![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।
মেয়েটা অভিমানে প্রায় কেঁদে ফেলবে, চোখে পানি টলটল করছে,
"ভাইয়া, আমি আজকে অবশ্যই কেঁদে ফেলব না ......"
কথাটা বলতে বলতেই বাধ আর আটকানো গেল না, কয়েক ফোঁটা গড়িয়ে পড়ল শ্যামল গাল বেয়ে।
এর আগেও মেয়েটা একদিন কেঁদে ফেলেছিল, সুব্রত কিছুই বলতে পারেনি। ভেবেছিল অনধিকার চর্চা হবে, তার মনে সম্ভবত টিউশনীটা হারানোর ভয়ও কাজ করেছিল খানিকটা। তবে আজকের কথা আলাদা, আজকের সুব্রত সেদিনের সুব্রত'র চেয়ে অনেক আলাদা।
এরই মাঝে একটা জলজ্যান্ত প্রেম করে ফেলেছে সে।
অনেকটা অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার এই বাসায়, সে ভালো করেই জানে এই চোখে বাড়াবাড়ি কাজল দেয়া মেয়েটাকে তার খুশী রাখতে হবে। অন্তত সে যতক্ষণ এই বাসায় আছে বাসার নরকাগ্নি যেন মেয়েটাকে স্পর্শ না করতে পারে।
সুব্রত টুকটাক কথা চালায়, দু একটা বস্তা পচা জোক দুর্বল ভাবে বলার চেষ্টা করে। খুব একটা লাভ হয় না,
তবু মেয়েটা তাকে নিরাশ করে না। হাসির জায়গা গুলোকে আস্তে করে হাসে,
হাসতেও ভুলে গেছে এই মেয়ে !!!
মেয়েটাকে বাবা-মা এক রকম বেঁধে রেখেছে ওকে। ঘর থেকে বের হতে দেয় না, কারো সাথে মিশতে দেয় না, ঘুরতে দেয় না এমনকি কলেজের স্যারদের কাছে পড়তে পর্যন্ত দেয় না।সুব্রত নিজের শৈশবের কথা চিন্তা করে মেয়েটার জন্য বুকের ভেতরে ক্যামন যেন একটা হাহাকার অনুভব করে।
সুব্রত খুব সজতনে হাহাকার টুকু সরিয়ে মেয়েটার চোখের দিকে টাকায়, চোখাচোখি হলে দুজনেই হেসে ওঠে। যেন দুজনের মাঝে একটা সীমারেখা টানা আছে, আর চোখাচোখি হলো সীমারেখার শেষটা।এই মেয়েটার জন্য সুব্রতর খানিকটা সহানুভুতি হয়। সমাজের সবচেয়ে উঁচু তলায় থেকে সর্বোচ্চ জীবন যাপন করেও এরা কি নির্মম বন্দি।
আচ্ছা মেয়েটার হাসির প্রশংসা কি কেউ কোনদিন করবে না ?
কেউ কি হাত চেপে একটা নীল খাম গুঁজে দেবে না ?
মেয়েটার জন্য শুধু খানিকটা করুনা মেশানো সহানুভূতিই আছে ওর কাছে, আর ভালোবাসা ?
কবেই ফুরিয়ে গেছে। সবটুকু গ্যাছে তার নন্দিনীর কাছে, আর খানিকটা বেনসন লাইটের প্যাকেটে।
সুব্রত মনে মনে ভাবে,
আমার ভালোবাসা শুধু একজনের জন্য, হৃদয় নিংড়ানো বাতাসে স্নান করবে একজনই,
আমার জোছনায় সাঁতার কাটবে একজনই, আমার ভাবনায় প্রবেশাধিকার একজনেরই,
অন্য কেউ এলে বলব;
"আরো আগে আসো নাই কেন তুমি ?"
২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২২
ঘুম_পরী বলেছেন: ভালো লিখেছেন
৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১
আমিনুর রহমান বলেছেন:
সুন্দর +++
৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৪
নূর আদনান বলেছেন: "আরো আগে আসো নাই কেন তুমি ?"
ভাল লগল