![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা টা আমার মনের খাদ্য, আপনার নিকট আমার লেখা মানেই অখাদ্য, আমন্ত্রণ অখাদ্য ব্লগে, ধন্যবাদ অখাদ্য পড়ার জন্য
কেমন যেনো হয়ে গেছে আবির, আগে দিনে মাত্র একবার ফেসবুকে লগ ইন করতো, আর এখন বলতে গেলে সবসময় তার লগ ইন করাই থাকে, এইভাবে চলছিলো আবিরের দিন, পরী এতোটা থাকেনা তবু টুকটাক কথা হয় তাদের, আজ সারাদিন তার কোনো খবর নাই, আবির পরীর প্রেমে পড়ছে মনে হয়, ফেসবুক সম্পর্ক কি আসলেই ঠিক? জানেনা নিজেই জানেনা আবির, এর ভিতর পরীর নক
কেমন আছো?
ভালো তুমি?
হ্যা ভালো খাইসো?
হ্যা খাইসি একটু আগে, আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
কি?
সত্যি বলবে তো?
না বলার কি আছে, বলো বললেই বলবো
তুমি কি রিলেটেড?
হাসো কেনো? সত্যি কি তোমার সম্পর্ক আছে?
এই কথা কেনো আবির?
না এমনিতেই মানে মনে হচ্ছে নেই, আচ্ছা আমার না কোনো ভালো বন্ধু নেই, আমি আর তুমি কি ভালো বন্ধু হতে পারি?
আমরা তো আগে থেকেই বন্ধু ছিলাম আবির
না তা না আমি বলতে চাচ্ছিলাম যদি সম্ভব হয় তবে রিয়েল লাইফে
হা হা হা হা হা হা
হাসো কেনো পরী?
না এমনিতেই হ্যা হতে পারি, আর তাছাড়া আমরা তো বন্ধুই তাইনা আমাদের কথা হয়, শুধু অনলাইনে না ফোনেও হয় তাইনা
হ্যা তাই
আবার?
কি?
তোমাকে না বলেছি এই টা আমাকে দিবানা, অসহ্য লাগে
আচ্ছা আর দিবোনা,
হুম,
হটাথ করেই পরী লগ আউট করে আবির ফোন দেয় তাকে, কি ব্যাপার না বলেই লগ আউট করলে?
আরে নাহ নেট সমস্যা, টুকটাক কথা হয় তাদের কিন্তু কেউ জানেনা এর শেষ কই, এভাবেই চলছে তাদের দিন, আবির এখনো জানেনা পরীর নাম কি? তার জানতে ইচ্ছা হয়, কিন্তু সে জিজ্ঞাসা করেনা, থাক না, কিছু জিনিস অজানা।
আবির এখোনো দেখেনি মেয়েটিকে, কিন্তু প্রেমে পড়ে গেছে, ব্যাপার টা কেমন যেনো লাগে তার কাছে, আবির নিজেই বুঝেনা, আসলে ব্যাপার টা কি নাহ আজ তার কাছে ছবি চাইতে হবে, কিন্তু সে দিবে কি? সত্যি কি সে দিবে? আর ছবি দিয়ে কি হবে? মানুষের চেহারা কি সব? জুই এর চেহাড়া তো মাশাল্লাহ, ভার্সিটির সবাই বলতো আবির নাকি মুক্তা পেয়ে হাতছাড়া করেছে, মেয়েটি সুন্দর কিন্তু আবির তো কখনই কোনো কিছু অনুভব করেনি তাকে নিয়ে, প্রেম কি অনুভুতি? এই যে একটা মেয়ের প্রোফাইল পিকচার দেওয়া বাচ্চা একটি মেয়ের ছবি, আবির যখন জানতে চায় খাইসো তখন পরীর হ্যা সুচক উত্তরটির সাথে প্রো পিক দেখে মনে হয় এই মেয়েটি সেই আসলে কি তাই? নাহ পরী অনেক বড় তবু একটা অব্যাক্ত অনুভুতি এটাই কি ভালোবাসা? জানেনা আবির জানেনা সে জানতেও চায়না।
রাতে পরীর সাথে চ্যাটিং এ কথা হল অনেক্ষন
হটাথ পরী নাই, ফোন অফ, ভাবতে ভাবতে আবির ঘুমিয়ে গেলো তার করা হলনা কিছুই
এর ভিতর আবিরের পরিক্ষা আর জব দুইটা মিলিয়ে খুব ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে আবির, কিছুই করা হচ্ছেনা তার, অনলাইনে থাকা তার চাই চাই, শত ব্যাস্ততার মাঝে, আজ পরীকে দেখবে আবির, সে আজ ছবি চাইবেই যা আছে কপালে, বই বন্ধ করলো আবির, ফেসবুকে লগ ইন করলো
হাই কেমন আছো?
ভালোনা
কেন কি হইসে পরী?
না তেমন কিছুনা এইতো এমনিতেই
একটা কথা বলি?
কি?
তোমার একটা ছবি দিবা?
কেনো?
না মানে দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে
ও আচ্ছা ছবিতে দেখার কি দরকার, আমরা একদিন দেখা করে নিবো,
কিন্তু সেটা কি হবে?
আচ্ছা এতোটা অস্থির কেন তুমি?
মানে?
মানে কিছুনা একদিন তো দেখা হবেই
এতোদিনে আবির জেনে গেছে পরী তার ভার্সিটিতেই পরে, তাই দেখা হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র, আবির নাম টা জানেনা, জানলে হয়তো খুজে নেওয়া যেতো, এতে আবির পরীকে দেখতো, কিন্তু পরী জানতোনা, আচ্ছা সে মেয়েটি না তো? সেদিন পাশে যে মেয়েটি বসা ছিলো?
আবির আবার ইনবক্স ঘাটাঘাটি শুরু করলো, প্রথম মেসেজ গুলা চেক করতে হবে, যদি মোবাইল থেকে পাঠানো হয় তাহলে মেয়েটি সেটাই, ইতিমধ্যে ৯০০০+ ম্যাসেজ জমা হয়ে গেছে, খুজে পেতে একটু সময় লাগলো আবির, নেট এর যা স্পিড আবিরের মেজাজ পুরাই খারাপ, নাহ সেন্ট ফ্রম মোবাইল নাহ, তাহলে সে মেয়েটি না, অন্য কেউ।
এইভাবেই কথা চলছিলো তাদের একদিন আবির মুখ ফুটে বলেই ফেললো চলো দেখা করি
নাহ এখন না আরো কয়েক দিন পর
কবে?
আজ কই তারিখ?
২৮ জানুয়ারি
১৪ তারিখ দেখা হবে
মানে কি? এখোনো ১৬ দিন?
হ্যা সেদিন একটা বিশেষ দিন, আমরা সেদিন দেখা করবো
আমি এখন গেলাম মা ডাকছে বলেই লগ আউট করলো পরী,
আবির বসে বসে ভাবছে ১৪ তারিখ কি? পহেলা বৈশাখ না তো? নাহ সেটা তো এপ্রিলে, তাহলে ১৪ই ফেব্রুয়ারি কি? আবির শত চেষ্টা করেও মনে করতে পারছেনা, আসলে দিন টা কি, অপেক্ষা করেই কাটাবে আবির, পরীর মনে থাকবে তো? নাহ প্রতিদিন জিজ্ঞাসা করা যাবেনা, ১০ বা ১২ তারিখে একবার মনে করিয়ে দিতে হবে তাকে, আবিরের আর মনে করাতে হয়নি, ৮ তারিখে পরী মনে করিয়ে দিছিলো আবির কে, কিন্তু আবিরের জানা হলনা ১৪ তারিখ কিসের বিশেষ দিন।
অবশেষে সে দিন আসলো রাস্তায় বের হলো আবির, বাহ আজ লাল সাদার সমারোহ, বেশির ভাগ কপোত কপোতি রাস্তায়, আবির কে এফ সি তে দেখা করতে চেয়েছিলো কিন্তু পরী তা চায়নি, পরী বলেছিলো ক্যাম্পাসে দেখা হবে, সে লাল শাড়ী পরে আসবে, আবির যেন পাঞ্জাবি পড়ে, পাঞ্জাবি পড়েছে আবির, তবে সেটা হিমুর পাঞ্জাবি, হলুদ পাঞ্জাবি, দেখলে মনে হবে ময়লা, আসলে না, এই পাঞ্জাবির ধরন টাই এমন, হিমুর পাঞ্জাবি তো হিমুর মতই হবে, আবিরের মাথায় কাজ করছেনা, লাল শাড়ি পরা অসংখ্য মেয়ে, কিন্তু আবির চিনবে কি করে, কে পরী? অসহ্য , পরী বলেছিলো মাথায় লাল একটা টুকটুকে জবা ফুল থাকবে, কিন্তু জবা ফুল তেমন না হলেও দু চার টা মেয়ের মাথায় আছে, এইসব ভাবতে ভাবতে আবির অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছে, সম্বিত পেলো রিক্সাওয়ালা মামার কথায়, মামা নামেন আইসা গেছি, আবির নামলো , ভাড়া মিটিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলো আবির, জুই আবির কে দেখে একটা লাল গোলাপ হাতে নিয়ে এগিয়ে এলো হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে আবির
থ্যাঙ্কস বলে আবির ফুল টা নিলো, এই মেয়েটি আবির কে বড় অত্যাচার করছে, আবিরের ভালো লাগেনা, যাক একটা ফুল পাওয়া গেলো, আজ তাহলে ভ্যালেন্টাইন ডে, যাক এই ফুল টা পরীকে দেওয়া যাবে, পরী নিশ্চয় ভাববে আবির ফুল টা তার জন্য এনেছে, আবির কি করবে? ফুল টা দিয়ে তাকে বলবে হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে পরী? নাহ এটা বলা ঠিক হবেনা, আর এই ফুল টা না, তার অন্য একটা ফুল কিনতে হবে এইটা তাকে জুই দিয়েছে, আবির দুটা ভালোবাসা গুলিয়ে ফেলবেনা, আবির ক্যাম্পাস খুজে ফিরলো ফুল নাই কোথাও, আজ সব ফুল শেষ, পরীকে ফোন দিলো আবির, কোথায় তুমি? এইতো আসছি ১০ মিনিট লাগবে, আর শোন আমি নিল শাড়ি পরেছি, লাল শড়ি টা পরিনি, তুমি ক্যাম্পাসের এক নং গেটে দারাও আমি আসছি, আবির এক নং গেটে দারিয়ে আছে, পরীর কোনো খবর নাই, আচ্ছা পরীর সাথে দেখা হলে আবির কি এই ফুল টাই তার হাতে দিবে? নাহ সেটা ঠিক হবেনা, অনেকক্ষন কথা বলতে হবে তার সাথে, তারপর জিজ্ঞেস করতে হবে আচ্ছা পরী তোমার আসল নাম কি?
তখন পরী একটা নাম বলবে, আবির তাকে ফুলটা দিবে, ধন্যবাদ নাম টা বলার জন্য, তাই আমার তরফ থেকে ছোটো এই উপহার, পরী খুব লজ্জা পাবে, কিংবা ফুল টা হাতে নিয়ে বলবে বাহ ফুলটা থেকে তো অনেক ঘ্রান আসছে, জানো এর আগে কেউ আমাকে ফুল দেয়নি, বলে আবির কে একটা থ্যাঙ্কস দিবে, আবির আবার অন্যরকম হয়ে যাবে, ড্যাবড্যাব করে চেয়ে থাকবে পরীর দিকে, কিছু বলতে পারবেনা, নাহ ফুলটা দেওয়া যাবেনা পরীকে, তবে স্বেচ্ছায় বিব্রত হতে হবে, আবির প্রশংশা শুনলে কেমন যেনো হয়ে যায়, আর এজন্য আবির এখন কোনো রমনিকে বাসে সিট ছেড়ে দেয়না, আবির মোটামুটি শিউর পরীর নাম টা হবে বিদঘুটে একটা নাম, যেমন কদলিবালা, অথবা তাসলিমা টাইপ বিদঘুটে একটা নাম হবে তার, আবিরের এতো বড় নামে ডাকতে কষ্ট হবে তাই আবির সে নাম টাকে ছোটো করে নিবে, যদি কদলিবালা হয় তবে আবির তাকে কদু নামে ডাকবে, নাহ এই নামে ডাকা যাবেনা, কদু মানে লাউ ব্যাপার টা কেমন যেনো লাগবে, তার থেকে কি নাম দেওয়া যায়? আজ সে নিল শাড়ি পরে আসছে তাকে নিলাঞ্জনা নাম দেওয়া যায়, এর মাঝে আবিরের হাত থেকে ফুল টা নিয়ে ছু করে উড়ে গেলো আকাশ, সে কোথাও ফুল পায়নি, হয়তো তার জি এফ কে দিবে, যাক তবু ভালো হলো, এখন আবির খালি হাতে দাঁড়িয়ে আছে, সামনে রিক্সা থেকে একটি মেয়ে নামলো, এইটা কি পরী? নাহ মেয়েটি ভিতরে চলে গেলো, আবির কে লক্ষই করলোনা সে, আবির পরী কে ফোন দিলো কই তুমি? আমি তো মাত্র রিক্সা থেকে নামলাম তুমি কই? আমি তো গেটে দাড়ান,
হিমু পাঞ্জাবি?
হলুদ পাঞ্জাবি, ফোন টা রাখতে না রাখতেই পিছন কানের কাছে হিমু বলে একটা মিষ্টি কণ্ঠস্বর শুনলো আবির, এক গুচ্ছ ফুল হাতে মেয়েটি আবির কে ভ্যালেন্টান ডের শুভেচ্ছা নিলো, আবির থ্যাঙ্কস বলে তাকিয়ে আছে পরীর দিকে, কি দেখছো জিজ্ঞেস করলো পরী
না কিছু না চলো বলেই ক্যাম্পাসের ও পাশে খোলা মাঠের দিকে হাটছে দুজন, আবির পরীর থেকে একটু পিছনে, পরীর চুল গুলু বাতাসে উড়ছে মুগ্ধ হয়ে দেখছে আবির, অনেক কথা হলো তাদের, আবির পরীকে জিজ্ঞেস করলো আচ্ছা তোমার নাম কি? নুসারাত জবাব দিলো পরী
বাহ তমার নামের মতই সুন্দর, আবির যেনো কিছু একটা খুজে পেলো তার মাঝে, নিল শারি তে নুসারাত অনেকটাই নিল পরীর মত লাগছে, কথার ফাকে ফাকে দুষ্টামি চলছিলো দুজনের চোখে চোখে, ইশারাতে যা বুঝার তা দুজনে বুঝে নিলো
চলবে
২৩ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬
হৃদয়ের স্পন্দন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুন, ২০১৪ রাত ১১:৩৯
শায়মা বলেছেন: বাহ!!!

পরী পরী গল্প!