![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।
হিমু সমগ্রের দ্বিতীয় খন্ড বের হচ্ছে, আমার আনন্দিত হওয়া উচিত। কিন্তু কেনো জানি আনন্দিত হচ্ছি না, বরং খানিকটা বিষণ্ন বোধ করছি। বার বার মনে হচ্ছে যেদিন আমি থাকবো না, সেইদিন হিমুও থাকবে না। কবরের গভীর অন্ধকারে হিমুকে আমি নিয়ে যাবো।
অথচ এমন তো হবার কথা না । প্রকৃতিতে কিছুই ফুরোয় না। সবকিছু ফিরে আসে। প্রতি বছর আকাশ অন্ধকার করে বর্ষা আসে, ফোটে কদম ফুল। প্রতি মাসে চাঁদ তার জোছনা'র দোকান খুলে বসে । কেউ জোছনা কেনে চড়া দামে এবং কেউ প্রায় বিনামূল্যে পেয়ে যায় ।
প্রকৃতি যেমন সবকিছুই বারবার ফিরিয়ে আনে- সে কি হিমুকেও আবার আনবে ? আগামী দিনের কোনো লেখক কি আবার ও পৃথিবীতে তাকে ফিরিয়ে আনবেন? আবারও সে হেটে বেরাবে পথে পথে?
আহা, সে আসুক । এই ভয়ংকর সুন্দর পৃথিবীতে আমি না থাকলাম, সে থাকুক । তার চোখ দিয়েই আমি আবারও জোছনা দেখবো । তার সঙ্গে ভিজবো বর্ষার নবধারা জলে ।
-হুমায়ুন আহমেদ
১৩ ই নভেম্বর, ১৯৯৭
ধানমন্ডি, ঢাকা।
২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
বিষন্ন একা বলেছেন: হিমু আছে এবং থাকবেও। এমনও দিন আসবে হিমু দর্শন নিয়ে ভবিষ্যতে গবেষনাও হবে । আমি অবশ্যই আশাবাদি
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২০
জর্জিস বলেছেন: এই লোকটার মৃত্যুতে আমি কষ্ট পাইনি, কিন্তু প্রতি ফেব্রুয়ারী মাসে নতুন হিমু হাতে পাব না--এটা এখনও মেনে নিতে পারিনা