![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুলনা লেখক শিবিরের একজনক্ষুদ্র সদস্য। গান গাইতে আমার খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে রবিন্দ্র সংগীত। এখনও শিক্ষা জীবনের মাঝে আছি আমি। সাহিত্য হলো আমার ভালোলাগার যায়গা, খুব এক্টা লিখতে ভালো লাগে না। কিন্তু কি করবো বলুন চোখের সামনে এতো অসংগতি ও মানতে পারি না। আমি বাংলাকে প্রচন্ড রকমের ভালোবাসি।
আমার বয়স তখন ১৪ -১৫ হবে। পরিবারের সবাই ধার্মিক টাইপের মানুষ। নামাজ রোজার প্রতি কড়া তাগিদ দেওয়া শুরু করলো পরিবার থেকে। আমিও সবার দেখা দেখে সেগুলা করতাম ও বটে। এভাবে আল্লাহের নৈকট্য পাওয়ার চেষ্টা করতাম। পবিত্র কুরান তিলাওয়াত শিখলাম। কিন্তু কেনো জানি মনে হতো আমি শুদ্ধ ভাবে পাঠ করছি না। সে যাই হোক মসজিদে যেতে যেতে পরিচয় হলো একজন ধার্মিক লোকের সাথে। তিনি আমাকে অনেক কিছু শেখাবার আগ্রহ দেখালেন। তবে তিনার মূল উদ্দেশ্য ছিলো আমাকে তার রাজনীতিক দল হতে পারে সেটা যেকোনো ইসলামী মওলোবাদী দল,নাম প্রকাশ করতে চাই না, এর সদস্য করা। উনার সুন্দর ব্যবহারে আমি উনার সাথে বিভিন্ন কাজে অংশ নিতে থাকলাম। এরপর উনি আমাকে কিছু বই পড়তে বল্লেন। আমি বরাবরি খুব পড়ুয়া ছিলাম। আর তার চেয়ে বেশি ছিলাম সাংস্কৃতিমনা। সেকথা পরে বলছি।
তো উনি প্রথমে আমাকে, কিশোর কন্ঠ, এই নামের এক্টি বই দেন। পড়ে ভালো লাগে। তবে সেই ভালোগার মাঝে দিয়ে তারা আমার মনে এক ধরনের হিংসা ঢুকিয়ে দেয়। আর তা হলো বিপরীত ধর্মের মানুষ দের প্রতি গভির খোভ, হিংসা,। তার কারন ছিলো ওই বইয়ে দেওয়া কিছু তথ্য, যাতে আন্য ধর্মের মানুষ মুসলমানদের উপর অত্যাচার করার কথা স্পষ্ট ভাষায় বর্ননা করা ছিলো। এর কিছুদিন পর উনি আমাকে আর একটি বই দেন। যার টপিক ছিলো জীহাদ ও ইসলাম কায়েম। বইটি পড়ে আমার মনে অনেক ধরনের প্রশ্নের জন্ম হলো। এখানে অনেক ধরনের লোভ দেখানো হয়েছে, যেমন জান্নাত, মৃত্যুর পরের জীবনের অসীম সুখ। জীহাদ করলে তা পাওয়া যাবে এমন্টি বর্ননা ছিলো। এরপর উনি আমাকে একদিন এমন এক্টি যায়গায় নিয়ে গেলেন যেখানে সব লম্বা দাড়িওয়ালা মানুশ। আর শাথে আছে আমাদের মতো অনেক নতুন অনুসারী। উনাদের যিনি মহান ঈমাম শাহেব, উনি বিভিন্ন ভাবে প্রথমে আমাদের মন গলিয়ে নিলেন। বধ করি ধর্মের যায়গাটাই মানুষের সবচেয়ে দুর্বল যায়গা। এরপর উনি যা বললেন তাতে আমার মাথা ঘুরে গেলো।
- আমাদের আর ঘরে বসে থাক্লে চলবে না।
কি যেনো একটি আয়াত বললেন নিজের মত বধ করি তিনি নিজেয় বড় মূর্খ।
তারপর,
- আমাদের মাঠে নামতে হবে।
- আজ মুসলমানদের চরম দুর্ভোগ চলছে।
-আসুন আমরা সবাই এক হয়ে যাই।
-আসুন জীহাদে নেমে পড়ি।
-বুকে বোমা বেধে প্রয়োজনে নীজে শহীদ হয়ে যাবো। কিন্তু মুসলমানদের উপর আর একটি আত্যাচার সহ্য করবো না।
আনাদের উদ্দেশ্য নিয়ে বললেন আজকের যুবকরা তোমরা কি পারবে নিজের জীবন বাজী রাখতে?
সবাই বলল হা।
- তোমরা কি পারবে মহান ঈমামের নির্দেশে বুকে বোমা বেধে মাঠে নেমে পড়তে?
সবাই বলল ইনশাল্লাহ।
নারাই তাকবির আল্লাহু আকবার।
আমি হঠাৎ প্রশ্ন করে বসলাম। আপনারা কি বোমা বাধবেন বুকে? নাকি শুধু আমাদের জন্য?
উনি উত্তর দিলেন সেনাপতি ছাড়া যুদ্ধ চলে না।
তখনি আমার বোঝা হয়ে গেলো কি চলছে এখানে। সব রাজনীতি। আমি ছোটোবেলা থেকে খুব চালাক ছিলাম। এবং নানা রকম বই পড়ে এসব ফাদের ব্যপারে জেনে গিয়েছিলাম। তারপর থেকে উনার সাথে সংগ ত্যগ করে দিলাম। পড়াশুনায় মন দিলাম। এরপর ক্লাস টেনে উঠে অনেক ধরনের বন্ধুর সাথে পরিচয় হচ্ছে । শুরু হচ্ছে জীবন দর্শনের পালা। পরিচয় হলো একজন আওয়ামীলীগ নেতার সংগে। বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই উনার পিছে ঘুরতো। উনাকেও প্রথম প্রথম খুব ভালো লাগতো। কিন্তু দেখলাম উনিও সেই একি পথের পথিক । ভাব্লাম রাজনীতি মানেয় হাতে তুলে নাও অস্ত্র মারো বিরোধি দলের মানুষকে। বিএনপির কিছু নেতার সাথে অ চলেছিলাম সবার একি ধর্ম। হতাস হলাম। গ্রাম গংজের রাজনীতিতে যদি এতো হিংসা তাহলে শহরের কি অবস্থা। আমার কাছে তো সবার চরিত্র একি মনে হলো। চলে গেলাম খুলনা শহরে। আমার আবার গান, নাচ, আর্ট, নাটক, এসবের প্রতি ভীষন আগ্রহ ছিলো। নিজে অনেক ভালো কবিতা আবৃতি করতাম এবং লখতাম ও বটে। যাইহোক কলেজে ভর্তি হলাম। বাবু নামের এক বন্ধুর সাথে পরিচয় হলো। আমার ব্যাপারে সব জেনে সে আমাকে এক্টি সংগঠনে নিয়ে গেলো। নাম দ্রহী। পরিচয় হলো একদল সুস্থ মানসিকতার মানুষের সাথে। সেখানে গান শিখতাম, নাটক করতাম অনেক সুন্দর কাটছিল দিন। প্রতি মঈলবার সাহিত্য পাঠের আসর, কবিতা পাঠের আসর চলত। আস্তে আস্তে তাদের কাছ থেকে অনেক বই নিয়ে পড়তে লাগলাম। তারা আস্তে আমাকে কমিউনিস্ট সৃষ্টিভংগীর দিকে টান্তে শুরু করলো। তাদের সব ভালো লাগে আমার। মেহনতি মানুষের কথা বলে। মেহনতি মানুষের পাশে দাড়ায়। মনে হলো আসল রাজনীতির পথ পেলাম। এটার সাথে সময় কাটাতে লাগলাম। একদিন আমাকে শামিম ভাই( দ্রহীর সভাপতি) আমাকে এক্টি বই দিলো ছোটদের রাজনীতি। পড়তে থাকলাম। কালমার্ক্স, চে এই ধরনের মতবাদ এর বিশাস মনে বাসা বাধতে থাকলো। এরপর আমাকে দেওয়া হলো এক্টি বই।
নাম- এলাম আমরা কোথা থেকে। বইটি পড়ার পর আমার সৃষ্টি ও আমাদের ধর্ম নিয়ে মনে প্রশ্ন যাগতে শুরু হলো। এর মধ্যে অনেক তর্কি বিতর্ক তো আছে সব লিখতে গেলে শেষ হবে না। এরপর।।।।। বিবর্তনের হাত ধরে - বন্যা আহম্মেদ এর লেখা বইটা পড়লাম। সেখানে যা ব্যাখা দেওয়া আছে,, যারা পড়েছেন তারাই বুঝবেন, সেই ব্যাখাকে কনোবম্ভাবেই অসিকার করার উপাই নেই। মনের মধ্যে উজান ঢেউ বইতে শুরু করলো। তারপর চার্লস ডারইউন এর কিছু বইয়ের বাংলা অনুবাদ পড়লাম। এরপর থেকে আমি মানুষের সৃষ্টি রহস্য নিয়ে বহু বই পড়েছি। বিভিন্ন ধর্মের বই পড়েছি as like ভোলগা থেকে গংগা পর্যন্ত- রাহুল সাং কৃত্তায়নের লেখা। তারপর রামায়ন মহাভারত, বেদ, মনু, কিন্তু আসল ব্যাপারটা মাথায় আসে না। সৃষ্টি রহস্য আসলেই কি? আমি এখনো ঘোরের মধ্যে রাত কাটাই। আজো বুঝলাম না -
সবি কি ভুল ব্যাক্ষা? নাকি সব ঠিক?
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭
হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: ধন্যবাদ মাসুদ শরিফ ভাইয়া। বইটা আমি পড়ে নিবো। দেখি উনার মতামত কি।
২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭
নিষ্কর্মা বলেছেন: বন্যা আহম্মেদের বইটি কোথায় পাওয়া যাতে পারে?
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:১২
হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: আমাকে আমার একজন ভাই বইটি দিয়েছিলো। তবে আপনি খুজে দেখুন পাবেন । গুগলে ছার্চ দিয়ে পি ডি এফ ও পেতে পারেন। ধন্যবাদ
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: আমি জানি বইটা খুজে পেতে আপনার কষ্ট হবে তাই এই লিনক দিলাম এখানে গিয়ে খুব সহজে বইটি ডাউনলোড করে নিন।
http://www.mukto-mona.com/Articles/bonna/book/
৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯
হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: আমি জানি বইটা খুজে পেতে আপনার কষ্ট হবে তাই এই লিনক দিলাম এখানে গিয়ে খুব সহজে বইটি ডাউনলোড করে নিন।
http://www.mukto-mona.com/Articles/bonna/book/
৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪৮
আরজু মুন জারিন বলেছেন: ধর্ম জিহাদ ,ইসলাম এ নিয়ে বেশি কথা বলার বিপদ আছে। ধর্মের বই এবং তার ব্যাখ্যা দেয় এখন আমাদের দেশে অধিকাংশ চরমপন্থী আয়্গ্রেসিভ মনের ধার্মিক রা। প্রকৃত পক্ষে আমাদের নবী রাসুলরা কি করেছেন ধর্মের সব ব্যাখ্যা সহনশীলতায় করতেন যতক্ষণ অমুসলিম কাফের রা তার প্রতি বিশ্বাস আনতেন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে যেমন পড়ি কোরান , তেমন সময় সময় বাইবেল (জানার জন্য) গীতা বেদ ও বাইবেল এর প্রথম চ্যাপ্টার বুক অফ জেনেসিস আর কোরান এর সুরাহ বাকারাহ প্রথম যে আমপারা বলে একই তথ্য কিভাবে পৃথিবী তৈরী হল আদম (এডাম ) হওয়া (ইভ) সৃষ্টি হল মৃত্তিকা থেকে। অজাজিল ফেরেস্তার সিজদা করতে অস্বীকৃতি আদমকে তার পরে বেহেস্তে থেকে বিতাড়ন। ..সব একই স্ক্রিপচার। বেদ এ অবতার এর সাথে হজরত মুহাম্মদ সাল্লা এর চেহারার মিল পাওয়া যায়।
আমি যা মনে করি ধর্মের চেয়ে বড় মানবতা , সততা , সুন্দর পথে চলা। যে যে ধর্মের ব্যাকগ্রাউনড থেকে এসেছি তা অনুসরন করি ।প্রথমে হৃদয়ের উদারতা নিয়ে অন্ধ উন্মত্ততা নিয়ে নয়। আমি মুসলিম আমি শ্রেষ্ঠ শুধু আমি যাব বেহেস্তে আর বাকি রা যাবে নরকে অথবা দোজখে। প্রকৃত জ্ঞান আহরণ হবে সঠিক ভাল পথ অবলম্বনে। তখন শক্তিশালী স্পিরিট আল্লাহ আমার ভিতরে কথা বলবে আমাদের সঠিক পথ দেখাবে।
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৮:৫৪
হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার সাথে আমি কিছুটা একমত হতে পেরেছি। আমি নিজে পবিত্র কুরান পড়েছি অনেক অনুবাদ বো বোঝার চেস্টা করেছি, কিন্তু সেখানে যেটা বলছে সেটা এমন নয় যে নর্বিচারে মানুষগুলোকে হত্যা। বা বুকে বোমা বেধে আত্নত্যাগ। সেখানে বলছে চেষ্টা করার কথা। আমার কাছে মনে হয় মানবতা মহান ধর্ম। ভালো থাকবেন আপু
৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫৪
আরজু মুন জারিন বলেছেন: আমরা সবাই যেন সঠিক জ্ঞান আহরণ করে সঠিক পথ চিনে চলতে পারি। যদি মনে করি ইসলাম শান্তির ধর্ম তবে কথায় কথায় জিহাদ যুদ্ধ জম্গী মনোভাব অবশ্যই পরিত্যাগ করতে করতে হবে। অন্য ধর্মের মানুষকে ও সহনশীলতায় দেখতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে হিন্দু মুসলিম আমি সব এক পালনকর্তা থেকে এসেছি। আমাদের বুঝার ভুল জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে যেন আলোর পথে চলতে পারি সবাই এই কামনা। ভাল লেগেছে পোস্ট টি। অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:০২
হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ। আমি চেষ্টা করছি ইসলাম ধর্ম কিভাবে পৃথিবীময় শান্তি প্রতিষ্টা করেছে এবং ভবিষ্যৎ কিভাবে সুন্দর পৃথিবীর সন্ধান দেবে তার পথ খুজে বের করার। কিন্তু পড়াশুনায় অনেক ব্যাস্ত থাক্তে হয় তাই সব বই পড়া বা তা নিয়ে ভাবার সময় পাইনা। তবে আমার বাস্তব জীবনে অনেক অভিজ্ঞতা আছে , যা আমার লেখা বা আমার জীবনবোধ, আমার মূল্যবোধে সহায়ক হচ্ছে। ভালো থাকবেন।।।। শুভ কামোনা রইল আপনার জন্য
৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:২৫
পথহারা সৈকত বলেছেন: আপনার কিছু তথ্য নিয়ে আমার সন্দেহ আছে.....সম্ভবত আপনার এই গল্প গাল গল্প বৈ কিছুই নয়।
আমার বয়স তখন ১৪ -১৫ হবে।
মূল উদ্দেশ্য ছিলো আমাকে তার রাজনীতিক দল জামাতে ইসলামী বাংলাদেশ এর সদস্য করা
তো উনি প্রথমে আমাকে, কিশোর কন্ঠ, এই নামের এক্টি বই দেন
কিশোর কন্ঠ তো শিবিরের পত্রিকা.....আপনার বয়স ১৪-১৫ হইলে আপনাকে শিবিরের টার্গেট করার কথা, জামাতের না
[ অফ টপিক : আরও সুন্দর করে তথ্যগুলি সাজিয়ে লিখলে, ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা কম। ]
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১০
হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: ধন্যবাদ, কিন্তু এটা ছিলো আমার জীবনের চরম বাস্তব কিছু ঘটনা । ওরা হোক জামাত হোক শিবির বা যাই হোক আমার উদ্দেশ্য হলো ধর্মের পবিত্রতা রক্ষা করা। বুকে বোমা বাধা বা কারো প্রাননাশ নয়। আর আপনার কাছে যাই মনে হোক তাতে আমার কিছু আশে যায় না। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪
মাসুদ শরীফ বলেছেন: ড. বিলাল ফিলিপস রচিত, সিয়ান পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত "স্রষ্টা ধর্ম জীবন" বইটি পড়ে দেখতে পারেন। এখানে মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য, সব ধর্মই সঠিক নাকি ভুল, স্রষ্টার অস্তিত্ব ইত্যাদি বিভিন্ন মাইন্ড প্রভোকিং প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে।