![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোন দিন ধর্ম নিয়ে লিখবো চিন্তা করিনি।কিন্তু আজ না লিখে পারলাম না।মনের ভেতর ক্ষোভ জমেছে।বিশ্বাস করুন আমি কিন্তু নাস্তিক নই।
আমার এক ইটালিয়ান বন্ধু লিনু।কাজের খাতিরে এক রুমে ছিলাম আমরা প্রায় ৪ মাসের মতো।আমার বাবার থেকে হয়তো ৫-৬ বছরের বড় হবে।চমৎকার একজন মানুষ।আজ সে একটা ভিডিও আপলোড দিল।যেখানে দেখলাম মুসলামনেরা তাদের উপাসনালয়গুলো গুড়িয়ে দিচ্ছে।বুঝতে পারলাম কিছু দিন আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা তাকে নাড়া দিয়েছে প্রবল ভাবে।আমি মন্তব্য লিখলাম,লিনু তারা মুসলিম নয় তারা সেই সব মানুষ যারা ইসলাম থেকে বিতাড়িত।তারপর তার সাথে চ্যাট হলো অনেক সময়।এই সে লিনু,যে কিনা আমি শুকুরের মাংস পছন্দ করি না বলে,কেবল আমার পছন্দকে সম্মান করে ৪ মাস রুমে কোন দিনও সে এটা নিয়ে আসেনি।যদি ও আমি জানি এটা তার প্রিয় খাবার।আর আজ সে মুসলমানরা কি রকম সেটা দেখানোর জন্য ভিডিও আপলোড দিল।
আমি আবার ও বলছি আমি নাস্তিক নই।আমি ৩৬০ ওলীর দেশের মানুষ।আমি কোন দিন মাজার পূজোয় যাইনি।কোন ওলীর দরবারে মাথা নত করিনি।আপনি কি জানেন আল্লাহ তার বন্ধুর দরবারে মাথা নত করার অনুমতি দেননি?রাসূল(সাঃ) দরবারে কেউ সিজদা করতে পারে না।বলুন তো ৩৬০ বড় না আমার রাসূল(সাঃ)?ইসলাম আমাকে বলেনি মাজারে গিয়ে গান্জা টানতে,না আমি শরীফ উদ্দিন বা মুন এর মতো মেকাপ লাগানো শিল্পীদের সাথে গিয়ে মাজারে নাচঁতে পারি না।মাথা নত করে কাদঁতে পারি না।ইসলাম আমাকে সে অনুমতি দেয়নি।
আমাকে কি নাস্তিক মনে হচ্ছে?কিছু দেশে যাবার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।আমার দেশে দরুদ পড়া নিয়ে যে নাটক হয়।আলেমদের মাঝে হয় মারামারি।বিশ্বাস করুন পৃথিবীর খুব কম দেশেই এইরকম আলেম আছে।যে মসজিদে,যে রকম ভাবে নবীর শানে দরুদ পড়া হয় আমি সেভাবেই পড়ি।আমার কাছে দরুদ পড়াটাই আসল।বাকিটা ফটকাবাজ আলেমদের জন্য।যারা ইসলাম নিয়ে গলা ফাটায়।
আমাকে কি গালি দিতে ইচ্ছে হচ্ছে?আমার পরিবারের মানুষগুলোকে যখন মাঝে মাঝে ভাল ভাবে বোরখা ছাড়া বা পর্দা ছাড়া বাইরে বের হতে দেখি।আমি ক্ষমা চাই আমার অপারগতার জন্য।আমি মুক্তমনার পরিচয় দিতে পারি না।আপুদের মতো ভিডিও আপলোড দিয়ে বলতে পারি না,পোশাকের কি দোষ?পুরুষ তুমি মন-মানসিকতা বদলাও।আমি উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় নামবো তাতে তোমার কি,তুমি না তাকালেই হলো।আমি ফেসবুকে তর্ক করতে পারি না।পারিনা মুক্তমনার পরিচয় দিতে।আমি ক্ষমা চাই,ইসলাম যা বললো তা রাখতে পারিনি বলে।আমার লেখাটা যারা পড়লেন কষ্ট করে তারাসহ সেই সব মুক্তমনারা ইউটিউবে ভিডিওটা দেখবেন।10 hours of walk in NYC as a women in hijab ।মুক্তমনারা কি কিছু বুঝলেন?
আমি আবার ও বলছি আমি নাস্তিক নই।আমি মুসলিম।ইসলাম আমার ধর্ম।আমি অনেক ভাগ্যবান কোন পশু বা জানোয়ারকে মা বা বাবা বলে ডাকতে হয়নি।আল্লাহর রাসূল(সাঃ)মেষ দুধ পান করেছিলেন।উটের উপর সওয়ারি হয়েছেন।যদি দুধ পান করার কারনে মেষকে মা বলে ডাকতে হতো।একবার চিন্তা করুন দেশে কতোজন হিন্দু হত্যা হতো যেমন করে ভারতে মুসলিম হত্যা হয় গরুর মাংসের জন্য?ধন্যবাদ দিতেই পারি কোন পশুকে মা ডাকতে হয়নি বলে।
তালেবান বা আইএস।সবাই মুসলমান!!যেখানে বলা হয়েছে,যে বিনা দোষে বিনা বিচারে কোন মানুষ হত্যা করলো সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করলো'।আর তাই তালেবান বা আইএস যাই হোক না কেন তারা মুসলমান কিন্তু ইসলাম থেকে বিতাড়িত।তাই বলে আমি খারাপ হতে পারি আমার ইসলাম নয়।আর যে ইসলাম মানে না সে ফটকাবাজ ছাড়া আর কিছুই না।ঘৃনা করি মন থেকে সেই সব ফটকাবাজ নামধারী মুসলমানদের।যারা পৃথিবীতে শান্তির ধর্ম ইসলামকে যুগে যুগে কলুষিত করে আসছে।
বিশ্বাস করুন আমি কিন্তু নাস্তিক নই আবার আপনাদের মতো মুক্তমনাও নই।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৩৩
কবি এবং হিমু বলেছেন: যদি ও আমি এতো কিছু জানি না।গবেষনা করার কোন ইচ্ছে ও নেই।কেবল আমি এটা মানি আল্লাহ ভাল জানেন কার হাতে মক্কা আর মদিনা হেফাজত থাকবে।আমি বাংলাদেশের মানুষ।বিভিন্ন ওলীদের দ্বারা যারা মুসলমান হয়েছে।আর তাই যেখানকার মানুষ নবী রাসূলদের দ্বারা মুসলমান হয়েছে তাদের নিয়ে গবেষনা বা কথা বলার কোন দরকার মনে করিনা।কেবল মানি কুরআন আর হাদিস যা বলেছে তাই আমাকে মানতে হবে কোন রকম যুক্তি বা তর্ক ছাড়া।
২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৫
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ইসলাম আমাকে বলেনি মাজারে গিয়ে গান্জা টানতে,না আমি শরীফ উদ্দিন বা মুন এর মতো মেকাপ লাগানো শিল্পীদের সাথে গিয়ে মাজারে নাচঁতে পারি না।মাথা নত করে কাদঁতে পারি না।ইসলাম আমাকে সে অনুমতি দেয়নি।
+++
৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২২
মানবী বলেছেন: কোন জঙ্গীই মুসলিম হতে পারেনা। একজন প্রকৃত মুসলিম কোন ভাবে নিরীহ প্রাণ হত্যা করতে পারেনা।
প্রথম মন্তব্য পড়ে হতভম্ব হলাম যে হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর কবর কে মাজাররের মতো তামাশা বানানোর কথা কেউ ভাবতে পারে এবং এমন সম্ভব হচ্ছেনা বলে আক্ষেপ করতে পারে!
পৃথিবীর কয়টি মুসলিম দেশে ওলী বা পীরের মাজার নিয়ে বাড়াবাড়ি এই নয্ট রীতি প্রচলিত।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩০
কবি এবং হিমু বলেছেন: আমরা বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।এখন কেউ যদি ওলীদের আর হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর রওজাকে এক মনে করে তাহলে তাকে কি বলার আছে বলুন।কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ
৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩
নকি৬৯ বলেছেন: হিমু ভাই আপনার লেখাট ভালো লাগলো। আল্লাহ আমাদের সকলকে সত্য জানার এবং বোঝার ব্যবস্থা করে দিন।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
কবি এবং হিমু বলেছেন: ভাই অনেক ভয়ে ভয়ে লিখতে হয়েছে।কারন ধর্ম বলে কথা।আর যতই মুক্তমনা হইনা কেন কারো ধর্ম নিয়ে খারাপ কথা বলা উচিত না।সবাইকে সবার ধর্মের প্রতি সম্মান থাকা উচিত।বিগত ৩ দিন ধরে পত্রিকা,ফেসবুক আর ব্লগে মুসলিমদের নিয়ে যে পরিমান সমালোচনা হচ্ছে কেবল সেটার একটা নীরব প্রতিবাদ হিসেবে লেখাটা সবার সাথে শেয়ার করা।ভাল থাকবেন
৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২
রাসেল সরকার বলেছেন: কেউ নিজেকে ঈমানদার দাবী করে দ্বীনের কেন্দ্রস্থল, কেবলা তথা আল আরব সম্পর্কে উদাসীন হতে পারে না ।
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৮
সুলতানা রহমান বলেছেন: যুক্তি আছে, ভাল লাগলো।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৯
কবি এবং হিমু বলেছেন: ধন্যবাদ।মোল্লার দৌড় নাকি মসজিদ পর্যন্ত।ঠিক সেই রকম ব্লগারদের দৌড় ঐ যুক্তি পর্যন্ত
৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুসলমান এলাকাগুলো পরালেখায় পেছেন পরে গেছে, সরকারগুলো মানুষের মৌলিক অধিকার হনন করেছে, মানুষ বন্চনার শিকার হয়য়ে, ও বর্তমান সময়ের সভ্যতার সাথে তাল মিলাতে পারছে না।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:১৩
কবি এবং হিমু বলেছেন: আপনার সাথে সহমত।আমরা মুসলিমরা নিজেদের মনগড়া কিছু কাহিনীর কারনে এখন ও অনেক পিছিয়ে আছি।আর দেশের যা অবস্তা শুনতেছি মানুষ নাকি মাদ্রাসায় পড়ে শুনলেই জঙ্গী মনে করে।তাহলে তো আর ও পিছিয়ে যাবো কারন আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি তো আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা ও নিতে হবে।
৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৩
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: বুঝছি ,,,,, আপনি একজন বিগট ।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৭
কবি এবং হিমু বলেছেন: আপনি বুঝতে পারলেন কিন্তু আমি নিজেই বুঝলাম না.
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪১
রাসেল সরকার বলেছেন: মন্তব্য করার কোন ইচ্ছা ছিল না......তবুও করলাম । সত্যভিত্তিক তথা তাওহীদ-রেছালাতভিত্তিক জীবন ব্যবস্থায় মিথ্যা-অবিচার-জুলুম-শোষণের কোন অনুমোদন নেই । অনুমোদন নেই দ্বীনের ছদ্মনামে বা লেবাশে মহান আওলিয়াকেরামের পবিত্র মাজার শরীফে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর এবং যেকোন ধর্মের বা মত ও পথের অনুসারীই হোক না কেন, কোন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা এবং বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনার উপর হামলা চির অভিশপ্ত এজিদবাদী চক্রের লক্ষণ ।
মহান প্রিয়নবীর রওজা শরীফ আজ এজিদবাদী চক্রের হাতে অবরুদ্ধ । ১৯৩২ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর ইবনে সৌদের অনুসারীরা একটা গণহত্যা, রক্তপাত, অসংখ্য মাজার শরীফ ধ্বংস এবং ছুন্নী ওলামায়ে কেরামকে হত্যা করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে "পবিত্র আল-আরব" এর নাম পরিবর্তন করে ইবনে সৌদের নামের সাথে মিল রেখে সৌদী আরব নাম করণ করে । যা শুধু মানবতার বিপরীত নয়, ঈমান-দ্বীনেরও বিপরীত ।