![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আশাবাদী মানুষ আমি, মৃত্যুর সাথে সাক্ষাত না হউয়া পর্যন্ত আশা ছাড়ব না। একটা সুন্দর, সাজানো গোছানো নিরাপদ দেশ.....
হিজাব শব্দটি উচ্চারন করলেই আমাদের মনে ভেসে উঠে কোন মুসলিম নারীর মাথা বিশেষ কাপড় দ্বারা আবৃত যা বুক পর্যন্ত বিস্তৃত। এর ভেতরে যারা নিজের চিন্তার সীমাবদ্ধতা এঁকেছেন আজকের লিখাটি তাদের জন্য। ছেলে এবং মেয়ে উভয় পড়বেন আশা করি।
দুটি অংশে আলোচনা করব।
১। হিজাব কি শুধু নারীদের জন্য?
২। হিজাব কি শুধু মুসলিমদের জন্য?
প্রথমেই আমাদের হিজাব এর আবিধানিক অর্থ টা জানা প্রয়োজন। হিজাব একটি আরবি শব্দ যার অর্থ আড়াল বা পর্দা। হিজাব শব্দটির উৎপত্তি স্থল আল-কুরয়ান। বিভিন্ন কাজে মহানবী মুহাম্মাদ এর স্ত্রীদের কাছে সাহাবীগণ আসতেন। কিন্তু তাদের মধ্যে একটি আড়াল থাকত এই আড়াল টাই হিজাব এবং এই আড়াল রক্ষা করার দায়িত্ব হজরত মুহাম্মাদ এর স্ত্রীদের ছিল না ছিল যে পুরুষেরা আসত তাদের।
ইসলামে পর্দা করা ফরজ। পর্দা না করা হারাম। কিন্তু পর্দার কথা বললেই শুধু মনে করি পর্দা শুধু নারীদের জন্য। কিন্তু পর্দা নারী ও পুরুষ উভয় এর জন্য ফরজ করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআন মাজীদে সূরা নূরের ৩০ নং আয়াতে মহান আল্লাহপাক বলছেন, ‘হে নবী! মুমিনদের (পুরুষ) বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এতেই তাদের জন্য পবিত্রতা রয়েছে। নিশ্চয়ই তারা যা করে, আল্লাহ তা সম্পর্কে অবহিত আছেন।’
এই আয়াতের শুরুতেই ঈমানদার পুরুষদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে। ইচ্ছাকৃত দৃষ্টিপাত কিংবা তাকানোই হচ্ছে- যৌন প্রবৃত্তির শুরুর এবং এর শেষ পরিণতি পাপ ও ফেতনাসহ জিনা ব্যভিচার যার পরিণাম ভয়ঙ্কর।
পর্দার শুরুই পুরুষ থেকে। সমাজে যাতে যৌন অপরাধ না হয় সে জন্যই ইসলাম এবং অন্যান্ন ধর্মেও পর্দার বিধান রয়েছে যা একটু পর আলোচনা করব। পুরুষ যদি তার দৃষ্টি অবনত রাখে একজন নারী কি পরে আছে বা না আছে তাতে কিছু এসে যায় না। কারন দৃষ্টি অবনত রাখার নির্দেশ স্বয়ং আল্লাহই দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআনের সূরা আন-নূরের ৩০নং আয়াতে নারীদের পর্দা করার কথা বলার আগে পুরুষের চোখের পর্দা হেফাজত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর যখন কেউ তা জেনেও এই নির্দেশ অমান্য করল সে মহান আল্লাহর বাণীকে অস্বীকার করল।
এখন আসি পর্দার কথা কি শুধু ইসলাম এ আছে?
না।
ভারতবর্ষের কোনো কোনো হিন্দু সম্প্রদায়ে এক ধরনের হিজাবের প্রচলন ছিল; যাকে বলা হত ‘ঘুঙ্ঘট’। এই হিজাবের ব্যবহার ইসলাম-পূর্ব সামাজিক আচরণ। ইহুদি ধর্মে বিশ্বাস করা হত, যে নারীর চুল দৃষ্টিগোচর হবে তার স্বামী অভিশপ্ত ও ঘৃণ্য। কারণ, এমন সংসারে দারিদ্র্যের স্থায়ী আসন অনিবার্য।
একইভাবে খ্রিস্টীয় বিশ্বাসে বলা হত, মস্তক-আবরণহীন নারী তার নিজের মস্তককেই অবমাননা করে। ফলে তার শাস্তি হওয়া উচিৎ মাথার চুল মুণ্ডন করা। এমনকি মধ্যযুগেও ইউরোপের রাজবংশ ও উচ্চবংশীয়রা মস্তক-আবরণহীন মুখাবরণে অভ্যস্ত ছিল।
পাশ্চাত্যের কিছু খ্রিস্টীয় সম্প্রদায়, আফ্রিকাতে এবং মধ্যপ্রাচ্যে এখনও এর ব্যবহার লক্ষণীয়। প্রায় সব খ্রিস্টীন নানদের মধ্যে হিজাব ব্যবহারের প্রচলন আছে।
আরো ঘাঁটাঘাঁটি করলেই পাওয়া যাবে অন্যান্য ধর্ম ও দেহের শালীনতার কথা বলেছে।
তাই পর্দার দায়ভার শুধু নারীর ওপর চাপিয়ে না দিয়ে আমাদের পুরুষদের ও নিজেদের পর্দার ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতনতার প্রয়োজন আছে।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: তবে আমি মনে করি যার ভালো লাগবে সে পড়বে, যার ভালো লাগবে না সে পড়বে না।
জোর জবদস্তির কিছু নাই।
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৩
জি এইস মেহেদী বলেছেন: কোরআন যেখানে বলছে আপনাকে মানতেই হবে ,বাধ্যতামূলক
রাজীব নূর ভাই
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পর্দার বিধান মুসলিমদের জন্য বাধ্যতামূলক। পর্দা না মানার কারণেই সমাজের আজ এই অবস্থা।
৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: আলোচনাটা খুবই সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে।
৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৪
একাল-সেকাল বলেছেন:
স্বল্প বসন/ বস্ত্র হীনতা আধুনিকতা হলে পশু পাখি অত্যাধুনিক।
৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অতুলনীয় শুভ কামনা I
৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১
করুণাধারা বলেছেন: পোস্ট ভালো লেগেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: ইসলামের বিধানেই রয়েছে নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তা।ধর্মীয় বই যারা পড়েন জানেন এর অতি গুরূত্বপূর্ণ একটি হল হিজাব ( নারীর পর্দা / বোরকা )।