![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্লান্ত রোহান গুলিস্থান থেকে বাসে উঠেছে, গন্তব্য আজমপুর, উফ বড্ড ধকল যাচ্ছে ছেলেটার, সারাদিন কাজ, রাতে একদম ই ঘুম নাই, চোখের পাতা এক করলেই ভেসে উঠে প্রেয়সির মুখ, বাসে একটা সিট পেতেই বসে পরলো রোহান, দু চোখে রাজ্যের ঘুম নেমে এলো তার, কিছুক্ষন পরে ঘুম ভাঙ্গলো একটা মেয়ের ডাকে, শুনছেন আমি বসবো, মাথা টা একটু সরিয়ে ঘুমান, মাথা টা কাত করে ঘুমানো টা রোহান এর অভ্যাস হয়ে গেছে, মেয়েটা পাশে বসলো, সে দিকে আগ্রহ নেই রোহানের, কিছুক্ষন আবার ডাকল মেয়েটা এই যে আপনি মাথা আমার কাধে দিয়ে ফেলেছেন , প্লিজ একটু সরুন, না আর ঘুমানো যাবেনা, ঘুমালেই মাথা টা মেয়েটার কাধে চলে যাবে, ব্যাপার টা ভালো হবেনা হয়তো, আড়মোরা দিলো রোহান, বাসে তার এই অল্প কিছুক্ষনের ঘুম তার কাছে মনে হল সে যেনো কতদিন ঘুমিয়েছে, সাত রাস্তা চলে এলো বাস। এতক্ষনে পাশের সিটের মেয়েটার দিকে তাকালো রোহান, না চেহারা টা দেখা যাচ্ছেনা, মাথা নিচু করে মিটিমিটি হাসছে আর ফোনে কথা বলছে মেয়েটা, চিনা চিনা মনে হচ্ছে, ফোন টা রেখে দিলো মেয়েটা রোহান তাকালো তার দিকে, আরে এ কি? এ তো রোদেলা, রোদেলা ও তার দিকে তাকিয়ে আছে, মাথা টা ঘুরিয়ে নিলো রোহান, ইশ কেনো যে কি? আল্লাহ জানেন আমার পাশে বসে আর কতটা রাস্তা যাবে সে, অনেক কথা বলতে ইচ্ছা হচ্ছিলো রোহানের, কিন্তু কিছু না বলে চুপচাপ বসে ছিলো সে, কোথায় থেকে আসলে বলে উঠলো রোদেলা, এইতো একটু গুলিস্থান গেছিলাম,
রোদেলাঃ তা হটাথ এইদিকে কেনো
রোহানঃ অই একটু কাজ ছিলো আর কি, তা কেমন আছো?
রোদেলাঃ ভালোই তো, খারাপ না, তবে সে ভালো থাকাটা কতটা ভালো সেটাই হয়তো জানিনা
রোহানঃ ও তা হাসবেন্ড কেমন আছে? বলতে গিয়ে গলা টা ধরে এলো রোহানের, সামলে নিলো নিজেকে, আড়চোখে তাকালো রোদেলার দিকে
রোদেলা কিছুটা কান্না ঝরানো কন্ঠে জবাব দিলো আসলে কি এর ভিতর খিলখেত চলে এসেছে বাস, রোহান নামার জন্য উদ্যত হল। কি ব্যাপার নেমে যাচ্ছো নাকি? জানতে চাইলো রোদেলা, হ্যা কাজ আছে, বলেই নেমে গেলো রোহান, রোহান বুঝতে পারছিলো তার সাথে এই সব প্যাচাল পাড়া মানে নিজেকে কষ্ট দেওয়া থাক না
বাস থেকে নেমে পিছনে একটি বাসে উঠলো রোহান, এয়ারপোরট এসে বাস টা নষ্ট হয়ে গেলো, খুব খিদা পেয়েছে এর মাঝে, আজমপুর যেয়ে খাওয়া যেতো কিন্তু আজ রোদেলার সাথে দেখা, তাই ভাবলো রোদেলা কে নিয়ে সময় কাটানো সে রেস্তোরা থেকে একটা স্যান্ডউইচ খেয়ে নেওয়া যায়, ধিরে ধিরে হাজি ক্যাম্পের রাস্তা ধরে এগুচ্ছে রোহান, এই তো সেই , ঢুকবো কি ঢূকবো না ভাবতেই ভাবতেই দরজা খুলে নিলো রোহান, হ্যা যাই হোক সে টেবিল টাতেই বসা যায়, একটা মেয়ে বসে আছে, সেখানে, তাছাড়া প্রতিটা টেবিলেই একটা করে ছেলে বা মেয়ে, সবাই সিঙ্গেল, একজনের সাথে বসলেই হলো, নাহ একটা মেয়ে বসে আছে, সেইখানে না বসাটাই ভালো তার থেকে পাশের টেবলে বসলো রোহান, একটা স্যান্ডউইচ অর্ডার করলো সে,
এখন সে পানি খাচ্ছে, এর মাঝে একটি মেয়ে এলো সেখানে, তার টেবিলে বসে থাকা লোক তী তাকে বললো সরি ব্রাদার শি ইস মাই গ্রালফ্রেন্ড ইফ ইউ ডোন্ট মাইন্ড রোহান কিছু বলার আগেই ওয়েটার সেখানে স্যান্ডউইচ নিয়ে উপস্থিত।
, স্যার কিছু মনে না করলে আপনি এটাতে বসতে পারেন, রোহান এইবার মেয়েটার দিকে তাকালো হাতা কাটা একটা টি শার্ট পরা , সাথে জিন্স কেমন যেনো একটা অশ্লীলতা, যাই হোক রোহান এইবার তার রাজকন্যা কে নিয়ে কাটানো সে টেবিলের একটা চেয়ারে বসলো সে, ওয়েটার তাকে স্যান্ডউইচ দিয়েছে, রোহান একরকম গোগ্রাসে গিলছে খাবার টা, হটাথ কেমন জানি লাগছে তার, এই টেবিল টা তে সে এর আগে অনেক স্যান্ডউইচ খেয়েছে, তার সামনে একটি মেয়ে বসা ছিলো, রোহান কখনই এতো দ্রুত খায়নি, আর আজ মেয়েটার দিকে তাকালো না সে, মেয়েটা হয়তো ভাবছে ছেলেটা কতদিন না খাওয়া, রোহান লজ্জা নিয়ে তাকালো মেয়েটার দিকে, দেখেই চমকে গেলো রোহান এ তো রোদেলা, এ কি তুমি? তুমি এখানে কেনো? আরে কি ব্যাপার? আস্তে কথা বলো রোহান, তুমি যদি এখানেই আসবে তাহলে খিলখেত নেমে গেলে কেনো?
না মানে সেইখানে একটা কাজ ছিলো, নেমে ফোন দিলাম লোক টা নাই, কিন্তু তুমি এখানে কেনো , আমি এইদিক দিয়ে গেলেই আসি মাঝে মাঝে, এর ভিতর ক্যাশে বসা থেকে সে পুরোনো লোক টী এলো, তোমদের দুজন কে আজ অনেক দিন পর দেখলাম একসাথে, তোমাদের কি সব ঠিক হয়েছে আবার? সেই বছর পাচ আগে একবার এমন দেখেছিলাম আর দেখছি আজ, সেদিন রোহান খেতে এলো তোমার কথা জানতে চাইলাম মা, কিছুই বলেনি আমাকে, আর তার পরদিন তুমি এলে তোমার কাছে রোহানের ব্যাপারে জানতে চাইলাম কিছুই বললে না আমাকে, আসলে মা জানো তোমাদের মত ঝুটি এই রেস্তোরাতে ৫ বছর আসেনা, আমি আজ ১৪ বছর এইখানে কোনোদিন দেখিনি, আর গত ৫ টা বছর ক্ষনে দু জনেই এসছো কিন্তু একা আসলে মা, আর কিছু বলার চান্স না দিয়ে উঠে দাড়ালো রোদেলা, রোহান হতভম্ব মেয়েটা কি চলে যাবে? না গেলোনা, মুরুব্বি চাচাকে ধরে বসালো তার সীত টিতে, রোহানের স্যান্ডউইচ থেকে রকটু ছেড়ে মুখে তুলে দিলো উনার, আসলে কি আমরা এখন অনেক ব্যাস্ত তাই একসাথে আসা হয়না, আর যেদিন ঝগরা করি সেদিন কেউ একজন এসে কিছু খেয়ে যাই , আসলে ঝগরার পর যে বেশি কষ্ট পাই সেই আসি, ও আচ্ছা, মা তোমাদের দেখে খুব ভালো লাগছে, আমি যাই কাজ করি গে, তোমরা গল্প করো বলেই উঠে পা বাড়ালেন মুরুব্বি।
রোহান হাসছিলো মনে মনে এমন বানানো মিথ্যা সত্যি করে বললো রোদেলা যে বুঝার উপায় নাই রোদেলা ডাহা মিথ্যা বলছে,
যাই হোক রোদেলা এইবার বসলো ঠান্ডা মাথায়, আচ্ছা এমন করে খাচ্ছো কেনো?
কতদিন খাওনি তুমি?
না আসলে কাজ আছে, শোনো রোহান আমি ভালো করেই জানি তুমি এইখানে আসো,
প্রায় আসো এই টেবিল টাতেই বসো অন্য কোথাও বসনা, আজ কেনো পাশের টাই বসেছো?
আসলে এইখানে একটা মেয়ে বসা তাই ফরমালিটি আর তুমি তো জানোই আমি একটু অন্যরকম মেয়েদের দিকে একটু কম তাকাই।
হ্যা তা তো দেখলাম ই, পাশে একটা মেয়ে বসে আছো আর তুমি বস্তির মত খাচ্ছো
আসলে খুব খিদা তো তাই
এতক্ষন কথার ফাকে রোহান ভুলেই গিয়েছিলো রোদেলার জন্য কিছু আনা দরকার, কি খাবে কফি না অন্য কিছু?
না কিছুই না ডায়েট কন্ট্রোল করছি হা হা হা
ও তাই? তুমি তো আগের মতই আছো তুমি তো মোটানা? মিডিয়াম, তো ডায়েট কেনো?
আসলে আজ কিছু খাবো না জানো অনেক স্বপ্ন দেখতাম যে আমি আর তুমি কোনো একদিন এই রেস্তোরায়
সেই খুশিতেই খাবোনা
মানে কি? রোদেলা তুমি বিবাহিতো? এইসব কি বলো?
না রোহান আমি ম্যারীড না, আমি বিয়ে করিনি, শুধু তোমার বেখাপ্পা জীবন ভালো লাগতো না আমার, তাই কিছু দিন একা থাকতে চেয়েছিলাম, কিন্রু তুমি যে আসলেই ঢাকা ছেড়ে চলে যাবে, ফোন বদলে ফেলবে ভাবিনি, ভেবেছিলাম আবার সব ঠিক হয়ে যাবে, কিন্তু হলনা, থাক বাদ দাও, তা তোমার জি এফের কি অবস্থা? কেমন আছে সে?
থাক না রোদেলা বাদ দাও তো অসব
কেনো বলোনা প্লিজ রোহান বলো, ও সরি আমাকে ক্যাশিয়ার কাকা বলেছে তুমি নাকি একা খেতে আসো, হ্যা মানে কি এখোনো সিঙ্গেল?
হ্যা বলতে পারো, তোমার নাম্বার টা দিবে?
হ্যা নাও তাদের নাম্বার বিনিময় হয়ে গেলো, কে কাকে কতটা ভালোবাসে তা আর বলতে হলনা কাউকেই, ক্যাশিয়ার কাকার কথায় দু জন ই বুঝে গেছে তারা আজো একা আসে এই স্বপ্নের রেস্তোরায় রেস্তোরার নাম টি ও সুন্দর
স্বপ্নিল রেস্তোরা
এইভাবেই চলতে থাকে দিন
মাস ৬ পরে
খুব ভালো দিন কাটছিলো রোহানের, রোদেলার সাথে একটু একটু করে ভালোই সময় কাটছিলো তার, কাল সারাদিন দুজন একসাথে ঘুরেছে, গুলিস্তান থেকে ফিরার পথে বাসে বসে ভাবছিলো রোহান, আহরে এই বাসেই সেদিন দেখা হয়েছিলো, এর মধ্যে রোদেলার ফোন আসে, রোহান এই একটা জিনিস ভেবে পায়না, যখন ই মেয়েটিকে অনে পড়ে তখন ই সে ফোন করে, রিসিভ করে সে হ্যালো
হ্যা কই তুমি ? জানতে চায় রোদেলা
এইতো বাসে মগবাজার, বাসায় যাচ্ছি
না বাসায় না, তুমি সাত্রাস্তা নামো, আমি আসছি
রোহান সাত্রাস্তা নেমে দাড়ায়, একটা সিগেরেট জ্বালায় সে, দোকান থেকে মোর নিতে দূরে একটা রিক্সার দিকে চোখ যায় তার, নিল রঙের একটা পরি আসছে মনে হচ্ছিলো তার কাছে, রিক্সার ফুট উঠানো থাকায় সে মুখ টা দেখতে পাচ্ছিলো না, রিক্সা ঠিক তার সামনে এসে দারায়, ভাড়া টা দাও, ভাংতি নাই আমার কাছে, রোহান ভাড়া দেয়না, অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে রোদেলার দিকে, আরে কি হল ভাড়া দাও, ও হ্যা, রোহান মানিব্যাগ বের করে টাকা দেই রিক্সাওয়ালা কে, রিক্সা ঘুরিয়ে যাবার সময় চালক রোহান কে বলে মামা মামি রে আইজকা আসলেই সুন্দর লাগতাছে, রোহান রিক্সা চালক কে ধমক দিতে চায়, কিন্তু পারেনা এর ভিতর রিক্সা চালক তার রিক্সা নিয়ে প্রস্থান ঘটায় সেখান থেকে, আরে কি হল এইভাবে তাকিয়ে আছো কেনো? মানুষ কি বলছে? রোদেলার এই কথায় রোহান সম্ভিত ফিরে পায়
চলো
কিন্তু কই যাবো? জানতে চায় রোহান
চল আজ সিনেপ্লেক্সে মুভি দেখবো জলন্ত অলিল এর মুভি
হা হা হা তা হটাত এই মুভি দেখবা?
আরে চলো না, ওর মুভি দেইখা বিনোদন লাগে আমার কাছে চলোতো
রোহান রিক্সা নেই উদ্দেশ্য বসুন্ধরা সিটি।
রিক্সায় বসে গুঙ্গুনিয়ে গান গাইতে থাকে রোদেলা আমি নিল পরি ই হি আমি নিল পরি
রোহান তার দিকে তাকায়, আসলেই সে নিল পরি, এর মাঝে রিক্সা পান্থপথ মোরে এসে থেমে যায়, মামা আর যাওন যাইবো না,
রিক্সা থেকে নেমে দুজনে হেটে হেটে পৌছায়, উফ মাত্র ২ টা বাঝে, মুভি শুরু ৩ টায় চলো কিছু খেয়ে আসি, হ্যা চলো তাতে সায় দেয় রোদেলা।
লিফট বেয়ে একদম উপরে উঠে গেলো রোহান আর রোদেলা, একটা কোল্ড ড্রিঙ্কস নেয় রোদেলা, ও বাসা থেকে খেয়ে এসেছে কিছুই খাবেনা সে, রোহান কি খাবে ভাবছিলো, এর মাঝে চোখ যায় বিল বোর্ড এর দিকে সেখানে লেখা ছিলো এখানে নাটোরের খাটি কাচা গোল্লা পাওয়া যায়, রোহান গোল্লার অরডার করে, গোল্লা পেয়ে চোখ বন্ধ করে খেতে থাকে রোহান উফ আসলেই চমৎকার জিনিস, না খেলে আফসোস থেকে যেতো এমন কথায় রোদেলা ও গোল্লার অর্ডার করে, দুজনে বেশ ত্রিপ্তি ভরে গোল্লা খেয়ে নেয়,। বিল মিটিয়ে তারা মুভি দেখতে আসে, জলন্ত অলিলের অভিনয় দেখে শুধু হাসছিলো রোদেলা, রোহান ছবির দিকে নয় বরং সারাটা সময় চেয়ে ছিলো রোদেলার দিকে, বাসায় ফিরার সময় রোদেলা খুব ভিতু স্বরে বলে উঠে তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো, যদি কিছু মনে না করো তাহলে বলি?
হ্যা বলো
আমার আসলে একটা সম্পর্ক হয়েছিলো বেশ কিছুদিন আগে, বেশি না৩ মাস ছিলো সেটা
আমি জানি রোদেলা আমাকে বলতে হবেনা।
তুমি জানো?
হ্যা আমি জানি তার সব কিছুই, আমি প্রতিটা সময় তোমার খোজ নিয়েছি তোমার জানার অন্তরালে, আমাকে বলতে হবেনা, অন্য কিছু কি বলবে?
না আর কিছুই বলবো না, খুব মন খারাপ রোদেলার, রোদেলা এখন সত্যি সত্যি রোহান কে ভালোবাসতে শুরু করেছে, আগের থেকে বেশি অনেক বেশি, যে ভালোবাসা হয়তো শুধু রোহানের প্রাপ্য, কিন্তু বিধি বাম তা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেনি কেউ
এভাবেই চলছিলো দিন হটাত একদিন রোহান তার মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রনা অনুভব করে, রোহানের বাবা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, ডাক্তার কিছু ঐষধ লিখে দেন, এবং রোহান কে মেডিকেলে ভরতি করে রাখেন, কিছুদিন পর সুস্থতা অনুভব করে রোহান, কিছু টেষ্ট করেছে সে, সময়ের অভাবে আনা হচ্ছেনা সে গুলু। কিন্তু এ কয়দিন রোদেলার কোনো ফোন আসেনি,না এসেছিলো হয়তো রোহানের ফোন বন্ধ ছিলো, হয়তো রোদেলা অনেক চেষ্টা করেছে, পায়নি তাকে, একবার খোজ নিতে হবে রোহান রোদেলা কে ফোন করলো, কই তুমি?
আরে তুমি এতদিন কোনো খোজ নাই কি অবস্থা তোমার কি হয়েছে?
না কিছুনা এইতো অসুস্থ ছিলাম কিছুদিন
ও আচ্ছা, কাল আমরা মেলায় যাবো কেমন?
আচ্ছা ঠিক আছে,
পরদিন রিক্সায় করে মেলায় যাবার উদ্দেশ্যে বের হয় রোহান আর রোদেলা
আমার একটা কথা ছিলো
বল
আমার বাবা মা বাসা থেকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে কি করবো?
করে ফেলো সোজা সাপ্টা উত্তর দেয় রোহান
মানে কি? আমাকে ভালোবাসো না?
দেখো রোদেলা উফ প্রচন্ড চিৎকার করে মাথায় হাত দেয় রোহান, এই কি হলো রোহান কি হয়েছে তোমার? পাগলের মত করতে থাকে রোদেলা, মাথায় আবার যন্ত্রনা না কিছুই হয়নি, মাঝে মাঝে মাথায় একটু যন্ত্রনা হয়, রোগ টা এখনো ভালো হয়নি, আজ টেষ্টের রিপোর্ট গুলো নিয়ে যেতে হবে আসলে কি যে হলো
সেদিন আর কোনো কথা হয়নি দুজনের, যাওয়া হয়নি মেলায়, সে রিক্সার্য রোদেলা কে বাসায় নামিয়ে দিয়ে নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় রোহান, যাবার পথে মেডিকেল থেকে রিপোর্ট গুলা নেয় সে, রিক্সায় বসে রিপোর্ট গুলু দেখতে থাকে, খুব কান্না পায় রোহানের তার ব্রেইন টিউমার হয়েছে, রোহান আর বাচবে না, বড় জোর এক বছর, তার এক বন্ধুর হয়েছিলো সেটা, ডাক্তা তাকে এক বছড় বাচবে বলেছিলো কিন্তু সে ৬ মাস এর মধ্যে ইহোলোক ত্যাগ করে, সেদিন সারারাত নিরঘুম থেকে সকালে ঘুমিয়ে পরেছিলো রোহান
ঘুমানোর কিছুক্ষন পর রোদেলার ফোন
হ্যালো
হ্যা বলো
কই তুমি?
বাসায় ঘুমাচ্ছি
একটু বের হবে>? কথা ছিলো
না কি বলবে ফোনেই বলো
আজ আমাইয় দেখতে আসবে, পছন্দ হপ্লে হয়তো বিয়ে
আমি কি করবো
তোমার কিছু করার নাই? চিট ,লম্পট, এতোদিন মিথ্যে অভিনয়ত করেছো আমার সাথে? আমাকে ভালোবাসনি কোনোদিন?
না
রোদেলা ফোন রেখে দেয় রোহান বালিশে মুখ গুজে কান্না করতে থাকে, সেদিন সারা বেলা রোহান কেদেছিলো
রাত ৮ টায় একটা এম এম এস পায় রোহান, তাতে রোদেলা আর তার পাশে বসা বরের ছবি ছিলো রোহান আবার ও কাদতে থাকে, বেশিক্ষন কাদতে পারেনি সে, রাত ৩ টায় কাউকে কিছু না বলে পরলোকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে রোহান
©somewhere in net ltd.