![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার অনুর্ভর মস্তিষ্কে তেমন কোন লেখাই আসেনা যাহা আদৌতে প্রকাশ যোগ্য তাই বিভিন্ন সূত্র থেকে সংগ্রহ করে সবার জন্য উপকারী লেখাগুলো তথ্যসূত্র সহ \'কপি-পেষ্ট\' করি। পোষ্ট \'হিট\'- হলো কি-না হলো এতেও আমার কিছু যায়-আসে না, এককথায় আমি, \'হিটাকাঙ্ক্ষী\' নই, তবে নিঃসন্দেহে সবার \'হিতাকাঙ্খী\'। (তথ্য অথবা তথ্যসুত্রগুলো যদি কারো কাছে নির্ভরযোগ্য মনে না হয়, তবে এড়িয়ে যাবার বিনীত অনুরোধ রইল। পোষ্টগুলোতে আপনার বিরক্তি সাদরেই গৃহীত হবে)
১। যাদের বসয় ২০ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি তাদের রক্ত প্রতি পাঁচ বছরে অন্তত একবার পরীক্ষা করে দেখা উচিত।
২। কারও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা যদি ২০০ মি. গ্রা./ডেসিলিটারের বেশি হয় কিংবা কম ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন কোলেস্টেরলের (ক্ষতিকর কোলেস্টেরল) মাত্রা ১০০ মি.গ্রা./ ডেসিলিটারের বেশি হয় তাহলে এগুলোর পরিমাণ কমানো উচিত।
৩। যাদের হৃদরোগের কোনো ঝুঁকি উপাদান নেই তাদের ১৬০ মি. গ্রা./ডেসিলিটারের নিচে রাখা যেতে পারে।
৪। যাদের হৃদরোগের কোনো ঝুঁকি আছে তাদের কম ঘনত্বের কোলেস্টেরল বা ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা ৭০ মি. গ্রা./ডেসিলিটারের নিচে থাকা উচিত।
৫। খাদ্য তালিকা ও জীবনধারার পরিবর্তন আনতে হবে।
৬। জীবনাধারার পরিবর্তনের পাশাপাশি কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ সেবন করলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসে। চিকিৎসকরা কোলেস্টেরল কমানোর জন্য নানারকম ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন। যেমন: নিয়াসিন, ফ্রাইব্রেটস, স্টেটিনস ইত্যাদি।
৭। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওজন কমাতে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম শুধু রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় তা-ই নয়, উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ (বেশি ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন কোলেস্টেরল) ১০ শতাংশ বাড়ায়।
৮। ডিমের কুসুম এবং অন্যান্য বেশি কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
৯। সম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার যেমন মাখন, চর্বিযুক্ত গরু ও খাসির মাংস ইত্যাদির পরিবর্তে অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার যেমন সয়াবিন তেল, সূর্যমুখী তেল, জলপাইয়ের তেল, মাছ ইত্যাদি বেশি খেতে হবে।
১০। যেকোনো ধরনের সবজি ও ফলমূল শরীরের জন্য উপকারী। এরা রক্তে কোলেস্টেরলও কমায়। তাই প্রচুর শাক সবজি ও ফলমূল খান।
১১। মাছ এবং মাছের তেল কোলেস্টেরল কমাতে পারে। এর ভেতরে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে। এটা খুব সহজে রক্ত থেকে কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য ক্ষতিকর চর্বি কমিয়ে ফেলে।
১২। যদি কেউ মাছ খেতে না পারেন, তিনি মাছের তেল থেকে তৈরি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এডিসসমৃদ্ধ ক্যাপসুল চিকিৎসকদের পরামর্শ মোতাবেক সেবন করতে পারেন। বিভিন্ন উদ্ভিদজাত খাবারেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড পাওয়া যায়। যেমন সয়াবিন, তেল, কাঠবাদামের তেল ইত্যাদি।
১৩। সবুজ চা রক্তের কোলেস্টেরল কমানোর এটি একটি প্রাকৃতিক উপায়।
১৪। বিভিন্ন পর্যবেক্ষণে প্রমাণিত হয়েছে, বাদাম খেলে রক্তের কোলেস্টেরল কমে। বিশেষত কাঠবাদাম ও কাজুবাদাম উপকারী। তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে বাদাম খাওয়া উচিত।
১৫। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে ধূমপান বর্জন করা। মদপানের মতো খারাপ অভ্যাস বর্জন করতে হবে। মাদক কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
(সংগৃহীত)
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৯
ইমরান আশফাক বলেছেন: ধুমপান বাদ দিয়েছি (বাইপাস এর পর), ডায়াবেটিস হওয়ার পর মিস্টিও বাদ, গ্রিন টি দুই বেলা, প্রত্যেকদিন সকালে হাটা প্রায় এক ঘন্টা, সাগরের মাছের (টুনা, ইলিশ) পাশাপাশি নদীর মাছও চলে, চীনা বাদাম খাওয়া হয় নিয়মিত, মাংশ বলতে এখন মুরগীই চিনি তবে মাসে এক দুইবার রেড মিট ও খাওয়া হয় এবং তা অবশ্যই পরিমিতভাবে।
এই জুনে বাইপাস করালাম (৪টি ব্লক ছিলো তবে আ্যটাক করেনি বা সময় পায়নি), ২০১২ এর ডিসেম্বারে ডায়াবেটিস ধরা পরেছে।
যেটা বলতে চাচ্ছি সেটা হলো খুব পরিমিত ও স্বাস্হ্যসম্মত ভাবে জীবন-যাপন করার পরও নিয়মিতভাবে স্বাস্হ্য পরীক্ষা করাবেন, কারন আমার বুকে ব্লক পড়ার পরও আমি কিন্তু একটুও ব্যাথ্যা টের পাইনি। ইটিটি করার পর জানতে পারলাম এবং তখন কোন ঝুকি নিলাম না। তাছাড়া ডাক্তার বল্লেন যে এটি যত না অনিয়মের কারনে তার চেয়ে বেশী জেনেটিক কারনে আমার হার্টে ব্লক পড়েছে।
কাজেই নিশ্চিন্তে বসে না থেকে এখনই সরজমিনে স্বাস্হ্য পরীক্ষা করান।