![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার অনুর্ভর মস্তিষ্কে তেমন কোন লেখাই আসেনা যাহা আদৌতে প্রকাশ যোগ্য তাই বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে সবার জন্য উপকারী লেখাগুলো তথ্যসূত্র সহ \'কপি-পেষ্ট\' করি। পোষ্ট \'হিট\'- হলো কি-না হলো এতেও আমার কিছু যায়-আসে না, এককথায় আমি, \'হিটাকাঙ্ক্ষী\' নই, তবে নিঃসন্দেহে সবার \'হিতাকাঙ্খী\'। (তথ্য অথবা তথ্যসুত্রগুলো যদি কারো কাছে নির্ভরযোগ্য মনে না হয়, তবে এড়িয়ে যাবার বিনীত অনুরোধ রইল। পোষ্টগুলোতে আপনার বিরক্তি সাদরেই গৃহীত হবে)
কিডনী স্টোন একটি অত্যন্ত কষ্টকর রোগ। কিডনী স্টোন তৈরী হয় যখন কারো শরীরে অক্সালেট লবন এর পরিমাণ মূত্রের তুলনায় বেড়ে যায়। এই লবন তখন অল্প মূত্রে ঘনীভুত হয়ে জমে স্টোন বা পাথর তৈরী করে। এই পাথর কিডনীতে অবস্থান করতে করতে যখন মূত্রনালীর দিকে নেমে আসে, প্রসব যন্ত্রণার মত তীব্র একধরণের ব্যথার সৃষ্টি হয়। কিডনী স্টোন তৈরী হওয়া শুরু হলে, আসতে আস্তে আরো নতিন স্টোন তৈরী হয়য়। গবেষনায় দেখা গিয়েছে হোম-মেইড লেমোনেড থেরাপী নতুন স্টোন হওয়াকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
সাধারণত কিডনী স্টোন এর রোগীদের আরো স্টোন হওয়া ঠেকাতে ডাক্তার রা পটাশিয়াম সাইট্রেট এর বড়ি বা সিরাপ ওষুধ হিসেবে খেতে দেন। কেননা শরীরে সাইট্রেট এর পরিমাণ বেড়ে গেলে অক্সালেট শরীর থেকে নিষ্কাশিত হয়ে যায়। এভাবে সাইট্রেট নতুন স্টোন হওয়াকে প্রতিরোধ করে। পটাশিয়াম সাইট্রেট সেবন কিডনী স্টোনের কার্যকরী ওষুধ হলেও দিনে প্রায় ১২টি বড়ি খেতে হয় যা ব্যয় সাধ্য। কিন্তু আসলে অনেক ন্যাচারাল খাবারেই সাইট্রেট পাওয়া যায় যা নিয়মিত সেবন আপনাকে কিডনী স্টোন হতে দূরে রাখবে। সাইট্রেট সমৃদ্ধ ফলের মধ্যে সবচেয়ে ভালো হলো লেবু। লেবু নতুন স্টোন হওয়া প্রতিরোধ করে এবং এবং তৈরী হতে যাচ্ছে এমন ছোট ছোট স্টোন কে ভেঙ্গে ফেলে।
কিডনী স্টোনের রোগীদের চিকিতসায় লেবুর তৈরী কার্যকারীতার প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু গবেষনাতেই। Duke University Comprehensive Kidney Stone Center এর গবেষকরা ১২ জন রোগীকে লেমোনেড থেরাপি দেওয়ার মাধ্যমে দেখতে পান যে অন্যদের তুলনায় তাদের নতুন স্টোন হওয়ার হার অনেক কম। এই সময় তারা অন্য কোন ওষুধ গ্রহণ করেননি।
এই থেরাপি অনুযায়ী নতুন স্টোন হওয়া প্রতিরোধ করতে চাইলে মূত্র ত্যাগ এর পরিমান বাড়াতে হবে, দিনে অন্তত ১.৫ থেকে ২ লিটার পানি মূত্র হিসেবে শরীর থেকে বের হয়ে যেতে হবে। এই উদ্দেশে সাত কাপ পানিতে আধা কাপ লেবুর রস মিশিয়ে লেমোনেড বানান। ডায়বেটিস না থাকলে সামান্য চিনি মেশাতে পারেন।
তবে শুধু লেমোনেড খাওয়ার মাধ্যমে আপনি কিডনী স্টোন থেকে সুরক্ষা পাবেন না। আপনাকে আর যা যা করতে হবে তা হলো-
১) যথাসম্ভব লবন খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
২) কম পরিমাণ মাছ-মাংস একসঙ্গে খাবেন , খেতে ইচ্ছে হলে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বারে বারে খান।
3) অক্সালেট যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন, যেমন টমেটো।
তবে মনে রাখবেন যে লেমোনেড থেরাপি শুধু মাত্র “প্রতিরোধ” হিসেবে কাজ করে। আপনার যদি ইতমধ্যে বড় স্টোন তৈরী হয়ে থাকে তা অবশ্যই সার্জারির মাধমে সরাতে হবে। আর আপনাকে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতেই হবে যে আপনাকে ব্যথা নিরোধে ওষুধ দেবেন।
(তথ্যসূত্র)
২| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
নূর আদনান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৩| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল পোষ্ট। ধন্যবাদ।
৪| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
পত্রদূত বলেছেন: দরকারী পোস্ট
৫| ৩০ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:০৯
দেশটাকে আবার স্বাধীন করবো বলেছেন: সুন্দর পোস্ট
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
আহলান বলেছেন: চমথকার