নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী, আমি মুসলিম , আমি বাঙ্গালী,কিন্তু আমি বিদ্বেষী নই

বিদ্রহী পথিক

নিশাচর প্রানী

বিদ্রহী পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুর্ভোগ চলতেই থাকবে!

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৫

দুর্ভোগ কমানোর মগবাজার ফ্লাইওভারটি নাগরিক অনিঃশেষ দুর্ভোগের কারণ হয়ে রয়েছে এবং আরও প্রায় দেড় বছর থাকবে বলে নিশ্চিত করে দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি। মঙ্গলবার এ কমিটির বৈঠকে প্রকল্পটির ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ৪৪৬ কোটি টাকা, যা বর্তমানের তুলনায় ৫৮ শতাংশ বেশি। কাজের পরিধি বেড়েছে, ব্যয় বাড়ানোর সেটাই যুক্তি। ব্যয় বাড়ানো কতটা যৌক্তিক হয়েছে_ সে প্রশ্ন কেউ কেউ তুলছেন। সময়মতো ঠিকাদাররা কাজ শেষ করতে পারেননি। ২০১১ সালে প্রায় ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ শুরু হয়, যা ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে বলে নির্ধারিত ছিল। কিন্তু নতুন নির্ধারিত সময় যে প্রথম বাড়ানো সময়ের চেয়ে দেড় বছর বেশি! রাজধানীর অতি ব্যস্ত একটি এলাকায় এ ধরনের নির্মাণকাজে যেভাবে সর্বশক্তি নিয়োগ দরকার ছিল, ঠিকাদাররা সেটা করেনি বলেই আমজনতার ধারণা। মহাজোট সরকার রাজধানীর যানজট সমস্যা কমিয়ে আনার জন্য একের পর এক ফ্লাইওভার নির্মাণ করছে এবং তার সুফলও মিলছে। হাতিরঝিল প্রকল্পও সুফল দিতে শুরু করেছে। মেট্রোরেলের কাজ শুরু হয়েছে। এসবই দৃশ্যমান। কিন্তু মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ এলাকায় সীমাহীন জনদুর্ভোগও যে দৃশ্যমান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দায়িত্বে। শুরুতে নির্ধারিত ছিল ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হবে। সে সময়সীমা রক্ষা করতে না পারায় মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়; কিন্তু কাজ শেষ হয় মাত্র ৬০ ভাগ। ফলে আরেক দফা মেয়াদ বৃদ্ধি_ দেড় বছর। এ কাজের তিনটি অংশের মধ্যে সাতরাস্তা-মগবাজার-রমনা অংশের দূরত্ব কম ২ দশমিক ১ কিলোমিটার। এ কাজের ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। এ অংশ দ্রুত চালু করা গেলে এ রুট ব্যবহারকারীদের নিত্যদিনের দুর্ভোগ কিছুটা কমবে। এখন বলা হচ্ছে, মূল নকশায় ত্রুটি রয়েছে। বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির লাইন ঠিকভাবে চিহ্নিত করা হয়নি। এমনকি এটাও বলা হচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিষ্ঠানকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রচুর অর্থ ব্যয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়, তারা বাংলাদেশে যে গাড়িচালক ডানদিকে বসে গাড়ি চালান সেটা সম্ভবত বিবেচনায় নেয়নি। এসব ভুল গুরুতর। সেটা কি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাব, নাকি ব্যক্তি পর্যায়ে ভুল? বিষয়টির তদন্ত হোক। রাজধানীতে চলাচল সহজ করার ব্যয়বহুল প্রকল্পটির কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে এমন অদক্ষতা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এ জন্য কাউকে না কাউকে দায় নিতেই হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.