নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুক্ত চিন্তায় বিশ্বাসী, আমি মুসলিম , আমি বাঙ্গালী,কিন্তু আমি বিদ্বেষী নই

বিদ্রহী পথিক

নিশাচর প্রানী

বিদ্রহী পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌন্দর্যের লীলাখেলার প্রান্তর নেত্রকোনার বিরিশিরি

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭


যাদের বড় পাহাড়ে এলারজি আছে, কিন্তু পাহাড়ে উঠার অনেক ইচ্ছে,বা ট্রকিং শুরু করবেন ভাবতেছেন তারা ঘুরে আসতে পারেন নেত্রকোনার বিরিশিরি থেকে, এক জায়গাতে অনেক রকম সৌন্দর্য এক মাত্র বিরিশিরিতেই পাবেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা পর্যটন প্লেসের একটার সাথে আরেকটার কিছু না কিছু মিল খুজে পাবেন, কিন্তু এই একটি মাত্র প্লেজ যেখানে সব কিছুই আলাদা
এখানে বিরিশিরি নামার পরই আপনাকে স্বাগতম জানাবে স্রোতস্বিনী সোমেশ্বর নদী, অপরুপ সুন্দর এই নদীর পারে আপনি বসে অনায়াসেই কাটীয়ে দিতে পারবেন ঘন্টার পর ঘন্টা, কিন্তু আফসোস আপনি বিরিশিরি গেলে সে সময় পাবেন না !!
বিরিশিরিতে রয়েছে সম্মুখ যুদ্ধে বর্ডার এলাকায় শহীদ ৭ বীরের সমাদি, নির্মল ছায়া ঘেড়া পরিবেশে সোমেশ্বরের পারে ঘুমিয়ে আছে বীর শহীদেরা , এর মাত্র ৫০ মিটার সামনেই ভারত, ইচ্চে করলেই পা ফেলে আসতে পারবেন ভারতে ভিসা পাসপোর্ট ছাড়াই ,
চাইলে আপনি নদীর বুক চিরে হেটে আসতে পারবেন জনপদের দিকে, কারন পাথর বালুর এই নদীর প্রবেশ মুখে যে মাত্র ১/২ ফুট পানি, কিছু কিছু জায়গায় তো সেই পানিটুকুও নাই, হিমালয়ের হিমবাহের ঠান্ডা পানিতে হেটে যেন অন্য দিগন্তে হারিয়ে যাওয়ার পালা,
সেখান থেকে বাজারে এসে ঊঠে পরুন গাড়ো পাহাড়ে, পাহাড়ের উপর থেকে দেখলে মনে হবে এই এক অন্য স্বর্গে চলে এসেছেন, যে নদীর বুক চিরে হেটে এসেছেন সেই নদীর এমন রুপ আপনাকে পাগল করে দিবে, আর প্রতিটি বাকে যেন সৌন্দর্য খেলা করে,
সেখান থেকে আবার দুরগাপুর, যে নদীতে পায়ে হেটে এসেই এখানে এসে সেই নদীই পার হতে হবে নৌকায় খরস্রোতা নদী পার হতে দরকার পরে ফেরি জাতীয় নৌকা, এটা আরেক মজার অভিজ্ঞতা, ভুলার মত না,

প্রথমেই আপনি চলে যেতে পারেন সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে বিজয়পুর, যেখানে আছে বাংলাদেশের একমাত্র চীনামাটির খনি, আছে বিখ্যাত নীল পানির লেক, ছোটবড় অসংখ্য পাহাড় ইত্যাদি। বিজয়পুর বিজিবি কাম্পে যেতেও ভুলবেননা। ফেরার পথে দেখে আসবেন হাজং মাতা রাশিমণি স্মৃতিসৌধ এবং সাধু যোসেফের ধর্মপল্লী, রানিখং গ্রামের ক্যাথলিক গির্জাটি থেকে সোমেশ্বরী নদী দর্শন আপনার সকল ক্লান্তি মুহূর্তেই দূর করে দেবে।সুসং দুর্গাপুর ফিরে এসে আপনি দেখতে পারেন জমিদার বাড়ি, টংক আন্দোলনের স্মৃতিসৌধ, কিংবা বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমি।এছাড়া আপনি ভবানিপুর, নলুয়াপাড়া, গোপালপুর, লক্ষিপুরের পাহাড়গুলো দেখে আসতে পারেন। এসব জায়গায় যেতে দুর্গাপুর থেকে ১৫/২০ মিনিট লাগে।সোমেশ্বরী নদী স্বচ্ছ পানি আর ধুধু বালুচরের জন্য বিখ্যাত। এর বালুচরে দাঁড়ালে আপনি উদাস হতে বাধ্য। এই নদীর প্রকৃত সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ইঞ্জিন চালিত নৌকা বা ট্রলার নিয়ে রানিখং গির্জার পাশ দিয়ে বিজয়পুর বিজিবি কাম্প এর দিকে যেতে হবে, পাহাড় ও নদীর আসাধারন যুগল সৌন্দর্য আপনাকে বিস্মিত করবেই।
বিরিশিরি থাকার জন্য রয়েছে YMCA YWCA, স্বর্ণা গেস্ট হাউজ, হোটেল গুলশান, হোটেল জবা, নদীবাংলা গেষ্ট হাউজ, হোটেল সুসং ।

ইচ্ছে করলেই পরিবার নিয়ে অল্প সময়ের ভিতর ঘুরে আসতে পারেন বাংলাদেশের এক মাত্র চিনামাটির দেশ বিরিশিরি

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৪

গারোপাহাড় বলেছেন: ভালো লাগলো...

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৩

বিদ্রহী পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মাকার মাহিতা বলেছেন: আমি একদিন যাবই যাব। মটরসাইকেলে করে। ঢাকা-ময়মনসিংহ-বিরিশিরি-সুসং-দুর্গাপুর।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

বিদ্রহী পথিক বলেছেন: অবশ্যই যাবেন, না গেলে অনেক কিছু মিস করবেন??

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১০

মাহিরাহি বলেছেন: পরিবার পরিজন নিয়ে যাওয়াটা কতটা নিরাপদ?

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

বিদ্রহী পথিক বলেছেন: নিরাপদ, ১০০% তরে বর্ডার এলাকাতো আর বালু মহল প্রচুর ট্রাক যাতায়েত করে তাই সন্ধার পর বের না হওয়া ভালো

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

আখেনাটেন বলেছেন: অপরূপ রূপবতী একটি নদী সোমেশ্বরী। আর এর জল যেন মুক্ত স্ফটিকের ধারা। তবে মানুষ কীভাবে ও কত প্রকারে প্রকৃতিকে ধ্বংস করে তা সরাসরি দেখতে চাইলে বিরিশিরি কিংবা জাফলং এ গিয়ে দেখা যেতে পারে। প্রকৃতি প্রেমিক হয়ে থাকলে মনটা হু হু করে উঠবে। জাতি হিসেবে অামরা নাদান।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১২

বিদ্রহী পথিক বলেছেন: এটা ঠিক বলেছেন, আমরাই এই অপরুপ সুন্দর প্রকৃতি ধ্বংস করে ফেলছি

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

নীল প্রজাপ্রতি বলেছেন: যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.