![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পূজা শেষ হতেই বাতাসে লেগেছে হিমের পরশ৷ আর তার সাথে বাঙালির ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে বড়ি দেওয়ার কাজ৷ শীত কালে গরম ভাতের পাতে বড়ি খুবই উপাদেয়৷ গহনা বড়ি, ঝোলের বড়ি আরো হরেক রকম বড়ির সম্ভার নিয়ে বাঙালির ঘরে ঘরে এখন শুধুই ব্যস্ততা
ঝোলের বড়ি বর্তমানে প্রায় সব জায়গায় পাওয়া যায়৷ কিন্তু গহনা বড়ি তৈরি করতে লাগে নিপুন হাতের আর সৃষ্টিশীল মননের৷ আর সেখানেই বাঙালি ও বাংলার মা ও বোনেরা হয়ে ওঠে সাধারন থেকে অসাধারন৷ তাই বড়ি দেওয়ার কাজ বাড়ির আর পাঁচটা কাজের মতো থেকে আজ রীতিমতো শিল্পের তরজা পেয়েছে৷ এবং এখন দেশে কোথাও কোথাও বানিজ্যিক ভিত্তিতে সারা বছর ধরে এই বড়ি শিল্পের কাজে নিযুক্ত আছেন বেশ কিছু মানুষজন৷ মুনাফার দিকটা বেশ ভালো বলে গৃহিনীদের সাথে পুরুষরাও হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করছেন এই শিল্লে৷ তাহলে হিসেবের দিকটা একটু দেখে নেওয়া যাক৷ প্রতি কিলো মাসকলাই ডালের দাম বাজারে প্রায় ৪০-৫০ টাকার মতো৷ আর পোস্তর দাম ৬০০ টাকা প্রতি কেজি৷ সেক্ষেত্রে সুজি বা তিলের ওপর হলে বেশ সস্তায় পাওয়া যাবে এই গহনা বড়ি৷ বাজারে ১০ টি বড়ির একটি প্যাকেট পাওয়া যাবে৷ মুল্য পোস্তর হলে ২০টাকা আর সুজি বা তিলের হলে ১০ টাকা৷ আর ঝোলের বড়ি পাওয়া যাবে কিলো প্রতি ১০০ টাকায়৷ বিরির ডালকে একটু মোটা করে বেটে রাখা হয় আগের দিন থেকে৷ পরের দিন সকালে এই ডালকে নুন ও আরো কিছু শুকনো মশালার সঙ্গে মিশিয়ে প্রচুর পরিমানে ফেটে নেওয়া হয়৷ এরপর বড় থালা বা কূলাতে পোস্ত অথবা সুজি ছড়িয়ে দেওয়া হয়৷ তারপর একটু মোটা কাপড়ে (চোঙ লাগানো) ঐ ডাল বাটা অল্প পরিমানে নিয়ে হাতে নিপুন কায়দায় তৈরি হয়ে যায় একের পর এক গহনা বড়ি৷ তৈরি শেষে বড়ি গুলিকে বিস্তর রোদে শুকনো করা হয়৷ তারপর প্যাকেটে করে চলে যায় সারা দুনিয়ায়।
২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৫৮
ইরতেজা বলেছেন: +
৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৪০
বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: ডালের বড়ি দিয়ে শিং মাছের ঝোল ।
স্বর্গের খাবার
৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:২৮
শিরোনামহীন বলেছেন: কুমড়ার বড়ি আর বেগুন দিয়ে ইলিশ!!!! আহা!!!
৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:৩২
পুংটা বলেছেন: ছোট বেলায় নানীর বাড়ী, এই বড়ি বানাইতে গিয়া জীবনের প্রথম ক্যাসিও ঘড়িটা পুকুরঘাটে হারাইছিলাম। সে এক দুঃখ। বড়ি দেখলেই ঘড়ির কথা মনে হয় আর বড়ি খাইলেই লগে লগে ঘড়ির শোক ভুইলা যাই।
৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:৩৮
বৈকুনঠ বলেছেন: নগেন বাবু ডাইলের বড়ি বানানের যেই কসরত আপ্নে বর্ননা কর্ছেন তা দেইখা ছোটো বেলায় দেখা মায়া বরির ফ্যাকেটের কতা মনে পইরা গেল। তখন অইটা দেইকা কিছু বুজি নাই আর অখন এইটা দেইখা। কোনো সমস্যা নাই, প্রিয় শুকেজে হান্দায়া দেই, পরে সময় কইরা বানান দেইক্কা দেইক্কা পরুমনে।
৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:২১
জেমিনি বলেছেন: আমি আগে এর নাম ও শুনিনি । কি ভাবে খায়???? এই ব্যপারে আরো জানতে ইচ্ছুক।
৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:৪৩
সুরভিছায়া বলেছেন: ভাল লাগল দেখে ।
৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৯
শিরোনামহীন বলেছেন: @ জেমিনি
মাছের যেকোনো তরকারী এই বরি দিয়ে রাঁধলে তা অসাধারণ টেস্টি হয়ে যায়। রান্নার প্রসেস হৈলো, মাছের মসলা কষায়ে ঝোলের পানি যখন দেয়া হয় ঐ সময় বরি দিয়ে ফুটাতে হয়। তারপর অথবা এর সাথেই মাছ দেয়া যায়। একবা মজা পাইলে বার বার মন্চায় খাইতে। অনেক ধরণের তর্কারীতেই বরি দেয়া যায় তবে সবচেয়ে ভালো লাগে মাছের সাথে খেতে। বরি সেদ্ধ করে সরিষা বাটা, পিয়াজ, কাচামরিচ, লবণ আর সিষার তেল দিয়ে একটা ভর্তাও করা যায় যার টেস্ট...... স্বর্গীয়!!!! আহা!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩৪
শিরোনামহীন বলেছেন: বাকী বড়ির প্স্তুত ও রান্নার প্ণালী জানালে খুব উপকার হয়।