![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিশাচর প্রানী
একটি নগরের বাসিন্দারা প্রতিদিন সকাল-বিকেল যাতায়াত করেন অফিস-আদালতে, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এবং স্কুল-কলেজে। মাঝে মাঝে যাতায়াত করেন শপিংয়ে, আত্মীয়-বন্ধুদের বাড়িতে, সামাজিক অনুষ্ঠানে, সভা-সেমিনারে ও হাসপাতাল-ক্লিনিকে। প্রতিদিনের যাতায়াতে নগরবাসী গণপরিবহন ব্যবহার না করে যদি প্রাইভেট কার নিয়ে বের হন, তবে যানজট অসহনীয় হবেই। কারণ, দুটি প্রাইভেট কারে দুজন যাত্রী সড়কের যে জায়গা দখল করেন, সেই জায়গায় গণপরিবহনের একটি বাস জনা পঞ্চাশেক যাত্রী বহন করতে পারে। ঢাকায় গতিশীল ও নির্ভরযোগ্য গণপরিবহন না থাকায় অনেক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারও তিন-চার লাখ টাকার সেকেন্ড/থার্ডহ্যান্ড গাড়ি প্রতিদিনের যাতায়াতে সড়কে নামান। অথচ প্রাইভেট কার ব্যবহার হওয়া উচিত মাঝে মাঝে যাতায়াতের ক্ষেত্রে।
ঢাকায় মেট্রোরেল/পাতালরেল নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে, যা সময়সাপেক্ষ। কম সময়ে বাস-ক্যাবের মতো গণপরিবহনকে গতিশীল করা সম্ভব। তিন হাজার নতুন বাস একযোগে সড়কে নামবে। এই প্রকল্প সার্থক করতে ভালো কোম্পানিগুলোর আন্তর্জাতিক মানের বাস লাগবে। কম দামি বাস পুরো প্রকল্প ব্যর্থ করবে। শতভাগ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাস দরকার। একই রঙের, একই মডেলের বাস শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় সহায়ক। তবে রুটভেদে বাসের নম্বর আলাদা থাকবে, যা বাসের সামনে-পেছনে দুই পাশে সহজে দৃশ্যমান হবে। পেছনের ২৫টি সিট গ্যালারি আকারে এবং সামনের ২০টি থাকবে সমান্তরাল ডেকে। সামনের সিটে প্রতিবন্ধী, সন্তানসম্ভবা, বয়স্ক ও নারীদের অগ্রাধিকার থাকবে। ২০ জনের দাঁড়িয়ে চলার ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি সিটের পেছনে ঢাকা শহরের বাসের টোটাল নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম থাকবে।
বাসের সঙ্গে সড়কগুলোরও উন্নয়ন দরকার। বাসস্টপেজগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত থাকবে। বাস থামার আলাদা লেন থাকবে। সমস্ত বাসস্টপেজ ও যাত্রী ছাউনি হবে একই প্ল্যান, ডিজাইন ও নির্মাণসামগ্রীর। যাত্রী ছাউনির পেছনের ওয়ালে ঢাকা শহরের বাসের নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম বড় ম্যাপ আকারে থাকবে। সঙ্গে স্টপেজ নম্বর এবং বাস নম্বরের লিস্ট থাকবে। নামগুলো বাংলা ও ইংরেজিতে। মফস্বল থেকে ঢাকায় প্রথম আসা যে কেউ বা কোনো বিদেশিও যেন সহজে বাসের পুরো নেটওয়ার্ক বুঝতে পারেন।
ড্রাইভারদের লাইসেন্স মান হবে ১০০। ট্রাফিক নিয়মকানুন অমান্যের কারণে বিভিন্ন মানের পয়েন্ট কাটার ব্যবস্থা থাকবে। পয়েন্ট ৩০-এর নিচে নেমে এলে লাইসেন্স বাতিল হবে এবং নতুন করে পরীক্ষা দিয়ে লাইসেন্স নিতে হবে
ঢাকার নির্ধারিত সীমানার মধ্যে একই ভাড়া নির্ধারণ করা যেতে পারে। ঢাকায় ২০ টাকা বা বৃহত্তর ঢাকায় ৫০ টাকা। বাসস্টপেজ বা বাসের মধ্যেও টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে না। এক, তিন ও ছয় মাসের পাস থাকবে বিভিন্ন রুটে, যা বাস কোম্পানির নির্ধারিত ব্যাংক ইস্যু করবে। পাসের ওপর যাত্রীর ছবি ও এক্সপায়ার তারিখটি বড় আকারে থাকবে, যেন ড্রাইভার সহজে দেখতে পান। পাস না থাকাদের জন্য বাসের টিকিট এজেন্টের মাধ্যমে যত্রতত্র পাওয়া যাবে মোবাইলের ফ্লেক্সিলোডের মতো। যেকোনো সংখ্যার টিকিট কেনা যাবে। এই পাস/টিকিট বাসে ওঠার দরজায় থাকা ডিজিটাল মেশিনে যাচাই হবে।
এই বাসগুলো হবে ওয়ানম্যান বাস, অর্থাৎ বাসে শুধু ড্রাইভার থাকবেন, হেলপার থাকবেন না। নির্ধারিত রুটের জন্য রেকর্ডেড মেসেজ থাকবে, যা যাত্রীদের স্টপেজসহ অন্যান্য নির্দেশনা দেবে। বাসে দরজা থাকবে দুটি, সামনেরটা ওঠার এবং মাঝের দরজা নামার। যেকোনো যাত্রী বাসের মধ্যে থাকা বোতাম টিপে পরবর্তী স্টপেজে নামার সংকেত দেবেন। ওয়ানম্যান সার্ভিস যাত্রীদের ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেওয়ার প্রবণতার অবসান ঘটাবে।
ঢাকা থেকে সব সিএনজিচালিত অটোরিকশা তুলে দিয়ে সমসংখ্যক সাশ্রয়ী ক্যাব নামাতে হবে। ক্যাবগুলো টেকসই মানের হতে হবে,যেন ৮-১০ বছর চালু থাকে। সঙ্গে বেশি সিসির (১৫০০ থেকে ২০০০ সিসি) পর্যাপ্ত সংখ্যার ক্যাব থাকবে। সব সিগন্যাল বাতি টাইম কাউন্টডাউন সম্পন্ন হতে হবে,যা সড়কগুলো গতিশীল রাখতে সহায়ক। সড়ক পারাপারের জন্য কয়েকটি সেকশনে পাতালপথ নির্মাণ করলে ভালো হয়। পাতালপথের প্রস্থ অন্তত চার মিটার, উচ্চতা তিন মিটার, ওপরে ওঠার জন্য স্কেলেটর এবং পর্যাপ্ত বাতির ব্যবস্থা থাকবে। সড়কের ওপর দিয়ে পারাপারের স্থলে জেব্রাক্রসিংগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত থাকবে। জেব্রাক্রসিংয়ে সবুজ সিগন্যাল বাতির সঙ্গে একটি জনপ্রিয় গানের মিউজিক বাজবে। বাসা/কর্মস্থল থেকে বাসস্টপেজ পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটার ফুটপাত থাকা অপরিহার্য।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০২
বিদ্রহী পথিক বলেছেন: কি ভাবে সেটাই তো বললাম ভাই
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯
বিজন রয় বলেছেন: এভাবে সম্ভব না।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬
বিদ্রহী পথিক বলেছেন: আমাদের সমস্যা হলো খুব সহজেই, এটা হবে না, ঐটা সম্ভব না এই ধরনের কিছু মতামত দিয়ে দেই, ফিজিক্স এর ভাষায় কোন কাজিই শত ভাগ হয় না, সম্ভবনা কতটুকু সেটা বলার চেস্টা করছি,
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩
বিজন রয় বলেছেন: আপাত দৃষ্টিতে পৃথিবীর কোন পন্ডিত ঢাকা শহরের যানজটমুক্ত করতে পারবে না।
তার বড় কারণ অশিক্ষিত জনগণ আর মুর্খ সরকার।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪
বিদ্রহী পথিক বলেছেন: তার বড় কারণ অশিক্ষিত জনগণ আর মুর্খ সরকার না তার সবচেয়ে বড় কারন আপনার আমার মত আশাহত মনুষ, আমরা খুব সহজেই সব কিছু থেকে বিশ্বাস তুলে নেই , এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭
রাজীব বলেছেন: সিএনজি তুলে দিয়ে ক্যাব নামাবেন। মানে ২০০ টাকার পথ ১৫০০ টাকা দিয়ে যেতে হবে। মধ্যবিত্তের কি হবে??
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৩
বিদ্রহী পথিক বলেছেন: সে ক্ষেত্রে ভাড়া অবশ্যই যোক্তিক হতে হবে। আমাদের বর্তমান সিএনজি গুলার মিটার এর যা অবস্তা, ৭/৮শ মিটার গেলেই ১ কিলো হয়ে যায়, যেখানে ট্রাস্ট এসি ক্যাব এ নিউমার্কেট থেকে মিরপুর ভাড়া আসে ২৫০-৩০০টাকা সেখানে সিএনজি তে আসে ২৩০-২৫০টাকা তাহলে কোনটা ভালো?? আমাদের সততাই এখানে মুখ্য বিষয়,
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৫
বিদ্রহী পথিক বলেছেন: আমাদের ভিতর প্রশাসনকে মানার মত মন তৈরি করতে হবে আবার তাদেরকেও মানুষের সেবা দান কারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠতে হবে
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯
রাজীব বলেছেন: Click This Link
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৪৬
রাজীব বলেছেন: আমার পরিচিত একজন বলেছেন যে, উত্তরা থেকে মতিঝিল ক্যাবে যেতে প্রায় ১০০০ টাকা ভাড়া হয়েছে।
আপনি কি ছুটির দিনে নিউমার্কেট থেকে মিরপুর গিয়েছিলেন???
আমি তো ভয়ে নতুন ক্যাবে এখনো চড়িনি।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৩৫
বিদ্রহী পথিক বলেছেন: হে ক্যাবে ওয়েটিং চার্জ একটু বেশি, আর উত্তরা থেকে মতিঝিল যেতে হলে অনেক্ষন জ্যামে বসে থাকতে হয়,
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮
বিজন রয় বলেছেন: কিভাবে?