নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাগজের খেয়া

হিমেল হাসান কাগজের খেয়া

খুলনা লেখক শিবিরের একজনক্ষুদ্র সদস্য। গান গাইতে আমার খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে রবিন্দ্র সংগীত। এখনও শিক্ষা জীবনের মাঝে আছি আমি। সাহিত্য হলো আমার ভালোলাগার যায়গা, খুব এক্টা লিখতে ভালো লাগে না। কিন্তু কি করবো বলুন চোখের সামনে এতো অসংগতি ও মানতে পারি না। আমি বাংলাকে প্রচন্ড রকমের ভালোবাসি।

হিমেল হাসান কাগজের খেয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীদের প্রকৃত সম্মান দিতে ব্যার্থ আমরা। পর্ব - ১ সংক্ষিপ্ত

২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১২

আধুনিক যুগের নারিরা ভাবছেন

তাদের অধিকার দেওয়া হচ্ছে।

পুরুষের

পাশাপাশি চলতে দেওয়া হচ্ছে।

তারা এখন ঘরে, বাইরে,

সবখানে সমান

ভাবে এগিয়ে চলেছে।

হা সত্যি তাদের অর্জন অস্বিকার

করার উপাই নেই। কিন্তু সেই

সাথে পুরুষের নারির

প্রতি দৃষ্টিভংগী কেমন সেই

বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করবো আজ।

নারিদের নিপিড়িত করা শুরু হয়

সেই ভুমিষ্ট হওয়ার আগের থেকে।

যখন সে তার মায়ের গর্ভে কেবল

নিযের অস্তিত্ব তৈরিতে ব্যাস্ত।

তার বাবা চান মেয়ে নয় তার

যেনো একটি ছেলে হয়। সেই

সাথে তার মা ও তার বারার

ইচ্ছা পুরোনের জন্য দিন রাত এক

করে প্রর্থনা করতে থাকে তার

যেনো ছেলে হয়। শশুরের আশা তার

জেনো পোতা হয়, শাশুড়ির ও তাই।

এখানে পুরুষের চাহিদার মূল্য

সর্বোচ্চ। আপনি কি আমার এই

কথাগুলো অসিকার করতে পারবেন?

যদি পারেন তাহলে আমি মেনেই

নিলাম আমরা নারিদের অধিকার

দিতে সমর্থ হচ্ছি। আসলে নারিদের

সংগ্রাম করতে হয় তার অস্তিতের

শুরুতেই। যেখানে তার নিজের

মা সৃষ্টিকর্তাকে দিন রাত ঘুষ

দিয়ে বশে আনছে।

বোধকরি মেয়েদের প্রর্থম

লড়াইটা করতে হয় সৃষ্টিকর্তার

সাথে। পরিবারের সব মানুষের

ঘুশের বিপক্ষে । সৃষ্টিকর্তার

সাথে ৩ মাস, পরিবারের অন্যদের

সাথে ৩ মাস, মায়ের ইচ্ছার

সাথে ৪" মাস, সব মিলয়ে ১০ মাস

সগ্রামের পর তাকে দেখতে হয়

পৃথিবীর মুখ। পৃথিবীর বুকে আসার পর

না হয় সে অনেক কষ্টে সময়গত

ভাবে মন যুগিয়ে নেই। কিন্তু তার

বেড়ে ওঠার প্রতিটি ধাপে এক এক

রকমের নিপিড়ন। মেয়েদের বয়স যখন

১৫-১৬ পারভতে থাকে তখন তার উপর

হতে থাকে আর এক নতুন নিপিড়ন।

যৈবন নামের বিষ তাকে ছোবল

মারতে থাকে। মেয়ের বয়স বাড়ার

সাথে সাথে সে তার পরিবারের

বোঝা হতে থাকে। বাবামায়ের

চিন্তা শুরু হয়ে যায় তাকে পাত্রস্থ

করার জন্য। কিন্তু কেউ তার

কাছে একবার ও

শুন্তে রাজি না সে কি চায়।

এখানে আমার

কথা হলো নারিরা শুধু

কেনো পুরুষের কাছে যাবে?

প্রয়োজ কি শুধু তার?

আমি তো নিজের দিয়ে অনুধাবন

করতে পারি নারির চেয়ে বোধহয়

পুরুষেরি প্রয়োজনীয়তা বেশি।

আমি কোন অর্থে বল্লাম

সেটা আপনি পুরুষ হলে নিশ্চয়

বুঝে গেছেন।

আমাদের মানসিকতার কিছু

পরিবর্তন হওয়া উচিত

বলে আমি মনে করি। নারি পুরুষ

একসাথে থাকে তাদের দুজনের

প্রয়োজনে, তাই ব্যাক্তি জীবনে ,

নারির ইচ্ছার মুল্য দেওয়া উচিত। ১৬

বছরের

এক্টি মেয়েকে বোঝা না ভেবে তাকে একটি ছেলের

মতো করে গড়ে তুলুন। দেখবেন

একদিন নিয়ম পাল্টে যাবে।

ছেলেরাই যাবে শশুর বাড়ি।

মেয়েকে সেভাবে গোড়ে তুলুন।

এতক্ষন পিতা মাতার

ব্যাপারে তো কিছু বললাম এবার

আসি যুব সমাজের মানসিকতার উপর।

১৬ বছরের একটি মেয়েকে যদি কেউ

পথে যেতে দেখে, তাকে নানান

ভাবে উত্যাক্ত করতে থাকে।

নানান ভাষায় উপহাস

করতে থাকে। তাদের ভাষায়

অনেক সুন্দর একটি মাল যাচ্ছে। এখন

তার পিছু নিতে হবে। তার বাসায়

পৈছে দেওয়া পর্যন্ত তার দায়িক্ত

পড়ে যায়। এভাবে একসময়

তা মানুষের চোখে পড়ে যায়।

এবং ফলসরুপ মেয়েটির

পড়ালেখা বন্ধ। একবার ভাবুন অন্যায়

কে করল আর সাজা কার?

মাঝে মাঝে নিজেকে ভাবে অবাক

হয় শালা আমি এই পুরুষ? আমাদের

সমাজের অনেক যায়গায়

দেখা যায় এই টিন এজারদের উপর

শারিরিক অত্যাচার করা হচ্ছে, ।

সম্পর্কে চাচা, দাদা, মামা, ভাই,

এসব তখন মানার সময় থাকে না।

মেয়ে দেখলেই জীভে জল

এসে যায়। তখন নিজের ভাইজী,

নিজের ভাগ্নি, এসব ভাবার সময়

থাকে না। কতটা পিচাস

হয়ে গিয়েছি আমরা।

জানিনা আমি কিছু ভুল

বলছি কিনা। তবে মেয়েরা এই

অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য

করছে সম্মানের ভয়ে। এই

ভেবে যে কেউ জানলে তার

বিয়ে হবে না। কিন্তু আমি বলি,

মেয়েরাই শুধু এর দায় কেনো বহন

করবে? একটি ছেলে অনেক মেয়ের

সাথে শারিরিক সম্পর্ক করলেও

সেটা সবার কাছে স্বাভাবিক,

তাহলে মেয়েদের বেলায়

কেনো one time used এমন শব্দ ব্যাবহার

করা হয়? আসলে মেয়েরা নীজের

দোষে মরছে। একবার

যদি সে বাধা দিতো, বা একবার

সে যদি লোকলজ্জার ভয়

না পেয়ে তার টাটকা জবাব

দিতো। তাহলে হয়ত তাদের সম্মান

তারা রক্ষা করতে পারত।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪২

আরজু মুন জারিন বলেছেন: আধুনিক যুগের নারিরা ভাবছেন
তাদের অধিকার দেওয়া হচ্ছে।
পুরুষের
পাশাপাশি চলতে দেওয়া হচ্ছে।

অনেক বড় কবিতা। আগে মুখস্থ করে আসি। পরে মন্তব্য বিশ্লেষণ কেমন?
আপাতত পোস্ট এ অনেক শুভেচ্ছা ভাললাগা জানিয়ে গেলাম। ভাল থাকবেন কেমন।

২২ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: কাচা হাত, অল্প বয়স,অনলি ২২
,পড়াশুনার চাপে লেখার সময় পাইনা। যেটুকু খাতা কলমে লিখি টাইপ করার সময় হয় না। তাছাড়া আমার লেখায় কি ছন্দ আছে জানি না। তবে লেখার ক্ষেত্রে আমি কনো নিয়ম মানতে বাধ্য নয়। আমি সবাইকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ওসব বাধাধরা ছন্দে আমি লিখতে পরব না। বলতে পারেন আমার ঙ্গানের স্বল্পতা। আমার হাতেই নিয়মের সৃষ্টি হবে। লোকে সেটাকেই ফলো করবে। ভালো থাকবেন, আমার শ্রদ্ধেয় প্রিয় লেখিকা। অনেক শুভ কামনা রইলো।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩

আরজু মুন জারিন বলেছেন: এ কি গদ্য না পদ্য? লেখা টা দেখছি ছন্দময়।

২২ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২১

হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার পক্ষথেকে অনেক শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য। আমি যেহুতি বয়সে আপনার অনেক ছোটো, আমাকে তুমি করে বলবেন। খুশি হবো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.