![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে প্রথম আলোতে খোলা কলম পাতায় সময়চিত্র নামক অংশে অধ্যাপক আসিফ নজরুল একটি কি যেন লিখেছেন।শিরোনাম ছিলঃ
অনন্ত জলিল: কিছু আত্ম-জিজ্ঞাসা
সেখানে তিনি অনেক কথা লিখেছেন।কারন তিনি একজন উন্নতমানের খাটি দেশপ্রেমিক।দেশের ছেলেমেয়েরা যেভাবে ভুল পথে হাঁটছে, আর বিকৃত মানসিকতা নিয়ে বড় হচ্ছে, তাতে তিনি যারপরনাই বিস্মিত এবং দুঃখিত।
তিনি তার বক্তব্যে বলতে চেয়েছেন অনন্ত আমাদের ছেলে, তাকে নিয়ে মশকরা করা ঠিক না।অনন্ত যা খুশি করবে তাতে তোমাদের কি?
তিনি এক জায়গায় বলেছেন
“আমাদের একজন মন্ত্রী শাহরুখের মতো মেলোড্রামা করা অভিনেতার অনুষ্ঠান দেখার জন্য গদগদ হয়ে মাটিতে বসে পড়েছিলেন। হাসি-ঠাট্টা করলে এ ধরনের লোকদের নিয়ে করাটাই ভালো, অনন্তকে নিয়ে নয়। অনন্ত আমাদের সন্তান। তাঁকে অসহ্য মনে হলে বর্জন করুন। কিন্তু তাঁকে একজন অদ্ভুত আগন্তুকের মতো ধরে নিয়ে এমন ঠাট্টা-মশকরার কারণ নেই।
”
আচ্ছা মানলাম তার কথা ঠিক আছে তাকে নিয়ে আমরা কেউ আর মশকরা করব ন।আর যাও করেছি তার জন্য শাহবাগের মোড়ে ১২৭ বার কান ধরে উঠবস করব।কিন্তু আসল ব্যাপার হল এই আজিব নজরুল সাহেব জ্বলন্ত অনিল সাহেবের পক্ষে কথা বলার আড়ালে আসলে কি বলতে চেয়েছেন আমরা একটু লক্ষ করি।উনি তার ৩ নম্বর কলামে লিখেছেন
“আমরা বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল লরিয়েটকে বিনা দ্বিধায় আখ্যায়িত করি সুদখোর হিসেবে। যে বিচারপতির প্রজ্ঞা, জ্ঞান আর সততা নতুন প্রজন্মের কাছে হতে পারত আলোকবর্তিকার মতো, শুধু গোলাম আযমের নাগরিকত্ব মামলার রায় দেওয়ার জন্য তাঁকে দালাল আর রাজাকার হিসেবে অভিহিত করা হয় অনলাইন আড্ডায়। যে নেত্রী তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, তাঁর জন্মের বৈধতা আর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। যে প্রবীণতম সাংবাদিক সবার শ্রদ্ধার দাবিদার, তাঁকে গালাগালি করা হয় অশ্রাব্য ভাষায়।
”
আসলে জ্বলন্ত অনিল সাহেব কিছুই না।উনার উপরের বক্তব্য থেকে আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি উনি স্রেফ ইউনুছ সাহেব,বেগম খালেদা জিয়া আর আমার দেশের সম্পাদক সাহেব মাহমুদুর রহমান এদের মত মানুষের হাল্কা দালালি করতে লিখাটি লিখেছেন।আর মতি ভাই সুন্দর করে খোলা কলম পাতায় ব্যাপারটি ছেপেছেন।ভাল, সবই ভাল।কিন্তু কথা হল যে,আমরা পিয়াজ করিম,আজিব নজরুল বা ফরহাদ মাঝার এঁর মত বুদ্ধি-নটি না।আমরা গোলাম আজম এর মত মানবতা বিরোধীদের প্রশ্নে নোবেল বিজয়ীর ও বিরোধিতা করতে পারি,আমরা ৩ বার কেন ১৩৩ বার নির্বাচিত প্রধান মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও বলতে পারি যদি সে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের মৃত্যু দিবসে ভুয়া জন্মদিন পালন করে নিজেকে হাস্যকর ও অসহ্য করে তোলে,আমরা প্রবীণতম বা প্রবীণশ্রেষ্ঠ সাংবাদিক বা কূটনীতিক হুয়াটইভার সে আবুল কি মফিজ তাতে কিছু যায় আসে না।সে যদি দেশ-বিরোধী বা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পক্ষের হয়ে কাজ করে তাকে আমরা কখনই আলু বেগুন কোন কিছু দিয়েই দাম দিব না।
আমরা আমাদের মাথা কারো কাছে বিক্রি করি নি।আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক।আপনাদের মত বুদ্ধি নটি না।
হুমায়ুন আজাদ একটি কথা বলেছিল,কথাটার ভাবার্থ কিছুটা এই রকম যে, রাজাকার একবার রাজাকারি করলেই সে রাজাকার,কিন্তু একবার কোন সময় দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করে পরে আবার সে ছোটলোকের মত টাকা বা ক্ষমতার লোভে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করলে সে আর মুক্তিযোদ্ধা নয়।
আমাদের দেশে কিছু অধ্যাপক আছেন,অধ্যাপক হিসেবে হয়ত তারা সম্মানিত।কিন্তু তাদের মতামত আমাদের কাছে কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়।আর এভাবে তারা অবশ্যই এবং অবশ্যই আমাদের মতাদর্শকে কে পাল্টাতে পারবে না।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
হিমাংশু কর বলেছেন: ধন্যবাদ।@ ইজীটক
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১
আশমএরশাদ বলেছেন: "ছবি দেখি বন্ধুর বাড়ির হাই ডেফিনেশন প্রজেক্টরে। ব্লু-রে টেকনোলজি এবং লিংকন বা আরগোর মতো চলচ্চিত্র।"-----বাহ্ বাহ্..""----- হলের বদলে হাই ডেফিনেশন প্রজেক্টরে বিদেশী ছবি দেখে বাঙলা সিনেমা উদ্ধার করতে আসছেন।
""আরেক দল প্রায় সারা সময়ে এমনকি ট্র্যাজিক কোনো দৃশ্যেও হাসছে।"-- বুকে হাত দিয়ে বলেনতো সেসব দৃশ্যে আপনার আসলেই কান্না পেয়েছিল কিনা?
"যে নেত্রী তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, তাঁর জন্মের বৈধতা আর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।"--- লেন্জাটা দেখায়া দিলেন? কেন প্রশ্ন তোলা হয় তা জানেননা বুঝি? দেশের জন্য যে নেতা জীবন দিয়ে গেলেন তার মৃতু্্য দিবসে জন্মদিন পালন করাটা আপনার কাছে শোভন মনে হলো?
"অনন্তকে স্রেফ একজন এন্টারটেইনার হিসেবে দেখাটাই বরং শ্রেয়""-- আমরা তো তাকে এন্টারটেইনার হিসেবেই দেখি।
""তের চেয়ে বহুগুণে অতিনাটুকে হওয়ার পর এন্টারটেইনার রজনীকান্ত যদি দক্ষিণ ভারতে দেবতুল্য হতে পারেন,"--- জনাব রজনীকান্তকে নিয়ে ও হাসাহাসি হয়। আপনার আরও পড়াশোনা করা দরকার এ বিষয়ে।
একজন অপদার্থকে সমর্থন দিতে গিয়ে হিপোক্র্যাসিটা আপনিই করলেন আসিফ নজরুল সাহেব। অনন্ত সাজার চেষ্টা করবেননা। অতো সোজা না।
শেষ কথা: আজ আপনি একটু পরপর মোবাইলরে ব্যালান্স চেক করে দেখবেন। সুন্দরী আর তোষামদকারী দেখলেই অনন্ত ভাই আবার অসম্ভবকে সম্ভব করে দিয়ে ৫ টাকা ফ্লেক্সি করে দেন। আজ মনে হচ্ছে আপনি ৫ টাকা ফ্লেক্সি পেয়ে যাবেন!! সেখান থেকে তুলে আনা একটি কমেন্ট- করেছেন- সজীব
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯
হিমাংশু কর বলেছেন: চমৎকার বলেছেন আশম এরশাদ ভাই।
উনি কই কিভাবে ছবি দেখে সেটা একটা বহুল প্রচারিত দৈনিকে না ছাপলেই ভাল হত, সেটা উনার মাথায় ঢুকে নাই।
৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
তানিয়া হাসান খান বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৩
ইজীটক বলেছেন: ভাল লেখা.+++++্