![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।
দুই দিন ধইরা খুব বিম্পিরে পুঙ্গা মারলাম,
অনেকে ভাইবা বইসা আছেন হালায় নিশ্চিত হাম্বালিগের পেইড দালাল...
ছাত্রলীগ,যুবলীগের বড় বড় পুস্ট থেইকা বেশ কয়েকটা ফেরেন্ড রিকুও পাইলাম...
এবার একটু স্বলেহন তথা হাম্বালেহন করি।
জাতীয় সংগীত নিয়া আমার অবস্থান আমি পরিস্কার করসি, ইসলামি ব্যাংকের টাকা দিয়ে করা অনুষ্ঠানে আমি আমার মূল্যবান হাগুমুতুও নষ্ট করি না। একজন ষুষিল ইনবক্স করিলেন "সরকার তো টাকা ফিরাইয়া দিয়াছে..." বলিলাম, সরকার টাকা ফিরাইয়া দেয় নাই ভ্রাতে; ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করিয়েছে মাত্র। সরকার এমনই এক যন্ত্র যে উহার ভেতরে কিছু প্রবেশ করিলে তাহা আর ফিরিয়া আসেনা রে পাগলা।
এক গামলা দুধে যেমন একফোঁটা লেবু দিলেই কেল্লা ফতে। নষ্ট দুধ হইতে আর সেই লেবুর রস তুলিয়া লওয়া যায় না। ঠিক তেমনিই ৯০ কোটি টাকার মধ্যে ইস্লামি ব্যাঙ্কের টাকাও মিলিয়া মিশিয়া একাকার হইয়া গিয়াছে। সেই টাকা আর অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়াও উদ্ধার করা সম্ভব নহে। সেই দুধ খাইয়া ফল কি আপ্নারা পান নাই ? হাজার শিশুর জীবন বাঁচানোর জন্য কতই না সরকারী সেলাইন দেখিলাম শেষ তক সরকারকে "ইবনে সিনার" স্যালাইন খাইওয়া চ্যাতনার ব্যাবসা করা লাগিলো।
তখন কিচ্ছু লিখি নাই, পাছে কি লিখিতে গিয়া কি লিখিয়া ফ্যালি, জাতীয় সংগীতের অবমাননা না হইয়া যায়। চুপচাপ দেখিয়াছি। শুধু দেখিয়াছি।
দেখিলাম আমার সাধের জাতীয় জাতীয় সংগীত গাইবার অনুষ্ঠানের পুরোটাই আয়োজন করিলো দেশ বিরোধী এশিয়াটিক, যারা দেশের খনিজ সম্পদ বিনামূল্যে বিদেশীদের হাতে তুলে দিতে বদ্ধ পরিকর। আহারে... তেল গ্যাস বন্দর রক্ষা কমিটির ডাকে কত না মিছিল মিটিং করিলেন কতনা ঈশটেটাস দিলেন এই শয়তানদের বিরুদ্ধে। জামাত আর কি শয়তানী করে। ইহারা তো আরও বড় শয়তান।
তারপর আরেকবার স্যালাইনে আসি। সাধের গনজাগরন মঞ্চ থেইকা লিফ্লেট বাইর করলাম, "জামাতের প্রতিষ্ঠান বর্জন করুণ" প্রথম প্রতিষ্ঠান ইস্লামি ব্যাঙ্ক তারপরেই ইবনে সিনা। নিজেরাই বর্জনের ডাক দিয়া নিজেরাই মাগনা খাইলেন। এক বড় ভাই কইল আর কেউ দেয় নাই হ্যারা দিসে... প্রব্লেম কি...?
ধর এক্সিডেন্ট করসো ইবনে সিনার সামনে... যাইবা না... ?
এটাই রে ভাই।
যাবো না...
এক্সিডেন্ট করে মরে যাই...
তারপরেও দুই লক্ষ ধর্ষিতাকে আরও আর্তনাদ দিয়ে ইবনে সিনায় চিকিৎসা নেবো না...
তেষ্টায় মরে যাবো তবু ইবনে সিনার স্যালাইন গুলে খাবো না...
কত বুদ্ধিজীবী একফোঁটা পানি চাইসিলো... দেয় নাই...
সেই শুকরেরা দেয় নাই...
ইবনে সিনার মালিক মির কাসেম আলী। বুদ্ধিজীবী হত্যার মাস্টার মাইন্ড...
কিচ্ছু ভুলি নাই...
আসাদ শেষবার ভাত খাইতে পারে নাই দেইখা তার মা আর জীবনে ভাত খায় নাই...
আমার ভেইনেও তো এই রক্ত...
আমিও পারমু...
হাজার হাজার মাইয়া নিসস...
টাকার লোভ দেখাইয়া গার্মেন্টসের মাইয়া...
দুই নাম্বারের লোভ দেখাইয়া ভার্সিটির মাইয়া...
নিজের ঘরের হিংস্র পোলাপাইনরে আটকাস নাই ক্যান...
আমার বইন কান্দে ক্যান... ??? হাসিনা জবাব দে...
ঢাকা ভার্সিটির যেইসব মেয়েরা হলে এসে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলো তাদের জোর কইরা শিবির ট্যাগ দিলি...
একটু লজ্জাও করে না। নিরাপত্তা দিতে না পারলে ডাকলি ক্যান...??
নিজের আত্মীয় হ্যারেস না হইলে হয়ত আমিও বিশ্বাস করতাম না কাদের দেশে বার করতেসি...
ইন্ডিয়ার নির্মলবাবা টাইপ ছাগু-পাগুদের প্রোগ্রামেও ৪-৫ লাখ লোক হয়। সেখানে এমন হয় না।
চীন চাইলে এক কোটি মানুষ একত্র করতে পারে এক দিনের নোটিশে।
তিন মাস ধইরা আমেরিকার দালাল নূর, যাকের, আফজালরা কোটি কোটি টাকা খাইয়া নিজের মেয়েদের সম্মান রক্ষা করতে পারে না।
কিসের রেকর্ড।
সর্বহারাদের একটা স্লোগান আছে,
"যেই রাষ্ট্র শ্রমিক মারে সেই রাষ্ট্র ভেঙে দাও..."
নারী প্রধানমন্ত্রীর হাতে চলেও যেই রাষ্ট্র প্রকাশ্য দিবালোকে হাজার হাজার নারীর নিরাপত্তা দিতে পার না
সেই রাস্ট্র রেখে লাভ কি...
আর জাতীয় সংগীত... অনেক পরের কথা..
©somewhere in net ltd.