![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।
মাঝে মাঝে স্মৃতি নিয়ে নাড়াচাড়া করতে মন্দ লাগে না, একটা ছোট্ট ঘটনা মনে পড়লে তার আশেপাশে ঘটে যাওয়া অনেক কথাই মনে পড়ে যায়।
তোমার যে যৎসামান্য স্মৃতি আমার কাছে আছে তারা আমাকে ঘিরে থাকতে কেন যেন খুব বেশী পছন্দ করে। আমি একটু কল্পনা বিলাসী, কেন
যেন চিন্তা গুলোকে বড় বেশী বাস্তব মনে হয়।
মনে হয় একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে,
একদিন সত্যি বুঝি তোমার আঙুল ছুঁতে পারবো,
একদিন খুব ভোরে তোমার সাথে হেঁটে বেড়াবো,
একটা সারাদিন তোমার পাশে বসে থাকব,
তোমায় ঘিরে আবৃত্তি করব আমার সবচেয়ে প্রিয় কবিতাটা, আমার কণ্ঠস্বরে তীব্র হাহাকার............
একদিন সন্ধ্যার পর বেরিয়ে পড়ব রিকশা নিয়ে,
উত্তাল বৃষ্টিতে রাস্তা দাপিয়ে হেঁটে যাবো আমাদের সেই একান্ত পথটা দিয়ে।
মাঝরাত পর্যন্ত তোমার গল্প শুনব, না হয় চুলটা একটু ধরে দেখলামই......
ছুটির দিয়ে আমার ঘরময় এলোমেলো বইগুলো গোছাবো, তোমার কথা মত প্রত্যেকটা বইতে এবারে মার্ক দেয়া থাকবে। তোমার আঙুলের ছাপ!
আমি একটা একটা করে ছুঁয়ে দেখবো তোমার হাতের রেখা।
তোমার দেয়া একটা স্মৃতিই আমার কাছে আছে।
তোমার একমাত্র অস্তিত্ব, মাঝে মাঝে রাতবিরাতে ঘুম না এলে ওটাকে ছুঁয়ে দেখি। য
দি তোমার একটা কোষ লেগে থাকে সেই আশায় স্পর্শ করি।
যদি তোমার গন্ধ পাওয়া যায় তাই বারবার শুঁকি।
ভালোবাসা যদি উৎসর্গ করে দেয়া যেত গন্ধরাজ ফুলের মত,যদি ছড়িয়ে দেয়া যেত রাজপথে;
তাহলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জলরঙের আলপনাটা দেক্তে ঢাকার ব্যাস্ত পিচঢালা পথে।
যদি ভালবাসতে তবে,
খাতা ছিঁড়ে কবিতাগুলো বিছিয়ে দিতাম তোমার চলার পথে,
অন্যমনস্ক তুমি হেঁটে যেতে তীক্ষ্ণ স্যান্ডেলের শব্দ তুলে।
শতাব্দীর কোমলতম পথটি দিয়ে;
যে পথ চলে গেছে হৃদয় থেকে সরাসরি থ্যালামাসে,
শুনেছি ভালোবাসার জন্ম নাকি সেখানেই............
©somewhere in net ltd.