নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলা আমার, আমি বাংলার

মস্টার মাইন্ড

আশাবাদী মানুষ আমি, মৃত্যুর সাথে সাক্ষাত না হউয়া পর্যন্ত আশা ছাড়ব না। একটা সুন্দর, সাজানো গোছানো নিরাপদ দেশ.....

মস্টার মাইন্ড › বিস্তারিত পোস্টঃ

লোক দেখানো লৌকিকতায় নারী আজও পন্য

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৪৬



মা, স্ত্রী, কন্যা, বোন ... এই প্রতিটি সম্পর্কই একেকটি নারীর যে কত বড় পরিচয় তা কেবল সেই নারীই জানেন। জীবনে চলার প্রতিটি মূহুর্তে যে কঠিন সময় গুলো আসে তা থেকে আগলে রাখেন মা, আত্মবিশ্বাস যোগায় স্ত্রী, ভরসা দেয় বোন আর সব কষ্ট মুছে দেয় কন্যার একটি বাবা ডাক।

এত কিছুর পরেও এই আমরা, আমাদের এই সমাজ নারীকে দিয়েছি আরো একটি পরিচয়, পণ্য। হ্যা পণ্য। আরো বিশ্রি করে যদি বলি – মাল। হ্যা আমাদেরি স্ত্রী কন্যা মা বোনকে আমরাই মাল বানাচ্ছি।

প্রশ্ন করতে পারেন কেন কিভাবে?

অনেক ভাবেই বানাচ্ছি, সহজ করে যদি বলি তাহলে বলা যায়, আমার বাড়ির পাশের রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আমার বোনকে আপনি মাল বানাচ্ছেন, আর আপনার বাড়ির পাশের মোড়ে দাঁড়িয়ে আপনার বোনকে আমি মাল বানাচ্ছি।

এটা তো গেল আপনার আমার নিজেদের ব্যাপার। এবার আরেকটু বড় ভাবে চিন্তা করি আসুন।

গাড়ি দিয়ে শুরু করি, কমন উদাহরণ সবার জানা, কোন কম্পানির নতুন গাড়ি যখন বাজারে আসে তখন সেই গাড়িকে সাজিয়ে গুছিয়ে সবার সামনে উপস্থাপন করা হয়। না শুধু সেই গাড়ি না, একজন অর্ধনগ্ন নারীকে দাঁড় করিয়ে দেউয়া হয় গাড়ির ঠিক সামনেই, যাতে কোম্পানির সেই পণ্যের দিকে চোখ না গেলেও সেই নারী নামক পণ্যের দিকে চোখ যাবেই। শুনতে খারাপ লাগছে? লাগবেই, কারন ব্যাপারটা খারাপই।

রাস্তায় বের হবেন, দেখবেন বাড়ির ছাদে বা দেউয়ালে পণ্যের বিশাল বিজ্ঞাপন। একবার চোখ বুলান বিজ্ঞাপনটির পুরোটাতে, যে পণ্যের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে তা আপনি খুঁজেই পাবেন না পুরো ছবি জুড়ে কিন্তু এক বা একাধিক নারীর শরীরের সবকটি ভাঁজ আপনার চোখে পড়বে অনায়াশেই। সমাজ এই এই নারীকে পণ্য হিসেবে ব্যাবহার করলেও সুন্দর একটা নাম দিয়েছে- মডেল। আমার কথা গুলো খারাপ লাগছে? লাগবেই, কারন এগুলা খারাপই।

সিনেমা হিট করার জন্য হট ও সুপার সেক্সি নায়িকা ও আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। দেখবেন নায়ক শাকিব হোসেন জ্যাকেট পরে শর্ট দিচ্ছে অন্যদিকে পরী বেগম শর্ট দিচ্ছে হাফ প্যান্ট আর স্যান্ডো গেঞ্জি পরে। এখন তো সিনেমা হিট করার জন্য নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে, যাকে বলা হয় আইটেম সং। সব নায়িকা আইটেম সং না করলেও অধিকাংশই করে। এটাকে গান বলা ভুলই হবে বরং যৌন উত্তেজক ও বলা যায়। কারন পুরোটা জুড়েই রয়েছে নায়িকার আবেদনময়ী লাফালাফি। শুনতে খারাপ শোনাল? কিচ্ছু করার নাই এগুলা খারাপই।

সেন্টের বিজ্ঞাপন দেখছেন? সেন্ট মেখে বের হয় আর মিনিস্কার্ট পরা নারীর দল ঝাঁপিয়ে পরে ! এটা কি আসলেই সম্ভব? শুধু কি তাই নাকি? কিছুদিন হলে তো দেখছি এক বিজ্ঞাপনে তো আন্টিই পাগল হয়ে যায় যায় ভাব! এটা কি আসলেই সম্ভব! যদি হতই তাহলে আমি তো এত দামি দামি পার্ফিউম ব্যাবহার করি, আমার দিকে তো কোন মেয়ে ফিরেও তাকায় না! তাহলে কি আমার সেন্টের গন্ধ তাদের নাকে যায় না??

আরো শত শত উদাহরণ আছে যা এখন আপনি নিয়েই খুঁজে বের করতে পারবেন। মেলায় দোকান দিয়েছেন? যে স্টলে সুন্দরী মেয়ের সংখ্যা যত বেশি সে স্টলের বিক্রিও ততবেশি। যে সুপারশপে সুন্দরী সেলসম্যান বেশি তাতে আপনার আমার যাতায়াতও বেশি। আপনার ডায়ালকৃত নাম্বারটিতে এই মুহুর্তে সংযোগ দেউয়া সম্ভব হচ্ছে না, নারী কন্ঠ ব্যাহবার করা হয়েছে যাতে কাস্টোমার শুনে বিরক্ত না হয়। যেকোন প্রতিষ্ঠানের রিসিপসনে বসিয়ে রাখা হয়েছে একজন সুন্দরী তরুণীকে , কেন বলুন তো?

আমাদের মা বোনেরাও জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিচ্ছে তারা বুঝেও বুঝে উঠতে পারে না তাদেরকে ব্যাবহার করা হচ্ছে শুধুমাত্র পণ্য হিসেবেই...... লোহ দেখানো লৌকিকতায় তারা নিজেকে নিজেই বানিয়ে ফেলছে বাজারের পণ্য হিসেবে।


9 Sep 2017, Dhaka

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.