![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বিশ্বাস ভাবাদর্শী মারা যায় কিন্তু ভাবাদর্শ মরেনা। তাই মার্ক্সবাদী হতে চাইনা, কার্ল মার্ক্স হতে চাই
টিকটক বা লাইকি। নাম দুটি বর্তমান সময়ের খুবই জনপ্রিয় দুটি নাম। চীনের সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাইটডান্স ২০১৪ সালে মিউজিক্যাল লিমিটেড নামে অ্যাপটি বাজারে ছাড়ে। পরে ২০১৮ সালে সেটি টিকটক নাম নেয়। ইউজার অল্প সময়ের ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়ে আপ্লোড দেয়। যেটি ভিউয়াররা দেখে লাইক কমেন্ট শেয়ার করতে পারে। বেশিরভাগ সময় খ্যাতিমান কারো কন্ঠ বা সিনেমার অংশের সাথে মুখ মিলিয়ে এটা করা হয়। ‘ মেক ইওর ডে- রিয়েল পিপল, রিয়েল ভিডিও’ এই স্লোগানের মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে টিকটক। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে অবস্থান করছে ৭ নম্বরে (২০২১ সাল)।
১। ফেসবুক
২।ইউটিউব
৩।হটসঅ্যাপ
৪।মেসেঞ্জার
৫।ইন্সটাগ্রাম
৬।উইচ্যাট
৭।টিকটক
যে যে বিষয়গুলো এই অ্যাপে আপ্লোড হয়ে থাকেঃ
১।মজার ভিডিও
২।বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মিমি
৩।পার্সোনাল নিউজ
৪।করোনা ভাইরাসের নিউজ
৫।ব্রান্ডের প্রচার ইত্যাদি।
বাংলাদেশে অনেক খ্যাতিমান তারকারই আছে টিকটক একাউন্ট। বিদ্যা সিনহা মিম, সাফা কবির, টয়া, তিশা, মেহজাবিন, ইমরানসহ অনেকেই আছেন এই ভিডিও নির্মাতাদের তালিকায়।
টিকটক নিয়ে কিছু তথ্যঃ
১। সবচে বেশি ইউজার চায়নায়। ছেলে ইউজারের সংখ্যা এখানে বেশি মেয়েদের তুলনায়।
২। চায়না বাদে সবখানে মেয়ে ইউজার বেশি।
৩। মেয়ে ইউজার আগে কম থাকলেও এখন বাড়ছে।
৪। ইউজার হিসেবে ২৫-৩৫ বছর বয়সীরা বেশি ।
৫। ডেইলি ৪০০ মিলিওনেরও বেশি সার্চ হয়।
৬। ভারতে প্রতিজন ৪০ মিনিট সময় দেয় টিকটকে।
৭। এই অ্যাপের পজিটিভ রিভিও ৮৮%
৮। ২০২০ এ কোম্পানির আয় ছিল ১ বিলিয়ন ডলার।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের আয়:
বিভিন্ন দেশে টিকটক ইউজার (মিলিয়ন, ২০২০):
চায়না- ৬০০
আমেরিকা- ৬৫.৯
ঈন্দোনেশিয়া- ২২.২ (মুসলিম সংখ্যাগরিস্ট)
রাশিয়া- ১৬.৪
জাপান- ১২.৬
ফ্রান্স- ৯.৩
জার্মানী- ৯.১
ইংল্যান্ড- ৮.৫
ইতালী- ৮.৩
স্পেন- ৭.৫
নেদারল্যান্ড- ৩.৮
দেখা যাচ্ছে, চায়নায় ইউজার সবচেয়ে বেশি। আর মুসলিম দেশের মধ্যে ইন্দোনেশিয়াতে।
পৃথিবীব্যাপী ব্যবহারকারী:
ভবিষ্যত প্রবেশকারীর ধারনা:
করোনাকালীন সময়ে ইউজার অনেক বেড়েছে যা এখনো চলমান। চলমান পরিস্থিতে মানুষের অন্যতম বিনোদনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে এটি। অনেকের সুপ্ত প্রতিভা যেমন ফুটে উঠছে এই অ্যাপের মাধ্যমে, অনেকে আবার ক্ষতিরও সম্মুখীন হচ্ছেন। ভারতে কিছুদিন আগেই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ইদানীং নারীপাচার বা দেহব্যবসাসহ ধর্ষনেরও হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এই মাধ্যমটি। এটাকে প্রযুক্তির অপব্যবহারই বলা যেতে পারে। যদিও নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি অনেক বিধিনিষেধ মেনে চলে। সমাজের ক্ষতি করে এমন কিছু আপ্লোড দিলে আইডি ব্যন করা হয়। তাও এর ব্যবহারে সকলেরই আরেকটু সচেতন হওয়া জরুরী। এমন যেন না হয় আধুনিকতার নামে শালীনতা, শৃঙ্খলা, সভ্যতা, ভদ্রতা, আচার-ব্যবহার নামক জিনিসগুলো সমাজ থেকে উঠে গেল। বিনোদন দিয়ে জাতি সামনে এগোয় না। বরং বেশি বিনোদন উন্নয়নের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অভিভাকদের এক্ষত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা পালন করতে হবে।
©somewhere in net ltd.