নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী, আমি মুসলিম , আমি বাঙ্গালী,কিন্তু আমি বিদ্বেষী নই

বিদ্রহী পথিক

নিশাচর প্রানী

বিদ্রহী পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সচিব সমাচার

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:১১

কিছু লিখলাম না, এদের সরকার কি শাস্তি দেয় তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম
১। ইনি আমাদের মহান মুক্তি যুদ্ধের মুক্তি যোদ্ধা মন্ত্রী(সবচেয়ে কমবয়সী মুক্তি যোদ্ধার খেতাব পাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু পাননি কেন ঠিক বুজলাম না,
রাজধানীতে একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন। আইয়ুব খান (৬২) নামের ওই মুক্তিযোদ্ধা আজ মঙ্গলবার সকালে তোপখানা রোডের একটি হোটেলে বিষপান করেন। দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পুলিশের ভাষ্যমতে, মৃত্যুর আগে আইয়ুব খান ঢাকার জেলা প্রশাসকের বরাবরে চার পৃষ্ঠার একটি চিঠি লিখেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ হান্নান তাঁকে বাসা থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছেন। এই অপমান সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আইয়ুব খানের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়। তিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্যসচিব ছিলেন। তিনি আজ সকালে তোপখানা রোডের কর্ণফুলী হোটেলের ২০৪ নম্বর কক্ষে বিষ পান করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের ৭০২ নম্বর কক্ষে তাঁকে ভর্তি করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। পরে ২০৪ নম্বর কক্ষে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে তাঁর লেখা চার পৃষ্ঠার ওই চিঠি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ঢাকার জেলা প্রশাসক বরাবর লেখা চিঠিতে আইয়ুব খান লিখেছেন, ‘চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ইউনিট কমান্ড ঘোষণার জন্য এম এ হান্নান, সচিব মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়কে মাছ, শুঁটকি ও টাকা দেওয়ার পর দক্ষিণ জেলা ইউনিট কমান্ড ঘোষণা করার জন্য বারবার আবেদন করার পর ঘোষণা না করলে সচিবের বাসায় আমার দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বাস হতে অপমানিত করে বাহির করে দেওয়ায় আত্মহত্যা করিলাম এবং আমার লাশটা ঢাকায় দাফন করার জন্য আবেদন।’

চিঠিতে আইয়ুব খানের নামে সিল ও সই রয়েছে। এতে গতকাল সোমবারের (০৬.০৭. ১৫) তারিখ দেওয়া হয়েছে।

শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন ফরাজী বলেন, সকালে কর্ণফুলী হোটেল থেকে আইয়ুব খানের বিষ পান করার বিষয়টি থানায় জানানো হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই হোটেল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইয়ুব খান স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ছিলেন বলে জানান তিনি। কর্ণফুলী হোটেলের ২০৪ নম্বর কক্ষ তল্লাশি করে একটি চিরকুট উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তিনি।

লিঙ্কঃ Click This Link
২।আর ইনি আমাদের শিক্ষা সচিব, ইনাকে সচিব না করে কোন দলের প্রেসিডিয়াম মেম্বার করলে ভালো হত( ইনি যে শিক্ষা প্রতিস্টানের সভাপতি সেই প্রতিষ্ঠান অধিক ভর্তি ফি আদায়ের দায়ে মহামান্য হাই কোর্ট এর সোকোজ পেয়েছে,) কিন্তু ইনার হাই কোর্ট ভালো করেই জানা আছে,
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনার পর মন্ত্রী মঙ্গলবার নির্দেশনাটি জারি করেন, যার ফলে সচিব কার্যত ক্ষমতাহীন হয়ে পড়লেন।

শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে তার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা জারি করেন সচিব। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভর্তির প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক করায় গোটা প্রক্রিয়া অচল হয়ে পড়লে ওই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়।

মঙ্গলবার জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী, মন্ত্রীকে না জানিয়ে এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তাই।

যদিও মন্ত্রণালয়গুলোতে সচিব পর্যায়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে থাকে। কিছু কিছু সিদ্ধান্ত উপ-সচিব পর্যায়েও চূড়ান্ত হয়।

মন্ত্রীর নির্দেশনা গোপনীয়ভাবে মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তাকে পড়িয়ে স্বাক্ষরও নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ট একটি সূত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানায়, একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোমবার জাতীয় সংসদে অবস্থানকালে শিক্ষামন্ত্রীকে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রীর স্বাক্ষরসহ মন্ত্রণালয়ে জারি করা মঙ্গলবারের নির্দেশনার এক জায়গায় বলা হয়েছে, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার সার্বিক বিষয়ে কথা হয়েছে, তিনিই ডেকে বলে দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সকল সিদ্ধান্ত মন্ত্রী চূড়ান্ত করবেন। আমাকে না জানিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে না।”

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নিয়ে একক সিদ্ধান্তে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্ত্রীর বিরাগভাজন হন শিক্ষা সচিব।

সচিবের জারিকৃত কয়েকটি পরিপত্র নিয়ে বিভিন্ন মহলে বির্তকের সৃষ্টি হয়। একটি পরিপত্র স্থগিতও করেন শিক্ষামন্ত্রী।

এছাড়া বিভিন্ন কলেজে শিক্ষকদের পদোন্নতি, বদলি ও সংযুক্তি দেওয়ার বিষয়েও সচিব তার নিজের কর্তৃত্ব খাটাতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এসএসসি এবং এইচএসসির ফলের ভিত্তিতে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শিক্ষা সচিব নির্দেশনা জারি করলেও পরের দিনই তা স্থগিত করেন মন্ত্রী।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা ওই সময় দাবি করেছিলেন, ‘মন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে’ ওই ফাইলে তার স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছিল। গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি মন্ত্রীর নজরে আসে।

সাম্প্রতিক এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সচিব নজরুল ইসলাম খান
নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও ক্লাসে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি থাকলে ছাত্রছাত্রীদের এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়ে গত ৩ মার্চ পরিপত্র জারি করেন শিক্ষা সচিব।

সচিবের এই নির্দেশনা নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ মহলে কঠোর সমালোচনা হয়।

শিক্ষকরা বলছেন, টেস্ট পরীক্ষায় সময়ই শিক্ষার্থীদের মূল পরীক্ষার প্রস্তুতি হয়ে যায়। শুধু ক্লাসে উপস্থিতি বিবেচনা করে তাদের পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে সাঁতার শেখানো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টয়লেট ব্যবস্থাপনা, এমপিও বিকেন্দ্রিকরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট তৈরি, শিক্ষাসফরসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে পরিপত্র জারি করেন শিক্ষা সচিব।

লিঙ্কঃ Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন সৃস্ট মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।
এই মুক্টিযোদ্ধা মহা ভুল করলেন; এসব কমান্ড ইত্যাদির কোন দরকার ছিল না; সর্বোপরি সচিবের বাড়ী যাওয়া মহা ভুল ছিল।
বিষ পানে অবশ্য মানসিক সমস্যা ধরা পড়ছে।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

বিদ্রহী পথিক বলেছেন: ঠিক আছে কিন্তু সচিবের এই ধরনের ব্যাবহার মেনে নেয়া যায় না @চাঁদগাজী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.