নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য এবং শান্তির পথে আসুন। অন্যায় এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।

কালান্তরের অশ্বারোহী

আমি প্রায় ৩ বছর ধরে বিভিন্ন ব্লগ পড়ছি। অ্যাকাউন্ট খুলবো খুলবো করে খোলা হয় না। অবশেষে খুলেই ফেললাম।

কালান্তরের অশ্বারোহী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট গল্পঃ একটি আকদ এবং বিষাদময় চুমো।।

১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:১৪

প্রভা আমাকে দেখা করতে বলেছে, কিন্তু ওর সাথে দেখা করার একদম ইচ্ছা নাই, ওর তো আকদ হয়ে গেছে, প্রভা এখন অন্যজনের সম্পত্তি কোন অধিকারে আমি ওর সাথে দেখা করবো?
বন্ধুদের অনেক অনুরোধের পর আমি প্রভার সাথে দেখা করতে গেলাম। প্রভা আগের চেয়ে ও অনেক সুন্দর হয়েছে, ওর দিকে তাকিয়ে হটাত করে শরৎচন্দ্রের দেবদাস এর কথা মনে পরে গেল, উপন্যাস এর শুরুতে ওদের ভালোবাসা এতো বেশি প্রখরতা লক্ষ্য করা যায়, ভেবে কোন কূল কিনারাই পাওয়া যায় না যে ওদের ভালোবাসা কিভাবে নষ্ট হবে ! কিন্তু লেখক খুব সুন্দর করে ব্রেকাপ করিয়ে ফেলেছেন।

আমাদের জীবনের লেখকও অনেক পটু বলা যায়, আমাদের ও ব্রেকাপ করিয়ে ফেলেছেন। আমাদের ভালোবাসা তো নষ্ট হওয়ার কথা ছিল না, যেখানে একটা মুহূর্ত ভুলে থাকতে পারতাম না, প্রতি ক্ষণে ক্ষণে তোমার কথা মনে মনে বাজত। আমরা একটা দিন একজন আরেকজনকে না দেখে থাকতে পারতাম না, তখন মনে মনে ভাবতাম, আমাদের ভালবাসাটাই হয়তো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা।

প্রভার হয়তো মনে নেই, যেদিন আমি মদ খেয়ে মাতাল হয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম, সেদিন রাতে তুমি আমায় ১১১ বার ফোন দিয়েছিলে। আর পাঠিয়েছিলে ৬ টি ম্যাসেজ। ম্যাসেজ গুলী আমার মোবাইলে এখনো আছে, সময় পেলেই ডিলিট করে দিব, কিন্তু করতে পারি না। তুমি আমার সাথে তিনদিন কথা বললে না, ওই তিনদিনে আমি প্রায় পাগলের মতো হয়ে গেয়েছিলাম।মৃত্যুর দুয়ার থেকে কত বার ফিরে এসেছি, তা হয়তো তুমি জাননা।

কাঁচা শরীর মদের তেজ ধরে রাখতে পারেনি, বন্ধুরা তেঁতুল খুঁজতে ব্যস্ত ছিল সেদিন তেঁতুল না পাওয়া গেলে, আমি হয়তো মরেই যেতাম, সেদিন মারা গেলেই হয়তো ভালো হোতো, প্রতি ক্ষণে ক্ষণে মৃত্যুর স্বাদ পাওয়ার চেয়ে, একেবারে মারা যাওয়াটাই বরং ভালো ছিল। কিন্তু প্রভা এখন জানে না, এইসব মদ সিগারেট এখন আমার নিত্য দিনের সঙ্গী।

প্রভা বসে আছে সেই জায়গাটাতে যেখানে আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল, বসন্তের কোন মায়াময় সন্ধ্যায়। আজকেও হবে হয়তো কোন বসন্তের বিকেল। সেদিন আকাশে চাঁদ ছিল কিনা জানিনা, কিন্তু আজকে কি সুন্দর চাঁদ উঠেছে, চাঁদটাকে আজকে কেন জানি ভালো লাগছে না। আমি প্রভার বাম পাসে বসলাম, ওর ডান পাসে বসার অধিকার হারিয়ে ফেলেছি। আমি প্রভার হাতের আংটির দিকে তাকিয়ে আছি। আংটিটা অনামিকা আঙ্গুলে পড়া।
প্রভার ইচ্ছা, তাকে শেষবারের মতো চুমো খেতে হবে, কিন্তু এই সহজ কাজটা আজাকে আমার জন্য কঠিন হয়ে গেছে। আমি প্রভাকে চুমো খেলাম নিস্তেজ ঠোঁটে, এই চুম্বনে ছিলনা কোন অনুভূতি, ছিলোনা কোন ভালোবাসা, ছিলোনা কোন আবেগ, ছিলোনা কোন যৌনতা, ছিল এক বিষাদময় চুমো

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৪৭

ফেক রুধির বলেছেন: হাহ প্রভা!!!

১৮ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:১৮

কালান্তরের অশ্বারোহী বলেছেন: :D হ্যাঁ ভাই, প্রভা নামটাই নোংরা হয়ে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.