![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি#০১
আমাদের দেশে সরকার প্রধানের কান্না।সামাজিক সাইটগুলোতে অনেক আলোচনা আর সমালোচনা দেখলাম।আমরা বারবার রাজনীতির সাথে খেলাটাকে গুলিয়ে ফেলি।কেউ কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন তিনি কেবল পাকিস্তানকে হাঁরানোর জন্য কাঁদলেন?আমার মনে হয় তার কান্না জয়ের কান্না।সেখানে পাকিস্তান না হয়ে ভারত বা অস্ট্রেলিয়া হলেও তিনি কাঁদতেন।এ কান্না আবেগের কান্না।এ কান্না ভালবাসার কান্না,এ কান্না বাংলাদেশ দলের বিজয়ের কান্না।তিনি ও একজন মানুষ।আপনি আমি যেমন আবেগে কাঁদতে পারি তেমনি তিনি ও পারেন।কিন্তু আমাদের মন-মানসিকতা আমাদের সেটা বুঝতে দেয় না।আমরা সব কিছুতে রাজনীতি খুঁজি।ফেবু থেকে দুইটা মন্তব্য দিয়ে এ ছবির গল্প শেষ করলাম।
মন্তব্য ০১:তিনি মনে হয় পাকিস্তানের প্রতি তার ভালবাসা ভূলতে পারেন নি।যুদ্ধের সময় তো এই পাকিরাই তাদের দেখাশোনা করেছে,খাবার দিয়েছে,যত্ন নিয়েছে।আর তাই পাকিস্তানের প্রতি ভালবাসা দেখানোর জন্যই তিনি সবসময় তাদের খেলা দেখতে যান।
মন্তব্য ০২:তিনি আবার প্রমান করলেন তিনি ভারতের দালাল।ভারতের খেলা তিনি দেখতে যান না।ভারতের সাথে জিতলে তিনি কাঁদেন না।
ছবি#০২
এসময়ের বা এ যুগের রাজনৈতিক নেতাদের মাঝে আমি মন থেকে দুজন মানুষকে সম্মান করি।এক মরহুম জনাব সাইফুর রহমান।কারন তার দ্বারা আমাদের সিলেটবাসীর যা উন্নয়ন হয়েছে আর কেউ করেনি।মানুষটা ও ছিল মাটির মানুষ।আর ২য় মানুষটার তো ছবিই দিলাম।অনেক সাহসী একজন মানুষ।অন্যায়কে অন্যায় বলতে জানেন সেটা নিজের দলের কেউ করলে ও।যেটা সাধারনত আমাদের বাকি নেতাদের মাঝে খুবই কম দেখা যায়।আমার কেবলি মনে হয় তিনি বলিউডের ছবি নায়কের অনিল কাপুর না হয় টালিউডের ফাটাকেস্ট।দেশের আর সব নেতাদের থেকে তিনি মন-মানসিকতায় ও অনেক অনেক এগিয়ে।তার প্রমান আজ আবার পেলাম।যেটা মনে হয় তাঁর আগে আর কেউ স্বীকার করেছেন কিনা আমি জানি না।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মরহুম জিয়াউর রহমান নিজেই বলেছিলেন, আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি বাংলাদেশের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে। ওটা মরহুম এম এ হান্নানও ঘোষণা দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের ঘোষণা ওই সময় তাৎপর্য ছিল না, এটা আমরা অস্বীকার করব না। তবে তিনি ছিলেন ঘোষণার পাঠক।’আজ শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ সফল করতে মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।(সূত্র:প্রথম আলো)
মরহুম জিয়াউর রহমান কেবল মাত্র একজন ঘোষনার পাঠক,আমার মনে হয় এটাই অনেক বড় কিছু।এই সামান্য জিনিসটা ও জানি সরকার দলের শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে ও বাকিরা মানতে চায় না।যদি চাইতো তাহলে উন্নয়নটা বাংলাদেশেরই হতো।স্যার আপনানে স্যালুট,আপনি সত্যকে সত্য বলে স্বীকার করতে জানেন।
ছবি গল্প#০৩
আমাদের এই চাচাকে নিয়ে ও আমাদের সামাজিক সাইটগুলো গরম।পক্ষে আর বিপক্ষে চলছে কথার লড়াই।এক একজন তর্কে জেতার জন্য অন্য জনের মা-বোনকে অনায়াসে পাকিদের হাতে তুলে দিচ্ছে।মনে হয় তাদের দ্বারা নির্যাতিত হতে পারলেই সে খুশি বা এই তর্কে জিতে যাবে।অথচ কারো মা,বোনকে নিয়ে গালি দেবার আগে আপনি ভূলে জান আপনার ও মা-বোন আছে।তাদেরকে ও পাল্টা গালি দিতে পারে।আর সেদিন চাচা নিজের ইচ্ছেতে পতাকা হাতে নিয়েছেন নাকি তাকে কেউ জোড় করে দিয়েছেন তা একমাত্র চাচাই ভাল বলতে পারেন।যদি ও এ নিয়ে চাচার একটা নিউজ অনলাইন একটা পত্রিকায় পড়লাম।কিন্তু অনলাইন পোর্টাল গুলোর নিউজ বেশির ভাগই আমার কাছে ভূয়া মনে হয়।তবে নিজের মতে বলতে গেলে এটা বলতে পারি খেলাতে হেরে যাবার পর পাকিস্তানের মানুষ যেমন করে ক্রিকেটের জানাযা পড়েছে আর টিভি ভাঙ্গলো তাতে যদি মনের দুঃখ আর ক্ষোভে চাচা বাংলাদেশের পতাকা হাতে নেন তাহলে আমি খুব একটা অবাক হবো না।
আমার মনে হয় আমাদের দেশের মানুষের একটাই দোষ।আমাদের নিম্ন মন-মানসিকতা আর নোংড়া রাজনীতি।আমাদের সবাইকে এটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।সবাই সবাইকে সম্মান করতে হবে।সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে।আর সবার মত যে একই রকম হবে সেটা ও আশা করা বোকামি।আমরা সবাই মিলে যার,যার যতটুকু সম্মান তাকে ততটুকু সম্মান দেখাবো,আমরা আমাদের মন-মানসিকতা বদলে বাংলাদেশটাকে একটি স্বপ্নের দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।এখন যেমন সারা বিশ্ব আমাদের ক্রিকেট দলকে সম্মান করে তেমনি ভাবে একদিন এ বাংলাদেশটাকে ও,এ দেশের মানুষগুলোকে ও তারা মন থেকে ভালবাসবে সম্মান করবে।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬
কবি এবং হিমু বলেছেন: যখন আমি রাজনীতির কথা চিন্তা করি তখন মনে করি পাকিস্তান দেশটার বিলুপ্তি হলেই মনে হয় সব থেকে খুশি।কিন্তু যখন খেলার কথা চিন্তা করি তখন বদলে যায় ধারনা।তখন আমি চাই ওয়াসিম আকরাম,শোয়েব আক্তার,বা সাঈদ আনোয়ারের মতো গ্রেট খেলোয়াড়রা আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের টিপস দেবে কি করে তারা আরও ভাল করতে পারে।তখন তারা পাকিস্তানি না ভারতীয় তা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নাই
২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯
জিমার পেঙ্গুইন বলেছেন: পাক্সতানী বুড়া চাচা নমস্কার করছে কেন?
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮
কবি এবং হিমু বলেছেন: ভাই চাচা কেন নমস্কার করছে সেটা কি করে বুঝবো।আমার মনে হয় আপনাদের চেতনার কাছে সে ক্ষমা চাচ্ছে
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
অগ্নি কল্লোল বলেছেন: জয় বাংলা।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৩
কবি এবং হিমু বলেছেন: ভাই,আমি জানি আমাদের মন-মানসিকতা জীবনে ও বদলাবে না।কুত্তার লেজ কি কোন দিন সোঁজা হয়?রাগ করবেন না,বাংলাদেশি হিসেবে কথাটা আমার ক্ষেত্রে ও খাটে।আমি এখানে এমন কি লিখলাম যে সোজা দলীয় শ্লোগান দিয়ে দিলেন।জয় বাংলা না বলে অন্য ভাবে ও হয়তো দেশ প্রেমটা প্রকাশ করতে পারতেন।তাই না ভাই?ধন্যবাদ আর ভাল থাকবেন
৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জিমার পেঙ্গুইন বলেছেন: পাক্সতানী বুড়া চাচা নমস্কার করছে কেন?
সবকিছুই বুঝলাম কিন্তু এই জিমার পেঙ্গু সাহেব প্রশ্ন করলেন তার উত্তরটা থাকা বান্ঞ্চনীয়।
আমি দেশে থাকি না। তবে দেশের খোজ খবর রাখি। প্রধানমন্ত্রী সাহেবান বাংলাদেশ জিতছে উনি কেদেছেন। শুধু উনি না, আমিও কেদেছি, পুরো দেশ কেদেছে। এটাতে আমি বিশালত্বের কিছু দেখছি না। আমার কাছে বিশালত্ব মনে হয় যে ১১ টা পোলা আর তার সাথে থাকা পুরো ম্যানেজম্যান্ট সাথে স্টেডিয়াম আর টুর্নামেন্ট সফল করার জন্য রাস্তার পাশে থাকা ঐ ট্রাফিক পুলিশটার কস্টের অবদান।
তাই ঐ ট্রাফিক পুলিশের এই প্রচন্ড গরমে এবং ময়লার মধ্যে থেকে তার সার্ভিস অথবা খেলার শুরু বা শেষ হবার পর সৃষ্ট যানজটে আটকে থাকা শ্রম জীবি প্রান্তিক মানুষ (যদিও ছুটির দিন, কিন্তু ঐ দিনও অনেক মানুষ কাজ করে) তাদের কস্ট টা ফোকাস করা আরো বেশী জরুরী।
সেখানে এসিতে বসে জন গনের টাকা মেরে খাওয়া এই শেখ হায়েনার আবেগ আমার কাছে বড্ড বেশী তামাসার।
যেখানে ব্যাংক থেকে জন গনের কস্টের কোটি কোটি টাকা লুট করে বিদেশ নিয়ে তার নেতারা মাগীবাজী, ফূর্তি বা ফ্লাট কেনে অথবা এই টাকা চীনের হ্যাকার গুলো মাইরা দিয়ে চইলা যায় আর সেইটা নিয়া ডিমেনশিয়ার রুগী অর্থমন্ত্রী কোনো হুশ নাই, আইনশৃঙ্গলার প্রচন্ড অবনতি, অব্যাহত সরকারী সন্ত্রাস, দুর্নীতিবাজ দেশ ডুবাইতেছে, কোনো বিনিয়াগ নাই, চাকুরী নাই, সেইখানে মনে হয় কেন এর পরিনতি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের মতো হয় না? এছাড়া ওবায়দুল কাদের যখন একজন বাংলাদেশী নাগরিককে কান ধরে উঠ বস করিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে একটা অপরাধকে শাস্তির বদলে আরো উস্কে দেন তখন মনে হয় দেশে পুলিশ প্রশাসন আর আইনের শাসন সংস্কার না করে সেখানে মুরগীর ফার্ম খোলা হোক আর পুরো দায়িত্ব দেয়া হোক কুকুর লীগের ওপর?
জয় ফাগলা!
৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭
কবি এবং হিমু বলেছেন: আপনাকে কি বলে উত্তর দেয়া যায় সেটা জানি না।কেবল এটা বলবো সবাই কম বেশি দোষী।আপনি থেকে শুরু করে আমরা সবাই।আর দেশটার ১২ টা বাজানোর জন্য আমি কোন দিন ও কোন সরকারকে গালি দেই না।আমার সব গালি আপনার আমার মতো জনগনের প্রতি।কারন আমরা জনগন সব কিছু জানা সত্বে ও প্রতি ৫ বছর পর পর এইসব চোরগুলো থেকে যেকোন একটাকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেই।
৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৫
অগ্নি কল্লোল বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে অনেক ভাল লেগেছিল কিন্তু এখন আপনার মন্তব্য শুনে হিয়ায় আঘাত পেলাম। আমায় অপমান করেছেন এ জন্য নয়। জয় বাংলা কোন দলীয় স্লোগান নয়। এটা আওয়ামী লীগের একার সম্পত্তি নয়। "জয় বাংলা" পুরো বাঙালির বীজমন্ত্র। যেদিন আমরা এই ভ্রন্ত ধারণা থেকে মুক্ত হয়ে এই জয় বাংলা স্লোগানের ছায়াতলে শায়িত হতে পারবো সেদিন এ দেশে কিছুটা হলে হিংসা নামের শব্দটা দূরে চলে যাবে। আপনি লেখক আপনাকে আমি সম্মান করি। ভাল থাকবেন।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩০
কবি এবং হিমু বলেছেন: আপনাকে কষ্ট দিয়ে থাকলে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।আপনি যদি আমার আগের করা মন্তব্যটা পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয় খেয়াল করছেন যে এখানে কিন্তু আমি নিজের কথা ও বলেছি।জয় বাংলা এটা আওয়ামী লীগের একার সম্পত্তি নয়।আমি আপনার সাথে একমত।কিন্তু আমাদের মন-মানসিকতা ভিন্ন কথা বলে।আর এই মানসিকতা থেকেই আমরা বের হতে পারছি না।যেটা আমাদের সবার দরকার।আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছি।তারপর ও যদি আপনাকে আঘাত করে থাকি তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ থাকলো।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪
যোগী বলেছেন:
একজন বাংলাদেশি হিসাবে যে কারো কাছে পাকিস্থান হেরেছে এটা দেখায় আমার কাছে আনন্দের, সেখানে পাকিস্থান হেরেছে আর বাংলাদেশ জিতেছে সেটা দেখা আমার কাছে মহা আনন্দের।