্ষমতা বসা যাবে বা কেমনে নিজের পকেট ভারী করবে তাই শুধু মাথায় ঘোরে তেনা গো ... গোল্লায় যাক দেশ ... আমরা এদের ফাঁদে আটকে আছি, কিছু করার দেখতে পাচ্ছি না ... চারদিকে শুধু অন্ধকার।
শুধু কষ্ট একটাই আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কিছু দিয়ে যেতে পারবো না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০৪
পুকুরপাড় বলেছেন: আমরা না বুঝে জিএসপি নিয়ে হায়হুতাশ করতেছি কিন্তু টিকফা দিয়ে যে গোলামীতে আবদ্ধ হচ্ছি তা কেউ ফিকির করেনা ।