![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুলনা লেখক শিবিরের একজনক্ষুদ্র সদস্য। গান গাইতে আমার খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে রবিন্দ্র সংগীত। এখনও শিক্ষা জীবনের মাঝে আছি আমি। সাহিত্য হলো আমার ভালোলাগার যায়গা, খুব এক্টা লিখতে ভালো লাগে না। কিন্তু কি করবো বলুন চোখের সামনে এতো অসংগতি ও মানতে পারি না। আমি বাংলাকে প্রচন্ড রকমের ভালোবাসি।
দেশে বার্ডফ্লু খুব চড়াওভাবে ছড়েয়ে পড়েছে। বানিজ্যিক খামার গুলো বিনাশ হয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খামার মালিকগন। রফিক বের হলো তার টিউশনি করতে। তখন সন্ধা ৭ টা বাজে। বার্ডফ্লু ভাইরাস নিধন করার জন্য সরকার বভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইতিমধ্যে মাঠকর্মি নিয়োগ করা হয়েছে। রফিক যেতে যেতে দেখল একটা প্রশাসনিক গাড়ি এসে থাম্লো। তার মধ্যে থেকে নেমে আসল ১০ জনের মতো সাদা পোষাকধারি। মনে হচ্ছে দমকল বাহিনীর মতো। মাথায় হেলমেট পরা। ভিশন কড়া নিরাপত্তা নিয়ে এসেছে। হাতে গ্লাপস পরা । গাড়ি থেকে নেমেই তারা ঢুকেগেল পাসের বস্তির মধ্যে । রফিক দাড়িতে দেখতে লাগল আসলে কি ঘটছে। কিছুখন পর তারা ২০-২৫ টি হাশ মুরগী ধরে নিয়ে এসে সেগুলোর ঘাড় মটকে দিলো। ওই হাস মুরগির মালিকগন জানতে চাইল কেন তাদের এমন ক্ষতি করা হলো।
অনেকে বিশ্রিভাবে গালি দিতে শুরু করলো। আবার অনেকে ভয়ে চুপ করে থাকল। তারা বলল বার্ডফ্লু ভাইরাস নিধনের জন্য সরকারী নির্দেশে আমঅরা এটা করছি। একজন মহিলা কিছুতেই তাদের কথা বুঝতে চাইছিলো না,কড়া ভাষায় গালি দিতে লাগলো সে। রফিক ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চমকে গেলো।ওমা হাতে তো একটুও সময় নেই, তাড়াতাড়ি পড়াতে যেতে হবে। রফিক চলল পাড়াতে। রফিকের ছাত্রীর নাম তিশা। সে চতুর্থ শ্রেনীতে পড়ে। ওদের দুইটি হাস অ দুইটি কবুতর আছে। হাস দুটি তিশার খুব প্রিয়। তিশায় হাস দুটির দেখাশুনা করে। এতে তিশা ও খুব আনন্দ পায়। তিশা হাশ দুটিকে খুব ভালোবাসে। রফিক এতখনে তিশাদের বাসায় চলে আসল। ওরা আগেই পড়তে বসেছে। রফিক এসে বসলো। তিশা বলল ছার, বার্ডফ্লু এসেছে, শুনেছেন? রফিক বলল হা দেশের খামারগুলো সব উজাড় করে দিচ্ছে। তিশা বলল ছার, আমার চাচুর খামারে বার্ডফ্লু এসে সব ঘাড় মটকে দিয়েছে। বার্ডফ্লু ঘাড় মটকে দিয়েছে?
রফিক একটু হেসে বলল , তার মানে? তিশা বলল জি ছার সাদা পোশাক, । রফিক বলল আচ্ছা বাদ দাও এখন পড়া শুরু। তিশা পড়া শুরু করল কিনু অন্য দিনের মতো ওর মনোযোগ ছিলো না পড়াতে। তিশা আবার বলে উঠলো, ছার, ওরা না, খুব ভয়ংকর। রফিক বলল কারা? তিশা কেনো বার্ডফ্লু । রফিক বলল আচ্ছা হয়েছে তুমি পড়ো। রফিক মনে মনে হাসল এটা ভেবে তশা হয়ত ওই সাদা পোষাকধারি মানুষগুলোকে বার্ডফ্লু ভাইরাস মনে করেছে। কিন্তু রফিক ব্যাপারটা ওতো সিরিয়াসলি নেই নি । কিন্তু তিশার মনে এক ধরনের গোপন ভীতি সৃষ্টি হলো।
রফিক বলল, আমি পথে আসার সময় দেখলাম, বাড়ি বাড়ি এসে সব হাস মুরগির ঘাড় মটকে দিচ্ছে। কথাটা শুনে তিশার মুখে এক ধরনের ভীতু ভাব দেখা গেল। চোখদুটি ছমছমে দেখাচ্ছিলো। তিশা বলল , ছার আচ্ছা ওরা কি এদিকে আসবে? রফিক বলল , আস্তে পারে। কিছু বলার নেই।তিশা বলল, ছার আমাদের দুইটি হাস আছে। ওরা কি আমাদের হাস অ মেরে ফেলবে? রফিক বলল যদি এসে খুজে পায় তাহলে নিয়ে যেতে পারে । রফিক বলল আবোল তাবোল চিন্তা না করে তূমি পড়ো। তিশা পড়তে শুরু করলো। হঠাৎ তিশার চাচাত বোন এসে বলল, তিশা বার্ডফ্লু আসছে দ্রুত হাস সরাও । তিশা একলাফে উঠে পড়ল রফিকের কাছে অনুমুতি অ নিলো না । কিন্তু রফিকের তাতে খারাপ লাগেনি কারন তশা খুব ভালো মেয়ে । তিশা এক দোড় দিয়ে হাসের খোপের কাছে চলে গেলো। তিশা ওদের খোপ থেকে হাস ধরে ঘরে নিয়ে আসল। চাউল রাখা ড্রামের মধ্যে হাস দুটিকে ভরে রাখল তিশার মা পাসের ঘরে রান্না করছিল। তিশার মা বলল কি হয়েছে রে মা ? হাস ডাকছে কেনো? তিশা বলল কিছু না তুমি রান্না করও। হাস গুলি প্যাক প্যা করে ডাকছে। রফিকের খুব হাসি পেলো। ড্রামের মুখ আটকে তিশা তার উপর দুইটি ইট দিয়ে চাপা দিয়ে রাখল। ডাক শোনা যাচ্ছে প্যাক প্যাক। রফিক আবারও এক্টু হেসে নিলো। শুধু ঘরে নয় বাইরে থেকেও হাসের প্যাক প্যাক ডাক শোনা যাচ্ছে। চারিদিকে কিচিরমিচির বেধে গেছে। গ্রাম্য এলাকা তাই সবারই কম বেশি হাস মুরগি আছে । সবাই সেটা রক্ষায় ব্যাস্ত। তিশা বলল ছার বাইরে হাসের ডাক শুন্তে পাচ্ছেন? রফিক, হা পাচ্ছি। তিশা বলল, আমার বড়ো কাকীর বিশটি হাস আছে। একথা শুনে রফিক হা করে পড়ল, বড় নিসাস ছেড়ে বলল, হা তিনি তো বড়সড় খামারের মালিক। নিসাস নেওয়ার সময় রফিকের নাকের ভিতর ঢুকে পড়লো এক মশা। খক খক করে কেশে বের করার চেষ্টা করল সে। কিন্তু কাজ হলো না। গলার কাছে আটকে থাক্লো। মনে হচ্ছে বেটা ফাজিল গুলে মশা, কি বিশ্রি গন্ধ। তিশা বলল পানি দেব ছার? রফিক বলল হা দাও। রফিক পানি তো খেয়ে নিলো কিন্তু মশাটা তখনও থেকছিলো গলায়। তিশা বলল ছার জানের বড় কাকি না বাথরুমের মধ্যে হাস রেখেছে। কিছুদিন আগে ওই হাসের দাম ছিলো প্রতিপিস ২০০ টাকা ছার। ওরা নিয়ে গেলে কাকীর অনেক ক্ষতি হবে । রাফিল ভাব্লো তাইতো এতো টাকার হাস। তিশার কাকীর মুখের ভাষা ছিলো বেজায় খারাপ। শিড়ির উপর বসে বসে মনের সুখ মিটিয়ে গালি দিচ্ছিলেন তিনি । রফিক পড়ানো শেষ করে চলে গেলো। সেদিন ওরা এদিকে ঢুকলোনা। এদিকে চাউলের ড্রামে হাস রাখার কারনে তাদের অনেক চাউল নষ্ট হয়ে গেছে। কারন হাস তার মধ্যে পায়খানা করে দিয়েছে। এটা নিয়ে তিশার মআ তিশাকে বেশ বকাঝকা করলো। পরেরদিন দুপুরবেলা রফিক বিশেষ কাজে এই পথে যাচ্ছিল। রফিক দেখতে পেলো তিশা ওই হাস দুটিকে নিজের হাতে ভাত কুড়া মেখে খাওয়াচ্ছে। রফিক পাশে গিয়ে বলল ড্রামের ভিতর থেকে বের করার পরেও হাস বেচে আছে? তিশা বলল আছে ছার তবে ওর ভিতর থেকে বের করার পরথেকে তেমন খাচ্ছে না। রফিক ভাবলো হাস দুটি আসলে ওর খুব প্রিয়।শুধু তাই নয় তিশা দেখালো হাস দুটির সাথে তার ছবিও তোলা আছে।
তিশা ডাক দিলেই হাস দুটি যেখানে থাক চলে আসে। রফিক তখন কিছুটা আচ করতে পারলো কেন তিশার বার্ডফ্লু নিয়ে এতো ভয় । রফিক চলে গেল। সন্ধা বেলা রফিক যথা নয়মে পড়াতে চলে এলো। তিশা বলল ছার আজ স্কুলে গিয়ে শুনলাম আমার বান্ধবীদের পাঁচটি হাসের ঘাড় মটকে দিয়েছে। রফিক বলল, ওসব নিয়ে তোমার ভাবতে হবে না তুমি পড়া শুরু করো। তিশা পড়া শুরু করলো। হঠাৎ আগের দিনের মতো আচমকা কেউ চলে আসল এবং বলল তিশা বার্ডফ্লু আসছে, হাস লুকও। মুহুর্তের মধ্যে চারিদিকে ধুম পড়ে গেল। চাতিদিক থেকে হাস মুরগির প্যাক প্যাক, শব্দ আসছিস, রফিক ব্যাপারটা বেশ উপভোগ কতছিল।তিশা ও এক লাফে হাস দুটিকে সের ড্রামের মধ্যে লুকিয়ে ফেলল। একবার ও ভাবলো না ওর আম্মু কি বলবে । রফিক বলল, কি ব্যাপার তিশা আজ আবার সেই ড্রামের মধ্যে রেখেছো, তোমার আম্মু বকবে না? তিশা বলল, ছার আজতো ড্রাম খালি,আম্মু সব চাইল সরিয়ে রেখেছে।
রফিক বলল, হাস দুটি তোমার খুব প্রিয় তাইনা?
তিশা বলল, জি ছার। ছার বার্ডফ্লু হাস মেরে কি মজা পায়? রফিক বলল, ওটা এক ধরনের ভাইরাস, খুব মারাত্মক ভাইরাস। এটা শুনে তিশা আরো ভয় পাওয়া শুরু কুরলো। তিশা মনে মনে ভাবতে শুরু করল সাদা পোষাকধারি ওই মানুষগুলোই বার্ডফ্লু ভাইরাস। এসব ভেবে তিশার মনে বিভিন্ন রকম ভীতির জন্ম হতে লাগল। রফিক চলে গেল পড়ানো শেষ করে। সেদিন ওরা এদিকে আসেনি। রেহাই পেয়ে গেলো তিশার হাস। কিন্তু তিশার মনে এক্টাই ভয়, সে কি পারবে তার হাস দুটিকে ওই দানব্দের হাত থেকে বাচাতে? তিশা তার আম্মুকে বলল আচ্ছা আম্মু বার্ডফ্লু এতো হাস মুরগি মারে কেনো? ওর আম্মু বলে ওটা একটা রোগ মা। তিশা এই কথাটা অন্য রকম ভাবে বুঝে নিলো। সে ভাবল বার্ডফ্লু মানুষের রোগ। এই রোগ হলে মানুশ সাদা পোশাক পরে মানুষের হাস মুরগি মেরে ফেলে। তিশা ছোটো মানুশ তাই ওর মনে নানান ধরনের চিন্তা ভাবনার বাসা বাধতে থাকে। পরের দিন রফিক ঠিক সময় মত পড়াতে চলে আসল। রফিক গিয়ে দেখল তশার খুব জর। মুখে বিভিন্ন রকম আবোল তাবোল বলছে ভয়ে। বলছে আমার হাস ওরা মেরে ফেলেছে, ওরা আমাকে ও মেরে ফেলবে। রফিক তশার পাশে বসল, তিশা কি হয়েছে তোমার? পাগলী মেয়ে। ওরা তো মানুষ মারতে পারে না। ওরা শুধু হাস মুরগি মারে। তিশা তখন জোরে কেদে উঠে বলল, ছার ওরা আমার হাসের ঘাড় মটকে দিয়েছে। তিশার মা পাশে বসে আছে মমনখারাপ করে। রফিক বলল, কখন থেকে এমন হয়েছে, ? তিশার মা বলল,দুপুরবেলা একদল লোক এসে হাস দুটিকে ঘাড় মটকে মেরে ফেলে। ওটা ও দেখে খুব ভয় পায়। কেপে উঠে। তারপর থেকে কান্না শুরু করে। বিকাল থেকে খুব জর। যখন ওরা এসে হাস দুটিকে মারছিল, তখন তিশা বলেছিলো তোমরা আমার হাস মেরো না। ওরা শোনেনি, ঘাড় মটকে দিলো। তিশা খুব খুব কেঁদেছিল। তিশার মা মনে মনে তাদের খুব গালি দিতে লাগল, কারন মুখফুটে কখনো তশার মা গালিদেয়না । রফিক বলল, তাহলে আমি আজ আসি, আপনি তিশাকে কাল একবার ডাক্তারখানা নিয়ে যান। সব ঠিক হয়ে যাবে। পরদিন তিশার বাবা তিশাকে ডাক্তারখানা নিয়ে গেলো। ডাক্তার বলল তেমন কিছু না সামান্য জর, মেডিসিন নিলে ঠিক হয়ে যাবে। তিনদিন নিয়মিত মেডিসিন খাওয়ানোর পরে অবস্থার কনো উন্নতি হলো না। বরং বাড়তে থাকলো। তিশার মুখ থেকে তখন এক্টাক কথা বের হচ্ছিল, ওরা মেরে ফেলবে। ওরা মেরে ফেলবে,। রফিক প্রতিদিন তশাকে দেখতে যায়। ডাক্তারবাবু ও খুব চিন্তার পড়ে গেলো।তিনি ভাবছেন জর ছাড়া তো কিছুনা তাহলে এমন হচ্ছে কেনো? এভাবে একের পর এক ডাক্তার পাল্টানো শুরু হলো
কিন্তু তিশা ভালো হয় না। মা বাবার চোখের জল সৃষ্টি করে রেখেছে এক বিষাদময় পরিবেশ। এভাবে এক মাস চলে গেল। তিশার শারিরিক অবস্থার অনেক অবনতি হয়ে গেছে। মেয়েটাকে আর চেনার মতো নেই। রফিক বলল, এভাবে হয়না আপনারা বড় ডাক্তারের কাছে যান। তারপর রফিকের কথামত তিশাকে নিয়ে যাওয়া হল বড় ডাক্তারের কাছে । কিন্তু কেউ তার কিছু করতে পারল না। একজন বিদেশি ডাক্তার বলে গেল.. sorry we have nothing to do, its over. তিশার মা বাবা খুব ভেংগে পড়লো। তিশার মা তো দিনরাত অশ্রু ঝরাতে লাগল। কবিরাজ ডাক্তার কিছুই টান সইলো না। রফিক নিজেও খুব কান্না করছিলো । চোখের সামনে মেয়েটা খুব কষ্ট পাচ্ছে। তিশার প্রতি রফিকের অনেক মায়া পড়ে গিয়েছিল। রফিক দুই বছর ধরে তিশাকে পড়ায়। সেই এতটুকু মেয়েটা। কি সুন্দর করে কথা বলত। কি মিষ্টি করে হাসত। তিশার প্রতি একটা অদ্ভুত মায়াজল পড়ে গিয়েছিল সবার। এক মাস পচিশ দিন পর তিশা চির বিদায় নেয়। চারিদিকে কান্নার কলোরল পড়ে যায়। সুন্দর এই পৃথিবীতে তিশা এসেছিল খনিকের জন্য। সবাইকে মায়াজালে বন্দি করে চলে গেল তিশা। তিশার মা বাবা তো পাগলপ্রায়। তিশার মায়ের দিকে তাকানো যায় না। কাদতে কাদতে চোখ ফুলে গেছে। যাকেই কাছে পায় জড়িয়ে ধরে কাদে তিশার মা। রফিককে সামনে পেয়ে জড়িয়ে ধরে মনের শান্তি মতো কাদলো তিশার মা। রফিকও নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না। তিশার এই নির্মম মৃত্যুর জন্য কে দায়ী? তিশার মা বার বার কাদে আর ঘৃণার ভাষায় উচ্চারন করে। ওই শয়তানরা আমার মেয়েকে মেরেছে। ওরা হাস দুটিকে না মারলে আমার মেয়ে মরত না। কেন আমরা তাদের কি ক্ষতি করেছিলাম যে তোরা আমার মেয়েকে কেড়ে নিলি? তোরা মানুষ না তোরা ভাইরাস।
১৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৪১
হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: খুব কড়া করে বললেন যে? আর আমি তো প্রত্যক্ষদর্শী তাহলে ভাবুন আমার অনুভুতি।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:০৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীর নিকৃষ্ট সরকারী আমলা হল বা...। এদের শিক্ষা জ্ঞান একেবারে মাটির নীচে! কিছুই জানেনা বোঝেনা , গর্দভ গুলো চাকরী করে ঘুষ খাওয়ার জন্য!