![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।
আমি মানুষের পোশাকের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।
একজন মানুষের যেমন কোট-টাই স্যুটেড বুটেড হয়ে কচুক্ষেত বাজারে মাছ কেনার অধিকার আছে,ঠিক তেমনি আছে গ্যেঞ্জি আর ট্রাউজার পরে মার্সিডিজ কেনার অধিকার।
একটা মেয়ের যেমন শাড়ি কিংবা সেলোয়ার কামিজ পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে আসতে পারে তেমনি আসতে পারে হিজাব করে, আপাদমস্তক বোরখায় ঢেকে।
এটা তার একান্তই ব্যাক্তিগত ইচ্ছা, শুধু দেখার বিষয় শাড়ি কিংবা বোরখা তাকে জোর করে পরানো হচ্ছে কি না। সে যদি নিজের ইচ্ছায় পরে, এই দেশে কারো অধিকার নেই তাকে এটা করতে বাঁধা দেয়ার।
আজকাল একটা ট্রেন দেখা যায় হিজাবী মেয়েদের আমরা মনে করি ব্যাকডেটেড, মৌলবাদী, বোকাসোকা। আমরা বোঝানোর চেষ্টা করি
"তুমি মিয়া হিজাব করো, এই জটিল দুষ্কর কর্ম তোমারে দিয়া হইব না।"
"হ্যালো মিয়া ভাই, হিজাব মানুষের আই কিউতে কোন প্রভাব রাখে না, খুব খিয়াল কইরা..."
দেশের ৮৫ ভাগ মানুষ মুসলমান, আর তাদের অর্ধেক মেয়ে।
একটা মেয়ে যদি মনে করে হিজাব তাকে প্রোটেকশন দিচ্ছে তাহলে অবশ্যই এবং অবশ্যই সে হিজাব করবে।
আমার খুব পরিচিতজনের কাছে হিজাব নিয়ে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা শুনী, আজকের ঘটনা শুনে আর চুপ করে থাকা গেল না।
আমার সেই পরিচিতজন গেলেন শহরের এক নামীদামী কলেজে ইন্টারভিউ দিতে, এবং অবশ্যই আপাদমস্তক হিজাব পরিহিতা। বোর্ড থেকে তাকে জানানো হল যে, তিনি নির্বাচিত কিন্তু সমস্যা হলো তাদের প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ।
তবে তিনি যদি একটু কম্প্রোমাইজ করেন, অর্থাৎ হিজাবটা খুলে মানুষ হয়ে আসেন তাহলে হয়ত আজকেই জয়েন করতে পারবেন।
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে শ্রেষ্ঠ ফলাফল নিয়ে আসা আমার সেই পরিচিতাটি
তার আত্মসম্মান কেই বেছে নিলেন বরাবরের মত।
মুখের ওপর এক কথায় না বলে আসলেন।
তার কথায় কর্তৃপক্ষ প্রচণ্ড অবাক হলেন,
এ চাকরির জন্য অনেকেই এক পায়ে খাড়া।
কিন্তু তারা মোটেও অপমানিত বোধ করলেন না,
তিনি যে সেই লোকগুলোর মুখে ঘুষি মেরে এসেছেন
সেটা তারা সম্ভবত এখনও বুঝতে পারে নি......
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪১
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: হিযাব মেয়েদেরকে অনেক অপ্রীতিকর অবস্থা থেকে রক্ষা করে এতে কোন সন্দেহ নেই। একটি মুসলিম দেশে মেয়েদের হিযাব পালন করাই উচিত এবং মেয়েরা যদি স্বেচ্ছায় হিযাব করে তবে তাকে কোন অবস্থাতেই নিরুৎসাহিত করা উচিত নয়। বরং তাকে এজন্য প্রশংসিত করা উচিত। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে হিযাব করা হলে অনেক সময়ই মেয়েদেরকে মৌলবাদী মনে করা হয়। এ প্রসঙ্গে হিসলা সিবা যা বলেছেন তা চরম সত্য। কামনা করি আমাদের দেশের মানুষের মন মানসিকতার দ্রুত পরিবর্তন হোক এবং মেয়েদের স্বাধীনভাবে হিযাব পালন করাকে সম্মানের চোখে গ্রহণ করা হোক।
৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০২
মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: আমার এক বড় ভাই একটা নামকরা কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিলে টিকে সে সব সময় পাঞ্জাবি টুপি পড়ত এবং দাড়ি ছিল। তাকে বলা হয়
পাঞ্জাবি পড়া চলবে না এবং ইন করে অফিসে আসতে হবে ।
সে ওই চাকরি তৎক্ষণাৎ প্রতখ্যান করে।
হায়রে কর্পোরেট...হায়রে স্মার্টনেস...
+++
৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০১
সেফানুয়েল বলেছেন: ভাইজান উল্টো ঘটনাও আছে। অনেক সময় অন্য ধর্মাবলম্বী বোন দেরকেও শাড়ীর উপর ওড়না পরতে বাধ্য করা হয় এবং মাথায় কাপড় থাকতে হবে বিশেষ করে গ্রামের স্কুল গুলোতে। যদিও তারা শালীনতার সাথেই শাড়ী পরেন। কিন্তু যদি শাড়ীর উপর যদি ওড়না না থাকে তাহলে শুরু হয় খোটা.।
৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: সম্পূর্ণ একমত।
শুনেছিলাম পেপসিকোর বর্তমান সিইও ঈন্দ্রা নয়ি নাকি পেপসিতে শাড়ি পড়ে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন। আর আমাদের দেশে হিজাব পড়ে বলে আমরা তাকে আলাদা চোখে দেখি। হায়রে বাঙালী। সব কিছু নিয়ে এত বাড়াবাড়ি !!!
৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪
হিসলা সিবা বলেছেন: আমি নিজেও বোরখা পোশাকটা পছন্দ করি না,
তবে আমার পছন্দ আমি অন্য কারো উপরে চাপিয়ে দিতেও পারি না।
৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
আহমাদ জাদীদ বলেছেন: "তাদের প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ ।"
ইয়াবা খাওয়া নিশ্চয়ই সিদ্ধ...... বদমাইশের দলকে চাবকানো উচিত ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: আল্লাহ সেই বোনটিকে এর চেয়ে সম্মানজনক স্থানে সম্মানে থাকার ব্যবস্থা করুক