![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিশাচর প্রানী
ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী
আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি পরিবারের অন্তত এক জন সদস্য এই ঢাকা কোন না কোন ভাবে ঢাকা বসবাস করে, যার দরুন এই ঢাকার মোট জন সংখ্যা সারা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ
যাই হোক এটা আমার আলোচ্য বিষয় না, আমার আলোচ্য বিষয় হল ঢাকার যানজট
এই রোজায় যা অসহনীয় মাত্র নিয়েছে(প্রায় প্রতি রোজায়ই এটা হয়) যা এই ঢাকা বাসী শরীরে ফোঁড়া হিসেবে মেনে নিয়েছে, কিন্তু সবচেয়ে দুঃখ জনক বিষয় হল আমাদের VVIP দের আচরন,
বিভিন্ন শহর বা দেশের বিভিন্ন দুঃখ থাকে আমার মনে হয় ঢাকার দুঃখ আমাদের এই VVIP রা,
যারা নিয়মিত বিজয় সরনী বা মিরপুর রোড দিয়ে যাতায়েত করেন তারা এই দুঃখ হারে হারে টের পান, এই দুটি রুটে যারা যাতায়েত করে তারা সাধারনত ২ ঘন্টা হাতে নিয়েই বের হন, এবং রাতের না ঘুমানো ঘুমটা বাসেই সেরে নেন।
সবচেয়ে দুঃখ জনক হল যখন কোন VVIP যাবে বলে রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয় আর বিজয় সরনীর যানজট দক্ষিনে শাহবাগ আর উত্তরে কাকলি ছাড়ীয়ে যায়, আর গনভবনের যানজট দক্ষিনে নিউমার্কেট আর উত্তরে গাবতলি ছাড়িয়ে যায়,
এই জ্যাম কিন্তু সাধারণ সময়ে হয় না, এই যানজট হয় ঠিক সকাল ৯টা থেকে যখন ঢাকার হাজার হাজার মানুষ তাদের কর্ম ক্ষেত্রের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়, আবার ঠিক ৪টার পর থেকে যখন ক্লান্ত মানুষ বাসায় ফিরে ঠিক তখনই কিছু অতি উৎসাহী অফিসার ডাইভাশন চলছে সাইনবোর্ড ঠিক রাস্তার মাজখানে দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে বসে থাকে আর মানুষের যাত্র দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হয়,
এবার আমার নিজের অবিজ্ঞতা বলি
গত ৪ তারিখ আমার আম্মাকে ডাক্তার দেখিয়ে ধানমন্ডি-৬ নাম্বার থেকে মিরপুর-১ ফিরছিলাম তখন সময় প্রায় ৫.৩০, বের হয়ে কোন CNG পাচ্ছিলাম না, বাধ্য হয়ে রিকশায় উঠলাম, যাই হোক কলাবাগান আসতেই দেখি জ্যাম রিকশাওয়ালাকে বললাম মামা ভিতর দিয়ে যাও, সে তাই করলো, যখন কলেজ গেট দিয়ে বের হব ঠিক তখনই সামনে পুলিশের দু জন এস আই বলল রাস্তা বন্ধ যাওয়া যাবে না, অনেক অনুরোধ করে এবং প্রেশক্রিপশন দেখিয়ে রাস্তার যাওয়ার অনুমতি পেলাম,আম্মার চোখে ইনজেকশন দেওয়ার কারনে ব্যান্ডেজ করা ছিলো যার করনেও আমাদের বেশি বাধা দেয় নি।কিন্তু যখন মিরপুর রোডে আমাদের রিকশা চলতে শুরু করলো তখন পুরা স্পিকার হয়ে গেলাম সামনে কোন গাড়ী নাই, পিছনে তাকিয়ে দেখি আসাদ গেটে সব গাড়ী আটকে রেখেছে , আর কলেজ গেটে নিউমার্কেট গামী সব গাড়ী আটকানো,তখন সময় ৬টা ইফতারে বাকি আর ৫০মিনিট , রিকশা টেকনিকেল মোরে আসা পর্যন্ত কোণ একটা গাড়ীও আমাদের ক্রস করে নি আর পাশের রাস্তার কোন গাড়ী এক্টুকুও আগায় নি, মানে রাস্তা তখনও বন্ধ, টেকনিকেল দিয়ে ১এর দিকে ডুকার সময় দেখলাম এক আনসার সদস্য পুলিশের গাড়ীতে ইফতার এর জন্য তৈরী হচ্ছে, আমি রিকশা থামিয়ে জিজ্ঞেস করলাম ভাই জ্যাম কত দূর পর্যন্ত , তার উত্তর শুনে আমি পুরাই সাকা হয়ে গেছি, বলল ভাই আমরা এই মাত্র সাভার থেকে আসছি দেখে আসছি জ্যাম আমিন বাজার ছাড়িয়ে গেছে,বললাম জ্যাম কেন ?? বলল ভাই গনভবনে ইফতার আছে তাই রাস্তা বন্ধ,
গনভবনে ইফতারএর কারনে প্রায় অন্তত লাক্ষ খানেক মানুষ কে রাস্তায় ইফতার করতে হয়েছে,
এই যদি হয় অবস্তা তাহলে শুধু শুধু ফুটপাতের হকার উঠিয়ে কি কোন জ্যাম কমবে??
©somewhere in net ltd.