নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অখাদ্য ব্লগে স্বাগতম

হৃদয়ের স্পন্দন

লেখা টা আমার মনের খাদ্য, আপনার নিকট আমার লেখা মানেই অখাদ্য, আমন্ত্রণ অখাদ্য ব্লগে, ধন্যবাদ অখাদ্য পড়ার জন্য

হৃদয়ের স্পন্দন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযোদ্ধা- মোঃ সফর আলী

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১

কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের মনসুর গ্রামের বাসিন্দা। সবার আগে দেশ- এই আপ্তবাক্য বুকে ধারণ করে ১৯৭১ সালে স্ত্রী ও ছোট্ট সন্তানকে রেখে চলে গিয়েছিলেন দেশ স্বাধীন করতে। কোরমা বাগানে শত্রুদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে হারিয়েছিলেন বন্ধু মুক্তিযোদ্ধা গনিকে। ৩৬টি হ্যান্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে টানা সাতদিন ব্লক করে রেখেছিলেন পাকিস্তানী সৈন্যদের। আরও কত সেই লোমহর্ষক অভিজ্ঞতাগুলো!
দেশ স্বাধীন করে ঘরে ফিরে দেখলেন, ঘর বলতে কিছু নেই। সব জ্বলে-পুড়ে শেষ। সহায় সম্পত্তি বলতে কিছুই ছিল না, তাই পেট চালানোর জন্য সফর আলী নামের এই 'মুক্তিযোদ্ধা' শুরু করলেন রিক্সা চালানো! এভাবেই শুরু হলো তাঁর জীবন সংগ্রাম। যত দিন শরীরে শক্তি ছিল কাজ করে নিজের, স্ত্রীর- দুজনের খাবারের টাকা যোগাতেন। এখন ডান হাতে ইনফেকশন হওয়ায় কিছুই করতে পারেন না। ডান হাতের অবস্থা এতটাই বীভৎস, দেখলে শিউরে ওঠবে যে কেউই!
তাঁর কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে স্বদেশের বাতাস। তাঁর চাওয়া- একটুখানি চিকিৎসা নিজের জন্য, স্ত্রীর জন্য। আর একটা মুদির দোকান, একজন মুক্তিযোদ্ধার হাত পাততে কি ভালো লাগে?
হাতের ইনফেকশনে মৃতপ্রায় এক পরাজিত সৈনিক! কিন্তু পরাজয় এতো সহজ!! সেই রুদ্র প্রাণের মুক্তিযোদ্ধার?
আমরা Lighter, তাঁকে একটি মুদির দোকান করে দেব। তাঁর হাতের চিকিৎসা, স্ত্রীর চোখের- সব কিছুর খরচ আমরা দেব।
আমরা তাঁকে কথা দিয়ে এসেছি, আপনারা এগিয়ে আসবেন তো?
বিস্তারিত: মিশন ১৯৭১: দেশের সূর্যসন্তানদের তরে আমরা, ২০১৪

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা- মোঃ সফর আলী এর দেয়া পতাকাটা নিয়ে আমরা বিশ্ব রেকর্ডের দ্বার পান্তে এটা কি ওনার জন্য বি....শা....ল.... অর্জন নয়? দুই চার বেলা না খেলে কি হয়।


আমরা শুধু রাজনীতিই করতে পারি এই সম্মানিত ব্যক্তির কথা আমাদের মনে পরে না।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪

হৃদয়ের স্পন্দন বলেছেন: ঠিক এ কথাটি আমাওরা মেনে নিতে রাজি নই :( এ জন্য আমাদের দেশে এর থেকে ভালো অবস্থা তৈরি হবেনা কোনোদিন

২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৫

খেলাঘর বলেছেন:

"সহায় সম্পত্তি বলতে কিছুই ছিল না, তাই পেট চালানোর জন্য সফর আলী নামের এই 'মুক্তিযোদ্ধা' শুরু করলেন রিক্সা চালানো! এভাবেই শুরু হলো তাঁর জীবন সংগ্রাম। "

-তাজুদ্দিনের মতো উনিও ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অংশ; বেকুব তাজিদ্দিনের কারণে উনি হয়েছেন চাকুরীহীন, আর তাজুদ্দিন?

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আপনাদের উদ্যোগে স্যালুট জানাই ভাই।

অনেক শুভকামনা রইল।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.