![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের মানুষ আজ কত অসহায়! একদল চায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে, আরেকদল চায় হারানো মসনদ ফিরে পেতে। মাঝখানে আমরা আমজনতা যাঁতাকলে নিষ্পেষিত, শোষিত, লাঞ্চিত, বঞ্চিত, অবহেলিত, নিগৃহীত, অপমানিত এবং অবশেষে ধর্ষিত!! কেন আমাদের এই পরিনতি? সভ্যতার চরম উৎকর্ষের এই সময়ে আমাদের বাঙ্গালি জাতির উল্টোচলন কেন? কোথায় আমরা কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে সমাজ ও দেশের উন্নতির জন্য কাজ করব তা না; সম্পদ ও স্বার্থের জন্য অন্ধের মতো ছুটে চলছি অজানা গন্তব্যের দিকে।
আমাদের নোংরা রাজনীতির এই দ্বিচক্রের গণ্ডির ভিতর থেকে আমরা কেন জানি আর বেরুতেই পারতেছিনা! আমরা এই ১৬ কোটি মানুষ কি সত্যিই নপুংসক হয়ে গেলাম? আমাদের কি উদ্ধারের কেউ নেই? আমরা কি নেতৃত্বহীন জাতি হয়ে গেলাম? আমাদের সবুজ বাংলার এতো সুন্দর এই দেশ কি এভাবেই উল্টোদিকে চলতেই থাকবে? আমাকে এই প্রশ্ন গুলো অনেক দিন কুরে কুরে খাচ্ছিল। উত্তর খুজে পেয়ে বেশ স্বস্তি এনে দিল। আমি বেশ আশাবাদি, নব দিগন্তের ঊষার আলো দেখা যাচ্ছে বলে। সেই আলো আর কিছুই না, তরুণদের রক্তচক্ষুর বিস্ফোরণ। সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন দেখব এই দ্বিচক্রের মায়াজাল ছিন্ন করে আমাদের এই তরুণরাই সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চা করছে... সুখের কথা হল, পৃথিবীর ইতিহাস ও তাই বলে। যখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় তখন ঘুরে দাঁড়াতেই হয় এবং তখনিই তৃতীয় শক্তির উত্থান ঘটে। এই তৃতীয় শক্তিই তরুণদের শক্তি, নতুনদের শক্তি, পরিবর্তনের শক্তি!
ভাবতে অবাক লাগে, আমরা গণতন্ত্রের লেবাসে রাজতন্ত্র চর্চা করছি! এ কোন ধরনের খেলায় মেতেছি আমরা সবাই? নিজেকে প্রশ্ন করি বারবার। আমাদের এই নপুংসক সমাজ আমাদেরকে কি দিয়েছে স্বাধীনতা উত্তর? একগাদা ব্রিটিশ আইন ও আমলা, লাল ফিতার জাল যাদের কলমের খোচায় সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতিকে আলিঙ্গন করছে! ইতিহাস বলে, পরিবর্তন অবশ্যাম্ভাবি; হতেই হবে। আমাদের স্মার্ট প্রযুক্তির এই তরুনরাই পরিবর্তনের অগ্রণী হবে নিঃসন্দেহে। তাঁদের রক্তচক্ষুর বিপ্লবে ক্ষমতা লোভী পেটুক দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকদের পতন ঘটবে। সেদিনের অপেক্ষায় রইলাম এবং সবাইকে এই যুদ্ধে অংশ নিয়ে সুফলা, সবুজ, শ্যামল এই বাংলাকে আসন্ন রাহু গ্রাসের হাত থেকে মুক্তির স্বাদ দেওয়ার আমন্ত্রণ!
©somewhere in net ltd.