নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাগজের খেয়া

হিমেল হাসান কাগজের খেয়া

খুলনা লেখক শিবিরের একজনক্ষুদ্র সদস্য। গান গাইতে আমার খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে রবিন্দ্র সংগীত। এখনও শিক্ষা জীবনের মাঝে আছি আমি। সাহিত্য হলো আমার ভালোলাগার যায়গা, খুব এক্টা লিখতে ভালো লাগে না। কিন্তু কি করবো বলুন চোখের সামনে এতো অসংগতি ও মানতে পারি না। আমি বাংলাকে প্রচন্ড রকমের ভালোবাসি।

হিমেল হাসান কাগজের খেয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাখি আর ঝিলিকের ছোবলে ক্ষত হচ্ছি আমরা।

২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২০

আমাদের সম্মানিত মা বোনেদের সিরিয়ালি মন মানোশিকতার বিকাশ আজ চরমে পৌছে গেছে। বাসায় ঢুকলে সিরিয়ালের গল্পের কারনে ভুলতে বসেছি কোনটা বাস্তবে ঘটেছে আর কোনটা সিরিয়ালে ঘটেছে। তারা এমন ভাবে গল্প করে জেনো বাস্তবে ঘটে গেছে ঘটনাটা। সিরিয়ালের কিছু চরিত্র আমাদের বাস্তব জীবনে তুখোড় প্রভাব ফেলছে। তার মধ্যে আলোচিত দুইটি চরিত্র হলো, পাখি, ঝিলক,। তাদের বৈরী মানোশিকতা চরমভাবে

অনুসরন করছে আমাদের বর্তমান সমাজের নারিরা।

যার প্রভাব পড়ছে আমাদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, জীবনে। মেয়েদের চাল চলনের আমুল পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। তাদের পোষাক আশাক, চলনভংগি, বাচনভংগি সবকিছুর মধ্যে ঢুকে গেছে সিরিয়াল। বর্তমান ঈদের বাজারে এই পাখি ঝিলক ড্রেসের হিড়িক পড়েছে।

লুনার বয়স ১৪ বছর । লুনা তার বাবার একমাত্র মেয়ে। লুনার বাবা ঢাকাই ছোটো এক্টি কোম্পানিতে চাকরি করে। তার বাবা আসার পথে মেয়ের জন্য দেশিয় বুটিক্সের ডিজাইন করা একটি সুন্দর ড্রেস কিনে নিয়ে আসেছে। ড্রেস্টি বেশ দামি তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। লুনার ও খুব পছন্দ হয়েছে। কিন্তু সব বান্ধুবীরা পাখি ড্রেস কিনেছে। তার ও মন চাইছে পাখি ড্রেস কিন্তে। লুনার বাবার স্বল্প বেতিনের চাকরি মেয়ের বাইনা রক্ষা কিরবে কিভাবে ভেবে পাইনা । মনে মনে ভাবছে হাইরে পাখি ড্রেস। এভাবে আমাদের সমাজে প্রভাব ফেলছে এই পাখি ড্রেস নামক ভারতীয় সিরিয়ালের ভাইরাস। আমাদের গ্রাস করে ফেলছে।

আবার নিউজে দেখলাম পাখি ড্রেসকে কেন্দ্র করে সংসারে ভাঙন। আবার একজনের মৃত্যু ও হয়েছে শুনলাম।। তবে ইন্ডিয়ান মার্কেটিং প্লানের তুলনা হয় না। তারা যখনি দেখলো যে সিরিয়াল বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে খাবারের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে গেছে। মানুষের একবেলা খাওয়া না হলেও সিরিয়াল মিস করছে না তারা। সেই সুযোগে নিজেদের তৈরি পোশাকের বাজার বানিয়ে নিয়েছে খুব দারুন ভাবে।

আর সেই স্রোতে হুমকির মুখে পড়ে যাচ্ছে আমাদের দেশীয় তাত শিল্প, আমাদের দেশিয় পোশাক ব্যাবসায়ীরা। এখন শপিং মল গুলোতে আর দেখা যাচ্ছেনা দেশি পোষাক। পাখি আর ঝিলকের ছড়াছড়ি। এভাবে চলতে পারেনা। টেলিভশন খুললে ইন্ডিয়ান চ্যানেলের ছড়াছড়ি। দেশীয় চ্যানেলে কেউ চোখ বুলাতেই চায় না। এটা তার একটি বড় প্রভাব।

আমাদের সময় থাকতে সচেতন হওয়া উচিত, নাহলে একদিন এভাবে হারাবে আমাদের সমাজ সংস্কৃতি। হারাবে বাংলার চিরচেনা গৌরব। শুধু তাই নয় ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর এটির চরম প্রভাব পড়ছে। আমাদের সম্মানিত মা ও বনেরা ধর্ম কর্ম সব ছেড়ে সারা দিন সিরিয়াল নিয়ে পড়ে থাকে। এই বিষয়ে এখনি সচেতন মানুষের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

নাহোলে একদিন বিদেশি পাখির ছোবলে মারা পড়বে দেশি পাখি। হা আমরা পাখি ড্রেস পরবো কিন্তু সেই পাখি হবে বাংলার তাত শিল্পের হাতে আকা নিক্ষুত পাঝি। আমার সোনার বাংলার নকশীকাঁথার মাঠকে আমরা এভাবে হারিয়ে যেত দিতে পারিনা। আমার দেশের গায়ের বধুর চিকন হাতের নরন পরশে মাখা সেই পরশ আমরা হারিয়ে যেতে দিতে পারিনা।

কি করা উচিত তা আপনারাই ভাবুন। আমার যা বলার বলেছি। সম্মানিত মা ও বোনেদের অসম্মান করার কোন কারন নেই। কারন তারা আজিবন ভোলাভালা। যে যা বোঝায় তাই বোঝে। তবে আমাদের সচেতন হতে হবে। আমাদের মডিয়া এমন কিছু করুক যাতে আমাদের সম্মানিত মা ও বোনেদের দেশিয় সংস্কৃতির মনোভাব তৈরি হবে সাথে বিনোদন ও হবে। আর তার মাঝে তুলে ধরা হোক বাংলার চিরোচারিত কালচার। তবেই আমাদের অস্তিত্ব বিলিনের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:০১

লেখোয়াড় বলেছেন:
বিদেশী সিরিয়াল দেখার দরকার নেই।
বিদেশী পোশাক পরার দরকার নেই।

২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮

হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: আমি মনেকরি মানোশিকতা পরিবর্তন করা উচিত। বন্ধ করবো কেনো আমরা অদের চেয়ে ভালো কিছু করে দেখাবো

২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৫৮

হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: আমি মনেকরি মানোশিকতা পরিবর্তন করা উচিত। বন্ধ করবো কেনো আমরা অদের চেয়ে ভালো কিছু করে দেখাবো

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩

শাহ আজিজ বলেছেন: তবে ইন্ডিয়ান মার্কেটিং প্লানের তুলনা হয় না ## আমাদের মডিয়া এমন কিছু করুক যাতে আমাদের সম্মানিত মা ও বোনেদের দেশিয় সংস্কৃতির মনোভাব তৈরি হবে সাথে বিনোদন ও হবে##


খুবই মূল্যবান কথা বলেছেন।
আমাদের নিশ্চিত পরিকল্পনা থাকলে এরকমতা হতো না। অবশ্য শালীন ড্রেসের ব্যাপারে আমার কোন আপত্তি নেই । ১০ লাখ কিশোরী এবার অইসব ড্রেস পরবে । বাকি দেড় কোটি? আপনার বাজার ফাকা বলেইত ওরা ঢুকছে । সিরিয়াল বন্ধ করলে ফ্যাশন বন্ধ হবে? অনলাইন বন্ধ করতে পারবেন? ৩জি তে অ্যাড আসবে । সরকারের তামাম কর্মচারী তখন মনিটরিং আর ব্লকিং এ ব্যাস্ত থাকবে । আমাদের ডিজাইনাররা কি করেন ? তারাও সিরিয়াল দেখতে ব্যাস্ত হয়ত ।

মিডিয়া অনেক চেষ্টা করছে কিন্তু সফল হতে গেলে অন্যদের সফলতার চাবিকাঠির খবর নিতে হয় । এম ডি সাহেবের শালার খায়েশ হল নাটক বানিয়ে ফাটিয়ে দেবে । তথাস্তু। জলন্ত জলিলকে দিয়ে আম্বিয়ার মায়ের সাথে ফলন্ত যৌবন নামে টিভি নাটক বানাল । লাভ হল না । কাহিনী দুর্বল । শালা বলে জলিল তুমি আম্বিয়ার মার দিকে তাকাইয়া ডায়লগ বল ,জলিল ঘাড় ঘুরাইয়া ক্যামেরার দিকে তাকাইয়া চিপস খায় । বোঝেন এইবার ।

বিশ্বায়নের এই যুগে আপনি ক্ষমতাধরকে আটকালে সে আপনার পুরোটাই আটকে দেবে । সাধু সাবধান । অন্যের প্ররোচনায় আপন ঠ্যাং ভাঙ্গিবেন না ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: আপনার মন্তব্যের যৌক্তিকতা এড়াতে পারছিনা। যা বলেছেন তাতে ওরা দেখলে ওদের বেশ ফাটবে। যাই হোক আমাদের এখন কিছু এড়িয়ে না গিয়ে তার চেয়ে ভালো কিছু করা উচিত। যাতে আমাদের নিযস্বতা বজায় থাকেন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩

মুহাই বলেছেন: লেখোয়াড়
বলেছেন:
বিদেশী সিরিয়াল
দেখার দরকার নেই।
বিদেশী পোশাক
পরার দরকার নেই।

২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০১

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: ভারতীয় যে কোন টিভি চ্যনেল বাংলাদেশে অবাধ নিয়ন্ত্রনে প্রচার কোন মতেই গ্রহনযোগ্য নয়। এ গুলি বন্ধ করা উচিত এখনই। ভারতীয় সিরিয়ালের এবং অনুষ্ঠানের আমাদের সংস্কৃতিতে খারাপ প্রভাবটাই হচ্ছে।

ডিসকভারির বাংলা অনুবাদ ও কোলকাতা থেকে হচ্ছে, সহজেই বোঝা যায়, আমরা "পানি" কে "জল" বলি না।

তা ছাড়া অদ্ভুত অনুবাদ তো রয়েছেই।

তথ্য মন্তৃির দ্বায়িত্যে এটা পরে।

২৫ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

হিমেল হাসান কাগজের খেয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপ্নার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.