নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টুকরো কথা

হিসলা সিবা

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ট্রাকের চাকার নিচে ফেটে যাওয়া দিপালী সাহার হৃদপিন্ডকে যারা ভ্যালেন্টাইন-বেলুন বানিয়ে বেচে দ্যায়, অথবা যাদের শুধুমাত্র শরৎবাবুই কাঁদাতে পারেন, একমাত্র গোপাল ভাঁড়ই হাসাতে পারে- সেই নিথর স্বাভাবিকতায় মৃত মানুষদের ব্যবচ্ছেদ ঘটে এক নীল ক্লিনিকে।

হিসলা সিবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

...খেলার সাথে রাজনীতি ক্যান এঞ্জয় দ্যা গেই্ম...

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩১

....... এরপর উলঙ্গ মেয়েদের গরুর মতো লাথি মারতে মারতে, পশুর মতো পিটাতে পিটাতে ওপরে হেডকোয়ার্টারে দোতলা, তেতলা ও চারতলায় উলঙ্গ অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। পাঞ্জাবি সেনারা চলেযাওয়ার সময় মেয়েদেরকে লাথি মেরে আবার কামরার ভেতর ঢুকিয়ে তালা বন্ধ করে চলে যেত। এরপর বহু যুবতী মেয়েকে হেডকোয়ার্টারের ওপর তলায় বারান্দায় মোটা লোহার তারের ওপর চুলের সাথে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয় প্রতিদিন পাঞ্জাবিরা সেখানে যাতায়াত করত। সেই ঝুলন্ত উলঙ্গ যুবতীদের, কেউ এসে তাদের উলঙ্গ দেহের কোমরের মাংস ব্যাটন দিয়ে উন্মত্তভাবে আঘাত করতে থাকত, কেউ তাদের বক্ষের স্তন কেটে নিয়ে, কেউ হাসতে হাসতে তাদের যৌনিপথে লাঠি ঠুকিয়ে আনন্দ উপভোগ করত, কেউ ধারালো চাকু দিয়ে কোনো যুবতীর পাছার মাংস আস্তে আস্তে কেটে আনন্দ উপভোগ করত, কেউ উঁচু চেয়ারে দাঁড়িয়ে উন্মুক্ত বক্ষ মেয়েদের স্তনে মুখ লাগিয়ে ধারালো দাঁত দিয়ে স্তনের মাংস তুলে নিয়ে আনন্দে অট্টহাসি করত......







......... প্রতিদিন এভাবে বিরামহীন প্রহারে মেয়েদের দেহের মাংস ফেটে রক্ত ঝরছিল, মেয়েদের কারও মুখের সম্মুখের দিকে দাঁত ছিল না, ঠোঁটের দু’দিকের মাংস কামড়ে, টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল, লাঠি ও লোহার রডের অবিরাম পিটুনিতে প্রতিটি মেয়ের আঙুল, হাতের তালু ভেঙে, থেতলে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এসব অত্যাচারিত ও লাঞ্ছিত মহিলা ও মেয়েদের প্রস্রাব ও পায়খানা করার জন্য হাতের ও চুলের বাঁধন খুলে দেওয়া হতো না একমুহূর্তের জন্য। হেডকোয়ার্টারের ওপরতলায় বারান্দায় এই ঝুলন্ত উলঙ্গ মেয়েরা হাত বাঁধা অবস্থায় লোহার তারে ঝুলে থেকে সেখানে প্রস্রাব-পায়খানা করত......







......উন্মত্ত পাঞ্জাবি সেনারা এই নিরীহ বাঙালি মেয়েদের শুধুমাত্র ধর্ষণ করেই ছেড়ে দেয় নাই আমি দেখলাম পাকসেনারা সেই মেয়েদের ওপর পাগলের মতো উঠে ধর্ষণ করছে আর ধারালো দাঁত বের করে বক্ষের স্তন ও গালের মাংস কামড়াতে কামড়াতে রক্তাক্ত করে দিচ্ছে, ওদের উদ্যত ও উন্মত্ত কামড়ে অনেক কচি মেয়ের স্তনসহ বক্ষের মাংস উঠে আসছিল, মেয়েদের গাল, পেট, ঘাড়, বক্ষ, পিঠের ও কোমরের অংশ ওদের অবিরাম দংশনে রক্তাক্ত হয়ে গেল। যে-সকল বাঙালি যুবতী ওদের প্রমত্ত পাশবিকতার শিকার হতে অস্বীকার করল দেখলাম তৎক্ষণাৎ পাঞ্জাবি সেনারা ওদের চুল ধরে টেনে এনে স্তন ছোঁ মেরে টেনে ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে ওদের যৌনি ও গুহ্যদ্বারের মধ্যে বন্দুকের নল, বেয়নেট ও ধারালো ছুরি ঢুকিয়ে দিয়ে সেই বীরাঙ্গনাদের পবিত্র দেহ ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছিল......





......অনেক পশু ছোট ছোট বালিকার ওপর পাশবিক অত্যাচার করে ওদের অসার রক্তাক্ত দেহ বাইরে এনে দু’জনে দু’পা দু’দিকে টেনে ধরে চড়চড়িয়ে ছিঁড়ে ফেলে দিল, আমি দেখলাম সেখানে বসে বসে, আর ড্রেন পরিষ্কার করছিলাম। পাঞ্জাবিরা শ্মশানের লাশ যে-কোনো কুকুরের মতো মদ খেয়ে সব সময় সেখানকার যার যে মেয়ে ইচ্ছা তাকেই ধরে ধর্ষণ করছিল। শুধু সাধারণ পাঞ্জাবি সেনারাই এই বীভৎস পাশবিক অত্যাচারে যোগ দেয় নাই, সকল উচ্চপদস্থ পাঞ্জাবি সামরিক অফিসারই মদ খেয়ে হিংস্র বাঘের মতো হয়ে দুই হাত বাঘের মতো নাচাতে নাচাতে সেই উলঙ্গ বালিকা, যুবতী ও বাঙালি মহিলাদের ওপর সারাক্ষণ পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ কাজে লিপ্ত থাকত। কোনো মেয়ে, মহিলা যুবতীকে এক মুহূর্তের জন্য অবসর দেওয়া হয় নাই, ওদের উপর্যুপরি ধর্ষণ ও অবিরাম অত্যাচারে বহু কচি বালিকা সেখানেই রক্তাক্ত দেহে কাতরাতে কাতরাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে, পরের দিন এ সকল মেয়ের লাশ অন্যান্য মেয়েদের সম্মুখে ছুরি দিয়ে কেটে কুটি কুটি করে বস্তার মধ্যে ভরে বাইরে ফেলে দিত। এ সকল মহিলা, বালিকা ও যুবতীদের নির্মম পরিণতি দেখে অন্য মেয়েরা আরও ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ত এবং স্বেচ্ছায় পশুদের ইচ্ছার সম্মুখে আত্মসমর্পণ করত.........







......যে-সকল মেয়ে প্রাণে বাঁচার জন্য ওদের সাথে মিল দিয়ে ওদের অতৃপ্ত যৌনক্ষুধা চরিতার্থ করার জন্য সর্বতোভাবে সহযোগিতা করে তাদের পেছনে ঘুরে বেড়িয়েছে, তাদের হাসি-তামাশায় দেহ দান করেছে তাদেরও ছাড়া হয় নাই। পদস্থ সামরিক অফিসাররা সেই সকল মেয়েদের ওপর সম্মিলিতভাবে ধর্ষণ করতে হঠাৎ একদিন তাকে ধরে ছুরি দিয়ে তার স্তন কেটে, পাছার মাংস কেটে, যৌনি ও গুহ্যদ্বারের মধ্যে সম্পূর্ণ ছুরি চালিয়ে দিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে ওরা আনন্দ উপভোগ করত.........



প্রতিদিন রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ব্যারাক থেকে এবং হেডকোয়ার্টার অফিসের ওপরতলা হতে বহু ধর্ষিত মেয়ের ক্ষতবিক্ষত বিকৃত লাশ ওরা পায়ে রশি বেঁধে নিয়ে যায় এবং সেই জায়গায় রাজধানী থেকে ধরে আনা নতুন নতুন মেয়েদের চুলের সাথে ঝুলিয়ে বেঁধে নির্মমভাবে ধর্ষণ আরম্ভ করে দেয়। এসব উলঙ্গ নিরীহ বাঙালি যুবতীদের সারাক্ষণ সশস্ত্র পাঞ্জাবি সেনারা প্রহরা দিত। কোনো বাঙালিকেই সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না।



আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে একেকজন পাকিস্তানী সাপোর্টার যদি এই লেখাটা পড়েন তাদের মনস্তত্ত্বে কি কোন পরিবর্তন আসবে।



কিছু ক্লিয়ার কাট কথা বলি;



১)পাকিস্তানের ক্রিকেট দল কার প্রতিনিধিত্ব করে ?

পাকিস্তানের না বাংলাদেশের ?



২)দুই লক্ষ ধর্ষণের দায় কার ?

পাকিস্তানের না বাংলাদেশের ?



ধরেন বাইরের দেশে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাক্তি ডক্টর ইউনুস। আমেরিকার রাস্তায় কেউ যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করে তোমার দেশ কোনটা।



আপনি বললেন বাংলাদেশ।



ও তুমি তাহলে ডক্টর ইউনুসে দেশের লোক, যিনি শান্তিতে নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন তাই না ?

ইউনুসকে আপনার পছন্দ হোক আর না হোক আপনি অবশ্যই হ্যা সূচক উত্তর দেবেন।



ধরেন বাংলাদেশের রাস্তায় আফ্রিদি হাঁটছে। একজন তাকে জিজ্ঞাসা করলো তোমার দেশ কোনটা।



সে বলল পাকিস্তান।



ও তুমি তাহলে রাও ফরমান আলী, টিক্কা খানের দেশের লোক যারা নিরস্ত্র একটা দেশের তিরিশ লাখ মানুষকে মেরে ফেলেছিলে নয় মাসে। নিজে মুসলাম হয়েও তিন লক্ষ রেপ করেছিলো তোমার দেশের লোকরাই তাই না ?



আফ্রিদি কি বলবে আমার জানা নাই।



আচ্ছা একই প্রশ্ন যদি একজন পাকিস্তান সমর্থকে করি ?



“তোমার দেশের তিরিশ লক্ষ মানুষকে যারা মেরেছিলো এতগুলো রেপ করেছিলো তাদের কে কিভাবে সমর্থন করো ?”





কিছুতেই কিছু এসে যায় না।

এদেশে এরপরেও পাকিস্তান খেলতে আসে।

সারিসারি গণকবর থেকে সন্তানের আর্তনাদের শব্দ ভেসে আসে।

বাংলা মা পরম যত্নে সেই সন্তানদের আঁকড়ে ধরে রাখে।

আহারে... আহারে...



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪২

মেহেদী আনডিফাইন্ড বলেছেন: স্যালুট আপনাকে।
জানি, তবুও এদেশের নির্বোধ আর নষ্টবীর্য্যের উৎপন্ন কু সন্তানেরা পাকিস্তানের সমর্থন করবেই, ওরা খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবে না কিন্তু ইচ্ছেমতো ধর্ম মেশাবে। বলবে মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই!
যে জানোয়ারগুলো আমার মা-বোনকে এভাবে নৃশংস অত্যাচার করেছে তারা নাকি আমাদের ভাই। থুহ

২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

নহে মিথ্যা বলেছেন: ভাই আপনার লেখা ঘটনা সব সত্য... আম্মুর মুখে শুনেছি স্বাধীনতার পরে পিজিতে আম্মুর পোষ্টিং ছিল তখনকার অনেক ঘটনাই আমাকে বলছে...

ফাকিস্থানকে কোন বাংলাদেশি যে সাপোর্ট করে এটা টিভিতে খবরে তাদের মুখের স্বীকার্য না শুনলে জীবনেও বিশ্বাস করতাম না...

আবার অবাক লাগে অনেকে ভারতের বিরধীতা করতে যেয়ে পাকিস্থানের গুনগান গায়... বুঝি না এদের কি নূন্যতম আত্মসন্মানবোধ নেই... :(

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:০৫

দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: টি২০ তে মাশরাফিকে অধিনায়ক করা উচিত। মাশরাফি দলে থাকলে অন্য কারো আধিনায়ক হিসেবে মানায় না। সে একজন আসল নেতা, দলকে এক করে রাখতে হয় কিভাবে সেটি সে জানে।

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০১

সেতু আশরাফুল হক বলেছেন: পাকিস্তানীর জারজ সন্তান এরা............

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৬:২০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: মানুষ যে কিভাবে পাকিস্তানকে সমর্থন করে তা আমার জানা নেই। মানুষ এতটা বিস্মৃতিপ্রবন হয় কি করে? খেলায় বাংলাদেশ ভিন্ন অন্য কোন দলের পেছনেই সমর্থন করার কোন যুক্তি নেই। পৃথিবীর অন্য কোন দেশের মানুষ বোধহয় জাতিগত আত্নমর্যাদাজ্ঞান হারিয়ে অন্য দেশের পতাকা গালে আঁকে না। পাকিস্তানের মত জাতশত্রুর তো নাই-ই।

৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:




মেহেদী আনডিফাইন্ড বলেছেন: স্যালুট আপনাকে।
জানি, তবুও এদেশের নির্বোধ আর নষ্টবীর্য্যের উৎপন্ন কু সন্তানেরা পাকিস্তানের সমর্থন করবেই, ওরা খেলার সাথে রাজনীতি মেশাবে না কিন্তু ইচ্ছেমতো ধর্ম মেশাবে। বলবে মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই!
যে জানোয়ারগুলো আমার মা-বোনকে এভাবে নৃশংস অত্যাচার করেছে তারা নাকি আমাদের ভাই। থুহ


এই কথাগুলো লিখতে চেয়েছিলাম। অফিসের ডাইনিং কিছুক্ষন আগেই একজন বলছিলো। মুসলমান মুসলমান ভাই। মেজাজটাই খারাপ হয়ে টেবিল ছেড়ে চলে আসলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.