![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।
গোলাম আযম একটি নাম, একটি আদর্শ, একটি প্রাণের আকুতি, একটি বিস্ময়। যার ডাকে লক্ষ লক্ষ মুমিন মোজাহিদ আলবদর ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ গনহত্যাটি ঘটায়, বিশ্বের সবচেয়ে বেশী ধর্ষণ করে, গু আযম এমন একটি নাম যে তাঁকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি হিসাবে গণ্য করা হয
আমাদের গু কিন্তু অনেক ভালো ছাত্র ছিলেন, এস. এস. সি. পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ত্রয়োদশ স্থান লাভ করেন, আই এ (এইচ.এস.সি.) পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে ঢাকা বোর্ডে দশম স্থান অধিকার করেন।
গুর বাবা মা ভাবত এই ছেলে একদিন অনেক বড় হবে অনেক নাম হবে, অভাব আর থাকবে না ৷ ছেলে তাদের বড় হয়েছিল।
পৃথিবীর বৃহত্তম গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড হয়ে আর কিছু না হোক জাহান্নামে একটা আসন এই বাজারে ঠিক দখল করে ফেলল,
গু সম্পর্কে মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন, যেটা প্রশ্নটা ছাগুদের মুখে মুখে...
"আচ্ছা, কেউ কি গোলাম আযমের বিরুদ্ধে এমন কোন প্রমাণ দিতে পারবে যে,
তিনি কাউকে হত্যা করেছেন বা ধর্ষণ করেছেন?"
"অবশ্যই",
কিন্তু তারপরেও, যদি প্রমাণ নাও থাকত, তাহলে কি প্রমাণ হয়ে যেত, গু ভালা মানুষ; আল্লার ওলি ??
যুদ্ধে সমর নায়করা সরাসরি অংশ নেন না, হিটলার নিজ হাতে মানুষ মেরেছেন এই ঘটনা বিরল।
তাই বলে ৫ মিলিয়ন ইহুদী হত্যার দায় সে এড়াতে পারে না।
হালের বুশ কিংবা টনির কথাই ধরুণ এদের পলিসির কারণে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।
শুধু বন্দুক হাতে মানুষ মারেনি বলে তারা এসব হত্যার দায় থেকে মুক্ত হতে পারে না।
আর গু তো ছিলই পৃথিবীর সেরা কুলাঙ্গার, সে অসংখ্য বাঙ্গালীকে নিধন করতে প্ররোচিত করেছিলেন।
তার প্ররোচনায় অসংখ্য ধর্ষণ হয়। তাই গোলাম আযম অবশ্যই একজন ধর্ষক, একজন খুনি,
৩০ লক্ষ মানুষের ঠাণ্ডা মাথার খুনি।
এত গেল সরল হিসাব, আপনারা কি পাকি প্রধান জেনারেল নিয়াজীর নাম শুনেছেন,
আচ্ছা তার নামে কি সরাসরি হত্যার অ্যালিগেশন পাবেন ?? ভাবছেন, সম্ভবত না।
বড় যুদ্ধতে সমরনায়করা দূর থেকে বসে সিদ্ধান্ত দেয় আর কন্ট্রোল রুমে বাতাস খায়।
কিন্তু এই হারামি নিয়াজী কিন্তু হত্যা, ধর্ষণ সবই করেছিল, যেমন করেছিল গু
নিয়াজী যুদ্ধের পুরোটা সময়ই মদে ডুবে ছিল এবং LT GNE JFR JACOB তার
SURRENDER AT DACCA "BIRTH OF A NATION" বইতে নিয়াজীর নারী নির্যাতনের দিকেও
আলোকপাত করেছেন।
পাকি অনেক জেনারেল তাদের বইতে নিয়াজীর কর্মকাণ্ডের বিবরণ রেখে গেছে,
আমরা জানি একদিন এই নিয়াজীর ও বিচার হবে, হোক মরণোত্তর তবু মানুষ জানুক।
এবার একটু আলো দেই কুলাংগারটার কু-কীর্তির দিকে
*গোলাম আযম বলেছিলেন, পাকিস্তান যদি না থাকে তাহলে জামাত কর্মীদের দুনিয়ায় বেঁচে থেকে লাভ নাই।
(দৈনিক সংগ্রাম/ ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১)
*১৯৭১ সালে গোলাম আযম বলেছিলেন, বাংলাদেশ নামের কিছু হলে আমি আত্মহত্যা করবো।
(নাগরিকত্ব মামলার শুনানীতে এটর্নি জেনারেল/ ভোরের কাগজ, ০৯.০৫.৯৪)
*রাজাকারদের সমাবেশে গোলাম আযম বলেন, কালেমার ঝান্ডা উঁচু রাখার জন্য রাজাকারদের কাজ করে যেতে হবে।
(দৈনিক সংগ্রাম/ ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১)
*দুষ্কৃতিকারীদের ধ্বংস করার কাজে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ সহযোগীতা করছে।
(দৈনিক সংগ্রাম/ ২৭ আগস্ট, ১৯৭১)
*পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিটি মুসলমান নিজ নিজ এলাকার দুষ্কৃতিকারীদের তন্ন তন্ন করে তালাশ করে নির্মূল করবে।
(দৈনিক সংগ্রাম/ ১২ আগস্ট, ১৯৭১)
*দুষ্কৃতিকারীদের মোকাবেলা করার উদ্দেশ্যে দেশের আদর্শ ও সংহতিতে বিশ্বাসী লোকদের হাতে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য আবেদন করছি।
(দৈনিক সংগ্রাম/ *তারিখ পাওয়া যায়নি, ১৯৭১)
*১৬ অক্টোবর ১৯৭১, বায়তুল মোকারমে তৌহিদী জনতার এক সভায় গোলাম আযম বলেন, তথাকথিত বাংলাদেশের আন্দোলনের ভূয়া শ্লোগানে কান না দিয়ে পাকিস্তানকে নতুনভাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।
(দৈনিক পাকিস্তান/ ১৭ অক্টোবর, ১৯৭১)
*গোলাম আযম বলেন, কোন ভাল মুসলমানই তথাকথিত বাংলাদেশের আন্দোলনের সমর্থক হতে পারে না। রাজাকাররা খুব ভাল কাজ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন
(দৈনিক সংগ্রাম/ ০২ অক্টোবর, ১৯৭১)
*বর্তমান মুহুর্তে আক্রমণাত্মক ভূমিকা গ্রহন করাই হবে দেশের জন্য আত্মক্ষার সর্বোত্তম ব্যবস্থা।
(দৈনিক সংগ্রাম/ ২৪ নভেম্বর, ১৯৭১)
*গোলাম আযম বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে জামাতে ইসলামের কর্মীরা বেশীরভাগ রেজাকার, আলবদর, আল শামস বাহিনী গঠন করে মুক্তিবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করছে এবং প্রাণ দিচ্ছে। এখানে জামাতের অবদানই বেশী সুতরাং পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হলে জামায়েত থেকেই হতে হবে।
( বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস, চতুর্থ খন্ড, মুক্তিযুদ্ধ পর্ব)
*১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত গোলাম আযম সব মিলিয়ে ৭ বার সৌদি বাদশা ফয়সলের সঙ্গে দেখা করেন। প্রতিটি বৈঠকেই তিনি সৌদি বাদশাহকে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে এই সময়কাল জুড়ে বাংলাদেশকে কোন প্রকার আর্থিক ও বৈষয়িক সাহায্য সহযোগীতা না করার জন্য মুসলিম দেশগুলোকে প্ররোচিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করেন।
( ভোরের কাগজ, ১১.০৩.৯২)
সব শেষে তার হাতে হত্যার গল্পঃ
কুমিল্লার হোমনা থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের সিরু মিয়া একাত্তরে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় দারোগা (সাব-ইন্সপেক্টর) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ২৮ মার্চ তিনি স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও ১৪ বছরের ছেলে আনোয়ার কামালকে নিয়ে কুমিল্লার নিজ বাড়িতে যান। সেখানে সিরু মিয়া শরণার্থীদের ভারতে যাতায়াতে সাহায্য করতেন।
২৭ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে কসবা থানার তন্তর চেকপোস্টের কাছে সিরু মিয়া ও তার ছেলেসহ ছয়জন ভারতে যাওয়ার সময় রাজাকারদের হাতে ধরা পড়েন। তাদের রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে কয়েক দিন নির্যাতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। স্বামী-সন্তানের ধরা পড়ার খবর পেয়ে সিরু মিয়ার স্ত্রী গোলাম আযমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সিরু মিয়ার ভগ্নিপতি ছিলেন গোলাম আযমের দুই ছেলে আজমী ও আমীনের শিক্ষক। তিনি গোলাম আযমের কাছে সিরু মিয়া ও তার ছেলেকে মুক্তি দিতে অনুরোধ জানান।
গোলাম আযম ব্রাহ্মণবাড়িয়া শান্তি কমিটির নেতা পেয়ারা মিয়ার কাছে একটি চিঠি পাঠান, যাতে সিরু মিয়া ও তার ছেলেকে হত্যার নির্দেশ ছিল। চিঠি পাওয়ার পর ঈদের দিন রাতে সিরু মিয়াসহ ৩৯ জনকে পাকিস্তানি সেনারা রাজাকার ও আলবদরদের সহযোগিতায় কারাগার থেকে বের করে নিয়ে পৈরতলা রেলব্রিজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে ৩৮ জন মারা গেলেও একজন প্রাণে বেঁচে যান।
আর এই গল্পের প্রমাণ হয়ে সাক্ষ্য দেন আমাদের দেশের বরেন্য বুদ্ধিজীবী আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল
ট্রাইব্যুনালে দেয়া জবানবন্দিতে আহমেদ ইমতিয়াজ বলেন, একাত্তরে তিনি আজিমপুরের ওয়েস্ট অ্যান্ড হাইস্কুলে দশম শ্রেণীতে পড়তেন। ২৭ মার্চ কারফিউ শিথিল হলে তিনি বাইসাইকেল নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, পলাশী ফায়ার সার্ভিস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ, রোকেয়া হল ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের চারদিকে ঘুরে অসংখ্য লাশ দেখেন। তখন সিদ্ধান্ত নেন, এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেবেন। বিকেলে তিনি এক বিহারির বাসা থেকে বন্দুক ছিনতাই করেন এবং কয়েকজনকে নিয়ে ছোট একটি দল গড়েন। দলের প্রধান করা হয় সজীবকে। তাঁরা বেশ কয়েকজন বিহারির বাসা থেকে অস্ত্র ছিনতাই করেন এবং জিঞ্জিরায় প্রথম ক্যাম্প করেন। ২৯ অক্টোবর তিনি সহযোদ্ধা মানিক, মাহবুব ও খোকাকে নিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাঝামাঝি তন্তর চেকপোস্টের কাছে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের হাতে ধরা পড়েন। তারা তিন ঘণ্টা তাঁদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়ার পর তাঁদের আলাদা করা হয়। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তানি ক্যাপ্টেন আলী রেজার কাছে। আলী রেজা তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। পরে আবার চারজনকে একত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে পাঠানো হয়।
আহমেদ ইমতিয়াজ বলেন, কারাগারে অন্য বন্দীদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সমবয়সী কামাল এবং তাঁর বাবা সিরু মিয়া, নজরুল, কুমিল্লার বাতেন, শফিউদ্দিনসহ আরও অনেকে। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি প্রদর্শনী ৪৯৬-এর তিনটি ছবি দেখালে সাক্ষী সিরু মিয়া ও কামালকে শনাক্ত করেন। তিনি বলেন, ওই কারাগারে তখন সম্ভবত ৫৫ জন মুক্তিযোদ্ধা বন্দী ছিলেন। তাঁরা ধরা পড়ার দুই দিন আগে তন্তর চেকপোস্টে ধরা পড়েন নজরুল, সিরু মিয়া ও কামাল। কারাগার থেকে তাঁদের নিয়মিত দানা মিয়ার বাড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হতো। দানা মিয়ার বাড়িতে তিনি কুখ্যাত পেয়ারা মিয়াকে দেখেন।
রাষ্ট্রপক্ষের এই সাক্ষী বলেন, ঈদের দিন সন্ধ্যার একটু পর কারাগারের ফটক খুব শব্দ করে খুলে পাকিস্তানি সেনারা ঢোকে। তারা চিৎকার করে বন্দীদের সারিবদ্ধ হওয়ার নির্দেশ দেয়। পাকিস্তানি ক্যাপ্টেন আলী রেজা, ব্রিগেডিয়ার সাদউল্লাহ আঙুল দিয়ে ইশারা করে ৪৩ জনকে আলাদা করে। পরে তিনজনকে বাদ দিয়ে ৪০ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় বিভিন্ন বন্দীর কথা বলতে গিয়ে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘নজরুল ভাইকে আমি জিজ্ঞাসা করি, “ভাই, আপনি তো আমাকে পালিয়ে যেতে দিলেন না।” তিনি সিগারেট টানছিলেন, কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বলেন, “আমার লুঙ্গিটা আমার মায়ের কাছে পৌঁছে দিস। আর এই সিগারেটের টুকরাটি।” কামালের বাবা সিরু মিয়া অঝোরে কাঁদছিলেন আর বলছিলেন, “ওর মায়ের তো আর কেউ থাকল না রে।” তখন কামাল আমাকে বলে, “বুলবুল, কোনো দিন যদি আমার মাকে দেখিস, তবে মনে করবি, ওইটা তোর মা।” নজরুল ভাই বলেছিলেন, “যখনই কোনো পাকিস্তানি সেনা দেখবি, মাথায় একটি করে গুলি করবি।” বাতেন ভাই তাঁর গায়ের চাদর আমাকে দিয়েছিলেন। সেই চাদর দিয়ে আমি তৎক্ষণাৎ প্রত্যেকের চোখের পানি মুছে দিয়েছিলাম।’
আর বুদ্ধিজীবী হত্যার বুদ্ধিটাও পাকিদের মাথায় ঢুকিয়েছিলো এই জারজই.........
অধ্যাপক গোলাম আজম বুদ্ধিজীবী হত্যারও অন্যতম নায়ক। ৭১ সনের সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে রাও ফরমান আলীর সঙ্গে এক বৈঠকে অধ্যাপক আজম বুদ্ধিজীবী নিধনের একটা নীল নকসা পেশ করেন। সে নীল নকসা অনুযায়ীই পরবর্তীকালে অর্থাৎ ডিসেম্বর মাসে বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। নীল নকসা প্রণয়নে আবদুল খালেক, ব্যারিস্টার কোরবান আলী, অধ্যাপক ইউসুফ আলী, আব্বাস আলী খান প্রমুখ জামাত নেতারা জড়িত ছিলেন। স্বাধীনতার পর বুদ্ধিজীবী হত্যা সম্পর্কিত যে দলিলপত্র পাওয়া যায় তাতে স্পষ্ট করে নির্দেশ ছিল : পূর্ব পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখা হয়ত সম্ভব হবে না। তবে একটা কাজ করতে হবে এখানকার সব বুদ্ধিজীবী, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী, ডাক্তারকে চিরতরে ‘শেষ’ করে দিতে হবে যাতে পাকিস্তান হারালেও তারা দেশ চালাতে না পারে। অধ্যাপক আজম এই নীল নকসা বাস্তবায়নের জন্য তার দলীয় ক্যাডার অর্থাৎ আলবদর ও আল-শামসকে নির্দেশ দেন। এলাকাও ভাগ করে দেয়া হয়। ১৯৭২ সনের জানুয়ারী মাসে যে কয়জন আল-বদর নেতাকে গ্রেফতার করা হয় তাদের কাছ থেকে নীল নকসার বেশ কিছু দলিলপত্র উদ্ধার করা হয়। সে দলিলের একটা অংশ নিম্নরূপ : ‘নিম্নলিখিত ব্যক্তিদেরকে ধরে এনে হত্যা করতে হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেয়া যেতে পারে। যদি কেউ আত্মগোপন করে থাকে তাহলে তার পরিবারের কাউকে ধরে এনে এমনভাবে অত্যাচার চালাতে হবে যাতে করে পলাতক ব্যক্তির সন্ধান মেলে।’ আরবীতে লেখা একটা নির্দেশ নামায় ছিল : ‘মনে রাখবেন, দুষ্কৃতিকারীরা যদি দেশে ঢুকে পড়ে তাহলে রেহাই পাবেন না। তাই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য জীবন বাজি রেখে লড়াই চালিয়ে যান।’ নভেম্বর মাসে জামাতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এক প্রচারপত্রে বলা হয়েছিল : শত্রু আশেপাশেই রয়েছে তাই খুব সতর্কতার সঙ্গে কাজ চালাতে হবে। আল-বদরদের এক সমাবেশে জনৈক জামাত নেতা বলেন : আপনারা পাকিস্তান টিকিয়ে রাখার জন্য কেবল যুদ্ধ করছেন না, এ যুদ্ধ ইসলামের। নমরুদদের হাত থেকে মাতৃভূমিকে রক্ষার জন্য আমাদের আমীর গোলাম আজমের নির্দেশ পালন করুন।
ঘৃণা প্রকাশের আর ভাষা পাই না তাই ধার করলাম শামসুর রাহমানের কাছে থেকে
অভিশাপ দিচ্ছি
শামসুর রাহমান
না আমি আসিনি
ওল্ড টেস্টামেন্টের প্রাচীন পাতা ফুঁড়ে,
দুর্বাশাও নই,
তবু আজ এখানে দাঁড়িয়ে এই রক্ত গোধূলিতে
অভিশাপ দিচ্ছি।
আমাদের বুকের ভেতর যারা ভয়ানক
কৃষ্ণপক্ষ দিয়েছিলো সেঁটে
মগজের কোষে কোষে যারা
পুঁতেছিল আমাদেরই আপন জনেরই লাশ
দগ্ধ, রক্তাপ্লুত
যারা গণহত্যা করেছে
শহরে গ্রামে টিলায় নদীতে ক্ষেত ও খামারে
আমি অভিশাপ দিচ্ছি নেকড়ের চেয়েও অধিক পশু
সেই সব পশুদের।
ফায়ারিং স্কোয়াডে ওদের
সারিবদ্ধ দাঁড় করিয়ে
নিমেষে ঝাঁ ঝাঁ বুলেটের বৃষ্টি
ঝরালেই সব চুকেবুকে যাবে তা আমি মানি না।
হত্যাকে উৎসব ভেবে যারা পার্কে মাঠে
ক্যাম্পাসে বাজারে
বিষাক্ত গ্যাসের মতো মৃত্যুর বীভৎস গন্ধ
দিয়েছে ছড়িয়ে,
আমি তো তাদের জন্য অমন সহজ মৃত্যু
করি না কামনা।
আমাকে করেছে বাধ্য যারা
আমার জনক জননীর রক্তে পা ডুবিয়ে দ্রুত
সিঁড়ি ভেঙ্গে যেতে
ভাসতে নদীতে আর বনেবাদাড়ে শয্যা পেতে নিতে,
অভিশাপ দিচ্ছি, আমি সেইসব দজ্জালদের।
অভিশাপ দিচ্ছি ওরা চিরদিন বিশীর্ণ গলায়
নিয়ত বেড়াক বয়ে গলিত নাছোড় মৃতদেহ,
অভিশাপ দিচ্ছি
প্রত্যহ দিনের শেষে ওরা
হাঁটু মুড়ে এক টুকরো শুকনো রুটি চাইবে ব্যাকুল
কিন্তু রুটি প্রসারিত থাবা থেকে রইবে
দশ হাত দূরে সর্বদাই।
অভিশাপ দিচ্ছি
ওদের তৃষ্ণায় পানপাত্র প্রতিবার
কানায় কানায় রক্তে উঠবে ভরে, যে রক্ত বাংলায়
বইয়ে দিয়েছে ওরা হিংস্র
জোয়ারের মত।
অভিশাপ দিচ্ছি
স্নেহের কাঙ্গাল হয়ে ওরা
ঘুরবে ক্ষ্যাপার মতো এপাড়া ওপাড়া,
নিজেরি সন্তান
প্রখর ফিরিয়ে নেবে মুখ, পারবে না
চিনতে কখনো;
অভিশাপ দিচ্ছি এতোটুকু আশ্রয়ের জন্য, বিশ্রামের
কাছে আত্মসমর্পণের জন্যে
দ্বারে দ্বারে ঘুরবে ওরা। প্রেতায়িত
সেই সব মুখের উপর
দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে পৃথিবীর প্রতিটি কপাট,
অভিশাপ দিচ্ছি।
অভিশাপ দিচ্ছি,
অভিশাপ দিচ্ছি...
রেফারেন্সঃ
*http://bn.wikipedia.org/wiki/গোলাম_আযম
*http://www.amarblog.com/bangadarpan/posts/142372
*http://www.somewhereinblog.net/blog/teri/29618338
*http://www.somewhereinblog.net/blog/blogesttowhid/29057733
*http://www.somewhereinblog.net/blog/heslaseba/29778227
*http://www.facebook.com/MASIKBAZAR/posts/294337907360647
*http://www.amarblog.com/hasibulsingapur/posts/165126
*http://www.somewhereinblog.net/blog/mahatab007/29818817
*http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-03-18/news/295324
*http://www.crimebarta.com/2012/10/12/সিরু-মিয়া-মুক্তির-বিষয়/
*http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?
*http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-03-29/news/14
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
নাইট বার্ড বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট, ভালো লাগলো
৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৩
সেফানুয়েল বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তিনি ধর্ষণ না করলেও সকল ধর্ষণ নির্যাত নিপীড়নের হোতা।তার কোন ক্ষমা নাই।