![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিশাচর প্রানী
মানুষ তথা জাতির জীবনে সমস্যা থাকবেই, আর এই সমস্যার একটি সমাধানও থাকবে- স্বল্প মেয়াদী বা দীর্ঘ মেয়াদী আর এই সমস্যা যদি মানব সৃষ্ট হয় তবে মানুষই এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে। যে কোন সমস্যার যেমন রয়েছে কারণ, তেমনি তার রয়েছে ফলাফল। আর এই ফলাফলের প্রভাবে ব্যক্তি ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষসমূহকে এই ক্ষতির হাত থেকে উদ্ধার করার জন্যই সমাধান বের করা প্রয়োজন। ঢাকা একটি যানজটের শহর এবং এই যানজটের কারনে মানুষ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যা থেকে আমাদের মুক্তি দরকার। ঢাকা রাজধানী হওয়ার সুবাদে মানুষের সংখ্যা যেমন বেশী, তেমনি যানবাহনের সংখ্যাও মাত্রাতিরিক্ত। ফলে অনাকাক্সিক্ষত যানজট সৃষ্ট হচ্ছে ও মানুষ তথা দেশ আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আর অন্য তম একটি কারন ফুটপাত দখল, যা এখন প্রায় রাস্তায় নেমে গেছে। বহুমূখী রাস্তার মোড়ে ঝাঁকিয়ে বসা দোকানপাট ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। একান্ত প্রয়োজনে তাদের পূনর্বাসন করতে চাইলে একমাত্র চওড়া রাস্তার পাশে অন্তর্মূখী লেন তৈরী করে দিতে হবে। যেন কোনক্রমেই তারা ফুটপাথ বা যান চলাচলের রাস্তা দখল করে দোকানপাট স্থাপন করতে না পারেন। অথবা বিদেশের মত বানিজ্যিক এলাকাগুলোতে অফিস সময়ের পরে ‘নাইট মার্কেটে’র ব্যবস্থা করা যেতে পরে। দোকান মালিকরা নিজেদের প্রয়োজনেই প্রাইভেট সিকিউরিটিজ বা কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে এলাকার নিরাপত্তা বিধান করতে বাধ্য থাকবেন।
যানজটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেরিয়ে আসা সময়ের দাবি। সরকারকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে যাতে জনগণ এই দুর্ভোগ থেকে রেহাই পায়। এই সমস্যার সমাধান কল্পে নিম্নের প্রস্তাবগুলো সরকার বিবেচনায় রাখলে ও বাস্তবায়ন করলে এই ধরনের সমস্যা থেকে ঢাকাবাসী মুক্তি পেতে পারেন। প্রথমত: সরকার যানজট সমস্যা নিরসনে দেশী ও বিদেশী সদস্যের সমন্বয়ে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন গঠন করতে পারেন। এই কমিশন যানজটের প্রকৃত কারণ নির্ণয়সহ সমাধানের পরামর্শ দিতে ও প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের পরামর্শ দিবে। দেশী ও বিদেশী উৎস থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহের ব্যবস্থাও করবে। দ্বিতীয়ত: প্রাইভেটকারের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রাইভেট গাড়ীর সংখ্যাধিক্যকে যানজটের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে প্রাইভেটকারের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উপায় হিসাবে অধিক গাড়ীর জন্য অতিরিক্ত কর আরোপের প্রস্তাব করলেও সরকার এই বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার খবর আমাদের জানা নেই। তৃতীয়ত: অবৈধ দখলদারদের নিকট থেকে ফুটপাথ ও অন্যান্য রাস্তা দখলমুক্ত করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এটা করা কোন কঠিন ব্যাপার নয়। চতুর্থত: রেল ক্রসিংগুলোতে ওভারব্রিজ তৈরী করলে যানজট অনেকাংশে নিরসন হবে। পঞ্চমত: প্রয়োজনী সংখ্যক ফ্লাইওভার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত তৈরী করতে হবে। যে গুলো তৈরির কাজ চলছে তা দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। ৬ষ্ঠত: গাড়ীর চালককে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে। যত্রতত্র গাড়ী পার্ক করা ও গাড়ী ঘোরানো থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা দরকার। আর এ বিষয়ে দেখভাল করবে ট্রাফিক বিভাগ। সপ্তমত: ক্ষতিগ্রস্ত ফুটপাথগুলো দ্রুত মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করতে হবে। ক্ষমতার অপব্যবহার না করে এবং সিগন্যাল ব্যবস্থা মেনে চলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
©somewhere in net ltd.