নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাকড়সা

আকড়ে আছি আষ্টেপৃষ্ঠে....

মেডিকো মাকড়সা

দেশকে ভালবাসি.।.।.।

মেডিকো মাকড়সা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফাঁসের গল্প, ফাঁসা কথা.....

১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩

সামনের ঘটনাঃ



ক্রিং ক্রিং......

-হ্যালো রফিক সাহেব, আপানার ছেলেকে তো আমরা PSC(Primary School Certificate) তে বসতে দিতে চাচ্ছি না।

-কেন?

-ও তো এবারো ইংরেজি আর অংকে ফেল করেছে।

-সে কি কথা? আমার ছেলে তো পড়াশনায় অনেক ভালো।

-কি করে বুঝলেন ভালো? স্কুলে এসে খোঁজ নিয়েছেন কোনদিন?

-দেখেন মাষ্টার সাহেব, ব্যাবসা রেখে ছেলের স্কুলে ঘোরাঘুরি করলে আমার ব্যবসা তো লাটে উঠবে। আর আমার ছেলের ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। আমি দেখেছি, ও সারাদিন ঘরে দরজা বন্ধ(!)করে দিয়ে অনেক পড়ে।

-তাহলে রেজাল্ট এমন কেন? একটু খারাপ হতেই পারে, তাই বলে ফেল? তাও আবার অংক ইংরেজিতে।

-মাষ্টার, শিলে পরীক্ষায় যাই করুক না কেন ও আসল পরিক্ষায় ভালো করবেই।



রফিক সাহেবের টাকা আর সম্মানের জোরে তার ছেলে রুকুকে প্রধান শিক্ষকও আটকাতে পারেন না। পরীক্ষা দেয় রফিক সাহেবের ছেলে রুকু, হল থেকে বেরিয়ে বলে সবই নাকি ভালো হয়েছে, যেখানে হিমশিম খেয়ে ক্লাসের পাশ করে যাওয়া ছেলে মেয়েরাও। কিছু কিছু ছেলে মেয়ের মুখ চকচক করলেও অধিকাংশের মুখ কালো, প্রশ্ন নাকি কঠিন হয়েছে...



২ মাস পর রেজাল্টে হতবাক অবস্থা, রুকু এ+ পেয়েছে। যেখানে বাঘা বাঘারাও পারেনি, রুকু পেরেছে। সবাইকে নির্বাক করে দিতে...রফিক সাহেব হেডস্যারের দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দেয়।



রুকুর এই চমক চলতেই থাকে, পিএসসি থেকে জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল পরীক্ষা এবং সবশেষ বিসিএস এও চমকের পর চমক। এতো চমকে কার বুঝতে বাকি থাকে রুকু কতবড় ছাইচাপা আগুন ছিল।“ পোলা তো নয়, যেন আগুনের গোলা”।





পিছনের ঘটনাঃ



ব্যবসার জোরে রফিক সাহেবের টাকা যেন দুইহাতের ময়লা।ঘষা দিলেই ঝরে। ঝরা জিনিস কিছু খারাপ জায়গায় দিয়ে যদি ছেলের ভবিষ্যতটা ভালো করা যায়, তাতে মন্দ কি? প্রশ্ন তো সবাই পাবে, পার্থক্য শুধু সময়ের, কয়েকটা ঘন্টা আগে আর পরে আর কি...তারপরেই শুধুই চমক।



বাকিটাঃ(জাবর কাটা)



আজকেও পত্রিকার শিরোনামে এসেছে প্রশ্ন ফাঁসের জন্য পরীক্ষা স্থগিত, কিন্তু স্থগিত করলেই কি সমাধান হয়ে গেল? কিন্তু কয়টা স্থগিত করবেন? পরীক্ষা তো একসময় নিতেই হবে। তাই না? তখন কি হবে? আমাদের সময় এ+ ছিলো ২৬ হাজার, আর এখন ৮২ হাজার, রাতারাতি সবাই এতো মেধাবি বা পড়ুয়া হয়ে গেল? নাকি ওরা রাত দিন কমপ্লান, হরলিক্স নাকি বুষ্ট খায় যে???



তদন্ত কমিটির কাজ কি শুধু তদন্ত করা, আর দিনশেষে রিপোর্ট করা যে “হুম, প্রশ্ন ফাস হয়েছে, পাশেই ব্রাকেটের মধ্যে বড় অক্ষরে লেখা "প্রমানিত”। ব্যস, শেষ? কারা করছে, কেন করেছে এসবের উত্তর কে বা কারা দিবে? উত্তরের আশাও করছি না, শুধু সুষ্ঠু তদন্ত ও এর মূলোৎপাটন চাইছি। এভাবে শিক্ষার পুটু মেরে শিক্ষার হার বাড়ানোর দরকার নাই মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী......শুধু একটাই অনুরোধ শিক্ষাকে বাঁচান।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.