![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৃষ্টি,
এক কৈশোরের স্বপ্ন ও ভালবাসা তুই।স্কুলে আসার পথে পাহাড় থেকে নেমে আসা ছোট্ট নদীটির বুক চিড়ে তোকে আসতে হতো।কতদিন বরষার জন্য প্রাথর্না করেছি।নদীর পানি বেড়ে গেলে তোর সাথে আরও কিছুটা পথ চলতে পারবো বলে।তোর নদী পার হবার সময় কতবার প্রাথর্না করেছি পা পিছলে যেন পরে না যাস তুই।
স্কুল ছুটির পর তোর পিছু নিয়েছি কতবার।প্রচন্ড ইচ্ছে হত তোর সাথে কথা বলি।তুই আমার সহপাঠি ছিলি তারপর ও কথা বলা হয়নি।একদিন সাহস করে পৌঁছে দিলাম,ভালবাসি।তোর হাঁ শোনার জন্য কত রাত প্রার্থনা করেছি,রক্ত দিতে রাজী ছিলাম কালীর চরনে।দিন,মাস তারপর দুবছর।কোন এক পাতাঝরা দিনে তুই বললি,ভালবাসি।তারপর,যেদিন তোর হাতে হাত রেখেছিলাম।আজ ও পরিস্কার মনে আছে,সেই অনুভূতি।
তুই তো জানিস,সুপারম্যান বা শক্তিমান হবার স্বপ্ন আমার কোন দিন ও ছিল না।আমি মানুষের মতো বিশাল স্বপ্ন ও দেখতে পারি না।মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম বলে হয় তো স্বপ্নগুলো ও মধ্যবিত্ত ছিল।অল্প কিছু চাওয়া,খুবই সামান্য কিছু স্বপ্ন ছিল আমার।তোকে নিয়ে টাইটানিকে করে সাগর পাড়ি দেবার স্বপ্ন,সুপারসনিক বিমানে করে নীল আকাশ পাড়ি দেওয়া,আর নয়তো বা কোন বন্ধুর খালি বাসায় কিছু টা সময়।এ রকম বিশাল স্বপ্ন আমি ঘুমে ও কোন দিন দেখিনি।
তোর পরিবার যেদিন আমেরিকা প্রবাসীর সাথে তোর বিয়ে ঠিক করলো।এর পরদিন মনে আছে,পালিয়ে যেতে চেয়েছিলি এ কাপুরুষটার সাথে।
তারপর...........................
তোর ফেসবুক আইডিতে দিনে কতোবার ডুব মারা হয় তা আমি নিজেই জানি না।কাপুরুষ তো তাই লুকিয়ে দেখতে হয়।তোর ছেলেটার ছবি দেখলে আমার নিজের মনে হয়।তোকে তো আলাদা করতে পারিনি নিজের থেকে।তোর স্বামীর সাথে একটা ছবি দেখার খুব ইচ্ছে।তোর বিয়ের সেই লাল টকটকে শাড়ি পড়া ছবিটা এখন ও আছে।নিজের কাছে রেখে দিয়েছি,একান্ত নিজের করে।
মধ্যরাতে কোন কিছু লিখতে ভালই লাগে।বিশেষ করে কষ্টগুলো।বৃষ্টি তোর সাথে আমার আজন্মের প্রেম।সারাটা বছর তোর জন্য অপেক্ষা।জানিস,টিনের চালে তোর শব্দ শুনিনা অনেক দিন হলো।যান্ত্রিক জীবনে আমার মনটা ও যান্ত্রিক হয়ে গেছে হয়তো।তুই কি জানিস,আজ ও বর্ষার প্রথম দিনে বৃষ্টিতে ভেজা হয়,তারপর জ্বরের সাথে বিছানায় বন্ধুত্ব ।মা কতবার বকা দেয়।কেন এমন করিস।বোকা মা !! কি করে বুঝবে বল ?বৃষ্টি তোর সাথে আমার আজন্মের প্রেম।
তুই কি জানিস,তুই চলে আসার পর আমি সে নদীতে কতবার পা ভিজিয়েছি? কেবল তোকে অনুভব করবো বলে।আজ প্রাথর্না না করলে ও সে নদীতে যৌবন আসে,বরষা হয়।বাড়ির পাশে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি নদীর ঘোলা পানিতে পা ভেজানো নয়ত বা স্কুলের পাশে গনেশ দার চায়ের দোকানের গরম গরম এক কাপ চা।তোকে নিয়ে দেখা সেই স্বপ্নগুলো তেমনি আছে,যেমনটা ছিল কৈশোরে।সব কিছু তেমনি আছে,কেবল বদলে গিয়েছে পরিবেশ।তাই বলে কি ভালবাসা ও বদলে যাবে ?
জানি এ চিঠি তুই পড়বি না।আজ এত কিছুর পর এতোটা বছর পর ও কাপুরুষটা তোকে ভালবাসে তেমনি ভাবে,যেমনটা বেসেছিল কৈশোরে বা যৌবনে।যেমনটা ভালবাসবে................................।
পরাজিত কবি
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৮
কবি এবং হিমু বলেছেন: কষ্টগুলো সবসময় দারুন ই হয়.
২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৮
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: সে রকম অনুভুতির প্রকাশ, ছুয়ে গেল। ভাল থাকবেন যেখানেই থাকেন।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫২
কবি এবং হিমু বলেছেন: ভাল থাকা।ভালই আছি সবার থেকে পালিয়ে,দেশ ছেড়ে অনেক ভাল আছি।ধন্যবাদ শুভকামনার জন্য
৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৬
সরদার সাহেব বলেছেন: নদী নিয়ে কত কল্পনা।
যদিও লেখাটা আত্মকেন্দ্রিক তবুও মনে হল আমাকে নিজের মুখে কে যেন পড়ে পড়ে শুনাচ্ছে!!
ভালো থাকুক বৃষ্টিরা, ভাল থাকুক তার ধারায় ভিজা যাত্রিরা!
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৩
কবি এবং হিমু বলেছেন: বৃষ্টিরা ভাল থাকতে পারে না। কারন কাপুরুষদের ভালবেসে হয়তো তারা দূরে থাকতে পারে কিন্তু চাইলেই যে তাদের ভূলে থাকতে পারে না।
৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আপনার লিখার সাথে প্রথম পরিচিত হলাম ।
আপনি ভাল লিখেন । চালিয়ে যান ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৭
কবি এবং হিমু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে,কষ্ট করে পড়ার জন্য।ভাল থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৩৪
সজিব হাওলাদার বলেছেন: দারুন অনুভুতি।খুব ভাল লিখেছেন।