![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুনলাম দক্ষিণ আফ্রিকার নারী দলের সফর বাতিল করা হয়েছে। তার আগে অস্ট্রেলিয়া। এ কিসের আলামত?পরপর দুইজন বিদেশী নাগরিক খুন দেশের দুই প্রান্তে। এই ঘটনা গুলোর মধ্যে কি কোন যোগসূত্র আছে? যে দুই দেশের নাগরিক খুন হয়েছে তাদের সাথে আমাদের দেশের কোন কুটনৈতিক বিরোধিতাও ছিলো না। তাদের কোন ব্যক্তিগত শত্রুও থাকার কথা নয় এদেশে। তবে কি তা আন্তর্জাতিক মহলের কাজ? তাই বা হবে কেন, আমাদের দেশে এসে দুইজন বিদেশীকে মেরে গিয়ে কার কি লাভ হবে?
এতো বড় অপরাধ কোন লাভ ছাড়া হয়েছে বলেও মনে হয় না। তবে কে লাভবান? এই প্রশ্নের উত্তর কারোরই জানা নেই।
অপরদিকে দেশের প্রধানমন্ত্রী তার দায়সারা জবাব দিয়ে দিয়েছেন,"এতে নাকি বিএনপি জামায়াতের হাত আছে"।আর তাতেই দেশে হাসির রোল। আমি নিজেও হেসেছি তবে তা অন্য কারণে। থাকলোই বা বিএনপি জামায়াতের হাত, আপনি দেশের প্রধানমন্ত্রী আপনার উপর দেশে বসবাস করা সকল নাগরিক বা বিদেশীর নিরাপত্তার দ্বায়িত্ব অর্পিত। দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তার দ্বায়িত্ব পালন করছেন কতটুকু তাতো দেখতেই পাচ্ছি।দরকার নেই দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা দেবার ১৮কোটি গজবের পয়দার মধ্যে কিছু কমে গেলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে না। কিন্তু বিদেশী নাগরিক কূটনৈতিকদের নিরাপত্তা দেওয়া আপনার পবিত্র দ্বায়িত্ব।
মদিনা সনদেও মনে হয় এই কথাই বলে।
ব্যর্থ শুধু আপনি না আপনার প্রশাসনসহ নিরাপত্তা দ্বায়িত্বে থাকা সকলেই এই ব্যর্থতার ভাগিদার।
এই ব্যর্থতার কারনে দেশের ভাবমূর্তি কতটা নষ্ট হয়েছে তা আজ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সংবাদ সম্মেলনে প্রতিফলিত হয়েছে। আর বেশি দূরে নয় পাকিস্তান আফগানিস্তান ইরাক সিরিয়ার লিষ্টে বসবাসের অনুপযোগী রাষ্ট্রের কাতারে যে বাংলাদেশের নাম যুক্ত হবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আর আপনি হবেন সেই রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী, নিশ্চয়ই গর্ব করার মতো বিষয় নয়।
আর আপনি যাদের দিকে সন্দেহের আঙ্গুল তুলেছেন তারা এখন অনেকেই দেশে নেই যারা আছে তারা গা ঢাকা দিয়ে আছে। কি করছে তারা, তারা কি চুপচাপ বসে আছে? মোটেও না,দেশে আইএস জঙ্গি থাকুক বা না থাকুক বাংলাদেশ জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে এটা বিশ্বদরবারে প্রচার করার যে নীল নকশা নিয়ে তারা মাঠে নেমেছে হয়তো তারা তা দ্রুত বাস্তবায়ন করছে। হয়তো দুইজন বিদেশী হত্যাও এরই অংশ।
আর দুটি ক্রিকেট দলের সফর বাতিল হওয়া তার ফলাফল।
আর মার্কিনিরা যতই মাথায় হাত বুলিয়ে সান্তনা দিক না কেন ভুলে যাবেন না মজিনার গনতন্ত্রের নামে বিএনপি প্রীতি।
পরিশেষে ছোট একটা স্মৃতি কথা বলে শেষ করছি। ছোটবেলায় যখন বন্ধুদের নিয়ে পুকুরে বা নদীতে গোসলের নামে দাপাদাপী করতাম তখন আমাদের আশেপাশে নিরাপদ দূর দিয়ে প্রায়ই সাপও সাঁতার কেটে চলে যেতো। দূর হতে খেয়াল রাখতাম যতক্ষণ সাপের মাথা পানির উপরে থাকতো ততক্ষণ কোন ভয় হতো না কারন সাপের গতিবিধি লক্ষ করতে পারতাম। যখনি সাপটি পানির নিচে ডুব দিত তখন আর নিরাপদ বোধ করতাম না। লাফ দিয়ে ডাঙ্গায় উঠে বসে থাকতাম যতক্ষণ না সাপটি ভেসে উঠতো। কারণ,সাপ যদি ডুব দিয়ে কারো পায়ে পেচিয়ে ধরে বা কামড়ায়।
মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী, যারা এখন ডুব দিয়েছে তাদের একটু খোঁজ নিন। ইতিহাস বলে তারা সাপের চেয়েও ভয়ঙ্কর।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪০
অলীক মানবী বলেছেন: বনফুলের আভাস পাওয়া যায় কিছুটা ...
শেষ বাক্যটাই ম্যাজিক বাক্য