![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বিশ্বাস ভাবাদর্শী মারা যায় কিন্তু ভাবাদর্শ মরেনা। তাই মার্ক্সবাদী হতে চাইনা, কার্ল মার্ক্স হতে চাই
বর্তমান সময়ের অন্যতম বিতর্কিত একটা বিষয় হল ভিডিও গেম। বিশেষ করে পাবজি বা ফ্রিফায়ারের মত গেমগুলো। এরকম আরো অসংখ্য ভিডিও গেম এখন স্মার্টফোন ইউজারদের হাতের নাগালে। মানুষের জীবনে প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে বিভিন্ন বিনোদনের মাধ্যম। একশো বছর আগেও যেগুলো মানুষ কল্পনা করতে পারতোনা এখন সেগুলো খুবই সহজলভ্যভাবে হাতের নাগালে। তবে আর সবকিছুর মতই প্রযুক্তির দিকগুলোতেও ভাল খারাপের মিশেল আছে। অনেক আগে থেকেই খেলাধুলাকে মানুষ বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বেঁছে নিয়েছে। পৃথিবীটা হাতের মুঠোয় আসার সাথে সাথে সেই খেলাধুলাটাও আউটডোর থেকে ইন্ডোরে আসতে থাকল এবং একসময় জায়গা করে নিল মানুষের পকেটে। এখন আর খেলাধুলা করার অন্য মানুষ বা প্রতিদ্বন্দ্বী খুঁজতে হয়না। খুব সহজে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তা করা যায়। পাব্জি বা ফ্রিফায়ারের থিমটা হচ্ছে বিভিন্নজন পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় বসে ভার্চুয়ালি বা স্মার্টফোনের মাধ্যমে যুদ্ধ করবে। যুদ্ধে অস্ত্রের ব্যবহার, ট্যাক্টিক্টস, রক্তপাত শেষে কেউ জয়ী হবে কেউবা পরাজিত। সাথে আছে ভার্চুয়াল পুরস্কারের ব্যবস্থাও। পাব্জি বা প্লেয়ার আন্নোন ব্যাটলগ্রাউন্ড গেমটির মাধ্যমে সাউথ কোরিয়ান কোম্পানী ব্লুহোল কামিয়ে নিচ্ছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। একই কথা অন্যান্য এই ক্যাটাগরির গেমগুলোর ক্ষেত্রেও
প্রথমদিকে এতটা সাড়া না পেলেও এখন এসব গেম ছাড়া অনেকেরই চলেনা। আগে জটলা পাকিয়ে আড্ডা চলতো। আর এখন চলে ভিডিও গেম। আগে এটা শুধু বাচ্চাদের বিষয় হলেও এখন সব বয়সেই এর নেশা দেখা যায়। এমন অভিযোগও আছে বাচ্চারা বাড়ি থেকে টাকা চুরি করে এসব গেমের বিভিন্ন ফিচার অন করছে। ওয়ার্ল্ডোয়াইড ইউজার দিন দিন বেড়েই চলেছে। দিনের বেশিরভাগ সময়টাই তারা দিচ্ছে এসব অনলাইন গেমের পিছে। তবে এটা তীব্র আকার ধারন করেছে করোনাকালীন সময়ে এসে। ঘরে বন্দী অনেকেই গেমগুলোকে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে বেঁছে নিয়েছে। সময় কেটে গেলেও ব্রেনের ওপর পড়ছে তীব্র চাপ। মানসিক অসুস্থ হয়ে পরছে বেশিরভাগ ইউজারই। ভারতের সরকার ব্যন করে দিয়েছে এসব গেম। ফলে কমেছে ইউজার সংখ্যা।
অনেকেই আবার যুক্তি দিচ্ছেন যে গেম না খেললে অনেকেই নেশার দিকে ঝুকে যাবে। তাই একদিক দিয়ে ভালই হচ্ছে এই গেমের কারনে। কিন্তু নেশা যেমন মানুষের মেধা নষ্ট করে এই গেমগুলোও একই কাজ করছে। হোক ভার্চুয়ালি কিন্তু রক্ত, খুন, হানাহানি এসবের প্রতি মানুষের কি পরিমান আকর্ষন তা এই গেমের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। কিন্তু এই সময়গুলো গেম না খেলে বই পড়ে বা ক্রিয়েটিভ কিছু করেও কাটানো যায়। অতিরিক্ত কোনকিছুই ভালোনা। সকলের মানসিক বিকাশ ঘটাতে প্রডাক্টিভ কাজগুলোকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। এক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারে খুবই সচেতন হতে হবে। ভারতের মতন শক্ত স্টেপ না নিতে পারলে হয়ত মহামারী শেষেও এর ধাক্কা আমরা কাটিয়ে উঠতে পারবনা।
২| ২০ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:০২
কল্পদ্রুম বলেছেন: কোন কিছুর ব্যবহার অপ না কি সু হবে, সেটা তো ব্যবহারকারীর উপর নির্ভর করে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৪৬
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: একটি ভালো গেইম নিয়ে চিন্তা করলে বা তা খেললে গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস, ভাষাজ্ঞান প্রভৃতির উপকার হয়। তবে পাবজির মতো মারামারি প্রতিযোগিতার গেইমে ক্ষতিই বেশি।